গল্প - অরুণ কর
Posted in গল্প
পরিচালক মশাই রেগে বললেন, কী হল, হাসুন, হাসছেন না কেন?
আমি তাড়া খেয়ে দম দেওয়া পুতুলের মতো হো হো করে হাসার চেষ্টা করলাম, কিন্তু নিজের কানেই সেটা যেন কেমন বেসুরো লাগল।
পরিচালকমশাইও ধমকে উঠলেন, থামুন মশাই! এটা কি নবাব সিরাজদ্দৌলা যাত্রাপালা, যে পলাশীর যুদ্ধজয়ের পর লর্ড ক্লাইভের হাসি হাসছেন?
একবার ভাবলাম, ওকে শুধরে দিয়ে বলি, পলাশীর যুদ্ধের সময়ে ক্লাইভ লর্ড ছিলেন না, লর্ড হয়েছিলেন অনেক পরে। কিন্তু পাছে রোলটা হাতছাড়া হয়ে যায়, সেই ভয়ে চুপ করে গেলাম। আসলে এই টেলি সিরিয়ালে আমার কোনও সংলাপ নেই। খুবই অকিঞ্চিৎকর পার্শ্ব চরিত্র, সেও বিস্তর কাঠখড় পুড়িয়ে যোগাড় করা। আপাতত আমাকে একবার শুধু হাসতে হবে এবং একবার কাঁদতে হবে। পরিচালক যে অত্যন্ত কড়া প্রকৃতির, তা আগেই জেনেছি।
এখন হাসির মকসো চলছে। আমি নানা হাসির ঘটনা মনে করার চেষ্টা শুরু করলাম।
ছোটবেলায় দেখা রামযাত্রায় সীতাকে হরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাবণকে অনেকটা এরকম করে হাসতে দেখেছিলাম। লোকটার বোধ হয় কাশির ব্যামো ছিল, প্রথম দু’একটা ‘হা-হা’ চিক্কুর ছাড়ার পর সেই যে তার কাশি শুরু হল, সে আর থামতেই চায় না। সীতার হাত ছেড়ে সে বুকে হাত দিয়ে খকর খকর করে কাশতে কাশতে কুঁজো হয়ে গেল। আস্তে আস্তে তার ঠোঁটজোড়া নীল হয়ে এলো, চোখ দু’টো ঠিকরে বেরিয়ে আসার উপক্রম হল, তবু কাশি থামার লক্ষণ নেই। বেগতিক দেখে সীতা দৌড়ে গিয়ে গ্রিনরুম থেকে তার জন্যে এক গেলাস জল নিয়ে এল। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হল। কাশির দমকে মুখের জল ফোয়ারার মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল। রোগা চিমসে রাবণের পোষাকের ভেতরে বুকে-পিঠে বালিশ বাঁধা ছিল। কাশির দমকে বুক থেকে সেই বালিশ খসে পড়ল, অথচ সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই, সে তখনও কাশির ফাঁকে ফাঁকে প্রাণপণে হাসবার চেষ্টা করছিল।
অসহায়া সীতা কিছুক্ষণ জড়ভরতের মতো মঞ্চে দাঁড়িয়ে রইল। তারপর যখন দেখল, আসরে ছেঁড়া চটি, পচা টমেটো সহ নানা আবর্জনা উড়ে আসতে শুরু করেছে, তখন কেশো রাবণের হাত ধরে হিড় হিড় করে টানতে টানতে গ্রিনরুমে নিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেছিল।
ঘটনাটা আদ্যোপান্ত মনে পড়ল বটে, কিন্তু কিছুতেই আমার হাসি পেল না। আমার মনশ্চক্ষে কেবলই রাবণের চোখের কোণে সেদিনের জমা হওয়া চিকচিকে জল আর সীতার লজ্জা-বিধ্বস্ত অসহায়তাটা ভাসতে লাগল।
আমাকে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকতে দেখে পরিচালকমশাই আরও চটে গেলেন। বললেন, আপনি কি হাসতেও জানেন না? মনে করুন, আপনি একটা লটারি জিতেছেন। সত্যি সত্যি জিতেছেন কখনও? জেতেননি? বেশ। তাহলে ধরুন, আপনি সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় অভিনয়ের জন্যে ডাক পেয়েছেন, কিংবা রাস্তায় হঠাৎ আপনার সামনে কনভয় থামিয়ে একজন মন্ত্রী গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে এসে আপনাকে বলছেন, রোদের মধ্যে হাঁটছেন কেন? গাড়িতে উঠে আসুন, আমিই আপনাকে পৌঁছে দিচ্ছি। এটা শোনার পর আপনার মুখে যে বিস্ময়মিশ্রিত সকৃতজ্ঞ স্মিত হাসি ফুটে ওঠার কথা, তেমনি মিষ্টি করে হাসতে হবে। আমি কি বোঝাতে পারলাম?
