ধারাবাহিক - সোমঙ্কর লাহিড়ী
Posted in ধারাবাহিক
ধারাবাহিক
পায়ের শব্দ
সোমঙ্কর লাহিড়ী
চুম্বকঃ- অ্যান্ডি ও তার ব্যান্ডের বন্ধুরা ও অন্যান্য বন্ধুরা যায় দ্য টি ভ্যালী নামের এক রিসর্টে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে। সেখানে নেশার ঝোঁকে রিসর্টের মালিকের স্ত্রীকে রুম সার্ভিসের মহিলা মনে করে তার সাথে খানেক দুর্ব্যবহার করে অ্যান্ডি। রাতে অ্যান্ডি ও আর্মাডিলো দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করে টি ভ্যালীতে, অনুষ্টানের পরে মুকেশ অ্যান্ডিকে নেশার জোগাড় দেয়, তারপরে শুব্বুর সাথে অ্যান্ডির ছবি সিসি ক্যামেরায় ওঠে ও তা হাত বদল হয়ে যায়।
৬
কেচ্ছা চিন্তার চেয়েও দ্রুতগামী – না প্রাচীন অরন্য প্রবাদ বোধহয় না, আধুনিক শহুরে প্রবাদ। পরদিন অ্যান্ডিরা যখন প্লেন থেকে নেমেছে তখনই অ্যান্ডির হোয়াটসঅ্যাপে বীরুর পাঠানো ভিডিও ক্লীপটা ঢুকল। নীচে লেখা, “তোমার কি এখন ম্যাচিওর্ড ছাড়া কিছু রুচছে না? তবে এবারে বড়ো হাত মেরেছ বস্।”
দুষ্টুমি করা একরকম, কিন্তু সেটা যখন অন্যের হাত দিয়ে এসে নিজের চোখকে ধাক্কা দেয় তখন সেটা সামলাতে একটু দম লাগে।
পরের মেসেজটা প্রায় সাথে সাথেই এলো, “কনগ্রাচুলেশান বস্, দুষ্টু সেলেব স্ট্যাটাসটা এবারে বোধহয় তুমিই পেতে চলেছ। তবে এতবড় ঘরে হাত মেরেছ, সামলাতে পারবে তো? ইউ টিউবে এসেগেছে তোমার কাল রাতের গল্প। নীচে লিঙ্কটা দিচ্ছি দেখে নিও।”
অ্যান্ডি নিজের করণীয় কি কি সেটা ভেবে নিল, ফ্ল্যাটের সামনে হয়ত কিছু ফোটোগ্রাফার বা গসিপ ছাপা ট্যাবলয়েডের রিপোর্টার থাকবে তাদের সামলাতে হবে। ঠান্ডা মাথায়। পাশে বসা মুকেশ বা দলের অন্যরা কিছুই জানে বলে মনে হয় না। মুশকিলটা হল, এখানে শুধু অ্যান্ডির সাথে কোন নাইটক্লাবের অনামী মহিলা বা উঠতি মডেল বা সিরিয়ালের নতুন আসা কেউ নয়, জড়িয়ে গেছে বেশ মালদার একটা ফ্যামেলীর বৌয়ের নাম। গসিপখোর ম্যাগাজিন বা ট্যাবলয়েডের কাছে যেটা খুবই দামি একটা ব্যাপার।
কিন্তু কমপ্লেক্সের গেটের কাছে পৌছে সবার একসাথে আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেল। বেশ কিছু চ্যানেলের ওবি ভ্যান ট্যান সমেত বেশ একটা মেলা লেগে গেছে। বাকীদের কাছে কোন খবর নেই, তারা হাঁ পরিস্থিতি দেখে। হাউসিং এর সিকিয়োরিটি সবাইকে আটকে রেখেছে। কিন্তু নেকড়ের দলকে কি আর কাঠের লাঠি দিয়ে আটকানো যায়?
সিকিয়োরিরিটির লোকেদেরই সাংবাদিকরা কথা বলতে বলতে টুককরে এমন এমন প্রশ্ন করে দিচ্ছে অ্যান্ডির ব্যাপারে জানার জন্য তার উত্তর কি দেবে? প্রশ্ন শুনেই তো তাদের খিল খুলে যাওয়ার উপক্রম।
ইতিমধ্যে তারা খবর পেয়ে গেল যে অ্যান্ডির গাড়ি এসে গেছে। সিকিয়োরিটির লোকেরা দেখল তাদের ছেড়ে ভীড়টা অ্যান্ডিদের গাড়ির দিকে চলে গেল। হাঁপ ছেড়ে বাঁচল তারা।
মুকেশ ও অন্যরা ভাবল তাদের কাল রাতের প্রোগ্রাম বোধহয় খুব হৈচৈ মাচিয়ে দিয়েছে চারদিকে তাই এতো মিডিয়া। কিন্তু সামনে থাকা এক মহিলা রিপোর্টারের প্রথম প্রশ্ন শুনেই তারা ভড়কে গেল,
আপনার সাথে মিসেস বাজোরিয়ার রিলেশানটা কি অনেক পুরানো নাকি ইটস জাস্ট অ্যা ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড?
অ্যান্ডির মাথাটা দপ করে উঠল। সেটা আগের রাতে না ঘুমনর জন্য না কি প্রশ্নের ধাক্কার জন্য সেটা তর্কের ব্যাপার।
অ্যান্ডি গাড়ি থেকে শান্ত ভাবে নেমে বলল,
ম্যাডাম আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইছি না, উনি একজন মোস্ট রেস্পেক্টেবল লেডী, আই এভার কাম অ্যাক্রস। অনার সম্পর্কে কোন বাজে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া মানেও ওনার ডিগ্নিটিকে অসম্মান করা।
কিন্তু আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছি?
সেটা তো বানানোও হতে পারে, তাই না।
অ্যান্ডি আড় চোখে দেখল আর্মাডিলোর বাকিরা আর মুকেশ এমন ভাব করছে যেন অরা কিছুই করেনি। আর এই সব ব্যাপার ওদের বাড়ির লোকেরা জানতে পারলে ওদের আর প্রোগ্রাম করতে বাড়ির বাইরে যেতা দেবে না। শালা রাস্কেলের দল।
নাছোড়বান্দা মিডিয়াকে যে কি করে সামলাবে অ্যান্ডি ভেবে উঠতে পারল না। ঠিক এমন সময় অ্যান্ডির ম্যান ফ্রাইডে কাঞ্চন এসে উপস্থিত হল। এসেই বুঝতে পারল এদের সাথে সংঘর্ষে গেলে মহাবিপদ। অ্যান্ডি কোথায় কি করে এসেছে সেটা তার অজানা, তার উপরে এতোগুলো এসে জুটেছে যখন তখন মড়া কোথাও না কোথাও পড়েছে ঠিকই।
কাঞ্চন চুড়ান্ত নরমপন্থি হয়ে সবায়ের উদ্দেশ্যে বলল,
আপনারা দয়াকরে এই হাউসিং এর দরজার সামনেটা ছেড়ে দিন এখানকার বাসিন্দাদের যাওয়া আসার অসুবিধা হচ্ছে। আপনারা সবাই দয়াকরে এখানকার কমিউনিটি হলে আসুন, আমরা আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবো। প্লীজ।
সেখানে দাঁড়িয়ে সেক্রেটারিকে জানিয়ে হল খুলিয়ে প্রত্যাকের বসার ব্যবস্থা ও রিফ্রেশমেন্টের ব্যবস্থা করে কাঞ্চন যখন অ্যান্ডিকে সেই নেকড়ের দলের সামনে ছাড়ল ততক্ষণে প্রায় আধঘন্টা কেটে গেছে। কাঞ্চন শুধু একটা কথাই বলে দিল অ্যান্ডিকে, ঐ মহিলার খালি গুন গেয়ে যাবি। যে যাই প্রশ্ন করুক না কেন।
রোদে অপেক্ষারত মিডিয়া আর এসি রুমে হাতে ঠাণ্ডা পানীয়ের গ্লাস হাতের মিডিয়া দুয়ের পার্থক্য বোঝা যায় প্রশ্নের ঝাঁজে।
অ্যান্ডি ভীষন ভদ্রভাবে প্রত্যেকের প্রশ্নের প্রায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক ধরনের উত্তর দিতে শুরু করল। অ্যান্ডি এই ভীড়ের মধ্যে অনেকের মুখ চেনে নাম জানে না, আবার অনেকের সাথে আলাপ পরিচয় আছে, হাই হ্যালো আছে। তারাও বুঝল খুব বেশী ঠেলে লাভ নেই কারণ, পরে আবার কি আসবে তখন আবার শত্রুতার জন্যে খেসারত গুনতে হতে পারে।
সেই সাংবাদিকদের সাথে যখন কথাবার্তা শেষ পর্যায়ে সেই মহিলা সাংবাদিক যিনি প্রথমে গাড়িতে থাকা অবস্থায় অ্যান্ডিকে প্রশ্ন করা শুরু করেছিলেন, তিনি দুম করে প্রশ্ন করে বসলেন,
অ্যান্ডি আপনি কি জানেন যে মিসেস বাজোরিয়া সুইসাইড আটেমপ্ট করেছেন?
গোটা ঘরে একটা অদ্ভুত নীরবতা নেমে এলো। যারা প্রশ্নটা শুনতে পায়নি প্রথমে তারা তাদের পাশের লোকের থেকে আরো একবার কি হয়েছে জানতে চেয়ে যেই শুনল সুইসাইড অ্যাটেমপ্ট অমনি সব ভুলে সামনের দিকে মনযোগ দিলো।
অ্যান্ডি বুঝল তার পেটের ভেতরে একটা হালকা হয়ে যাওয়ার অনুভুতি হচ্ছে যেটা তার কোকেন টানার পরে হয়। মাথাটাও হালকা হয়ে উঠছে। মনে হচ্ছে যেন টলে পড়ে যাবে সামনের দিকে।
কোনক্রমে নিজেকে সামলে উত্তর দিলো,
আমার পক্ষে কোনো ভাবেই জানা সম্ভব নয় উনি কি করেছেন আর কেন করেছেন। কারণ অনুষ্ঠানের শেষে আমরা যে যার ঘরে চলে যাই। আর তারপরে সকালে কোলকাতার ফেরার প্লেন ধরি। এরমধ্যে কি ঘটেছে সেটা আমি বা আমরা জানিনা। তবে ওনার মতো একজন ভালো মনের মানুষ এমন কাজ করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস হয়না।আপনি যেটা বললেন সেটা যেন সত্যি না হয়। আর আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওনার এবং ওনার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করব যেন ওনারা এই কঠিন সময়ে একসাথে থেকে একজোট হয়ে মোকাবেলা করেন এবং ঈশ্বর যেন ওনাদের সহায় হন।
আবার সেই মহিলা সাংবাদিক, এবারে কোকেনের নেশা করার প্রশ্ন নিয়ে আক্রমণ করলেন অ্যান্ডিকে।
অ্যান্ডি মনেমনে কাঁচা খিস্তি দিলেও শান্ত মুখে বলল,
আমি সোশ্যাল ড্রিঙ্কার হ্যাবিচুয়াল নই। আর কোকেন ইত্যাদি নিষদ্ধ বস্তু আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার সমস্ত শ্রোতা, ফ্যান, ইত্যাদি সবাইকে বলতে চাই সবাই যেন এই সবের থেকে দূরে থাকে। এ অতি ভয়ংকর নেশা।
আচ্ছা ওনার কিছু হলে.. অ্যান্ডি সেই মহিলা সাংবাদিককে এবারে পেয়ে যায় নিজের এলাকায়, তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে ওঠে
আমি খুব অবাক হচ্ছি যে আপনি একজন মহিলা হয়ে মনে মনে চাইছেন যে ওনার খারাপ কিছু হোক। মানছি মিডিয়ার খবর সব সময় দরকার, তবে আপনি কি একজন সুস্থ সভ্য মানুষ হিসাবে মনে করেন না যে একজনের প্রানের বিনিময়ে সেই খবরটা না আসাই উচিত? আপনি আমায় প্রশ্ন করছেন “ওনার কিছু হলে” মানে আপনি চাইছেন ওনার কিছু হোক। এটা অদ্ভুত না? আসুন না আমরা প্রার্থনা করি যাতে ওনার যেন কিছু না হয়, উনি একজন সম্ভ্রান্ত ও সম্মানিত মহিলা। যে বা যারা ওনার বিরুদ্ধে এই নংরামি বা চক্রান্তটা করছে তারা পরাজিত হোক। আর যদি খারাপ কিছু হয়ও আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে বলছি আমি নিজে থেকে পুলিস প্রশাসনকে পুর্ন সহযোগীতা করব। আশাকরি আমি আপনাদের প্রশ্নের যথাযত উত্তর দিতে পেরেছি। এবারে যদি আপনারা আমাকে একটু ছুটিদেন কারণ আমি খুবই শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্ত।
কমিউনিটি হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে অ্যান্ডি সবার উদ্দেশ্যে বলল, আপনারা সবাই একটু খাওয়া দাওয়া করে যাবেন প্লীজ।
আর কাঞ্চনকে বলল,
কাঞ্চনদা, তুমি আমার দাদার চেয়েও বেশী, তুমি আজ এনাদের একটু দেখো যাতে কেউ না খেয়ে চলে যান এখান থেকে।
ফ্ল্যাটে ফিরে আগে দৌড়ালো নিজের বাথরুমে, বেসিনের উপরের আয়নার পিছন থেকে কোকেনের প্যাকেট থেকে খানেকটা বার করে ছোটো একটা হাত আয়না বারকরে তার উপরে লাইন করে নিয়ে সোজা নাকে টানতে শরীরটা একটু সাব্যস্ত লাগল অ্যান্ডির। কাঁপতে কাঁপতে গিয়ে কমোডের উপরে গিয়ে বসে মাথাটা খানেক চেষ্টা চরিত্র করে সিসটার্নের উপরে রেখে পা দুটো সামনের দিকে ছড়িয়ে দিয়ে একটা লম্বা শ্বাস ছাড়ল।
কতক্ষণ অ্যান্ডি জানে না বাথরুমের দরজায় ঠক ঠক শব্দে ওর সম্বিত ফিরল। আওয়াজটা বেশ দ্রুত হচ্ছে। কে রে বাবা? অ্যান্ডি দরজা খোলার আগে নিজের প্যান্ট শার্ট সব খুলে শাওয়ার খুলে দিল। আবার শব্দ হতে জিজ্ঞাসা করল,
কে?
দরজাটা খোল।
গলার আওয়াজে বুঝল কাঞ্চনদা।
আমি চান করছি।
দু ঘণ্টা ধরে?
অ্যান্ডি বুঝল কাঁচা জবাব হয়ে গেছে।
দরজা খুলে জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছে।
কাঞ্চনকে অতটা ক্ষিপ্ত দেখাচ্ছে না এখন। অ্যান্ডি বেরতে বলল,
মিডিয়াকে কি হ্যান্ডেল করলি রে!! একেবারে পাকা পলিটিশিয়ানদের মতো। ওরা বুঝতে পারছে কিন্তু কিছু বলতে পারলো না।
তোমার দেওয়া টোটকাই তো কাজ দিলো, ম্যাডাম ভালো ম্যাডাম ভালো গেয়ে গেলাম। আর তুমি মানো আর নাই মানো আয়্যাম স্টিল দ্য বেস্ট!
ওখানে গিয়ে আবার ছোটলোকামো করেছিস?
মাইরী বলছি, আমার কিচ্ছু মনে নেই।
বলেই ফোনটা নিয়ে বিরুকে ফোন করল,
বিরু একটু খবর দে ব্রাদার, ঐ ভদ্রমহিলা মরেটরে যাননি তো?
তুমি ঠিক কি করেছিলে একটু বলবে বস্? বিরুর জিজ্ঞাসা।
অফ দ্য রেকর্ড? না অন দ্য রেকর্ড?
অফ,
আগে তুই জানা ঐ ভদ্রমহিলার ঠিক কি অবস্থা? সুইসাইড ফুইসাইড কি সব বলছে, মিডিয়া।
বললে বিশ্বাস করবে?
বলে দেখ।
ঐ মহিলাকে সকালে নার্সিংহোমে রিমুভ করতে হয়েছে, ড্রাগ ওভারডোজ। এবারে যদি মরে যায় পুলিস টুলিস আসবে। এবারে তুমি বল?
আরে রাতে ওনার বর আমাদের সাথে একজন অ্যাঙ্কারিংকরতে গেছিল তারসাথে দুষ্টুমি করছিল, উনি সেটা দেখে ফেলেন, তারপরে আমি দেখি উনি বারান্দা থেকে লাফ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, আমি ওনাকে সেখান থেকে বাঁচিয়ে ঘরে পৌছে দিই।
আর ঐ লাস্টে ওনার তোমাকে হ্যাঁচকা মেরে ঘরে টেনে নেওয়াটা?
ওটা কিছুই না, উনি পিছু হাঁটতে গিয়ে পা আটকে পড়ে যাচ্ছিলেন, ঐ অবস্থায় আমার হাতটা ধরেন, আর আমি ওনাকে ঘরে পৌছে দিয়ে তারপরে ফিরে আসি নিজের ঘরে, উনি খুব আপসেট ছিলেন এই ঘটনায়। আর দেখেছিস বোধহয় ঐ হ্যাঁচকা টানের পর দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই ফুটেজটা শেষ? দেখ ভাই যতটুকু মশলা দেওয়ার ততটুকুই দিয়েছে যারা এটা রান্না করেছে বুঝলি?
তুমি গানের কেরিয়ারের পাশাপাশি গল্প লেখাটা শুরু করতে পারো। তবে আমিও তোমার গল্পটা খেলাম না, আর পুলিসও খাবে কি না বলা যাচ্ছে না। রিসর্টে বোধহয় তল্লাশী টল্লাশী করতে গেছে পুলিস। আর মরেটরে গেলে তোমার বাড়ি গিয়েও হাজির হবে বলেই মনে হচ্ছে। এই গল্পটাই বোলো। তবে এখনকার সিসি ক্যামেরা গুলো এইচ ডি, শালা গায়ের লোমকূপে জমে থাকা ময়লা অবধি দেখিয়ে দেয়। আর কানের পাশে ওড়া মশা মাছি কিরকম আওয়াজ করেছে সেটাও শুনিয়ে দিতে পারে। তবে গল্পটা মন্দ ফাঁদনি।
বাবু সিসি ক্যামেরা সব ঘরে যদি থাকে তবে যে ডিপি নিজেও ফাঁসবে। তখন? ওসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। তারচেয়ে আমার দিক থেকে তুমি একটু ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করো বাবা, তোমাদের ক্লাবে ডেকে স্কচ টচ খাওয়াও। খরচের চিন্তাটা কোর না। কেমন?
একটা বেশ প্রাচীনপন্থী সাজগোজ করা অফিস চেম্বারে কমলা প্রসাদ তাঁর বিশ্বস্ত মুনিমকে বললেন,
ঘরকে লক্সমী পে হাত ডালা। মুনিম জী আব তো চুপ রহেনা নেহী চাহীয়ে। কুছ করো।
বড়েবাবু আপ জো চাহেঁ। খতম কর দুঁ?
জান সে নেহী, ভীখারি বনাকে ছোড়ো দো।
জো হুকম বড়েবাবু।
0 comments: