রম্যরচনাঃ তন্ময় বসু
Posted in রম্যরচনারম্যরচনা
ফ্রেঞ্চ রেসিপি
তন্ময় বসু
"ভণ্ডুল, অ্যাই ভণ্ডুল, শোন না। দাঁড়া না বাবা, কি যে করিস না! উফ্! হাঁপিয়ে গেলাম।" ততক্ষণে দুজনে কাছে এসে গেছে, টিংকী আর রাশি। পরাগ একটু গম্ভীর স্বরেই বলে "এত লতিয়ে পড়ার কি হলো?"
"ও-হো, ভণ্ডুল বলেছি বলে, ঠিক আছে মণ্ডলবাবু, চলুন ক্যান্টীনে যাবেন?" কপট হাসি চেপে রাশি বলে। সবে সেকেন্ড পিরিয়ড শেষ হলো। নীচের তলায় ক্যান্টীনেই যাচ্ছিলো পরাগ। সিঙারাগুলো খুব ভালো বানায়। দামও কম, ভাল তেলে তৈরী। বেশীর ভাগ দিন ব্রেকফাস্ট করার সময় থাকে না। ডট নটায় ক্লাসে ঢুকতেই হবে, নাহলে সেদিন গেলো।
সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতেই উদ্বায়ী বাষ্পে ওদের সম্পর্ক সহজ হয়ে গেল।
তিনজনে সিঙাড়া চা নিয়ে বসতেই টিংকীর আবদার শুরু হল, "ভণ্ডুল, সরি সরি, বলে ফেলেছি, শোন না, ফ্রেঞ্চ রেসিপিটা একবার বল না, প্লীজ।"
"তাড়াতাড়ি চলো, অংশুমান আছে এবার, হি হি করে দাঁত ক্যালাচ্ছো, দাঁত ঢুকিয়ে দেবে। বাপকে জানো তো কখন আসে কোনও ঠিক নেই।"
রাশি বলে "বল না বাবা, তোর না সবেতেই ভাউ চাই।"
"ঠিক আছে চল, যেতে যেতে বলছি"
এতবার বলেছে শালা, তাও সবার দাবী মেটাতে গিয়ে পরাগ নিজেই জানে না কবে থেকে মনে মনে বিরক্ত হচ্ছে। তবু বলতে হয় -
"টেক আ গ্লাস অফ ভ্যাঁ (vin)
অ্যান্ড আ লোফ অফ প্যাঁ (pain),
অ্যান্ড টু ওউফস্ (oeuf)।
নাউ পুট দ্য প্যাঁ ইনটু ভ্যাঁ
দেন বীট দ্য ওউফস্ --"
বলতে বলতে দোতলায় উঠে দ্যাখে অংশুমান স্যর যাচ্ছেন, তিনজনে পড়িমড়ি করে কোনরকমে ক্লাসে ঢুকলো।
0 comments: