প্রাচীন কথা - ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী
Posted in প্রাচীন কথা
প্রাচীন কথা
মিথ-কথন
ঋতুপর্ণা চক্রবর্তী
গ্রীক পুরাণের বিভিন্ন গল্পে নানা জনপ্রিয় এবং তুলনামূলক কম জনপ্রিয় কিছু চরিত্র বারবার উঠে এসেছে। এই গল্পগুলি জানার জন্য এই চরিত্রগুলির সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা দরকারী। আগামী কিছু পর্বে আমরা গ্রীক পুরাণ নিয়ে কথা বলব। এখানে মূলতঃ পুরাণের বিভিন্ন চরিত্রের পরিচয় এবং তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে একটু আলোচনা করা হলো।
পর্ব ৩ - জিউসের সন্তানরা
আগের পর্বেই বলেছি, জিউস প্রচুর সন্তানের পিতা ছিলেন। সেখান থেকে বিখ্যাত কিছু সন্তানের কথা বলা হলো; এঁরা সকলেই অলিম্পাসের প্রধান বারো দেবদেবীর মধ্যে পড়েন।
এথেনা (Athena) - জিউস এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী মেটিসের (Metis) সন্তান। কথিত আছে, একটি ভবিষ্যদ্বাণী ছিলো যাতে বলা হয়েছিল জিউস এবং মেটিসের দুটি খুবই শক্তিশালী সন্তান হবে। প্রথমটি কন্যা এবং দ্বিতীয় পুত্রসন্তানটি এতো শক্তিশালী হবে যে জিউসকে হারিয়ে স্বর্গের আসনে বসবে। এই শুনে জিউস মেটিসকে কৌশলে একটি মাছিতে রূপান্তরিত করে গুপ করে গিলে ফেলেন। কিন্তু ততক্ষণে মেটিস গর্ভবতী হয়ে গেছেন। তিনি জিউসের পেটের মধ্যে বসেই অনাগত সন্তানের জন্য একটি শিরস্ত্রাণ এবং একটি জোব্বা বানাতে শুরু করেন। শিরস্ত্রাণ বানানোর সময় হাতুড়ি পেটায় জিউসের সাংঘাতিক মাথা ব্যাথা শুরু হয়, এতো যে তিনি সন্তান হেপাস্টাসকে বলেন যে হয় আমার মাথা কেটে ফেলো, না হলে হাতুড়ির আঘাত করো। হেপাস্টাস তাই করলে জিউসের মাথা থেকে এথেনার জন্ম হয়। তিনি জন্মানোর সময়েই যুবতী, হেলমেট এবং জোব্বা পরিহিতা এবং অস্ত্রধারী ছিলেন। এথেনা গ্রীসের এথেন্স শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ছিলেন। নগরের মূল বাজার বা অ্যাক্রোপোলিসে বিখ্যাত পার্থেননের মন্দির আছে, সেই মন্দিরে তিনিই পূজিত হতেন। তিনি জ্ঞান, নগরসভ্যতা, অঙ্ক, কারিগরিবিদ্যা, নিপুণতা এবং যুদ্ধবিদ্যার দেবী ছিলেন। অলিম্পাসের মূল তিন দেবী অর্থাৎ হেরা এবং অ্যাফ্রোদিতির সাথে তাঁকে একজন বলে ধরা হয়।
