স্মৃতির সরণী - বিপুল দাস
Posted in স্মৃতির সরণী
স্মৃতির সরণী
কথামালা
বিপুল দাস
১৯৭১-এ ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রপতি শাসনের সুযোগ নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নকশাল দমনের কাজে ব্যবহার করতে শুরু করলেন। সঙ্গে রাজ্য-পুলিশ এবং প্যারা-কমান্ডোদের এই মিলিত আক্রমণের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন স্টিপল্চেজ’। সিপিএম-এর ক্যাডাররা নকশালদের মারছে, কংগ্রেসি গুণ্ডারা মারছে, পুলিশ মারছে, মিলিটারি মারছে। পার্টির নেতৃত্বও তখন আর প্রশ্নহীন, অবিসংবাদিত নয়। দল ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন অনেক তাত্ত্বিক নেতা। বহু তরুণের তাজা প্রাণের রক্তে ভিজে আছে পশ্চিমবাংলার মাটি। ক্ষতবিক্ষত, ছিন্নভিন্ন দল থেকে বেরিয়ে তৈরি হচ্ছে অসংখ্য উপদল। যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল কাকদ্বীপ থেকে তেলেঙ্গানা, শ্রীকাকুলাম থেকে গোপীবল্লভপুর, অন্ধ্রে, উড়িষ্যায়, মধ্যপ্রদেশে, বিহারে, উত্তরপ্রদেশে – তার উৎসভূমির প্রদীপ নিভে আসছিল। কিন্তু অগ্নিশিখাটুকু নেভানো যায়নি। এখনো তারা তাদের আদর্শের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে জেহানাবাদে, জঙ্গলমহলে, সীতামাঢ়ীতে, অন্ধ্রে। কিন্তু চারু মজুমদারের লাইন থেকে অনেক দূরে তাদের রণনীতি। ভূমিহীন কিষাণের অধিকারের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম নয়, তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ডাক দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সেই আন্দোলনের রূপরেখা ও তার প্রয়োগের ত্রুটিবিচ্যুতি অনেক আলোচনা, অনেক লেখালেখি হয়েছে। শৈলেন দেবনাথের মতে –
একঃ চারু মজুমদারের গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার রণনীতি ভুল ছিল। এই লাইন সার্থক ভাবে প্রয়োগ করতে হলে গ্রামীন শ্রমিককৃষক বাহিনীকে যে রাজনীতির শিক্ষা দেওয়া দরকার ছিল, তা দেওয়া হয়নি। গেরিলাযুদ্ধের রণকৌশল শেখানো হয়নি। অস্ত্র বলতে সামান্য কিছু ছিনতাই করা পুলিশের রাইফেল আর জোতদারের গাদা বন্দুক। চারু মজুমদার ভেবেছিলেন এ ভাবেই সরকারকে বাধ্য করবেন সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতির দিকে।
দুইঃ কানু সান্ন্যালের আপত্তি সত্ত্বেও জনভিত্তির ওপর জোর না দিয়ে গোপন সংগঠনের ওপর জোর দেওয়া। গোপনীয়তা বজায় রাখার ব্যাপারে এই গোপন সংগঠনগুলোর মধ্যে দ্রুত যোগাযোগের অব্যবস্থা।
তিনঃ শহুরে মধ্যবিত্ত মানসিকতার যুবকদের প্রকৃত রাজনৈতিক শিক্ষা ছাড়াই, তাদের সম্পর্কে ঠিকঠাক খোঁজখবর না নিয়েই পার্টির কাজের দায়িত্ব দেওয়া। প্রকৃতপক্ষে এক সময় কোনও একটি অঞ্চলের প্রায় সমস্ত কিশোর এবং যুবকরাই নকশালপন্থী হয়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক ক্লাস নিয়ে ভারতবর্ষ এবং পৃথিবীর ইতিহাস, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লড়াই-এর কৌশল, দেশি পুঁজি-বিদেশি পুঁজির শোষণের পদ্ধতি – ইত্যাদি বিষয়ে তাদের খুব কমই বোঝানো হয়েছে। এক ধরণের নায়কোচিত বীরত্বের আবেগে সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখত এরা। স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল।
চারঃ রাজনৈতিক সভাসমাবেশ, সঠিক প্রচার ইত্যাদির দ্বারা জনভিত্তি সুদৃঢ় করার বদলে ব্যক্তিহত্যার লাইন, ফলে জনসমর্থনও যেটুকু ছিল, শেষের দিকে সেটাও আর ছিল না। প্রকৃত পক্ষে কে প্রকৃত শ্রেণিশত্রু, সেটা নিয়ে দলের কর্মীরাই সংশয়ে ভুগেছে। এমনও দেখা গেছে, যে মানুষটি পার্টির সহায় বা সমর্থক হতে পারত, শুধুমাত্র ধনী হওয়ার অপরাধে খতম হয়ে গেছে।
পাঁচঃ ঠিকঠাক স্ক্রুটিনি না করে যেমন খুশি ক্যাডার নিয়োগ করে সংখ্যার বিচারে আত্মপ্রসাদ লাভ হ’ত, কিন্তু তার ফলে দলে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের স্পাই, এবং অবশ্যই পুলিশের গুপ্তচর বাহিনী দলে ঢুকে পড়েছিল। গোপন সভাসমাবেশের কথা দ্রুত পুলিশের কাছে পৌঁছে যেত।
একদম সঠিক বিশ্লেষণ করেছেন শৈলেন দেবনাথ। গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরা হবে, অথচ যোদ্ধা হচ্ছে নবিশ আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা শহুরে কলেজের ছাত্র এবং আনাড়ি কৃষক। রণকৌশল তৈরি না করেই, তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দিয়ে গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার ডাক দেওয়া হ’ল। কানু সান্ন্যালের আপত্তি সত্ত্বেও গোপন সংগঠনের ওপর জোর দেওয়া। রাজনৈতিক ভাবে সংগ্রামকে এগিয়ে না নিয়ে ব্যক্তিহত্যার রাজনীতি। আদপেই শ্রেণিশত্রু নয়, এমন নিরীহ মানুষকে খতম করার চুল হিসেব। দলে কে পঞ্চমবাহিনীর লোক, সে সব মনিটরিং করার কেউ ছিল না। গোপন খব্র অতি সহজেই ফাঁস হয়ে যেত। গুরুত্বপূর্ণ নেতারা অভাবিত ভাবে ধরা পড়ে যেতেন।
১৯৬৭ তে আমি কলেজে, সেকেন্ড ইয়ার। আজ আমার এই ৬৭ বছর বয়সে পেছন ফিরে তাকিয়ে কত অস্পষ্ট ছবি ভেসে ওঠে। টুকরো টুকরো হয়ে গেছে সিপিআই এম এল। আমি কোনও দিন অ্যাকশন স্কোয়াডে ছিলাম না। এমন কী ওয়াল-পোস্টারিংও করিনি। পড়াশোনা করতাম। নতুন ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে দেখতাম ওরা কেউ সোনাম ওয়াংদির নামও শোনেনি, এম এন রায় তো দূর অস্ত্। বুঝতাম ওরা অ্যাকশনে যেতে বেশি আগ্রহী। ওরা রেডবুকের নাম শুনেছে, চারু মজুমদারের ঐতিহাসিক আটটি দলিল পড়েনি। গল্পের ছলেই আমি প্যারি কমিউনের গল্প, রাশিয়ার বিপ্লব, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং বিশ্বপুঁজির বাঁটোয়ারা নিয়ে পশ্চিমি শক্তির লড়াই, জাতপাতের ঊর্ধে উঠে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের ঐক্যের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র ও শ্রেণিহীন সমাজ গড়ার কথা বলতাম। খুব একটা সুবিধে হ’ত না। তা ছাড়া আমার নিজেরই তখনও অনেক সংশয় দূর হয়নি।
চারুদার পরিবারের সঙ্গে এখনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। অসম্ভব ভালোমানুষ ছিলেন লীলাদি। বড় মেয়ে অনীতা মজুমদার ডাক্তার, ছোট মেয়ে মধুমিতা ভালো গল্পকবিতা লেখে, ছোট ছেলে অভিজিৎ মজুমদার শিলিগুড়ি কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক। নানারকম সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে অভিজিৎ জড়িত। এ ছাড়াও সিপিআই—এম এল( লিবারেশন) গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।
মাঝে মাঝে নদীর পারে গিয়ে একটা পুরনো গাছ খুঁজি। গাছটা আর খুঁজেই পাই না। সেই নদী নেই। অনেক দূরের একটা কালো জলের আবিল নর্দমা হয়ে গেছে আমার প্রিয় মহানন্দা। যা ছিল টলটলে সবুজ জল, এখন পঙ্কিল, দুর্গন্ধময়। সেই গাছটার নীচে একদিন আমার মাথায় শোষণমুক্ত পৃথিবীর কথা বলেছিল দীপকদা। এই গাছের নীচে পুলিশের দালাল ননী মজুমদার শরীরে চৌত্রিশটা টাঙ্গির কোপের চিহ্ন নিয়ে পড়েছিল। এই গাছের নীচে রানাকে গুলি করে বর্ষার মহানন্দায় ভাসিয়ে দিয়েছিল সিদ্ধার্থ রায়ের পুলিশ। গাছটা নেই। পরে শুনেছিলাম কে নাকি ঐ গাছে ফাঁসি দিয়ে মরেছিল। আশপাশের লোকজন ভয় পেত। কেটে ফেলেছে ওরাই। নেই সেই মহাযুদ্ধের সাক্ষী। কেউ সেদিন বলেনি – বাছা তুমি রণে যাইও না। চৌদিকে কাফিরের দেশ, জহর মিলে তো পানি মেলে না। তিতাসের সেই বিখ্যাত জারিগান।
শাশ্বত একদিন একটা অদ্ভুত গল্প শুনিয়েছিল। ওর বাবা অনিল সরকার ছিলেন আমাদের পাড়ার স্কুলের হেডমাস্টার। তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান থেকে এসে আরও অনেক উদ্বাস্তুর মত কলোনিতে জমি পেয়ে ঘরবাড়ি তুলেছিলেন। ওপারেও তিনি শিক্ষক ছিলেন। কলোনিতে স্কুলের জন্য জমি দিয়েছিলেন স্থানীয় একজন পুরনো রাজবংশী জোতদার শ্রেণীর লোক। ওপারে সব ছেড়ে-আসা মানুষজন মাথার ওপরে আচ্ছাদন আর দু’বেলা কায়ক্লেশে নুনভাতের ব্যবস্থা করার পর হাত দিয়েছিলেন তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে লেখাপড়া শেখানোর ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে। প্রাথমিক ভাবে ওই ভূস্বামীর দলিজ ঘরে ক্লাসের ব্যবস্থা হয়েছিল। পরে সরকারি সাহায্য আর স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে একটু একটু করে স্কুলটা গড়ে উঠেছিল।
ফালতু ধরা পড়েছিল শাশ্বত। সে সময়ে অবশ্য অনেকেই এ রকম ফালতু, শুধু সন্দেহের বশেই ধরা পড়ত। কোনও কালে কোনও পলিটিক্সের ভেতরেই সে ছিল না। নদীর পারে ছাতিমতলায় ননী মজুমদার খতম হয়েছে শুনে সে একেবারে কাঁচা গাণ্ডুর মত একটু বেশি রাতে স্পট দেখতে গিয়েছিল। সেখানে মোতায়েন ছিল জাসুসি পুলিশ। বর্ষায় ধানখেতে যেমন ধানগাছের নড়াচড়া দেখে কপাত্ করে পলো ফেলে শোলমাছ ধরে মানুষ, তেমনই কপাত্ করে তাকে ধরেছিল পুলিশ। ওরা নিশ্চিত ছিল শাশ্বত একজন ক্রিমিনাল। কারণ, আর্থার কোনান ডয়াল বলেই গেছেন অপরাধী তার অপরাধের স্পটে একবার ঘুরে আসবেই।
ভ্যানে তোলার আগে একজন পুলিশ তার পেছনে বন্দুকের নল ঠেসে ধরে বলেছিল – মাদারচোদ, রাজনৈতিক ক্ষমতার উস্সো বন্দুকের নল, অ্যাঁ ? দ্যাখ কেমন লাগে। শালা, মাও-সে-তুং তোর গাঁড়ে ভরে দেব এবার। ইন্ডিয়ার খাবি আর চায়নার ঢেকুর তুলবি। আর একজন সিপাই বলেছিল – এই দত্ত, বাই চান্স ফায়ার হয়ে যাবে। হা হা করে হেসে উঠেছিল দত্ত। বলেছিল – আরে সেও তো একরকম মারা-ই হবে। মাইরি, এদের পোঁদে নল ঠেকালেই আমার বডিতে কেমন হিট এসে যায়। শাশ্বত টের পাচ্ছিল তার রেক্টামে চাপ দিচ্ছে রাষ্ট্রের ধাতব-শীতল তীক্ষ্ণতা।
পেছনে বন্দুক ঠেকিয়ে ওকে একটু দূরে অন্ধকারে দাঁড়-করানো কালোগাড়িতে তোলা হয়েছিল। তখন আর একটা জিপ থেকে নেমে এসেছিল একজন কাঁধে স্টারলাগানো অফিসার। হাতে মোটা কালো কাঠের রুলার। শাশ্বত টের পাচ্ছিল এখনই মলমূত্রে তার পোশাক নষ্ট হয়ে যাবে। তার মুখের দিকে টর্চ মেরে কিছুক্ষণ দেখল সেই অফিসার। মদের গন্ধ পাচ্ছিল শাশ্বত।
আরে, এটাকে কে ধরে আনল ?
আমরা স্যার, আমি আর দত্ত। জানতাম, মাল ঠিক দেখতে আসবে।
মাল না বাল। এটাকে তো বাংলার ঠেকে রেগুলার বসে থাকতে দেখি। শালা, এখনই হেগেমুতে দেবে। এ করবে মার্ডার ? ধুস্, দেখছিস না লিভার পচে গেছে। একদিন জোরে কোথ্ পেড়ে হাগলেই লিভারমিভার সব বেরিয়ে যাবে। দু’দিন পরে এটা এমনই ভোগে যাবে।
শাশ্বত বুঝতে পারছিল না সে যে বাংলাপোষ্য নয়, বাপের কড়া শাসনে নিয়মিত কে সি নাগপোষ্য কিশোর, সে কথা বলে কোনও লাভ হবে কিনা।
নাম কী তোর ?
শা শা ...
দেব স্যার ? দেখুন আবার আপনাকে খিস্তি দেবার চেষ্টা করছে। বাহানচোদ...
চুপ করো দত্ত। আমাকে হ্যান্ডেল করতে দাও।
মারুন স্যার, আপনিই হ্যান্ডেল মারুন। দেখুন কিছু বেরোয় কিনা।
হ্যাঁ বল, কী নাম তোর ?
শাশ্বত সরকার। বাবার নাম ...
জানি, তোর বলতে হবে না। অনিল সরকার। এই এরিয়ার প্রত্যেকের ঠিকুজিকুষ্ঠি আমাদের জানা আছে। এত রাতে এখানে কী করতে এসেছিলি ? তুই জানিস না আজ এখানে একজনকে কুপিয়ে মারা হয়েছে।
তৎ... তখন আসতে সাহস হয়নি, এখন ভাবলাম একবার দেখে আসি জায়গাটা।
দেখাচ্ছি তোকে। দত্ত, একে জিপের পেছনে বসাও। ওই বাঁশঝাড়ের ওদিকটায় চলো।
দত্ত বুঝে গেল বাঁশঝাড়ের সামনে নামিয়ে একেও একই চিত্রনাট্য অনুযায়ী বলা হবে – যা পালা, ছেড়ে দিলাম তোকে। তারপর প্রাণভয়ে যেই ছুটতে শুরু করবে, পেছন থেকে সরকারি বুলেট পিঠ ফুটো করে দেবে। স্যারের হাত বড় চমৎকার। কালই কাগজে বেরোবে মিথ্যে এনকাউন্টারের গল্প।
বাঁশঝাড়ের পাশে অন্ধকারে জিপ দাড় করাল ড্রাইভার গুরুং। চোখের সামনে কত মার্ডার দেখল সে। শাশ্বতকে নিয়ে দত্ত নেমে এসেছিল। জিপের সামনে হেডলাইটের আলোর বৃত্তে তাকে দাঁড়াতে বলল এস আই চৌধুরী। বলল – যা ভাগ, বাড়িতে গিয়ে পড়তে বোস। যা যা, পালা জলদি।
এক মুহূর্ত থমকে গিয়ে প্রাণের ভয়ে দৌড়তে শুরু করেছিল শাশ্বত। গাড়ির আলোয় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল প্রাণের ভয়ে মানুষ কেমন করে পালাতে চায়। দত্ত অপেক্ষা করছিল স্যারের নিখুঁত অ্যাক্শনের জন্য। স্যার এসে গাড়িতে বসে রইলেন। পালিয়ে বাঁচতে-চাওয়া ওই শরীরটার প্রতি তার কোনও আগ্রহ দেখা গেল না।
ছেড়ে দিলেন স্যার ? হতাশ গলায় দত্ত বলেছিল।
ধুস্ ওটা আর ম্যাক্সিমাম একমাস বাঁচবে। ফালতু একটা সরকারি বুলেট খরচ করে কী লাভ ? বুঝতে পারছ না, এটার নকশাল হওয়ার মত মুরোদ নেই। নকশাল হতে গেলে হেবি দম লাগে। শালা, প্রথম দিকে ফোর্সের মনোবলই ভেঙে দিয়েছিল। বউ দিনরাত কাঁদত। চাকরি ছেড়ে দিতে বলত। শ্বশুর কালীঘাটে পুজো দিয়ে এসেছিল।
শাশ্বত পালিয়ে যাওয়ার পর হয়তো এ রকমই কথাবার্তা হয়েছিল ওদের ভেতর। অনেক পরে শাশ্বত জেনেছিল সেই এস আই ছিল তার বাবার ছাত্র। এই শক্তিনগর কলোনি গড়ে ওঠার সময় বিনয় চৌধুরীও অনিল সরকারের সঙ্গে স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজে উদয়াস্ত পরিশ্রম করেছে। সেই বিনয় চৌধুরীর ছেলে এখন এস আই আয়ুষ্মান চৌধুরী।
0 comments: