সরস নিবন্ধ : স্বপন দেব
Posted in সরস নিবন্ধ
সরস নিবন্ধ
“সখী, ভালোবাসা কারে কয় !”
স্বপন দেব
আমার বউ কে নিয়ে আমার নিত্য ঝামেলা !! ১/২ বছর পর পর ই ওনার নতুন নেশা চাপে। উনি যখন নেশাগ্রস্তা থাকেন, তখন আমিও পরম শান্তিতে থাকি ! তবে বিপদ হচ্ছে ঐ নেশার ঘোরটি কেটে গেলেই ! তখন থেকে আবার নতুন কোন নেশার খপ্পরে পড়ার আগে অবধি আমার জীবন অতিষ্ঠ করে ছাড়েন !
ব্যাপারটা খুলেই বলি। মানে, এবারের ব্যাপার টা। ইউ এস এ থাকাকালীন উনার নেশা চাপে ডারউইন এবং বিবর্তনী মনোবিজ্ঞান আর বিবর্তনী জীব বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ! সে যাই হোক, কেউ পড়াশোনা করতে চাইলে তো বলার কিছু নেই ! কিন্তু মুস্কিল হোল, আমার ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করে উনি প্রতি সপ্তাহেই আজ ডেভিড বুস (David Buss) তো কাল হেলেন ফিশার (Helen Fisher), পরশু জেফ্রী মিলার (Geoffrey Miller),পরের সপ্তাহেই আবার রবিন বেকার (Robin Baker) এবং আরো প্রায় গোটা পাঁচেক বই আমার হাজার পনেরো টাকা খরচা করিয়ে সকালে, দিনে, বিকেলে, রাতে এবং গভীর রাতেও সেগুলি ঘাঁটাঘাঁটি করতেন। তবে পড়তেন কিনা আমি জানিনা ! আসার সময়েও দেখেছিলাম ফ্লাইটে উনি গভীর মনোযোগ দিয়ে লীডা কসমীডস (Leda Cosmides) এর একটি বইএর পাতা ওল্টাচ্ছেন !
সে যাই হোক, দেশে ফিরে হপ্তা খানেক সুখেই ছিলাম। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নতুন উৎপাত ! দিন পনেরো আগে, সকালে উঠে অ্যামেরিকান স্টাইলে চীজ স্যান্ডউইচ এ একটা কামড় দিয়ে এফ এম টা খুলে “সখী, ভালোবাসা কারে কয় ?” গানটা শুনতে শুনতে কফির কাপে আলতো চুমুক দিয়েছি মাত্র, বউ এসে ঘচাং করে রেডিও টা বন্ধ করে দিল ! কি হোল আবার ? ওই বস্তাপচা নেকু নেকু গান শুনতে এখনো ভালো লাগে তোমার ? মেজাজ টা ধাঁ করে চড়ে গেল ! জলদ-গম্ভীর স্বরে বললাম, ওটা রবি ঠাকুরের গান। জানো ? জানবো না কেন ? আর শুধু তোমার রবি ঠাকুর নয়, প্রায় এক ই সময়ে মার্কিন গীতিকার কোল পোর্টার ও এক গানে জিগ্যেস করেছিলেন, প্রেম জিনিষ টি কি ? “What is this thing called love?”। তাহলে ? সবাই তো জানতেই চায়, প্রেম কি? সবাই নয়, তোমার মত কিছু মুখ্যু যারা এখনো সেই উনবিংশ শতাব্দীতে পড়ে আছে, তারাই এখনো প্রেম কি ? ভালোবাসা কারে কয় ? প্রশ্ন করে যাচ্ছে ! তোমার লজ্জা করেনা ? ঝগড়া করার মুডটা ফুটন্ত জলে ফেলা তিন মিনিটের ম্যাগি নুডুলের মত কিলবিল করে উঠলো ! কেনো ?
