গল্প - অরিন্দম চক্রবর্তি
Posted in গল্প
গল্প
যে সব গল্পের কোনও নাম হয়না
অরিন্দম চক্রবর্তি
হচ্ছেনা। একদম হচ্ছেনা, জঘন্য...
- কেন স্যার
- আবার গাঁঢ়লের মতন জিজ্ঞেস করছে দেখ
- না মানে
- এটা গদ্য হয়েছে
- কবিতার মতন
- তোমার ইয়ে, মানে ড্যাশের মতন
- তাহলে
- আবার লেখো
- কীভাবে শুরু করব, মানে
- ফ্ল্যাট প্রেমের গল্প চলবেনা।
- প্রেমের গল্প'ত স্যর প্রেমরই গল্প, ভালোবাসা মূখ্য।
- রূপক বোঝো
- আমার এক বন্ধু আছে
- উফ, এ মানুষ রূপক নয়, এ হলো, তোমার মতন লোককে বোঝানো! শোনো, ঐ যে নদীর পাড়, নদী নদীই থাকবে কিন্তু তাতে জল নেই
- গ্রীষ্মকালে আমাদের ছোটো নদীতে জল থাকেনা।
- শিশুমার্কা কথা বলোনো।
- নদীতে জল নেই, তার বদলে গলিত লাভা। মাছের গায়ে মাংস নেই, কাঁটা সর্বস্ব খাঁচা নিয়ে তারা একবার উড়ে, ডুবে গেল, ভুল করে আবার এখানে বেদনার গাঢ় রস এনোনা, তাহলে অতি-বিনয় হয়ে যাবে।
- স্যার, তারপর।
- নদীর ধার, রাত নায়ক-নায়িকা
- নায়িকা নিশ্চয়ই নায়্কের বুকে…
- ওগুলো কানন যুগে খেত, এখন অন্যরকম। নায়িকার তেষ্টা পাবে…
- তাহলে স্যর তখন নায়ক জল আনতে যাবে বলুন?
- ধোর, তুমি যাও, তোমাকে দিয়ে হবেনা
- সরি, স্যার
- এ নায়িকা কী এলিতেলি নাকী! এ জল খায়না, লাভা খায়... নবারুণ ফ্লেভার, এ মা কীরকম হাঁ করে তাকিয়ে আছে দেখ, নাম শোননি নবারুণের!
মাত্র কয়েক লাইন, নদীতে জল নেই, লাভা। মাছের কঙ্কাল, নায়িকা লাভা খায়। উষ্ণায়ন, বিশ্বায়ন, প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা, প্রগতিশীলতা সব এসে গেল...মাত্র কয়েক লাইন
- তারপর
- একটু ইন্টিমেসিতো হবেই, তা-বলে মিলন দৃশ্য বর্ণনায় সিলিং ফ্যান ঘুরছে আর প্রজাপতি ফুলে ফুলে ওসব নয়,
- তাহলে
- টিকটিকি আনবে। ঘরময় টিকটিকি। ছোটো বড়ো, হোৎকা লিকলিকে... কিছুক্ষণ পর আওয়াজ
- আওয়াজ কীসের?
- যা শালা এতক্ষণ আদর হলো, খসবে না! ন্যাজ খসার আওয়াজ
- ও
- এবার লেখার টেবিল, ছড়ানো পাতা, ব্রেসিয়ারের হুক, আরশোলার ডানা টিকটিকির গু, হাতের ওপর নীল তিমি...আঁকা...
জায়গা থাকলে, জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে নীল ঘোড়া চাঁদ খাচ্ছে লিখে দিতে পার।
বুঝতে পারলে, কী বললাম?
- পারনি, যাক নিশ্চিন্ত হলাম...
অন্য স্বাদের। ভালো লেগেছে।
ReplyDelete