আমি নব্বুই ডিগ্রি কোণে বার কয়েক ঘাড় নেড়ে একের পর এক দৃশ্যগুলো কল্পনা করতে লাগলাম। সত্যজিৎ রায় মহাশয় অনেকদিন আগেই ইহলোক ত্যাগ করেছেন। এখন তিনি যে লোকে অবস্থান করছেন, সেখান থেকে যদি অভিনয়ের ডাক আসে, তাহলে আমার পক্ষে সেটা কতটা সুখের হবে, ভেবে একটু চুপসে গেলাম।
অতঃপর মন্ত্রীর কনভয়ের চেহারাটা কল্পনা করার চেষ্টা শুরু হল। কিন্তু বিষয়টা ভাবতে গিয়ে আমি রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম। দেখেছি, তেনাদের কনভয় আসবার অনেক আগে থেকেই রাস্তায় গাড়িঘোড়া বন্ধ হয়ে যায়। এক আধজন উজবুক ধরণের লোক ভুল করে পথে নেমে পড়লে পুলিশ তাদের যেভাবে টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে রাস্তা সাফ করে, তাতে যেকোনও লোকেরই আক্কেল গুড়ুম হওয়ার কথা। তেনাদের একজন হঠাৎ কনভয় থামিয়ে আমার মতো যোদোমোদোকে বাড়ি পৌঁছে দিতে চাইছেন! নাঃ, এমন আকাশ কুসুম কল্পনা আমার দ্বারা সম্ভব না।
অবশ্য একবার এর কাছাকাছি একটা দৃশ্য দেখবার সুযোগ হয়েছিল আমার। একবার বিটি রোড ধরে বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। আমি সাধারণত একটু বেলার দিকে, মানে অফিসবাবু, কাপ্তানবাবু, ড্যাঞ্চিবাবাবু কিংবা নতুন জামাইবাবুদের বাজার হয়ে যাওয়ার পর বাজারে যেতে অভ্যস্ত। কারণ, ততক্ষণে বিক্রি না হওয়া পুঁইশাকের ডগাটা নেতিয়ে আসে, চোপসানো বেগুন আমসির মতো দেখায়, মাছের ডালায় মাছি ভন ভন করে, দোকানিরা সেসব মাল কিছু সস্তায় ছেড়ে দেয়।
যাইহোক, কিছুটা যাওয়ার পর দেখি রাস্তায় শুধু পুলিশ, আর পুলিশ। আমি ভয়ে ভয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছি, হঠাৎ একজন খাকি উর্দি লাঠি হাতে ‘শালে বুরবক কাহেকা! হঠ যাও হঠ যাও’ বলতে বলতে আমার দিকে তেড়ে এলো। পেছন ফিরে বিতাড়ককে একবার দেখবার চেষ্টা করলাম! বলা তো যায় না, আমাকে শ্যালক সম্বোধন করছেন যখন, তিনি আমার কোন ভগিনীর পাণিপীড়ক হতেই পারেন!
কিন্তু ঝাঁটা গোঁফ, ছাটা চুল এবং হাতে রুল দেখে আর কালক্ষেপ করার সাহস হল না। দিলাম চোঁচা দৌড়। নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, ওই পথ দিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যাবেন।
দাঁড়িয়ে পড়লাম সেই শুভ আগমন দেখবার জন্যে। কিছুক্ষণ বাদে শুরু হল গাড়ির পর গাড়ির কনভয়। চারিদিকে ধুলোর ঠেলায় ভালো করে কিছু ঠাহর করা মুশকিল। এমন সময় পাশের গলির মধ্যে থেকে কিছু ছেলেছোকরা বেরিয়ে এসে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে চেল্লাতে লাগল। অমনি ঘ্যাঁচ করে একখানা গাড়ি গেলে থেমে। ভেতর থেকে অগ্নিমূর্তি ধরে তিনি বেরিয়ে এসে চিৎকার করতে শুরু করলেন, এত বড়ো আস্পদ্দা, আমাকে গালাগাল দেওয়া! ধর ব্যাটাদের!