একবিংশ শতাব্দীর মানুষ কি জেনে গেছে ভালো বাসা কারে কয় ? বেশ ঝগড়াটে মুখে চোখ বড় বড় করে জিগ্যেস করলাম ! একবিংশ নয়, বিংশ শতকের শেষ দুই দশকেই সমাজজীববিজ্ঞানীরা আর বৈবর্তনিক মনোবিজ্ঞানীরা এর রহস্য সমাধান করে ফেলেছেন ! বউ এর পালটা জবাব। ও তাই? বেশ ! বেশ ! এবার তাহলে দয়া করে তুমি ই বলে দাও প্রেমের সংজ্ঞা কি ? প্রেম একটা অনুভূতি। অনুভূতির সংজ্ঞা হয়না। তুমি কি বলতে পারবে সবুজ রঙের সংজ্ঞা কি ? তবে ডারুইনের “প্রজাতির উৎস (Origin of Species)” আর “মানুষের উৎপত্তি (The Descent of man)” বই দুটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আজ অবধি ডারুইনের সেই মূল তত্ত্ব কে সাক্ষ্য-প্রমাণ আর পর্যবেক্ষণ লব্ধ জ্ঞানের ভিত্তিতে পরিশীলিত ও সংশোধিত করে মানব প্রকৃতিকে বোঝার চেষ্টায় জীব্বিজ্ঞানীরা অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। প্রেম কি ? মানব নৈতিকতার উৎস কি, বহুগামীতার কারণ কি ? ইত্যাদি সনাতন প্রশ্নের উত্তর এখন অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে এসেছে সমাজজীববিজ্ঞানী আর বিবর্তনী মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণার দৌলতে। এ সবের কোন খবর ই তো তুমি রাখোনা ! চব্বিশ ঘণ্টা খালি ফেসবুক আর গ্রুপ-মিট নিয়েই পড়ে আছো ! হুম, এবার বুঝলাম ! আর বুঝে ভয়ে কাঁটা হয়ে রইলাম! কারণ, বিগত পাঁচ মাসে ঐ বইগুলো থেকে তিনি যা গিলেছেন সেগুলি এখন আমার গায়ে উগড়োবেন ! মিনমিন করে বললাম, অনেক তো হোল, এবার একটু কফি ব্রেক হলে হয় না ?
সাময়িক বিরতি। আমি প্রভাতী কাগজের পাতায় সবে মনোনিবেশ করেছি, ঠক করে এক পেয়ালা কফি আমার সামনে বসিয়ে দিয়ে তিনি আবার শুরু করলেন ! তুমি কি জানো, তাঁদের গবেষণা মানব অনুভূতির সকল দিকেরই কারণ হিসেবে আমাদের বৈবর্তনিক ইতিহাসের দিকেই আঙ্গুল দেখায় ? অন্য সব অনুভূতির মত প্রেমানুভূতি বা বহুগামীতার মূল ও কিন্তু এই বিবর্তনে নিহিত। তাহলে তো ল্যাটা চুকেই গেলো ! তোমার এই বকবকানিও কি বিবর্তনে নিহিত ? থলি টা দাও বাজারে যাই। থাক ! আর বাজারের দোহাই দিতে হবেনা ! বাজারে গিয়ে তো আনবে কিছু চুনো মাছ, কাঁচালঙ্কা আর ধনে পাতা ! একদিন আলুসেদ্ধ ভাত খেলে তুমি মরে যাবেনা ! কিন্তু এগুলো না জানলে তোমায় নিয়ে আমি শিক্ষিত সমাজে যাবো কি করে ? শুরু হোল আবার আমাকে শিক্ষিত করার পালা !
এতোক্ষণ ডিফেন্সিভ খেলছিলাম। ভাবলাম এবার একটু অফেন্সিভ খেলে দেখলে কি হয় ? তাই জিগ্যেস করলাম, বিবর্তন তো বুঝলাম। কিন্তু,সখী, ভালো বাসা কারে কয় এর উত্তর তো পেলাম না এখনো ! প্রেমানুভূতি বা বহুগামীতার মূল উৎস বা কারণ কি ? আমি কিন্তু আর বিবর্তনের ব্যাখ্যা শুনতে রাজী নই ! বউ এবার একটু দুষ্টু মিষ্টি হেঁসে বলল, উত্তর টি কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সরল। বংশানু উদ্বর্তনের( Survival of the Genes ) তাগিদ ই প্রেম ও বহুগামীতার আদি কারণ। বৃহত্তর চিত্রে এই বংশানু উদ্বর্তনের তাগিদ প্রাকৃতিক নির্বাচন ( Natural Selection ) ও পরিব্যক্তি ( Mutation )র সমণ্বয়ে বিবর্তনের প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে যা শুধু প্রেমুনুভূতি ই নয় মানুষের সব অনুভূতি ও আচরণের জন্ম দেয়। আরে বিবর্তন বিবর্তন করে তো তুমি সকাল থেকে আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছো ! কে বলেছে তোমায় এইসব ফালতু কথা ? কে বলেছে ? দাঁড়াও ! এরপরে উঠে ঘরে যাওয়া, ত্রস্ত পায়ে ফিরে আসা একটি মোটা বই নিয়ে। বইএর মলাট দেখে বুঝলাম এটা জীববিজ্ঞানী লীন মার্গুলিসের লেখা “ Mystery Dance: On the Evolution of Human Sexuality” বউ এটার ৪৬ পৃষ্ঠা খুলে একটা জায়গা দেখিয়ে বলল পড়ো ! “ All our desires, passions etc, reflect inanimate tendencies already implicit before life in the second law of Thermodynamics”। অর্থাৎ,আমাদের সকল কামনা বাসনা আবেগ ইত্যাদি এক অজৈবিক প্রবণতার প্রতিনিধিত্ব করে যা প্রাণ সৃষ্টির পূর্বেই তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্রে প্রচ্ছন্ন আছে। তাহলে, প্রেম বা বহুগামীতা কি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি না নিছক ই মানব-সংস্কৃতি বা সভ্যতা প্রসূত একটা ধারণা মাত্র ? বিবর্তনের হাত থেকে বাঁচতে আমি আবার মৌলিক প্রশ্নে ফিরে গেলাম। বলছি। তার আগে ভাত টা চাপিয়ে দিয়ে আসি দাঁড়াও।
যাক, কিছুক্ষণের জন্যে রেহাই পাওয়া গেল। তবে সেটা মাত্র ঘণ্টা খানেকের। আঁচলে হাত মুছতে মুছতে গৃহিণীর পুনরাগমন ! না, শুধু বিবর্তন ই নয়। গবেষণায় দেখা গেছে –বিবর্তন,জীববিজ্ঞান ও রসায়ন বিদ্যা এই তিনটে শক্ত ভিতের উপরেই প্রেম বা বহুগামীতা নামক তাঁবুটির বাস। সেরেছে !
এতক্ষণ বিবর্তন আর জীববিজ্ঞান ছিল। এখন আবার তার সঙ্গে রসায়ন যোগ করলে ? হ্যাঁ, আফ্রিকান সমভূমিতে আজ থেকে প্রায় চল্লিশ লাখ বছর আগে প্রথম মস্তিষ্ক থেকে এক বিশেষ ধরনের নিউরো-কেমিক্যাল ক্ষরণ হয়।নারী ও পুরুষ এরই প্রভাবে একে অন্যের দিকে তাকায়। ঘামতে থাকে হাতের তালু, আঙ্গুল, ত্বকে রক্তিম আভা, দ্রুত নিশ্বাস প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়। জন্ম হয় এক নতুন অনুভূতির। যার নাম প্রেম। বুঝলে কিছু ? বউএর জিজ্ঞাসু প্রশ্নের উত্তরে বললাম,হ্যাঁ বুঝলাম ! আচ্ছা দেখতো আমার মুখ টা কি লাল হয়ে গেছে ? আমার হাতের তালু আর আঙ্গুল কিন্তু ঘামছে ! নিঃশ্বাস ও খুব দ্রুত পড়ছে ! তাহলে কি আমি আবার নতুন করে তোমার প্রেমে পড়লাম ? না। আসলে আমি আর কতক্ষণ তোমায় জ্বালাবো এটা ভেবেই তোমার উৎকন্ঠা বাড়ছে !
আসলে প্রেম আর উৎকণ্ঠার বাহ্যিক প্রকাশ মোটামুটি এক ই রকম। এর জন্যে দায়ী এম্ফেটামাইনের সমগোত্রীয় কিছু রাসায়নিক। যার মধ্যে নাম করা যায় – জেপ্যামিন, নরএপিনেফ্রিন আর বিশেষ করে ফিনাইল ইথাইল এমিন( PEA) ইত্যাদির। যাক, তুমি যখন বুঝেছো যে আমার উৎকণ্ঠা বাড়ছে, সেই সঙ্গে রক্ত-চাপ ও তখন একটু রেহাই দাও লক্ষ্মী-সোনা ! স্নান খাওয়া করে আবার তোমার গল্প শুনব ! বউ এবার সদয় হোল ! সত্যি গো, তোমার মত মুখ্যু কে এত কথা একসঙ্গে বললে তোমার কিছুই মনে থাকবেনা ! তুমি বরং স্নান খাওয়া করে একটু ঘুমিয়ে নাও। আমি সন্ধ্যায় আবার তোমার ক্লাস নেব ! বলির পাঁঠাকে যেমন স্নান করিয়ে ঘাস খাইয়ে তারপর ঘচাং করে কাটে, আমিও তেমন ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ই স্নান খাওয়া সেরে মটকা মেরে বিছানায় শুয়ে রইলাম।
বিকেলে আমি রোজ ই বাড়ীর চারপাশে একটা চক্কর মারি। আজ গিয়ে চুপ করে একটা পার্কে বসে সময় কাটালাম। তারপরেই এল সেই ভয়ঙ্কর সন্ধ্যা !! আমার ক্লাস শুরু !! তোমার মনে আছে, আমার প্রেমে তুমি যখন হাবুডুবু খাচ্ছিলে তখন একদিন আমায় জড়িয়ে ধরে গেয়েছিলে, “আমার ও পরাণ যাহা চায় ?” গেয়েছিলাম বুঝি ? সে কত যুগ আগের কথা। সব কি মনে আছে ? আসলে সেটা ছিল তোমার ফিনাইল ইথাইল এমিন ( PEA )এর নেশা ! তবে এই PEA নেশা অনন্তকাল থাকেনা। যে কোন এমফেটামিনস এর মতই এই কেমিক্যাল ও শরীরের সঙ্গে টলারেন্স-ডিপেন্ডেন্স এর খেলা খেলে। ক্রমশ শরীরে এই PEA টলারেনস তৈরি হয়। তিন চার বছরের মধ্যে শরীরে PEA টলারেন্স এতোটাই বেড়ে যায় যে, রোমান্টিক প্রেম জাগাতে যতটা পরিমাণ PEA দরকার শরীর আর তা তৈরি করতে পারেনা। ফলে প্রেমের অনুভূতি আর আগের মত তীক্ষ্ণ থাকেনা। ফলে নতুন প্রেমের স্বাদ পেতে অনেকেই ছুটে বেড়ান নির্দিষ্টতার সম্পর্ক থেকে আর এক সম্পর্কে, স্থান থেকে স্থানান্তরে। এর ই নাম বহুগামীতা।
মানে ? তুমি কি আমায় এবার বহুগামী অপবাদ দেবে ? আমি দিচ্ছিনা, এঁরা দিচ্ছেন ! এঁরা কারা ? এইযে জীববিজ্ঞানী মেরেডিথ স্মল তাঁর Whats love got to do with it ? বইএর ১৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “ এটা প্রতীয়মান যে নারী এবং পুরুষ কেউই জীবতাত্বিক ভাবে একগামিতার জন্য তৈরী নয়”। প্রাইমেটবর্গের ( যার মধ্যে মানুষ ও অন্তর্ভুক্ত ) ২০০ টি প্রজাতির মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ একগামী। ও ! একা মেরেডিথ কি বলেছেন সেটাই মেনে নিতে হবে বিনা বাক্যব্যয়ে ? জবাবে বউ যে বিশাল বইটা নিয়ে এলেন,হার্ডকভারে বাঁধানো বই টা আমার মাথায় ছুঁড়ে মারলে ফেটে চৌচির হয়ে যাবে !এলিসন রজার্স এর বিশাল গবেষণা গ্রন্থ “ Sex: A Natural History” এর ৩৩৮ পাতায় লিখেছেন, মানুষ অন্তত ১০০% একগামিতা বা ১০০% হারেম প্রথা, কোনটার জন্যেই পরিকল্পিত হয়নি। শোন, তোমার ঐ PEA এর গল্প যদি সত্যি হয় তাহলে তুমি আর আমি একসঙ্গে ৪১ টা বছর কাটালাম কি করে ? আমি এবার ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করলাম !
বলছি। তার আগে তোমার জন্যে কটা লুচি আর আলুছেঁচকি বানিয়ে আনি !বউ এবার সদয় হয়ে রান্নাঘরে ঢুকল আর আমি ঢুকলাম ফেসবুকে ! ডিনার টেবিলে ডাক পরলো ঘণ্টা খানেক পরে। ফুলকো লুচি আর আলুছেঁচকির সদ্ব্যবহার করে আমি বিছানায় এসে শুয়ে পড়লাম। আধঘণ্টা পরে বউ এসে পাশে শুয়ে আমায় জড়িয়ে ধরে বলল, ঐ PEA পর্বটা শেষ হওয়ার আগেই আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম যে ! পাকাপাকি ভাবে একজনের সাথে বাস করলে সেই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ক্রমাগত উপস্থিতি মস্তিষ্কে এনডরফিন জাতীয় এক রাসায়নিকের ক্ষরণ নিশ্চিত করে। এই জাতীয় রাসায়নিক আনন্দের তুবড়ি না ফোটালেও এক শান্ত, সমাহিত, নিশ্চিন্ত, নিরাপদ ভাব সৃষ্টি করে। বলা যায়, এগুলি প্রাকৃতিজ যন্ত্রণা নিবারক। দম্পতিদের মধ্যে একে অপরকে ছেড়ে গেলে বা একজন মারা গেলে এই এনডরফিনের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দূর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন।
আচ্ছা, তুমি যে এত পড়াশুনো করলে তা বলতো এই মুহুর্তে মানুষ বহুগামী না একগামী ? আমার মতে, মানুষ এখন মূলত একগামী, তবে গোপন ব্যভিচার সহ !
0 comments: