4

ইতিহাসের কথা ইতিহাসের কাহিনি - অভীক মুখোপাধ্যায়

Posted in

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং রাসায়নিক বিভীষিকা


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। আজ্ঞে হ্যাঁ, কেউ মানুন বা না-মানুন এই করোনা আবহ আসলে তৃতীয় মহাযুদ্ধ। যুদ্ধ বাঁধলে এমনিতে নিহত হন সৈন্যরা। কেবলই ক্ষয় হয় সামরিক শক্তি। এবং পাশাপাশি তা দেশ তথা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে থাকে। কিন্তু এই হারে অসামরিক মানুষের মৃত্যু যুদ্ধের ফলাফলেও থাকে না। তাই বিগত দুটো বিশ্বযুদ্ধে যে ক্ষয়ক্ষতি পৃথিবীবাসী দেখেছিলেন, তার বহু বহু গুণ বেশি ক্ষতি দেখতে চলেছি আমরা। 

চিনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসকে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাহেব ‘চাইনিজ ভাইরাস’ বললেন, তখন প্রাথমিকভাবে প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত সাংবাদিক এবং পরে চিনের পক্ষ থেকে ফোঁস করে উঠল আধিকারিকেরা। কেন বলা হবে এটাকে চিনা ভাইরাস? এরই মাঝে শোনা গেল আরেকটা খবর –পেন্টাগন নাকি এই ভাইরাসের উৎস এবং প্রসার নিয়ে নিজেদের ইনভেস্টিগেশন চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু একটা সূত্র পাওয়ার অপেক্ষা। যদি কোনোভাবে প্রমাণিত হয় যে, বি এস লেভেল ফোর প্রাপ্ত উহান ইনস্টিটিউট অব ভিরোলজি থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে, তাহলে আমরা, বিশ্ববাসীরা, চতুর্থ মহাযুদ্ধ দেখতে পাব?

চিন ভাইরাস ছড়িয়েছে কি ছড়ায়নি সেই কথা সময়ই বলবে, তবে এমন ঘটনা কি আগে হয়েছে? উন্নত প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান আজকের মানুষের হাতে বায়ো ওয়ারফেয়ারের সমস্ত পরিকাঠামো সহজলভ্য করে দিয়েছে, কিন্তু অতীতের কোনো বিশ্বযুদ্ধে কি এমন কিছুর সাক্ষী থেকেছে পৃথিবীবাসী? 

এক কথায় উত্তরটা হল –হ্যাঁ, সাক্ষী থেকেছে। একটু অন্যভাবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসায়নিক বিভীষিকার সাক্ষী থেকেছে এই পৃথিবী।

উনিশ শতকের শেষ ভাগ। শিল্প-উদ্যোগ ক্রমশঃ বাড়ছিল। মানুষের হাতে অস্ত্রের নতুন একটা শৃঙ্খলা এসে পড়ল। মানুষ বুঝে গেল যে, একটা বুলেট ফায়ার করে বা গোলা দেগে যত না মানুষ মারা সম্ভব, তার থেকে বিষাক্ত গ্যাসের ব্যবহারে অনেক বেশি মানুষ মারা সম্ভব। বিষাক্ত গ্যাসের প্রয়োগ করতে পারলে বিশাল সৈন্যবাহিনীকেও কয়েক মিনিটেই পদানত করে দেওয়া সম্ভব। 

তবে অশুভ বুদ্ধির মানুষ যেমন ছিলেন, শুভবুদ্ধিসম্পন্নদের অভাবও কিন্তু ছিল না। এই বিষাক্ত গ্যাসের ভয়াবহ ব্যবহারের কথা মাথায় রেখেই প্রথম হেগ সন্ধি হল। ১৮৯৯ সাল। ইউরোপের সমস্ত দেশ মিলে সিদ্ধান্ত নিল যে, ওইদিন থেকে যে কোনো প্রকারের বিষাক্ত শ্বাসরোধকারী গ্যাসের সামরিক প্রয়োগ করা হবে না।

কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী আছে, যে কোনও নিয়ম তৈরিই করা হয় শুধুমাত্র তা ভাঙার জন্য। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটল না।

রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য গ্যাসের মধ্যে ছিল ক্লোরিন, ফসজিন, ডাইফসজিন, মাস্টার্ড এবং জাইলাইল ব্রোমাইড। 

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহারের জন্য মোট কী পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্যের উৎপাদন করা হল, দেখুন?