অমনি রে রে করে তেড়ে এলো পুলিশ। ভূত-পেত্নির ভয় পেয়ে ছোটবেলায় বহুবার রামনাম আউড়েছি, কিন্তু সেটা যে কবে গালাগালি হয়ে গেছে, জানতাম না।
অবাক হয়ে বাপের নাম জপ করছিলাম, এমন সময় একজন উর্দিধারী তেড়ে এসে আমার পিঠে সজোরে বসিয়ে দিল এক ঘা। প্রথমটায় একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু পরক্ষণেই মনে হল, য পলায়তি, স জীবতি। ব্যাস, ফের লাগালাম ছুট! সে যাত্রায় যে দৌড়টা দৌড়েছিলাম, অলিম্পিকে নামলে বোধ হয় সোনা পেতাম। ঘটনাটা ভাবলে আজও আমার পিঠটা ব্যথায় টন টন করে ওঠে।
পরিচালকমশাই হয়ত আমাকে হাসাবার জন্যে আরও কিছু উদাহরণ দিতেন, কিন্তু ঠিক সেই সময়ে এই নাটকের লাস্যময়ী নায়িকা মিস রুমেলা প্রবেশ করতে উনি তাঁকে নিয়ে পড়লেন।
মিস শেফালির পরে মঞ্চে নাকি তাঁর চাইতে প্রতিভাময়ী দুষ্টুমিষ্টি নায়িকা দ্বিতীয়টি আসেনি। ফলে তাঁকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়াটা পরিচালক মশাইয়ের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
তাঁর পোষাক পরার ধরণটিতে যার পর নাই চমৎকৃত হয়ে আমি অবাক বিস্ময়ে সেই লাস্যময়ীকে দেখছিলাম। দেহের বেশিরভাগ পরিসর হাওয়াবাতাস খেলবার জন্যে যথেষ্ট উন্মুক্ত রেখেও যে এভাবে মোড়কিত হওয়া যায়, তা আগে জানা ছিল না।
বসার সোফাটি যথেষ্ট প্রশস্ত, কিন্তু তিনি পরিচালকের এমন গা-ঘেঁষে বসলেন যে দু’জনের মাঝখানে এক মুঠো সর্ষে ফেলে দিলে সেগুলো নিচে না পড়ে মাঝপথে আটকে থাকবে।
খুবই উপভোগ করছিলাম দৃশ্যটা। হয়ত আমার ঠোঁটের কোণে একটা আবছা হাসির উদ্রেক হতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনি নায়িকা আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে পরিচালককে ন্যাকা ন্যাকা গলায় জিজ্ঞেস করলেন, এই মালটাকে আবার কোত্থেকে জোটালে, জানু?
পরিচালকমশাই এমন রোষকষায়িত দৃষ্টিতে আমার দিকে চাইলেন যে নেহাত ঘোর কলিযুগ বলেই হয়ত ভস্ম হওয়া থেকে রক্ষা পেলাম।
আমি বাইরে বেরিয়ে আমার জীবনের সবচেয়ে বিস্ময়মিশ্রিত হাসির ঘটনা ভাবতে লাগলাম।
হঠাৎ একদিনের কথা মনে পড়ে গেল। আমার স্ত্রী তখন সন্তানসম্ভবা। রুটিন চেক আপের জন্যে তাকে নিয়ে এক পরিচিত ডাক্তারবাবুর কাছে গিয়েছিলাম।
ডাক্তারবাবু আমার বহুদিনের চেনা, এক সময়ে তিনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। তাই ভেবেছিলাম, হয়ত ফিস নেবেন না। কিন্তু তিনি আমার ধারণা ভুল প্রমাণ করে ফিস তো নিলেনই, উপরন্তু, সম্প্রতি ফিস বৃদ্ধি করেছেন জানিয়ে বর্ধিত টাকাটুকুও আদায় করে ছাড়লেন।
চড়চড়ে রোদের মধ্যে পায়ে হেঁটে ফিরছিলাম। হঠাৎ দক্ষিণ কলকাতার একটা খুব নামি ভাতের হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে আমার স্ত্রী বলল, তার খুব খিদে পেয়েছে।
খিদে আমারও পেয়েছিল। আমরা গৃহবিতাড়িত দম্পতি, আয়পত্তরের কোনও নিশ্চয়তা ছিল না, ফলে পকেটের অবস্থাও তথৈবচ। কিন্তু পেটের খিদে পকেটের ধার ধারে না। অগত্যা ঢুকে পড়লাম সেই হোটেলে। তখনও সেভাবে খদ্দেরদের ভিড় শুরু হয়নি। তবু বসলাম কোণের দিকের এক নিরিবিলি টেবিলে।
মাথায় ক্যাপ পরা উর্দিধারী বয় এসে মেনুকার্ডটা একপাশে আলগোছে নামিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখে তাকে বিনীতভাবে বললাম, আপনি যান, মেনু পছন্দ করে আপনাকে ডেকে নেবো।
দু’জনের পকেট এবং ব্যাগ হাতড়ে যা পাওয়া গেল, তার থেকে বাসভাড়াটুকু আলাদা করে রেখে হিসেব করে দেখলাম, অবশিষ্ট পয়সায় বড়োজোর এক প্লেট ভাত, একটু ডাল আর এক টুকরো মাছ হতে পারে। কিন্তু তারপরে বয়কে সামান্য বকশিস দেওয়ার মতো পয়সাও থাকবে না। অগত্যা ডাল বাদ দিয়ে একপ্লেটে ভাত এবং এক টুকরো মাছের অর্ডার দেওয়া গেল।
আমরা দুই বুভুক্ষু একই থালায় সেই মাছ এবং ভাতের শেষ কণাটুকু ভাগাভাগি করে খেয়ে যখন উঠতে যাব, ঠিক তখনি ঘটল সেই আশ্চর্য ঘটনাটা। দুটো থালায় ভাতের সঙ্গে নানারকম পদ সাজিয়ে সেই বয়টি আমাদের সামনে রাখল।
ভাবলাম, নিশ্চয় কোথাও ভুল হচ্ছে। তাই তাকে বললাম, আমরা তো এসব অর্ডার করিনি, তাছাড়া-
হঠাৎ পেছন থেকে একজন বললেন, আপনারা খান, আপনাদের জন্যে দই এবং রসগোল্লাও আনতে পাঠিয়েছি, এখনি এসে পড়বে।
তাকিয়ে দেখি, হাসিমুখে কাউন্টারের সেই বৃদ্ধ ভদ্রলোক। ভাতের থালায় আমরা এত মগ্ন ছিলাম যে তিনি কখন উঠে আমাদের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন, টের পাইনি।
তিনি বয়ঃজ্যেষ্ট আত্মীয়ের মতো আন্তরিক গলায় বললেন, না,না, সঙ্কোচ করবেন না। আমি পুরো খাবারের দাম আমার খাতায় লিখে রাখছি, যখন দিন বদলাবে, আপনারা এসে টাকাটা দিয়ে যাবেন। দই এবং রসগোল্লার দাম অবশ্য দিতে হবে না। ওগুলো আমার তরফ থেকে-
আমি কী বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। খুব কুন্ঠিতভাবে জিজ্ঞেস করলাম, আর দিন যদি না বদলায়? যদি আপনার এইসব মহার্ঘ্য খাবারের দাম কখনও না দিতে পারি?
ভদ্রলোক একইরকম স্মিত হেসে বললেন, সেক্ষেত্রে আমি ধরে নেব, আপনারা একবেলার জন্যে আমার অতিথি। এমন তৃপ্তি করে খাওয়ার দৃশ্য তো রোজ রোজ দেখা যায় না!
সেদিন সেইসব সুখাদ্যের সঙ্গে আমাদের অবিরল চোখের জলের ধারা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। কী কী খেয়েছিলাম, কেমন ছিল সেসব খাবারের স্বাদ, কিছুই আর মনে পড়ে না।
--বাহ! বেশ, বেশ! একদম পারফেক্ট। এরকমটাই আমি চেয়েছিলাম।
পরিচালকমশাই কখন বেরিয়ে এসেছেন, টের পাইনি।
তিনি আবার বললেন, এখন তাহলে আপনার কান্নার দৃশ্যটাই নিচ্ছি। হাসির দৃশ্যটা পরে কখনও নেবো। না, না, নড়বেন না, চোখের জলটাও মুছবেন না। ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশান-
তারপর থেকে আমি খালি হাসির দৃশ্যের কথাই ভেবে যাচ্ছি। অথচ ভাবনা একটু গভীর হলেই আমার দু’চোখ জলে ভরে উঠছে। ভাবছি, কিছু পয়সা যোগাড় করতে পারলে একবার চোখের ডাক্তারের কাছে যাবো।
Very touchy & sensational ending.
ReplyDeleteএককথায় বলতে হলে --- অসাধারণ এবং ভীষণ শক্তিশালী একটি লেখন --- পড়তে পড়তে বারে বারে নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলাম
ReplyDelete