ছোটগল্প : মমতা দাস (ভট্টাচার্য)
Posted in ছোটগল্প
ছোটগল্প
নেশা - খেলা
মমতা দাস (ভট্টাচার্য)
মন ভালো নেই শ্রীলা-র। কি যেন একটা অভাব অস্থির করছে সারাক্ষন ! মনটা ব্যাকুল। ভালো থাকতে ভালবাসে সে। সেই ভালো থাকায় যেন চিড় ধরেছে আজকাল। জোর করে মুখে হাসি ধরে রেখে মনকে বোঝায় সে ঠিক আছে , আসলে হয়েছে সব বেঠিক। একটা খটকা, একটা অসহায় অপ্রাপ্তির অনুভব, যা তার জানা ছিল না কোনদিন !
বহু দিন ধরে ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে যোগাযোগ শ্রীলা-র। Face book , whatsaap, twitter, skype কি নেই ? সেই যে শুরুতে মেয়ে ফেসবুক ধরিয়ে ছিল, সে নেশা বাড়তেই থাকলো। এখন তো সর্বগ্রাসী। দিনের বেশিটাই সে ডুবে থাকে ভার্চুয়াল জগতের আকর্ষণে ! যেদিন কোনো কারণে বসতে পারে না , ছটফট করতে থাকে মনে মনে। দিনে একবার হলেও বসবেই ! নাহলেই অবস্থাটা 'জল বিন মছলি'র মত। অজস্র বন্ধু তার এই জগতে, নানান বয়স, নানান, চেহারা, নানান রুচি, পুরুষ, নারী সব। ২০/২২ থেকে ৬৫/৭০ স-ব। মানুষের সঙ্গে কথা বলা, মজা, হাসিঠাট্টা। সুখ-দুঃখের, আনন্দ-বেদনার অনুভূতি কারো সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ায় যে এত ভালোলাগা, তা কি জানা হত এই জগতে না এলে ? ভার্চুয়াল জগতে চলার পথে কত বন্ধু এলো-গেল, কত আনন্দ-বিষাদের স্মৃতি ! কিন্তু এখন তো একটা নেশায় পেয়ে বসেছে। সেসঙ্গে কি এক অস্থিরতা, ছটফটানি, যা একেবারেই অজানা ছিল তার।
খেলাটা শুরু হয়েছিল কিছুদিন আগে। খেলা ? কি জানি, বোঝেনি, এখন-ও বোঝেনা শ্রীলা, খেলায় কি এত শান্তিহীন অধৈর্য আসে? সুশোভনের সঙ্গে আলাপ লেখার সূত্র্রে। তার লেখা পড়ে সুশোভন খুব সুন্দর কমেন্ট করত, ভাল লাগত শ্রীলার। শুধু 'লাইক' দেয়া নয়, রীতিমত বিষয়, আঙ্গিক নিয়ে আলোচনা। খুব ভালো লাগত শ্রীলার। তারপর এলো সুশোভনের বন্ধুত্বের আবেদন। সাগ্রহে স্বীকার। আগ্রহ তো তৈরী হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই, মনে মনে ভালোলাগাও ! অতএব বন্ধুত্ব ! প্রথম প্রথম হাসি-ঠাট্টা, মজার কথা বলে মজা পাওয়া, খুব দ্রুত সেটা বদলে যায় ঘনিষ্ঠতায়। বয়সের বেশ তফাৎ। শ্রীলা অনেকটা বড়, ১২/১৪ বছরে। বন্ধুত্বে কবে আর বয়স বাধা হয়েছে ? ভগবান তো বয়স বানান নি, ওসব তো মানুষের বানানো হিসাব ! সেটা সব সময় একদম ঠিক হয় ?
জানা গেল, শোভনের স্ত্রী অসুস্থ, শয্যাশায়ী, বহুদিন নারী সঙ্গ বর্জিত তার জীবন। খুব দ্রুত কাছে আসে, মন খুলে ধরতে চায় শ্রীলার কাছে। মানসিক, শারীরিক যে গোপন কথা, যে অপ্রাপ্তির কথা মেয়ে-পুরুষ কোনো বন্ধুকে বলা যায় না, তাও সে বলতে চায়, ভাগ করে নিতে চায় সাগ্রহে। বিব্রত হয় শ্রীলা, এড়িয়ে যায়। কখনো রুক্ষভাবে, কখনো মিষ্টিভাবে, কখনো হাসি ঠাট্টায়। কিন্তু মনের গভীরে মায়ায় ভরে যায়। নিজের মনে স্বীকার করে, এই বন্ধুর জন্য মনে একটা বিশেষ জায়গা তৈরী হয়েছে। একটা মায়া-মোহ ঘিরে ধরছে তাকে, ক-ত দিন নারী সঙ্গ বঞ্চিত সুশোভন ! সে কষ্ট কি বোঝে না শ্রীলা? সে তো একজন পূর্ণ বয়স্কা, বিবাহিতা নারী, শরীর-মনের চাহিদা তো তার অজানা নয় ! বন্ধুর কষ্ট অনুভব করতে পারে। সংযত, ভদ্র, মার্জিত সুশোভন -এর তার মন দুর্বল হয়ে পড়ে ! প্রকাশ করে না, কিন্তু নিজের মন চিনতে পেরে ভয় পায়। কোন সর্বনাশের হাতছানি তাকে মাতাল করছে, অনুভব করতে পারছে। দূরে সরে যেতে চাইছে প্রাণপণে, পারছে না।
তখন-ই শ্রীলা-র একটা লেখায় শুভো-র বিরূপ মন্ত্যব্য, তাই নিয়ে কথাকাটাকাটি। পাঠকের অধিকার আছে বিরূপ সমালোচনার, কিন্তু সে কি বলতে চেয়েছে সেটা শোভন যে বোঝে না, সেটাই মনে লাগে তার। নিজের কাছেও স্বীকার না করলেও শোভনের কমেন্ট খুব দামী ওর কাছে। তাই একটা তিক্ততায় মন ভরে যায়। কথা বলা কমিয়ে দেয় , কিন্তু খেয়াল রাখে ঠিক। দেখে শোভন অন্য লোকেদের লেখায় কমেন্ট করে, তার টায় নয়, ঈর্ষা হয় , রাগ হয়, নিজেকে বঞ্চিত মনে হয়। শ্রীলা শোভন কে unfriend করে দেয়। হয়ত বা নিজেকে বাঁচাতে, হয়ত দুজনকেই ! আসলে একটা রাস্তা খুঁজছিল শোভনের কথার মোহ কাটানোর, পেয়ে গেল। প্রথম সুযোগেই দূরে সরিয়ে দিতে চাইল, নিজে সরে গেল।
সরে যাওয়া ? সে কি এত সোজা ? মাসখানেক পর inbox- এ শোভনের বিস্মিত জিজ্ঞাসা ,....."এই তুমি আমাকে unfriend করেছ নাকি ?"......"হ্যাঁ" শ্রীলা-র জবাব,....."সেকি, কেন ?".......বিস্ময় দ্বিগুন !......"কারণ মনে হলো আমার বন্ধুত্ব তোমার বাহুল্য।".....অভিমানী জবাব শ্রীলার ...... শোভন বোঝে কি বোঝে না, জোরালো দাবি, ......"না না ওসব মোটেই চলবে না , তাড়াতাড়ি বন্ধু কর আবার, নৈলে খারাপ হবে..."