এক লক্ষ নব্বই হাজার টন! 

এবং এই উৎপাদনের মধ্যে এক লক্ষ টনের জনক ছিল জার্মানি। 

আর উল্লেখিত এই সমস্ত গ্যাসের মধ্যে সবথেকে বেশি উল্লেখযোগ্য ছিল ফসজিন। ফসজিনের উৎপাদন মাত্রার দিকে তাকানো যাক –সাঁইত্রিশ হাজার টন।

রাসায়নিক হামলায় মৃত সৈনিকদের মধ্যে অষ্টআশি হাজার পাঁচশো জনের মৃত্যু এই ফসজিনের জন্য হয়েছিল। গ্যাস হামলায় মৃত সিভিলিয়ানদের আশি শতাংশ ছিলেন ফসজিনের রাসায়নিক বিষক্রিয়ার শিকার। কেমিক্যাল উইপনের ব্যবহারের ফলে সবথেকে বেশি সৈন্য মরেছিল রাশিয়ার। সংখ্যাটা প্রায় ছাপ্পান্ন হাজার। এখানেও সিংহভাগ দায় ফসজিনেরই।

ভেরা ব্রিট্টেইন নামে একজন মহিলা-লেখক নিজের বই ‘আ টেস্টামেন্ট অব ইয়ুথ’ বইতে মাস্টার্ড গ্যাস নিয়ে লিখে গেছেন। সেখানে লেখা হয়েছেঃ ‘মাস্টার্ড গ্যাসে আক্রান্ত মানুষদের দেখলে গা শিউরে উঠবে। কী বীভৎস! দেখলে মনে হবে গোটা গা পুড়ে গেছে, সারা দেহে ফোসকা। অন্ধ!’

এই ভেরা ব্রিট্টেইন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ফ্রান্সের কৈঞ্চ্ নদীর তীরে এটপ্লেস নামক স্থানে নার্সের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 

যুদ্ধের সময়ে মোট চুরানব্বই হাজার টন ক্লোরিন উৎপাদিত হয়েছিল। ক্লোরিন ব্যবহার করে শত্রুনিধনে কিছু সমস্যা ছিল। 

কারণ, ক্লোরিন গ্যাসকে কন্টেইনারে ভরে সেই কন্টেইনার থেকে শত্রু-সেনাদের ওপরে ঢেলে দেওয়া হতো। এমতাবস্থায় যদি হাওয়া বিপরীতে বইতে আরম্ভ করে দিত, তখন নিজের বাহিনীকে রক্ষা করাই অসম্ভব হয়ে পড়ত। বস্তুত, ‘হাওয়া বিপরীতে বইছে’ এই বাক্যটিও এই জরুরি অবস্থার ভিত্তিতেই সৃষ্টি হয়েছিল। 

যেমন জার্মানি যখনই এর ব্যবহার করেছে, তখনই হাওয়া বিপরীতে থাকায় খুব অল্পমাত্রাতেই করতে বাধ্য হয়েছে। এবং এর পাশাপাশি ক্লোরিনকে আটকানোর জন্য মাস্ক এসে পড়ায় জার্মানি বিশেষ সুবিধেও করতে পারেনি। 

গ্যাসীয় হামলার জন্য জার্মানি শেল ব্যবহার করা শুরু করল। ধাতুর আধারে গ্যাস ভরে শত্রুদের লক্ষ্য করে শেল দাগা হতো। আছড়ে পড়ার পরে তা ফেটে ভেতরে থাকা রাসায়নিক বায়ুর সঙ্গে মিশে বিক্রিয়া করে নিজের খেলা দেখাতে শুরু করে দিত। 

নানা ধরণের রাসায়নিক আক্রমণের জন্য নানা রঙের শেল ব্যবহার করা হতো। ক্লোরিনের জন্য সবুজ, মাস্টার্ড গ্যাসের জন্য হলুদ, নীল রঙ ছিল ডাইফিনাইলক্লোরাসোইন –এর জন্য। অবশ্য এই ডাইফিনাইলক্লোরাসোইন পড়ায় প্রতিটা শেলের মধ্যে থাকত। এর প্রভাবে শত্রু সৈন্য এবং তাদের ঘোড়া বমি করতে শুরু করে দিত। 



যা আগেই লেখা হয়েছে – নিয়ম তৈরিই করা হয় ভাঙার জন্য। প্রকৃতির এই শাশ্বত নিয়ম প্রথম হেগ সন্ধির ক্ষেত্রেও অকাট্য প্রমাণিত হল। 

১৯১৪ সালে ফ্রান্সে দাঙ্গার সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাসের ব্যবহার করে একটা বার্তা দিয়ে ফেলল যে, হেগ সন্ধি দ্বারা টিয়ার গ্যাসকে কোনো ভাবেই আটকানো হয়নি। এবং বিশ্বযুদ্ধের গোড়ার দিকে ফ্রান্স টিয়ার গ্যাসের ব্যবহার করতে লাগল। আর পরে জার্মানি এই সুযোগটাই নিল চরম ভাবে।

১৯১৪ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস অবধি চলা জার্মানি – ফ্রান্স সংঘর্ষে দুপক্ষই মারাত্মক ভাবে টিয়ার গ্যাসের ব্যবহার করল। হেগ সন্ধিতে ফাটল ধরছিল।

অক্টোবর, ১৯১৪ সাল। জার্মান সৈন্যরা তখন মার্ন নদীর তীরে ফ্রান্স আর ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ লড়ছে। জার্মানরা তখন ওয়াররুমে রাসায়নিক আক্রমণের ছক কষা শুরু করে দিয়েছিল। এবং জার্মানি একটা রাসায়নিক আক্রমণ শুধু এটা বোঝার জন্যেই করল যে, এ ধরণের আক্রমণে কতখানি কাজ হবে।

এই যোজনার মাথা ফ্রিটস হার্বারকে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসেই সেনাদলের রাসায়নিক বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হল। হার্বারের একটাই কথা ছিল—জারমানির ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইন্ডাস্ট্রির মুখোমুখি হওয়ার মতো কেউ নেই। কোনো নীতির ধার ধারার দরকার নেই। জয়ই শেষ কথা। 

জানুয়ারি, ১৯১৫ সাল। রাশিয়া আর জার্মানির মধ্যে তখন বলিমভের (পোল্যান্ড) যুদ্ধ চলছে। জার্মানি নিজের আগের করা পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে একসঙ্গে আঠেরো হাজার গ্যাস –শেল দেগে বসল। হাজার হাজার রুশ সৈন্য নিহত হল। যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে ভয়েই পালাল রাশিয়ান বাহিনী।

তবে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলা হল। কারণ প্রতিপক্ষ রাশিয়া একটা ব্যাপার ধরে ফেলেছিল –অত্যধিক ঠাণ্ডায় জাইলাইল ব্রোমাইড জমে যাচ্ছিল। শেল ফাটছিল ঠিকই, কিন্তু ভেতরে থাকা রাসায়নিক জমাট বেঁধে থাকায় তা বায়ুতে মিশে বিক্রিয়া করতে পারছিল না। 

১৯১৫ সালের এপ্রিল মাস। য়েপ্রেসের দ্বিতীয় যুদ্ধে জার্মানি আবার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করল। এবারে প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। মে মাসে জার্মানি রাশিয়ার ওপরে রাসায়নিক আক্রমণ করল। একটা দেশ একতরফা ভাবে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করেই চলেছিল। কী অদ্ভুত! রক্তপাত না-ঘটিয়ে পড়ায় ছাপ্পান্ন হাজার রাশিয়ান সৈন্যর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল জার্মানির এই ঘাতক হাতিয়ার। 

জার্মানির ভয়াবহ হামলার মুখে পড়েছিলেন ব্রিটেনের ডরসেট রেজিমেন্টের সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট আর্নেস্ট শেফার্ড। তিনি নিজের ডায়রিতে লিখে গেছেন, ‘চারিদিকে শুধু ধোঁয়া আর ধোঁয়া। সবাই কাশছিল। কাশির দমকে বমি করছিল সবাই। চোখের সামনে সকলকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছিলাম।’ 

ব্রিটেন এভাবেই দুবার বিষাক্ত গ্যাসের আক্রমণের মুখে পড়ে প্রথম হেগ সন্ধির প্রতি সমস্ত আস্থা হারিয়ে ফেলল। ১৯১৫ সালে লুন্সের যুদ্ধে ব্রিতেন প্রথমবারের জন্য রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ করল। ক্লোরিন গ্যাসের ব্যবহার করেছিল ব্রিটেনের বাহিনী। 

জার্মানি বারবার রাসায়নিক আক্রমণ করলেও কখনওই এধরণের হামলার কথা স্বীকার করেনি। জার্মানরা মাত্র একটি বার রাসায়নিক আক্রমণের কথা স্বীকার করে। তাদের মতে ১৯১৫ সালের অক্টোবর মাসে শ্যাম্পেন নামক শহরে ফরাসি সেনার সঙ্গে যুদ্ধে তারা রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ করেছিল। ফসজিনের সঙ্গে ক্লোরিন মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই একবারই নাকি! 

১৯১৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই প্রথম হেগ সন্ধির মেয়াদ শেষ করে দিল ভয়াবহ রাসায়নিক আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণ। ১৯১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের বরদন যুদ্ধে গুলির থেকে বেশি শেল দাগা হল। 

ব্রিটেন বুঝল বিপদ ক্রমশ বাড়ছে। ১৯১৬ সালের এপ্রিল মাসে তারা একটা যন্ত্র বানাল – রেসপিরেটর। একটা খুব ছোট বাক্সে সেটাকে রাখা হতো এবং বিষাক্ত গ্যাসের আক্রমণ হলে সৈন্যরা সেটা ব্যবহার করে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করত। 

সব বিষেরই যেমন অধিবিষ থাকে, ঠিক সেভাবেই প্রতিটা গ্যাসের আক্রমণ ঠেকলে বাঁচার জন্য উপায় বের করা হতে লাগল। রাসায়নিক হামলা আস্তে আস্তে নির্বিষ হয়ে পড়ছিল। এরই মধ্যে ১৯১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে য়েপ্রেসের তৃতীয় যুদ্ধে জার্মানি মাস্টার্ড গ্যাসের ভয়াবহ ব্যবহার করে আবার বিপক্ষকে চমকে দিল।

এবার প্রতিপক্ষ একটাই উপায় দেখল। জার্মানির গ্যাস গোডাউনটাকেই কবজা করতে হবে। মিত্রশক্তি ফ্রান্সের কেম্বরাইতে জার্মানির সংগ্রহ করে রাখা মাস্টার্ড গ্যাসের গোডাউনের দখল নিল। ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে জার্মানির ওপরেই এই গ্যাসের প্রয়োগ করল তারা। 

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তিও কিন্তু রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগেই হয়েছিল। মিত্রশক্তি উত্তর ফ্রান্সে নিযুক্ত জার্মান সেনার হিন্ডেনবার্গ লাইনের বিরুদ্ধে মাস্টার্ড গ্যাসের ব্যবহার করে বসল। 

এটাই শেষ বারের জন্য ব্যাপক হারে রাসায়নিক আক্রমণ ছিল।

১৯১৮ সালের এপ্রিল মাসে আমেরিকা একটি নতুন রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করা আরম্ভ করল। নামঃ লেভিসাইট। কিন্তু যতদিনে এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠল, ততদিনে শেষ হয়ে গেছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।



যুদ্ধে কোন অস্ত্র কখন, কীভাবে কাজে লাগে তা বলা কঠিন। যেখানে তলোয়ার চলে না, সেখানে ছুঁচ দিয়ে কাজ হয়। ট্যাংক ব্যবহার করে মারা না-গেলে হয়তো নাইন এম এম ব্যারেটা দিয়ে কাজ সারা যায়। তাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে গোলাগুলি দূরে সরিয়ে রেখে কেউ যদি ন্যানোমিটারের মাপের জীবাণুর ব্যবহার করে তাতেও আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নেই। শুধু একটাই কথা, যার ব্যবহারই করা হবে, তা হবে মানবতার বিরুদ্ধে। 

4 comments:

  1. ক্লাস লেখা পুরো... খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে...এত সুন্দর তথ্য নির্ভর লেখা এর আগে পড়িনি। অনেক কিছু জানতে পারলাম যুদ্ধে ব্যবহৃত গ্যাস ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার নিয়ে।

    ReplyDelete
  2. খুব ভালো লিখেছো.. সুন্দর উপস্থাপনা

    ReplyDelete
  3. Informative but not boring !

    ReplyDelete