2

ধারাবাহিক - নন্দিনী সেনগুপ্ত

Posted in


ধারাবাহিক(অনুবাদ গল্প)


গার্ড  
নন্দিনী সেনগুপ্ত 



৩ 

হ্যাঁ, যা বলছিলাম আগের পর্বে যে- লেনার নিজের একটা ছেলে হলো। ব্যস, তার পর থেকেই শুরু হ’লো টোবিয়াসের খারাপ সময়। 

নানা রকম অত্যাচার নেমে আসতো তার উপরে, বিশেষ করে, যখন কাছেপিঠে তার বাবা থাকতো না। ভীষণ রকমের ছিঁচকাঁদুনে ছোট ভাইকে সে-ই দেখাশুনা করত, কিন্তু তার জন্য বিশেষ কোনও বাহবা জুটত না তার। শরীরের তুলনায় মাথাটা ছিল বড়; খোঁচা খোঁচা লালচে চুল আর ফ্যাকাসে চটচটে মুখের টোবিয়াসকে দেখে কারো মনেই হয়ত বিশেষ আদর বা আহ্লাদ জাগতো না। সবার করুণার পাত্র হয়ে উঠছিল টোবিয়াস। সৎমায়ের গালিগালাজ সহ্য করে খ্যাংরাকাঠি আলুরদম চেহারার টোবিয়াস যখন গ্রামের নদীর ঘাটের ঢালু পথ দিয়ে কোনওমতে হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে কোলে করে নিয়ে যেত তার নাদুসনুদুস ছোট ভাইকে, তখন গ্রামের কুটিরগুলোর জানালার পিছনে অনেকেই নিশ্চুপে দীর্ঘশ্বাস ফেলত। ঠীল এসব কিছুই সেভাবে জানতো না, কিংবা এও হতে পারে যে জানতেই চাইত না। কারণ, যারা ঠীলের হিতাকাঙ্ক্ষী এক দুজন প্রতিবেশী ছিল, তারা যে একটু ঠারেঠোরে এসব ব্যাপারে কোনও নালিশ জানায়নি, তা নয়। 

কোনও এক জুন মাসের সকালে সাতটা নাগাদ ঠীল নিজের ডিউটি থেকে ফিরে এসে তার বউয়ের গরম মেজাজের একদম মুখোমুখি পড়ে গেলো। লেনা তাকে ‘সুপ্রভাত’ এসব কিচ্ছুটি না বলে সরাসরি সংসারের ঝুটঝামেলা নিয়ে ফিরিস্তি দেওয়া শুরু করল। যে লোকটা লিজে আলু চাষ করত ওদের জমিতে, কিছুদিন আগেই লেনা তাকে বরখাস্ত করেছিল এবং তার জায়গায় অন্য কোনও লোক পায়নি। এইসব কারণে লেনার মেজাজ একদম তুঙ্গে ছিল। যদিও জমিজমার সব কাজকর্ম লেনা নিজে পরিচালনা করত, এবং সব সিদ্ধান্ত লেনা একাই নিত, তাও এ বছরে অতিরিক্ত দশ বস্তা আলু কিনবার দোষটা ঠীলের ঘাড়েই পড়ল। 

ঠীল এসব নানা বাক্যবাণে এবং অভিযোগে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে বিছানার দিকে গেলো। রাতে বাড়ি থাকলে টোবিয়াস বাবার সাথেই ঘুমোয়। বিছানায় বসে সে একদৃষ্টে দেখছিল ঘুমন্ত টোবিয়াসের মুখ। লক্ষ্য করছিল ঘুমন্ত ছেলের মুখের নানা অভিব্যক্তি। কখনো বা ঘুমন্ত ছেলের শরীর থেকে মাছি তাড়িয়ে দিচ্ছিল। এরই মধ্যে টোবিয়াস জেগে উঠল। ছেলের বসে যাওয়া নীলচে চোখে খুশি উথলে উঠল বাবাকে দেখে। সে আঁকড়ে ধরল বাবার হাত। তার মুখে জেগে উঠল এক করুণ হাসি। তাড়াতাড়ি ছেলেকে কিছু কাপড়চোপড় পরিয়ে দিতে গিয়ে ঠীলের মুখ গম্ভীর হয়ে উঠল, কারণ হঠাৎ তার চোখে পড়ল ছেলের ঈষৎ ফুলে ওঠা ডানদিকের গালে ক’টা আঙুলের দাগ বসে গিয়েছে। 

প্রাতরাশের সময় লেনা আবার নানা সাংসারিক ঝঞ্ঝাট নিয়ে ঘ্যানঘ্যান শুরু করায় ঠীল একদম অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলে উঠল যে তাকে ষ্টেশনমাস্টার একটুকরো জমি উপহার দিয়েছে। লেনা ভীষণ অবাক হয়ে একদম চুপ করে গেলো। ঠীলের গার্ডকেবিনের পাশে রেলওয়ে লাইনের ধারের একখণ্ড জমি; ষ্টেশনমাস্টারের নিজের বাড়ি অনেক দূর, জমিটা অমনি অমনি পড়ে আছে। ঠীল তার খুবই প্রিয়পাত্র, তাই তাকে জমিটা অমনি অমনি দিয়ে দিয়েছে। 

লেনা অবাক হলেও প্রথমে সে কথা এক বর্ণ বিশ্বাস করেনি। নানা খুঁটিনাটি ব্যাপারে প্রশ্ন করছিল বারবার। জমির চরিত্র, দৈর্ঘ, প্রস্থ এসব নানা জিনিস জানতে চাইছিল। এমনকি সেই জমিতে যে দুটো ফলের গাছ আছে, সেই কথাটাও খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ঠীলের পেট থেকে বের করলে সে। সব প্রশ্নের মোটামুটি সন্তোষজনক জবাব পেয়ে সে লাফাতে লাফাতে চলে গেলো গ্রামের মুদীর দোকানে। সেখানে বেল বাজলে মোটামুটি সারা গ্রাম শুনতে পেত। লেনা স্বাভাবিকভাবেই সেখানে গিয়ে জোরে জোরে বেল বাজিয়ে গোটা গ্রামকে জানাতে লাগলো ঠীলের এই জমি পাওয়ার খবরটা। মুদীর সংকীর্ণ অন্ধকার দোকানঘরে এমনিতেই বেশ ভিড় ছিল। তার উপরে লেনা চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে এই খবর দেওয়ায় আরও কিছু লোক জমা হয়ে গেলো। 

যখন লেনা এসব নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন ঠীল টোবিয়াসকে নিয়ে বসেছিল। ঠীল জঙ্গল থেকে অনেক পাইনের কোন কুড়িয়ে নিয়ে এসেছিল; টোবিয়াস বাবার হাঁটুর উপরে বসে সেগুলো নিয়ে খেলা করছিল। 

‘তুমি কি হতে চাও, টোবিয়াস সোনা?’ বাবার এই প্রশ্নের উত্তরে টোবিয়াসের একটা বাঁধাধরা উত্তর ছিল, সেটা হল, ‘ষ্টেশনমাস্টার’। না, এইসব প্রশ্ন ঠীলের কাছে খুব ছেলেমানুষি ঠাট্টার ব্যাপার ছিল না, কারণ ঠীলের মনে সত্যিই এরকম একটা স্বপ্ন ছিল যে একদিন না একদিন ঈশ্বরের ইচ্ছায় নিশ্চয়ই টোবিয়াস একটা সাঙ্ঘাতিক কিছু হয়ে দেখাবে। আজো যখন টোবিয়াসের ফ্যাকাসে ঠোঁটদুটো থেকে ‘ষ্টেশনমাস্টার’ এই শব্দটাই বেরিয়ে এলো, তখন ঠীলের মুখচোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সে যেন অন্তরে অন্তরে এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব করল। 

‘যাও, টোবিয়াস সোনা, খেলো গিয়ে!’ এই বলে ফায়ারপ্লেসের আগুন থেকে ঠীল নিজের পাইপ ধরালো। টোবিয়াস বাবার কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে মুহূর্তে উধাও হল দরজা দিয়ে। ঠীল পোশাক বদলে বিছানায় গিয়ে একদম ঘুমিয়ে পড়বার আগে ছেঁড়াফাটা কম্বলের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কী চিন্তা করছিল কে জানে! বেলা বারোটা নাগাদ তার ঘুম ভাঙল। লেনা স্বভাবসিদ্ধ সশব্দ ভঙ্গীতে রাঁধাবাড়া ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ঠীল ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় বেরিয়ে টোবিয়াসকে দেখতে পেয়ে কোলে নিল। টোবিয়াস একটা বাড়ির দেওয়ালের চুন আঙুল দিয়ে খুঁটে খুঁটে নিয়ে নিজের মুখে ঢোকাচ্ছিল। ঠীল তাকে কোলে নিয়ে গ্রামের ধাপ কাটা ঢালু রাস্তা দিয়ে নদীর দিকে নেমে গেল প্রায় সাত আটটা বাড়ি ছাড়িয়ে। জলের ধারে একটা কালো গ্রানিট পাথরের উপরে ঠীল ছেলেকে নিয়ে বসলো। 

এই জায়গাটা বরাবর ঠীলের খুব প্রিয়। এখানে এলে এমনিতেই তার মন ভালো হয়ে যায়। আগে যখন তার অল্পবয়স ছিল, সে এখানে এসে বসতো মাঝেমধ্যে, গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চাদের সে নানারকম খেলা শেখাত। তার মধুর স্বভাবের জন্য তাকে বাচ্চারা ‘ফাদার ঠীল’ বলে ডাকত। তার নিজের ছোটবেলার নানারকম খেলা সে বাচ্চাদের শেখাত। গাছের ডাল কেটে তিরধনুক বানিয়ে দিত। ছোটবেলায় তার ছোঁড়া তির সবচেয়ে বেশি দূর যেত। তার জানা সব খেলার মধ্যে যেটা সবচেয়ে ভালো, সে সেটাই টোবিয়াসকে শেখাবে। ঠীল উইলো গাছের ডাল কেটে নিজের ছোট্ট পকেটছুরি দিয়ে একটা বাঁশি বানাতে লাগলো একমনে। বানাতে বানাতে এমনকি সেই ছোটবেলায় শেখা বাঁশি বানানোর গানটা হেঁড়ে গলায় গুণগুণ করে গেয়ে উঠল এক দু কলি... 

ছু মন্তর ছু- 
এই দিলাম এক ফুঁ। 
বাজ রে বাঁশি বাজ, 
সুরে সুরে সাজ। 
এই করলাম ফুটো, 
সুরবন্দী এ মুঠো। 
ছু মন্তর ছু- 
আরও দিলাম ফুঁ... 
হাওয়ায় এলো গান- 
আর হাসেন ভগবান... 

গ্রামের বাচ্চাগুলোকে ঠীল বেজায় আস্কারা দিত বলে লোকে দু কথা শোনাতে ছাড়তনা। কিন্তু অন্য কেউ সেভাবে গ্রামের ছানাপোনাগুলোকে সামলাতেও জানত না। কথা শোনালেও মনে মনে গ্রামের লোকেরা এটা অন্তত জানতো যে ঠীলের মত বাচ্চা সামলাতে কেউ পারে না। খেলাধূলা ছাড়াও একটু বড় বাচ্চাগুলোর হোমওয়ার্ক করানো, বাইবেলের পাঠ আর বিভিন্ন ছড়াগান, কবিতা এসব শেখানো, এমনকি একদম খুদেগুলোর অক্ষরপরিচয়, হাতেখড়ি করানো ঠীলের বেশ পছন্দের কাজ ছিল। 

দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পরে ঠীল আবার একটা ছোট ঘুম লাগালো। তারপর বিকেলবেলায় এক কাপ কফি খেয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ল ডিউটিতে যাবার জন্য। ডিউটিতে যাবার জন্য তৈরি হতে তার বেশ কিছুটা সময় লাগতো। পর পর সবগুলো জিনিস ঠিকভাবে গুছিয়ে নেওয়া, এই ব্যাপারটা বহুবছর ধরেই বাতিকে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। জিনিসগুলো সাবধানে গোছানো থাকত তার ওয়ালনাট চেস্টের ড্রয়ারে...একটা ছুরি, একটা নোটবুক, একটা চিরুনি, একটা ঘোড়ার দাঁত*, একটা পকেটঘড়ি। এছাড়া ছিল লাল কাগজে মোড়া ছোট একটা বই; সেটা সে বিশেষ যত্ন নিয়ে গুছিয়ে রাখত। রাত্রিবেলা ওই বইটা ঠীল বালিশের নিচে রেখে ঘুমাত আর দিনেরবেলা সব সময় সেটা তার ভেতরের বুকপকেটে রাখত। মলাটের নিচে আঁকাবাঁকা প্যাঁচানো অক্ষরে অদ্ভুতভাবে লেখা ছিল ‘টোবিয়াস ঠীলের পাসবই’। 

ঠীলের বাড়ির পেন্ডুলামঘড়ি আর তার হলদেটে ডায়ালওয়ালা পকেটঘড়ি- দুটোই যখন বিকেল পৌনে পাঁচটা সময় দেখাচ্ছিল, তখনি ঠীল বেরিয়ে পড়ল ডিউটিতে যাবার জন্য। তার নিজের একটা ছোট ডিঙ্গিনৌকা ছিল, সেটা বেয়ে সে পৌঁছে গেলো নদীর ওইপারে। ওইপারে দাঁড়িয়ে সে বারে বারে সেদিন ফিরে ফিরে তাকাচ্ছিল নিজের বাড়ির দিকে। কান পেতে কিছু শোনবার চেষ্টা করছিল। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ধীরে ধীরে সে জঙ্গলের দিকে রওনা দিল। অল্পক্ষণের মধ্যেই সে একবারে গহন জঙ্গলের মাঝখানে এসে পড়ল, যেখানে চারদিকে অজস্র উঁচু উঁচু পাইনের শাখা আর ছুঁচলো পাতার রাশি যেন দূর থেকে সমুদ্রের ভেঙে আসা নীলচে সবুজ ঢেউয়ের মত দেখাচ্ছে। তার দৃঢ় পদক্ষেপের কোনও শব্দ শোনা যাচ্ছিল না জঙ্গলের মধ্যে। পাইনের ঝরে পড়া ছুঁচলো পাতা, সবুজ মস, মখমলি ঘাসে অরণ্যের মাটি একদম নরম হয়ে গিয়েছিল। অরণ্যের মধ্যে দিয়ে তার পথ চিনতে কোনও অসুবিধে হয় না; বহুদিন ধরে এই পথে সে যাতায়াত করছে। সে আজ হঠাৎ লক্ষ্য করে যে উঁচু গাছগুলো যেন ছোট নিচু গাছেদের ঘিরে ঘিরে আছে- অভিভাবকের মতো। নীলচে আবছায়া মত একটা কুয়াশা যেন থেমে আছে। একটা অদ্ভুত সুগন্ধ ছেয়ে রয়েছে চারপাশে। অরণ্যের একটা নিজস্ব সুগন্ধ থাকে। গন্ধটা হয়তো মাটি থেকেই উঠছিল, কিন্তু অরণ্য যেন তাকে লালন করছিল যত্নে। কুয়াশায় গাছগুলো কেমন অদ্ভুত দেখাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল কে যেন তাদের স্নান করিয়ে দিয়েছে পরম মমতায়। দুধসাদা, ভারি আকাশটা কেমন যেন চাঁদোয়ার মত ঝুলে পড়েছিল গাছগুলোর মাথায়। ধূসর আলোয় একদল কাক কুয়াশায় ভিজে ডাকতে ডাকতে ফিরে যাচ্ছিল নিজেদের বাসায়। জঙ্গলের ভেতরের ছোট্ট পুকুরের জল কালো, স্থির হয়ে কেমন যেন থম ধরে গিয়েছিল; চারদিক আরও মেঘলা, ধূসর আর গম্ভীর হয়ে উঠেছিল। 

‘উফফ, বড্ড বাজে আবহাওয়া!’ ঠীল ভাবছিল। আসলে সে হয়তো অন্যকিছু ভাবছিল। আবহাওয়ার কথাটা তার হঠাৎ উপরে আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে পড়ল। 

তার আরেকটা কথাও মনে পড়ল। সে নির্ঘাত কিছু ফেলে এসেছে। ব্যাগ হাতড়ে দেখল যে তার খাবারটা নিয়ে আসতে ভুলে গেছে। হ্যাঁ, অনেকক্ষণ ডিউটি থাকলে সে কিছুটা খাবার অন্তত বাড়ি থেকেই নিয়ে যায়। প্রথমে ভেবে পাচ্ছিল না সে, ফিরে যাবে কি যাবেনা! কিছুক্ষণ দোনামনা করল সে। শেষমেষ তড়িঘড়ি আবার উল্টোপথে গ্রামের দিকেই রওনা দিল। 

কিছুক্ষণের মধ্যেই সে তার গ্রামের নদীঘাটের সেই ঢালু পথে পৌঁছে গেলো। হাঁপাতে হাঁপাতে চড়াই বেয়ে সমতল রাস্তায় পৌঁছে দেখল মুদীর নোংরা কালিঝুলি মাখা বুড়ো কুকুরটা একদম রাস্তার মধ্যিখানে দাঁড়িয়ে আছে। খামারের আলকাতরা মাখানো বেড়ার গায়ে একটা ঝুঁটিওয়ালা বড় দাঁড়কাক বসে ছিল; সেটা হঠাৎ ডানা ছড়িয়ে নিজের শরীরে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে, মাথা নাড়িয়ে একটা কর্ণভেদী আওয়াজে ‘ক্রা, ক্রা’ করে ডেকে উঠল; তারপর ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে উঠে আস্তে আস্তে বাতাসে ভাসিয়ে দিল তার উড়ান আর চলে গেলো জঙ্গলের দিকে। 

হঠাৎ ঠীলের মনে হল যে গ্রামটা বড় নিঝুম, চুপচাপ, থমথমে; যেন কোথাও কোনও জনমনিষ্যি নেই। গ্রামে ঢুকে গোটা কুড়ি ঘর জেলে, কাঠুরে, কারোর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সে বেশ অবাক হল। 

(চলবে) 

[গেরহার্ট হাউপ্টমান রচিত ‘বানভ্যার্টার ঠীল’ গল্প অবলম্বনে রচিত] 

*ঘোড়ার দাঁত একটা সংস্কারের অঙ্গ হিসেবে প্রাচীনকালে ইউরোপে অনেকেই সঙ্গে রাখত। মনে করা হতো যে আর্থিক আয়ের পথ সুগম হবে ঘোড়ার দাঁত সাথে থাকলে। 





2 comments:

  1. অধীর আগ্রহে পড়ে চলেছি । টোবিযাস এর জন্য মন খারাপ লাগছে বড্ড ।

    ReplyDelete