শ্রীলা-র ইচ্ছে করে তখন-ই পাঠায় রিকোয়েস্ট, কিন্তু না মনকে পাথর করে রাখে সে বাঁচবার প্রাণপণ চেষ্টায় ! কদিন পর আবার ইনবক্স-এ শোভন ,......" কি গো, ডাক পেলাম কই ?".......হাহাকারের মত বেজে উঠলো সেকথা শ্রীলা-র মনে, আবেগে ভেসে গেল সে। সেও তো ডেকে নিতেই চায় ! ভাবলো, 'আহারে এমনিতেই দুখী লোকটাকে আরো দুঃখ দেবে সে বন্ধু হয়ে ? আসলে নিজেও তো আকুল হয়েছিল, আপ্রাণ চেষ্টায় মনকে বেঁধেছিল, শোভনের একটা কথায় খড়-কুটোর মত ভেসে গেল তার প্রতিরোধ, হেরে গেল সে। কোনদিন যা করেনা , নিজে রিকোয়েস্ট পাঠালো, গ্রহন কর সুশোভন সাগ্রহে।
আবার নতুন বন্ধুত্ব, কিন্তু আরো জোরালো, আরো দাবীর। এবার আরো সহজ, আরো প্লাবিত অনুভব। শ্রীলা-র স্বামীও ইদানিং খুব বিব্রত শরীর নিয়ে। বঞ্চিত হতে থাকে শ্রীলা দিনের পর দিন শারীরিক আনন্দে। এখন গভীরভাবে অনুভব করে শোভনের কষ্ট। দিনের পর দিন সহ্য করতে করতে এক দিন দূর্বল মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়ে শোভনের কাছে, লহমায় তার কষ্ট বুঝে নেয় শোভন। কাছে টেনে নিয়ে কষ্ট মুছে দিতে চায়। যে দুঃখে সে নিজে বহুদিন ধরে দুখী, বন্ধুর শারীরিক, মানসিক অস্থিরতা, কষ্ট বুঝতে পারে নিমেষেই। সমবেদনায় মন ভরে যায় ! সে যে জানে এই কষ্টের রূপ ! খুব দ্রুত দুজন আরো কাছাকাছি চলে আসে, মনে হয় যেন পরস্পরকে ছুঁতে পারছে। সেই শুরু। তারপর কত বিনিদ্র রজনী কেটেছে দুজনের। শুধু কথাবলা, শুধু মন খোলা। সম দুঃখে দুখী দুই বন্ধু জড়িয়ে ধরে একে অপরকে মনপ্রাণ দিয়ে। সারাদিন উন্মুখ মনপ্রাণ প্রতীক্ষায় উদ্বেল থাকে, নিশুতি রাতে যখন সারা পৃথিবী সুপ্ত দুই বন্ধু মগ্ন থাকে কথায়। নব দম্পতির মত বকবকম, সংসারের কথা, কাজের কথা, অন্য অসুবিধার কথা। আর হ্যা, সেক্স , আলোচনায় একটা বিরাট অংশ নেয় সেক্স। দুজনের যত জাগতিক অপ্রাপ্তি যেন ভুলে যায় ভার্চুয়াল সেক্স-এর আনন্দে ! এটা কিন্তু ঠিক সাধারণ যারা শুধু সেক্স-এর আলোচনা করতে ভালবাসে, তা নয়। এরা আর কারো সঙ্গে এই আলোচনা করে না, শুধু ওরা দুজন যখন গভীর রাতে সারা জগত থেকে আলাদা হয়, তখন ওরা খুলে দেয় মনের দরযজা -জানালা, মেতে ওঠে শরীরি আলোচনায়, রাত্রি যত ঘন হয় চটুলভাবে শুরু হওয়া কথা ধীরে ধীরে কামঘন হয়ে ওঠে। সুশোভন-এর কথা জানে না শ্রীলা, কিন্তু সে নিজে পাগল হয়ে যায় আনন্দে, হাওয়ায় উড়তে থাকে। মধ্য বয়সে মতিভ্রম হয় তার। যেকথা স্বামীকে অব্দি বলেনি কখনো, মন খুলে সব বলে দেয় শোভনকে। ভালো লাগে পৃথিবীকে নূতন করে। উচ্ছ্বল অনন্দে ভরে যায় দেহ-মন ! স্বামীকে একেবারে পায়না তাতো নয়, তবু শোভন-এর কাছে এই বিশেষ পাওনাটুকু তার মনে সুখের তুফান তোলে। স্বামীকে ভালবাসে সে, ভালবাসে নিজের সংসার, সন্তান - সব ! কিন্তু রাতের এই আনন্দ তার উপরি পাওনা। তার নিভৃত, নীরব চাওয়া-পাওয়ার সর্ব প্রকাশ। তার মূল্য আলাদা। সত্যি তো কিছু নয়, সব-ই ভার্চুয়াল, শুধু কথার মালা গেঁথে, স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে সেক্স-এর আলোচনায় এত সুখ কে জানত ? নিষিদ্ধ ফল খাওয়া আনন্দ পায় সে। এত আনন্দ, এত উত্তেজনা কি কোনদিন জেনেছিল শ্রীলা ? আনন্দ পেতে পারে এভাবে, ভাবনায় ছিল কি তার ? এই জগতে সে তো আছে ভূ বছর , ছোট-বড় কত পুরুষ তাকে প্রেম নিবেদন করে রোজ , সেক্স আলোচনায় টেনে নিয়ে যেতে চায়, হেসেই এড়িয়ে যায় শ্রীলা। শুধু এই পুরুষটাকে কিছুতেই এড়াতে পারে না। রোজ প্রতিজ্ঞা করে আর নয়, এসব বন্ধ করা দরকার। কিন্তু যেই সুশোভন এসে ডাক দেয় ---'আছ'?-----তোলপাড় করে ওঠে মন, ইচ্ছে হয় ঝাঁপ দিয়ে পড়ে ওর বুকে, সমস্ত মন, সমস্ত শরীর দিয়ে ভালবাসে তাকে। নিজের আকুলতা দিয়ে ভাসিয়ে নেই ওকে ! যাকে কখনো দেখেনি, পরিচয় জানেনা, সত্যি আছে না মিথ্যা পরিচয় কিচ্ছু জানে না, তার জন্য ক্রমে অধীর হয়ে ওঠে শ্রীলা। সেই সংযত, বুদ্ধিমতি সামাজিক নিয়্মমানা সুসভ্য শ্রীলা আকুল হয়ে ওঠে সুশোভন কে একবার দেখার জন্য, ছোঁয়ার জন্য। বাসনা অধীর সে অনুরোধ করে সে একবার দেখতে চায়। একবার ছুঁয়ে বুঝে নিতে চায় সুশোভন সত্যি এক পুরুষ, নিছক কল্পনা নয় !
গোলমাল বাঁধলো তখনি। সুশোভন কি বুঝলো, কি ভাবলো কে জানে ! দায় নিতে ভয় পেল, নাকি নিজেকে এবং শ্রীলা কে বাঁচাতে সম্বিত ফেরে তার। দু/তিন বার দেখা করার সুযোগ হয়েছে, কথা হয়েছে। সব ঠিকঠাক, আসে নি সে। অপেক্ষা করে ফিরে এসেছে শ্রীলা। পরে কারণ জানতে চাইলে কিছু একটা অজুহাত দিয়েছে সুশোভন না আসার। রাগ করেছে শ্রীলা, কিন্তু মেনেওছে। আশা করেছে পরেরবার দেখা হবে। সে পরেরবার আজ-ও আসে নি। ধীরে ধীরে দূরে চলে যেতে শুরু করে সুশোভন, বাস্তব বুদ্ধি সম্পন্ন ভদ্র লোক সে, হয়ত শেষ অব্দি উপলব্ধি করতে পেরেছে এইরকম সম্পর্কের জটিলতা। ভেবেছে যে সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যত নেই সেটা থেকে বেরোতে হবে, দুজনের কথা ভেবে সেটাকে আর বাড়তে দেয়া ঠিক নয়। অনুভব করেছে শ্রীলার আকুলতা, বাঁধ পুরো ভাঙ্গার আগেই নিজেকে সামলাতে পেরেছে সে। খেলা-খেলায় যে সম্পর্ক গভীর হয়েছিল, তাকে ভয়ঙ্কর পরিনতির হাত থেকে বাঁচাতে শ্রীলার কাছে নিজেকে নিষ্ঠুর, নির্মম, হৃদয়হীন করে তুলতেও ভয় পিছপা হয় নি সে ! দুটো সংসার, দুটো মানুষ, দুটো বন্ধুর মান-সম্মান-জীবন বাঁচাতে কঠোর হয়েছে সে, হার মানে নি নিজের কাছেও। অবুঝ শ্রীলার মত অবুঝ হওয়া তার চলবে না , তাহলে সব ভেসে যাবে, এই বোধ থেকে হয় তো নিজেকে সরিয়ে নেই, ছিঁড়ে দেয় বন্ধুত্বের বাঁধন। খেলা শেষ হয়। হয় কি ? শ্রীলার যে 'দিন কাটেনা, রাত কাটে না /স্মৃতিগুলো কিছুতেই পিছু হাঁটে না'...তার কিসের ব্যথা সেকি জানে সেই 'মিতা সুদূরের মিতা' ? ব্যথা পায়, কিন্তু কুর্নিশ-ও করে। চোখ জলে ভরে যায়, ভাবে শুধু দেখা করতে চাওয়ার দাবি কি এত বেশি ছিল যে সুশোভন এভাবে সরে গ্যালো? সেতো কিচ্ছু চায় নি ! শুধু যে ভার্চুয়াল মানুষটা তাকে এত আপ্লুত করতে পেরেছে, ভাসতে পেরেছে, একজন সভ্য, সংযত,স্থিতধী মহিলাকে ভাসাতে পেরেছে, তাকে একবার দেখতে চেয়েছিল,.......এটা কি খুব বড় অপরাধ, কোনো বিশাল চাওয়া ?
কিছুতেই মানে না শ্রীলা যে, না দেখেই যে আকুলতা, দেখলে তা হয়ত শত গুন বাড়ত । ভাবে, সে ঠিক থাকত শান্ত, কোনো অঘটন ঘটত না, তবু কেন যে ,.......! করার কিছু নেই শুধু মনের মধ্যে গুমরে চলা। গভীর এক অভিমানে ডুবে যেতে থাকে সে, প্রতিদিন, দিনের পর দিন। শুধু মনের ভিতর গুন গুনিয়ে বাজে -----"এস এস আমার ঘরে এস, আমার ঘরে / দুঃখ সুখের দোলায় এস / অরুণ হিল্লোলে এস/ এস এস বুকের পরে "........কেউ আসে না। আজকাল inbox-এও আসে না সুশোভন। প্রাণপণে নিজেকে সামলাবার চেষ্টা করছে শ্রীলা। ডিপ্রেসন-এর হাত থেকে বাঁচাই এখন তার লড়াই। ভার্চুয়াল জগতের আকর্ষণ আর নেই তার। ফেস বুক, টুইটার, কিছুই তাকে টানে না আর। মন ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে। খেলা দিয়ে যার শুরু, ভয়ঙ্কর সে খেলার সেখানেই শেষ, পরিনতি হীন ভাবে।
অসাধারণ অসম্ভব ভালো লাগলো।
ReplyDeleteফেসবুকে অনেক ঘটনা ঘটে। এই সুলিখিত গল্পটিও তাই ব্যতিক্রম নয় । ভয়ঙ্কর বাস্তব ! এই পরিণতিহীন বাস্তবের শেষ পরিণতি কোথায় হবে তা কেউ জানে না ।
ReplyDelete