হেপাস্টাস (Hephaestus) - হেপাস্টাস হলেন ওদের বিশ্বকর্মা। ইনি আগুন, কামারশালা, যেকোনো ধরণের কারিগরি তা সে বাড়ি বানানোর রাজমিস্ত্রীর কাজই হোক বা ভাষ্করের মত পাথর কেটে মুর্তি বানানোই হোক, এঁদের সবার পূজ্য। এঁর একটি বিরাট কামারশালা আছে, সেখানে এঁকে সাহায্য করার মত অটোমেটন বা যন্ত্রচালিত সাহায্যকারী ইনি নিজেই বানিয়ে নিয়েছেন। অনেক কিছু তৈরি করেছেন, হার্মিসের ডানাওয়ালা শিরস্ত্রাণ এবং জুতো, আকিলিসের বর্ম, এরিসের বুকের রক্ষাবর্ম। সুর্যের রথটিও এঁরই বানানো। প্রথমে আদি দেবতা হেলিওস এই রথ চালাতেন, তারপর অ্যাপোলো। ইনিও জিউস আর হেরার সন্তান। সম্ভবত প্রথম সন্তান। মনে করা হয়, এথেনার জন্মের সময় অভিমানী হেরা এঁর জন্ম দেন। কিন্তু তাহলে জিউসের মাথা কেটে ফেলার ঘটনাটির কোনো যৌক্তিকতা পাওয়া যায় না। জন্ম থেকেই একটু দুর্বল, অন্যান্য দেবতাদের থেকে কুৎসিত এবং পায়ে খুঁত থাকার জন্য হেরা তাঁকে অলিম্পাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেন। টাইট্যানেস টেথিস (Tethis) এবং ইউরিনোম (Eurynome) নামের এক ওশিয়ানিড তাঁকে বড় করে তোলেন। ইনি অ্যাফ্রোদিতির স্বামী, তবে অ্যাফ্রোদিতি এঁকে বিশেষ পাত্তা দেন না।
এরিস (Ares) - এথেনার কথা এলে এঁর কথা আসতে বাধ্য। ইনি হেরা এবং জিউসের সাত সন্তানের একজন। যুদ্ধের দেবতা ইনি। এথেন্সের সাথে যাঁদের সর্বজনবিদিত ঝগড়া ছিলো, সেই স্পার্টা শহরের অধিষ্ঠাতা দেবতা। এথেনার সাথে এঁর ভয়ানক ঝগড়া। ইনি হেডিসের স্ত্রী পার্সেফোনিকে প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে তাড়া খেয়েছিলেন। এরিস সাংঘাতিক টাইপের মারকুটে। যত কাঁচা ঝামেলা, যুদ্ধ, মারামারি, রক্তারক্তি হবে তত এঁর পছন্দ। অ্যাফ্রোদিতি এঁর ভাতৃবধু হলেও তাঁকে ইনি খুবই পছন্দ করেন। এরিস আর অ্যাফ্রোদিতির প্রেম সর্বজনবিদিত। এঁদের একগাদা সন্তানও আছে। যাঁদের মধ্যে ফোবোস (ভয়) এবং ডিমোস (আতঙ্ক) উল্লেখযোগ্য। যেখানেই এথেনা যান, ইনি অবশ্যই তার বিরুদ্ধপক্ষে থাকেন।
আর্টিমিস (Artemis) - ইনি অ্যাপোলোর যমজ বোন। জিউস এবং লেটোর (Leto) সন্তান। টাইট্যান কোয়োস আর ফিবির কন্যা হলেন লেটো। জিউসের সব সন্তানদের মধ্যে সবথেকে প্রিয় ইনিই। অলিম্পাসের বিখ্যাত তিন ভার্জিন দেবীর অন্যতম, অন্য দুইজন হলেন হেস্টিয়া এবং এথেনা। কিশোরী বালিকার রূপ ধরে থাকা আর্টিমিস হলেন একাধারে চাঁদের দেবী, শিকার, বন, বন্য জন্তু, কুমারীত্বের দেবী। কথিত আছে এঁর জন্মের পর জিউস এঁকে ছয়টি বর দিতে চান। যে ছয়টি বর ইনি চান, তা হলো, আজীবন কুমারীত্ব; এমন অনেক নাম যা তাঁকে ভাই অ্যাপোলোর থেকে পৃথক করবে; তীরধনুক আর হাটুঁ অবধি টিউনিক পরার স্বাধীনতা যাতে তিনি শিকার করতে পারেন; ষাটজন নয় বছর বয়সী ওকানাইড মেয়ে যারা এঁর সহচরী হবে; কুড়িজন অ্যামনিসাস নদীর পরী যারা আর্টিমিসের বিশ্রামের সময় তাঁর তীরধনুক আর কুকুরদের পাহারা দেবে; তিনি কোনো শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হতে চান না, তার বদলে তিনি পাহাড় পর্বতের দেবী হবেন এবং মহিলাদের সন্তান জন্মের কষ্ট কম করবেন। আর্টিমিস নিজের যমজভাই অ্যাপোলোর জন্মের সময় মা কে প্রসবে সাহায্য করেছিলেন, তাই তিনি মনে করেন তিনি বাচ্চা জন্মানোর সময়ের দাইয়ের কাজ ভালো পারবেন। এঁর তীরধনুকও হেপাস্টাসের বানানো।
অ্যাপোলো (Apollo) - ইনি জিউস আর লেটোর সন্তান। জিউস আর লেটোর জমজ সন্তানের একজন ইনি আর অন্যজন হলেন আর্টিমিস। জিউসের বিবাহবহির্ভুত সম্পর্কগুলিকে হেরা খুব একটা পছন্দ করেন না। স্বাভাবিকভাবেই, যিনি পরিবারের দেবী, তাঁরই স্বামীর প্রচুর প্রচুর বিবাহবহির্ভুত সম্পর্ক থাকলে তাঁর পক্ষে একটু লজ্জার ব্যাপার হয়ে যায়, তাই তিনি জিউসের প্রেমিকাদের অপছন্দ করতেন এবং সেই প্রেমজনিত সন্তানদের তো বটেই। নানা উপায়ে তাদের পথে বাধা সৃষ্টি করে থাকেন। অ্যাপোলোও ব্যতিক্রম নন। হেরা তাঁকে খুবই অপছন্দ করেন। কিন্তু দেবতাদের মধ্যে অ্যাপোলো অনেকগুলি বিষয়ের দেবতা। তিনি একাধারে সুর্যের রথ চালান অর্থাৎ সুর্যদেবতা। এছাড়াও সঙ্গীত, কবিতা, ভবিষ্যদ্বাণী, খেলাধুলা, ধনুর্বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা কোনদিক বাকি নেই।
হার্মিস (Hermes) - হার্মিস হলেন দেবতাদের সংবাদবাহক। এঁকে সাংবাদিকও বলতে পারেন, পিয়নও বলতে পারেন। ইনি “দুষ্টুমির”ও দেবতা। এছাড়াও ব্যবসা বানিজ্যের দেবতা, চোরেদের দেবতা, খেলাধুলা এবং খেলোয়াড়দের দেবতা, আর দেশের সীমানা পার করার দেবতা। এঁর একজোড়া ডানাওয়ালা জুতো আছে আর একটি ডানাওয়ালা শিরস্ত্রাণও আছে। ইনি উড়ে উড়ে এখানে সেখানে যাতায়াত করেন। আমাদের নারদের সাথে এঁর কিছু কিছু মিল পাওয়া যায়। ইনি জিউস এবং মাইয়ার সন্তান। মাইয়া হলেন অ্যাটলাস(টাইট্যান, প্রথম পর্বে এঁর কথা আছে, ইনিই আকাশকে ধরে রাখার শাস্তি পেয়েছিলেন) এবং সমুদ্রপরী প্লিয়নির প্রথম সন্তান। মাইয়ারা সাত বোন, এঁরা বৃষ্টির পরী। হার্মিস হওয়ার পর ক্লান্ত মাইয়া ছেলেকে একগাদা কম্বলে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কথিত আছে, হার্মিস হামাগুড়ি দিয়ে পালিয়ে যান, এবং প্রথমেই সৎ ভাই অ্যাপোলোর কিছু গরুছাগল চুরি করে নেন। তারপর এক কচ্ছপের খোল থেকে লাইর (Lyre) নামের এক বাঁশি তৈরি করেন। পরদিন যখন অ্যাপোলো নালিশ করতে আসেন যে হার্মিস গরুছাগল চুরি করেছেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই মাইয়া অস্বীকার করেন, এইটুকু পুঁচকে ছেলে আবার চুরি করতে পারে নাকি? এই নিয়ে একটা ঝামেলা বেঁধে উঠছিলো কিন্তু শেষে অ্যাপোলো তাঁর গরুছাগলের সাথে লাইর নামের বাঁশিটি বদলাবদলি করে নিয়ে এই ঝগড়ার অন্ত করেন।
ডায়নিসাস (Dionysus) - দেবদেবীদের কাহিনীর মধ্যে সবথেকে বৈচিত্রময় কাহিনী এঁরই। ইনিই একমাত্র দেবতা যিনি আদতে একজন ডেমিগড বা অর্ধদেবতা। এঁর মা মানবী। মায়ের নাম সিমিলি(Semele) , তিনি থিবসের রাজকন্যা ছিলেন। বাবা হলেন জিউস। সিমিলি যখন গর্ভবতী ছিলেন, তখন হেরা এই খবর জেনে গিয়ে খুবই রেগে যান। তিনি এক বৃদ্ধার ছদ্মবেশে সিমিলির সাথে বন্ধুত্ব করেন। সিমিলি তাঁকে বন্ধু ভেবে নিজের গোপন রহস্যটি খুলে বলেন। বলেন যে, তাঁর গর্ভস্থ শিশুর পিতা হলেন জিউস। বৃদ্ধার ছদ্মবেশে হেরা সিমিলির মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেন, সত্যি সত্যি এই জিউস সেই দেবতাদের রাজা জিউস তো? ফলে পরের দিন সিমিলি জিউসকে সাংঘাতিক পিড়াপিড়ি করতে থাকেন, জিউসকে আসল রূপ দেখানোর জন্য। জিউস এমন না করার জন্য অনেকবার অনুরোধ করেন, কারণ কোনো মরনশীল মানুষ দেবতাদের আসল রূপ দেখতে পেলে তৎক্ষণাৎ তেজে ভষ্ম হয়ে যান। কিন্তু সিমিলি নাছোড়, তাই বাধ্য হয়ে জিউসকে আসল রূপ দেখাতে হয়। স্বাভাবিক ভাবেই সিমিলি মারা যান, কিন্তু ডায়নিসাসের ভ্রূণকে জিউস বাঁচিয়ে নেন, তাঁকে নিজের ঊরুর ভেতরে রেখে সেলাই করে দেন। কিছুদিন পরে ইকারিয়া দ্বীপের প্র্যামনোস পর্বতে জিউস ঊরু কেটে পুর্ণ শিশু ডায়নিসাসের জন্ম দেন। এই কারণেই ডায়নিসাসকে দুইবার জন্মগ্রহণকারী বলা হয়। আবার অনেক সময় তাঁকে দুই মাতার সন্তান (সিমিলি এবং জিউস) বলেও অভিহিত করা হয়।
জন্মের পর হার্মিস তাঁকে নিয়ে আথামাস এবং ইনোর কাছে দিয়ে আসেন। ইনো হলেন সিমিলির দিদি বা বোন। আথামাস হলেন গ্রীক রাজ্যেরই অন্তর্গত বোয়েশিয়ার রাজা। হেরার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ডায়নিসাসকে কন্যারূপে পালন করার আদেশ দেওয়া হয়েছিলো। যখন ডায়নিসাস বড় হয়ে ওঠেন, তখন তিনি প্রথমবার আঙুর থেকে মদ্য প্রস্তুত করেন। জিউস তাঁকে আঙুর, মদ্য নির্মাণ এবং মদ্যের দেবতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও, পূজা অনুষ্ঠানের নাচগান, পার্টি এবং থিয়েটারের দেবতাও ইনি। এঁকে অলিম্পাসের বারোজন প্রধান দেবতার সম্মান দেওয়ার জন্য হেস্টিয়া স্বেচ্ছায় নিজের পদ ছেড়ে দেন।
অলিম্পাসের প্রধান বারোজন দেবদেবী এবং তাঁদের চিহ্নগুলির একটি তালিকা নীচে দেওয়া হলো;
জিউস - এঁর প্রধান প্রতীক হলো বজ্র, এছাড়াও ঈগল, ষাঁড় এবং ওকগাছ ।
হেরা - এঁর প্রতীক বেদানা, ময়ুরপুচ্ছ, গরু, লিলিফুল, পদ্মফুল, কোকিল, প্যান্থার, সিংহ, এছাড়াও মুকুট, সিংহাসন এবং রাজদন্ডও
পোসেইডন - এঁর প্রতীক ত্রিশূল, মাছ, ডলফিন, ঘোড়া এবং ষাঁড় ।
ডিমেটর - এঁর প্রতীক কর্নোকোপিয়া (Cornucopia) (একটি শিঙ্গার মধ্যে ফল ভরা, পরবর্তীকালে থ্যাঙ্কসগিভিং উৎসবের প্রতীক), ব্রেড, মশাল এবং গম ।
এফ্রোদিতি - এঁর প্রতীক ডলফিন, গোলাপ, মার্টল ফুল, কাঁটাদেওয়া ঝিনুক, কোমরবন্ধ, আয়না, মুক্তা, রাজহাঁস, চড়ুই এবং প্রেমের পায়রা।
হেপাস্টাস - এঁর প্রতীক আগ্নেয়গিরি, হাতুড়ি, এনভিল অর্থাৎ একটি ধাতুখন্ড যার উপরে রেখে ধাতব জিনিস তৈরি হয়, এবং সাঁড়াশি।
এথেনা - এঁর প্রতীক প্যাঁচা, অলিভ গাছ, তাঁর বিখ্যাত ঢাল অ্যাজিস, শিরস্ত্রাণ, বর্শা, সাপ ইত্যাদি।
এরিস - এঁর প্রতীক তরবারি, ঢাল, বর্শা, শিরস্ত্রাণ, রথ, জ্বলন্ত মশাল, কুকুর, বন্য শূকর এবং শকুন।
অ্যাপোলো- এঁর প্রতীক লাইর বাঁশি, লরেল পাতার মুকুট, পাইথন, দাঁড়কাক, তীরধনুক এবং রাজহাঁস।
আর্টিমিস - চাঁদ, শিকারী কুকুর, হরিণ, তীর এবং ধনুক।
হার্মিস - এঁর প্রতীক ডানাওয়ালা জুতো, কাডুসিয়াস (Caduceus) নামের বিশেষ লাঠি যেখানে দুটি সাপ জড়িয়ে আছে (বর্তমান কালের ডাক্তারীর প্রতীক), ডানাওয়ালা শিরস্ত্রাণ, কচ্ছপ আর মোরগ।
ডায়নিসাস - এঁর প্রতীক থাইরসাস(Thyrsus) নামক আঙুরলতা জড়ানো একটি বিশেষ প্রকার লাঠি, আঙুরলতা, বাঘছাল, বাঘ, চিতা।
প্রতীকের ব্যাপারে প্রায়ই একাধিকজনের একই প্রতীক দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে যে স্থানে প্রতীকটি ব্যবহার হয়েছে সেই স্থানের অন্যান্য প্রতীকের উপর কোন দেবতার আধিক্য সেখানে তা বোঝা যায়।
অলিম্পাসের প্রধান বারোজন দেবদেবীর পরিচয়জ্ঞাপন এখানেই শেষ। এঁরা ছাড়াও বহু দেবদেবীর পূজা করতেন গ্রীসবাসীরা, এইসব দেবদেবীর মধ্যে কিছু অলিম্পাসেরই বাসিন্দা, কেউ কেউ আবার অন্য কোথাও বাস করেন। আর টাইট্যানপুর্ব যুগের কিছু আদি দেবদেবীর কথাও উল্লেখযোগ্য। পরের কিছু পর্বে এঁদের নিয়েই আলোচনা করা হবে।
(ক্রমশ)
0 comments: