কবিতা - মনিরুল মনির
Posted in কবিতাকবিতা
চট্টগ্রাম : মৃত্যু উপত্যকা
মনিরুল মনির
মাটি ভেঙে কেটে রাখো এ মৃত্যু উপত্যকা।
জব্দ করিস শয়তান, মানুষের সুখ।
পাহাড়ের বাদশাহী করবি গোলাম,
জঙ্গল মুছে রাখিস বিরান নগরী!
২.
গাছ মরে গেছে অভিমানে অপরাধে,
চিৎকারে ফেটেছে বসতির পোকারা।
কোথাও কেঁদে মরে শিশুদের মায়েরা,
রাত নেমে চুলোটা নিভে গেছে, স্বপ্নরা
জেগে জেগে পাহাড়ের কোলে হাসি বুনে
কেউ কখনও ভাবেনি মাটি পড়ে ঢেকে
যাবে রাজ্যের উপমা
৩.
সংসার ভেঙে ভেঙে
খাবারের জোগান কমায়
দাম্পত্য রহস্যগুলো আমাকে পোড়ায়
স্নেহের পুত্র কন্যারা কাটা পাহাড়ের তলে পড়ে মরে
ধসে পাহাড় অকুল পাথার
ছলিমপুরের জঙ্গল-কাহিনী
আমাদের লালবাজারের বাঘগোনায় নেমেছে
৪.
শহরের গাছ কমে গেছে
প্রেমিকারা আর অপেক্ষায় না থেকে মৃত গাছে
বসে আছে, ওখানে এখন কালো অন্ধকার
বন সয়ে গেছে, মানুষ পুজোতে মেতে আছে
বিলাস গরজে ক্যাকটাস-বনসাইয়ে জৌলুস
তাতিয়ে রাখে ঘর, রেস্তোরাঁর গুল্ম রন্ধনে
কিংবা মহাকাব্যিক স্যুপের রেসিপি লিখেছেন
কোনও এক কবি
পাহাড়হীন গাছহীন এ নগরীতে
প্রেম বিভেদে-বিপথে গেছে
জানালা- দেয়ালে প্রাসাদের ছাদে
মৃত গাছ-লতা ঝুলে আছে
৫.
উড়ে গেল জানালা, শাড়ি, কাচ ঘেরা স্নানের ঘর
জ্যান্ত মানুষের লাশ
মনে হয় ঢেউয়ের দড়ি বেয়ে
ভেসে যায় যেন সফেদ তুষার, ওপারে সমুদ্র
হিমালয় থেকে নিয়ে আসে জলের খ-িত পে-ুলাম,
সময়ের ঘাড়ে পুরো পৃথিবী চষে বেড়ায় ঝঞ্ঝা
অপার প্রকৃতির তিরিক্ষি জেদ, গন্ধময় মাটি
রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে, মানুষ-প্রজাপতি ভাসে, প্রাণঘাতী এই বায়ু।
ঝড়ের তা-বে ল-ভ-,
বাতাসে ভেসে আসে স্তব্ধতা,
সতর্কতায় কেঁপে উঠে বুক, চোখে-মুখে ঘুমের ঘোর লেগে থাকে।
৬.
স্থির এই নদীর মতোন
জীবনও যদি থেমে যায়।
গাছে প্রাণ
নিচে ঝরা পাতারা উড়ে বেদম।
পথে বিষ-বায়ু।
তেতো মানুষের ভিড়ে একা
খুঁজেন, আমি নেই ওখানে।
৬.
আলুথালু এক বিড়াল
হাঁটছে সদর দরজায়।
বিষের শিশি ভেঙ্গে পড়ে মেঝেতে
কালো মাটি
তেতো অন্ধকারে মিশে যায়।
রক্তখেকো
মানুষ সত্যের মতো
মিথ্যে বলে যায়।
সমাজপাঠে বিড়ালের গলায়
ঘণ্টা বেঁধে যায়
ঘর ভেঙে নারী মরে
ঘর ভেঙে সত্য মরে
তুবও জীবন হাসে
সকালে-বিকালে মানুষ কাঁদছে
প্রত্যেক ভাঙ্গনে মানুষ বাঁচছে।
৭.
বয়ে যাওয়া নদীতে ঘুরে পাহাড়ের প্রাণ
এ জলে মিশে গেছে কাগজ কলের বিষ
পাখিদের মায়া নেই, বনের গাছে রাক্ষস
নেমে আসে ভিড়ের নগরে অতি বিপদে
বাতাসে দুর্গন্ধ হানা দেয় ঘুম-মগ্নতায়
ওখানে মানুষ মরে, খড়কুটো জলঝড়ে
মোহনার নিঃসঙ্গতা এঁকেছে মনের জট
চন্দ্রঘোনায় নেমেছে আজ নদীর মাতম
হায়রে কর্ণফুলী উজবুকের ছলকায়
আজ জর্জরিত ক্লান্ত মায়ার এক জীবন
ওখানে একটু দীর্ঘশ্বাস লিখে করি খুন
কবিতায় খোঁড়া আধপোড়া মেয়ের সুখ
৮.
মন্ত্রক বলতে থাকে
কৃষক মরলে সরিষা লাগাবে পুরো দেশে
শহরে কেটে খাল নিয়ে আসবে
বানের ঘন উৎসাহ মরে গেছে
আহ! সরিষা ভূত
আমাদের অধপতন নিয়ে রাষ্ট্র কী ভাবে, কীভাবে?
মাটি ভেঙে কেটে রাখো এ মৃত্যু উপত্যকা।
জব্দ করিস শয়তান, মানুষের সুখ।
পাহাড়ের বাদশাহী করবি গোলাম,
জঙ্গল মুছে রাখিস বিরান নগরী!
২.
গাছ মরে গেছে অভিমানে অপরাধে,
চিৎকারে ফেটেছে বসতির পোকারা।
কোথাও কেঁদে মরে শিশুদের মায়েরা,
রাত নেমে চুলোটা নিভে গেছে, স্বপ্নরা
জেগে জেগে পাহাড়ের কোলে হাসি বুনে
কেউ কখনও ভাবেনি মাটি পড়ে ঢেকে
যাবে রাজ্যের উপমা
৩.
সংসার ভেঙে ভেঙে
খাবারের জোগান কমায়
দাম্পত্য রহস্যগুলো আমাকে পোড়ায়
স্নেহের পুত্র কন্যারা কাটা পাহাড়ের তলে পড়ে মরে
ধসে পাহাড় অকুল পাথার
ছলিমপুরের জঙ্গল-কাহিনী
আমাদের লালবাজারের বাঘগোনায় নেমেছে
৪.
শহরের গাছ কমে গেছে
প্রেমিকারা আর অপেক্ষায় না থেকে মৃত গাছে
বসে আছে, ওখানে এখন কালো অন্ধকার
বন সয়ে গেছে, মানুষ পুজোতে মেতে আছে
বিলাস গরজে ক্যাকটাস-বনসাইয়ে জৌলুস
তাতিয়ে রাখে ঘর, রেস্তোরাঁর গুল্ম রন্ধনে
কিংবা মহাকাব্যিক স্যুপের রেসিপি লিখেছেন
কোনও এক কবি
পাহাড়হীন গাছহীন এ নগরীতে
প্রেম বিভেদে-বিপথে গেছে
জানালা- দেয়ালে প্রাসাদের ছাদে
মৃত গাছ-লতা ঝুলে আছে
৫.
উড়ে গেল জানালা, শাড়ি, কাচ ঘেরা স্নানের ঘর
জ্যান্ত মানুষের লাশ
মনে হয় ঢেউয়ের দড়ি বেয়ে
ভেসে যায় যেন সফেদ তুষার, ওপারে সমুদ্র
হিমালয় থেকে নিয়ে আসে জলের খ-িত পে-ুলাম,
সময়ের ঘাড়ে পুরো পৃথিবী চষে বেড়ায় ঝঞ্ঝা
অপার প্রকৃতির তিরিক্ষি জেদ, গন্ধময় মাটি
রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে, মানুষ-প্রজাপতি ভাসে, প্রাণঘাতী এই বায়ু।
ঝড়ের তা-বে ল-ভ-,
বাতাসে ভেসে আসে স্তব্ধতা,
সতর্কতায় কেঁপে উঠে বুক, চোখে-মুখে ঘুমের ঘোর লেগে থাকে।
৬.
স্থির এই নদীর মতোন
জীবনও যদি থেমে যায়।
গাছে প্রাণ
নিচে ঝরা পাতারা উড়ে বেদম।
পথে বিষ-বায়ু।
তেতো মানুষের ভিড়ে একা
খুঁজেন, আমি নেই ওখানে।
৬.
আলুথালু এক বিড়াল
হাঁটছে সদর দরজায়।
বিষের শিশি ভেঙ্গে পড়ে মেঝেতে
কালো মাটি
তেতো অন্ধকারে মিশে যায়।
রক্তখেকো
মানুষ সত্যের মতো
মিথ্যে বলে যায়।
সমাজপাঠে বিড়ালের গলায়
ঘণ্টা বেঁধে যায়
ঘর ভেঙে নারী মরে
ঘর ভেঙে সত্য মরে
তুবও জীবন হাসে
সকালে-বিকালে মানুষ কাঁদছে
প্রত্যেক ভাঙ্গনে মানুষ বাঁচছে।
৭.
বয়ে যাওয়া নদীতে ঘুরে পাহাড়ের প্রাণ
এ জলে মিশে গেছে কাগজ কলের বিষ
পাখিদের মায়া নেই, বনের গাছে রাক্ষস
নেমে আসে ভিড়ের নগরে অতি বিপদে
বাতাসে দুর্গন্ধ হানা দেয় ঘুম-মগ্নতায়
ওখানে মানুষ মরে, খড়কুটো জলঝড়ে
মোহনার নিঃসঙ্গতা এঁকেছে মনের জট
চন্দ্রঘোনায় নেমেছে আজ নদীর মাতম
হায়রে কর্ণফুলী উজবুকের ছলকায়
আজ জর্জরিত ক্লান্ত মায়ার এক জীবন
ওখানে একটু দীর্ঘশ্বাস লিখে করি খুন
কবিতায় খোঁড়া আধপোড়া মেয়ের সুখ
৮.
মন্ত্রক বলতে থাকে
কৃষক মরলে সরিষা লাগাবে পুরো দেশে
শহরে কেটে খাল নিয়ে আসবে
বানের ঘন উৎসাহ মরে গেছে
আহ! সরিষা ভূত
আমাদের অধপতন নিয়ে রাষ্ট্র কী ভাবে, কীভাবে?
0 comments: