ধারাবাহিকঃ স্বপন দেব
Posted in ধারাবাহিক
ধারাবাহিক
আমার বারুদ-বেলা—৮
স্বপন দেব
সি পি এম এর আভ্যন্তরীন দ্বন্দ আর প্রশাসনিক নাজেহাল অবস্থায় মন্ত্রিসভা সরকার টিঁকিয়ে রাখার স্বার্থে নকশালবাড়িতে পুলিশ অপারেশনের সম্মতি দিলেন ৫ জুলাই, ১৯৬৭ তে। পাঠক রা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে আমি এই ১৯৬৭ সালের প্রতিটি ঘটনা সাল-তারিখ সমেত উল্লেখ করছি। কারণ নকশালবাড়ি আন্দোলনের সূচনায় এই ১৯৬৭ সালটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। জেলা পুলিশ কর্তাদের তৈরী ছক অনুযায়ী এই পুলিশি অভিযানের সাংকেতিক নাম দেওয়া হলো—‘অপারেশন ক্রসবো’ ( Operation Crossbow )। এই পুলিশি অভিযানের ছকটি ছিলো এইরকমঃ-
১) আন্দোলনকারীদের পালানোর সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিশেষত নেপাল, পূর্বপাকিস্থান ( অধুনা বাংলাদেশ ) ও বিহার যাওয়ার রাস্তা।
২) প্রচুর পরিমানে পুলিশ দিয়ে অধ্যুষিত এলাকা ঘিরে ফেলা হবে এবং আন্দোলনকারীদের চাপ দেওয়া হবে আত্মসমর্পণের জন্যে।
৩) একটি বা দুটি বিশেষ পকেটে দৃষ্টান্তমূলক অত্যাচার চালিয়ে যেতে হবে যাতে অন্য জায়গার আন্দোলনকারীরা তার থেকে ভয় পায়।
এইসময় থেকেই নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্রচণ্ড পুলিশী দমনপীড়ন চলতে লাগল। শহিদ হলেন ত্রিবেণী কানু। ১০ অগাস্ট গ্রেফতার হলেন জঙ্গল সাঁওতাল। আগস্টের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই বাবুলাল বিশ্বকর্মা, মুজিবর সহ প্রায় এক হাজার জন কৃষক ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ কে পুলিশ গ্রেফতার করল।
গ্রেফতার এড়িয়ে কানু সান্যাল তাঁর অন্য তিনজন সহযোদ্ধা দীপক বিশ্বাস, খুদন মল্লিক আর খোকন মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে ২ সেপ্টেম্বর পিকিংএর উদ্দেশে রওনা হলেন। শিলিগুড়ি থেকে রওনা হয়ে ৫/৬ দিন পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে দলটি নেপাল পৌঁছায়। নেপালের চিনা দূতাবাসের সাহায্যে তাঁরা প্রথমে চিনা ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন এবং তারপরে চিনা বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে তাঁদের পিকিং এ নিয়ে যাওয়া হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর,১৯৬৭ তাঁরা পিকিং পৌঁছান। নকশালবাড়ি আন্দোলনের ঢেউ তখন গোটা ভারত জুড়ে। সি পি এম এর আভ্যন্তরীন সংকট তখন চরমে। তাই অক্টোবর মাসেই সি পি এম নেতৃত্ব সারা ভারত জুড়ে তাদের পার্টি লাইনের বিরুদ্ধবাদীদের বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিল। অন্ধ্রপ্রদেশে পোল্লা রেড্ডি, নাগি রেড্ডি, কোল্লা ভেঙ্কাইয়া, ভেস্পা টাপ্পু, আদি বাটলা পনাদ্রি চৌধুরী প্রমুখ। বিহারের জামসেদপুরের নেতা সত্যনারায়ণ সিং সহ ৫ জন, উত্তরপ্রদেশে সম্পাদক শিবকুমার মিশ্র সহ ৯ জন। ওড়িশার ভূষণমোহন পট্টনায়ক সহ বেশ কিছু সদস্য এবং অসম, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কেরল প্রভৃতি প্রদেশ থেকে সদস্যদের বহিস্কার করা হতে থাকল।
১১ই নভেম্বর, ১৯৬৭ ‘নকশালবাড়ি ও কৃষক সংগ্রাম সহায়ক কমিটি’র আহ্বানে মনুমেন্ট ময়দানে এক সুবিশাল জনসভায় চারু মজুমদার সহ অনেকেই ‘নকশালবাড়ি’ সংগ্রামের উপর বক্তব্য রাখলেন।
১৩ই নভেম্বর, ১৯৬৭ বিভিন্ন প্রদেশের বহিস্কৃত সদস্যদের একত্রিত করে কলকাতায় একটি কনভেনশন ডাকল ‘নকশালবাড়ি ও কৃষক সংগ্রাম সহায়ক কমিটি’ , আর সেখান থেকেই গঠিত হলো সি পি এম এর মধ্যকার নিখিল ভারত কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের কো-অর্ডিনেশন কমিটি বা A.I.C.C.R. of C.P.I (M)।
এর কয়েকদিন পরেই পশ্চিমবঙ্গের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে সংযোজিত হলো আরেকটি সুদূর-প্রসারী ঘটনা। রাজনৈতিক টালমাটাল, চরম খাদ্যাভাব আর নকশালবাড়ি আন্দোলনে পর্যুদস্ত অজয় মুখার্জির নেতৃত্বে গঠিত প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকার থেকে ১৪ জন এম এল এ সহ প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ বেরিয়ে গিয়ে একটি আলাদা দল গঠন করলেন এবং রাজ্যপালের কাছে মন্ত্রিসভা গঠনের আর্জি জানালেন। কংগ্রেস দল বাইরে থেকে প্রফুল্ল চন্দ্রের নতুন দলকে সমর্থন জানানোর প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি দিলো। রাজ্যপাল প্রথমে অজয় মুখার্জি কে ১৪ দিন সময় দিলেন বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের। অজয় মুখার্জি সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে না পারায়প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ মন্ত্রিসভা গঠন করলেন কংগ্রেস দলের সমর্থনে। কিন্তু এই মন্ত্রিসভাও স্থায়ী না হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হলো ২০শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮।
প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতন এবং পরবর্তীতে প্রফুল্ল ঘোষের মন্ত্রিসভার পতন পশ্চিমবাংলায় একটা সাংসদীয় সঙ্কটের সূচনা করল। যুক্তফ্রন্ট সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ময়দানে নেমে পড়েছিলো কংগ্রেস। কি সি পি এম কি নকশালবাড়ি সমর্থক এবং অন্যান্য বামপন্থী নেতা কর্মীদের গ্রেফতার এবং কারারুদ্ধ করার প্রয়াস শুরু হলো। অনেকেই আত্মগোপন করে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেলেন। তা সত্ত্বেও প্রতিদিনই বাড়তে লাগলো গ্রেফাতারি ও পুলিশি অভিযান আর অত্যাচারের সংখ্যা। ১৯৬৮ এর জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারীর গোড়ায়, একদিন বিকেলে প্রেসিডেন্সি কনসলিডেশনের পক্ষ থেকে একটি গোপন মীটিং ডাকা হলো। আত্মগোপন করার পরে কমরেডদের মধ্যে কিভাবে যোগসূত্র বজায় রাখা যায়, সেটাই ছিলো আলোচনার বিষয়বস্তু। দিনটা ছিলো সরস্বতী পুজোর দিন। দুপুরে আমি ছিলাম বিদ্যাসাগর হোস্টেলের একটি ঘরে। সেখানে খবর এলো প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে একজন আমার সঙ্গে দেখা করতে চান কমরেড কাকার একটি নির্দেশ নিয়ে। আমি ওপর থেকে ছেলেটিকে দেখলাম। পরিচিত। প্রেসিডেন্সি কলেজের আমাদের থেকে জুনিয়র এবং কাকার পার্শ্বচর। নির্দ্বিধায় নেমে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করলে সে আমার হাতে তুলে দিলো একটি চিরকুট। “আজ বিকেল পাঁচটায় মেনকা সিনেমা হলের সামনে।”কারো সই নেই। অবিশ্যি এটাই ছিলো তখনকার রেওয়াজ; তাই আমার মনেও কোন সন্দেহ জাগেনি। বেশ মনে আছে, মেনকায় তখন ‘রাম আউর শ্যাম’ বইটা চলছিলো। আমি পাঁচটা বাজার মিনিট দশেক আগেই পৌঁছে গেছি। তখন ভেতরে ম্যাটিনি শো চলছে আর বাইরে ইভনীং শো এর টিকেট কাটার লাইন। আমি বেশ কয়েকবার পায়চারি করার পরে রাস্তায় বসে থাকা এক চিনাবাদামওয়ালার কাছে ২৫ পয়সার বাদাম চাইলাম। বাদামওয়ালাটি ঠোঙায় বাদাম ভরে আমার দিকে এগিয়ে দিলেন আর যেই আমি সেটা নিতে গেছি সে খপ করে আমার হাতটা ধরে বলল, “বেশ ফেস্টিভ মুডে আছেন দেখছি!চলুন এবার।” সঙ্গে সঙ্গে টিকেট কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কিছু লোক আমায় ঘিরে ধরে সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা একটা সাদা অ্যাম্বাসাডরে তুলে নিয়ে রওনা দিলো। প্রথমে লর্ড সিনহা রোডের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের হেড কোয়ার্টারে ঘন্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদের পরে ওরা পাঠিয়ে দিলো লালবাজারে। লালবাজারে এসে দেখি প্রেসিডেন্সি, সুরেন্দ্রনাথ, স্কটিশ, বঙ্গবাসী, মৌলানা আজাদ এবং আরো বেশকয়েকটি কলেজের তৎকালীন ছাত্রনেতারা সবাই গ্রেতার হয়েছেন ওই এক ই স্থান থেকে এবং এক ই কায়দায়। শুধু মীটিংটার যিনি আহ্বায়ক ছিলেন, সেই কাকা কিন্তু নেই এই দলে! পরে অবশ্য কাকা বলেছিলো যে এটা একটা পুলিশের পাতা ফাঁদ এবং আমরা নাকি বোকার মত পা দিয়েছি সেই ফাঁদে। কিন্তুআমার কাছে যে বার্তাবাহকটি এসেছিলেন, তাঁকে কিন্তু আমি এর পরেও কাকার পার্শ্বচর হিসেবে দেখেছি! সে যাই হোক, বাদবাকি যারা ধরা পড়েছেন তারা আমার সমবয়সী হলেও এটাই তাদের প্রথমবার পুলিশ হেফাজতে থাকা। একমাত্র আমারই পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো ১৯৬৫ সালে ট্রাম আন্দোলনের সময় ধরা পড়ে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে কাটানোর। জীবনে প্রথমবার গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করে আর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে নার্ভ ঠিক রাখতে পেরেছেন এমন মানুষ আমি দেখিনি। ওরা সত্যিই খুব নার্ভাস হয়ে পড়েছিলো। আমি অভয় দিলাম যে, আজ রাতে তোদের ওপর কোনও অত্যাচার হবেনা। কারণ, আইন অনুযায়ী গ্রেফতারীর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে কোর্টে তুলতে হবে। আর কোর্টে গিয়ে কেউ যদি পুলিশি অত্যাচারের চিহ্ন তার শরীরে দেখায় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট হয় জামিন নাহয় জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তাই প্রথম দিন পুলিশ মারেনা। কিন্তু মারের নমুনা দেখায়! সেটা কি রকম? তোমার সামনেই একজন কে পেটাবে, যাকে বলা হয় থার্ড ডিগ্রি, সেটা তোমায় দেখাবে কোন চোর-বদমাস-গুণ্ডা কে পিটিয়ে। পরের দিন আমাদের কোর্টে তোলা হলো এবং পুলিশের আবেদন মেনে বিচারক আমাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিলেন। আর তারপরের দিন থেকে শুরু হলো পুলিশি অত্যাচার, থার্ড ডিগ্রি!
কতরকম তার নমুনা! তোমাকে চেয়ারে আষ্টেপিষ্টে বেঁধে তোমার চোখের সামনে একটা হাজার ওয়াটের বাল্ব জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, যার আলোটা ঠিক তোমার চোখে এসে পড়বে সর্বক্ষণ। এই অবস্থায় চলবে সারা রাত ধরে দফায় দফায় জেরা। জেরাকারীরা পালটে যাবেন, কিন্তু তোমার অব্যহতি নেই! কখনো বা শারীরিক অত্যাচার বা মার। তারও আবার কত ধরণ! তোমাকে চেয়ারে বসিয়ে বেঁধে চেয়ারটা উলটে দেওয়া হবে। তোমার পা ওপরে আর মাথা নিচে। লাঠি দিয়ে মারা শুরু হবে তোমার পায়ের তলায়। তাতে পায়ের তলায় এমন বিশেষ কিছু লাগেনা, কিন্তু প্রতিটি আঘাতে মাথার ভেতরটা দপ দপ করে। আর এই মারের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। স্নায়ুতন্ত্র কে অকেজো করে দেয় ধোলাই এর এই পদ্ধতি। তবে এই থার্ড ডিগ্রিরও কিন্তু একটা সীমাবদ্ধতা আছে। সেটা ওরাও জানে। তোমাকে প্রথম দুদিন থার্ড ডিগ্রি দেওয়ার পরে তোমার মুখ ওরা খোলাবেই। পুলিশের থার্ড ডিগ্রি খেয়ে মুখ খোলেনি, এইরকম লোক আমি আমার জীবনে দেখিনি। মুখ সবাইকেই খুলতে হয়। কিন্তু কে কতটা খুলবে আর তার এই মুখ খোলার পরিণতি কি হতে পারে সেটা বোঝে একমাত্র পোড় খাওয়া বিপ্লবী আর দাগী অপরাধীরা। ৬৫ সালে ধরা পড়ার পরে আমাকে কি ভাবে পেট্রল বোমা বানাতাম জিজ্ঞাসা করে থার্ড ডিগ্রি প্রয়োগ করায় আমি সব বলে দিয়েছিলাম! কিন্তু যেই দুদিন পরে আমাকে এক কমরেডের কথা জিজ্ঞেস করল, আমি অম্লানবদনে মিথ্যা বলেছিলাম! এটাই থার্ড ডিগ্রির সীমাবদ্ধতা। প্রথম দুদিন থার্ড ডিগ্রি খাওয়ার পরে দেহে এবং মনে এর বিরুদ্ধে একটা সহজাত প্রতিরোধ তৈরী হয়। তখন হাজার মারলেও আর মারের অনুভূতিটা মস্তিস্কে পৌঁছয়না। মনের মধ্যেও, আর কিছুই বলবনা গোছের একটা প্রতিরোধ তৈরী হয়ে যায়। তাই ওরা একটানা কাউকে থার্ড ডিগ্রি প্রয়োগ করেনা। দু তিন দিন পরে তোমার সঙ্গে বন্ধুর মত কথা বলবে, তোমার সিগারেট অফার করবে, আর গল্প করতে করতে জানার চেষ্টা করবে তুমি আর কি কি জানো। এইভাবে তিন চার দিন কাটার পরে আবার শুরু হবে থার্ড ডিগ্রি। সে যাই হোক, ওরা এবারেও আমার ওপর চরমতম থার্ড ডিগ্রি প্রয়োগ করেছিলো; কিন্তু সেটা আমাদের কোন গোপন খবর জানার জন্যে নয়। ব্রজ রায় কে আমি চিনি কিনা, কতদিন ধরে তার সঙ্গে পরিচয় এবং তিনি এখন কোথায় আছেন? এই তিনটে প্রশ্নের জবাব ওরা যে কেন আমার কাছে চাইছিলো সেটা তখন তো নয়ই এখনো আমার মাথায় ঢোকেনি। অবিশ্যি পরে জেনেছিলাম যে ব্রজ রায় পার্ক স্ট্রীট ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এবং এখন গণদর্পন নামে মরণোত্তর দেহদান এর জন্যে একটি এন জি ও এর কর্ণধার।
দেখতে দেখতে ১৪ দিন পেরিয়ে গেল এবং আমাকে আবার কোর্টে নিয়ে যাওয়া হলো। আমার আশ্চর্য লেগেছিলো যে এবারে কিন্তু ওরা আর আমার হেফাজত চায়নি এবং বিচারক ও আমার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে দিলেন। ১৫ দিন পরে আমি কোর্ট থেকে বেরিয়ে একটা মুক্তির নিশ্বাস নিতেই দেখলাম আবার কয়েকজন মিলে আমাকে জাপটে ধরে একটা গাড়িতে তুলে আবার এক অন্য ঠিকানার দিকে রওনা দিলেন। এই ঠিকানায় আমাকে এর আগেও আনা হয়েছিলো। এটি লর্ড সিনহা রোডের স্পেশ্যাল ব্র্যাঞ্চের হেড কোয়ার্টার। এখানে আমাকে সন্ধ্যে ৬ টা অবধি বসিয়ে রেখে জানানো হলো যে আমাকে ভারত রক্ষা আইনে গ্রেফতার করা হলো। এবারে আবার আমায় গাড়িতে তুলে নিয়ে এলেন দমদম সেন্ট্রাল জেল এ। (চলবে)
0 comments: