ধারাবাহিক - নন্দিনী সেনগুপ্ত
Posted in ধারাবাহিক৮
‘নাগিভারাদ!’-- জারকা মাথা ঝাঁকিয়ে বেশ কয়েকবার বললো। বুকের কাছ থেকে আনুভূমিক রেখায় হাত নাড়িয়ে শূন্যে হাওয়ায় বেশ কয়েকবার হাতের মুঠো ছুঁড়ে দিলো মেয়েটা। তারপর আবার মাথা ঝাঁকিয়ে হাসিতে ফেটে পড়লো, খাবার চিবোতে লাগলো, পানীয়তে ভিজিয়ে নিলো গলা।
‘ওহ!’ আবার শূন্যে ঘুষি ছুঁড়ে দিল মেয়েটা, ‘নাগিভারাদ… রুস… রুস’ এবার আরও জোরে। দক্ষিণপূর্ব দিকে তর্জনী নির্দেশ করে গড়িয়ে আসা ট্যাঙ্কের আওয়াজ করলে মেয়েটা… ‘ব্রুম, ব্রুম’…
শ্নাইডার হঠাৎ চমকে উঠে মাথা নাড়লো। মেয়েটা এবার জোরে হেসে উঠলো। তারপর হঠাৎ হাসি থামিয়ে খুব গম্ভীর হয়ে উঠলো। শ্নাইডারের মনে হল যে ‘নাগিভারাদ’ নিশ্চয়ই একটা জায়গায় নাম। আর ঘুষি দেখানোর ইঙ্গিতটাও সে এখন একদম ঠিকঠাক বুঝতে পেরেছে। যে ট্রাকটা সামনে দাঁড়িয়েছিল, কিছু সেনা জিনিসপত্র নামাচ্ছিল সেটার থেকে। শ্নাইডার সেই ট্রাকের ড্রাইভারের সামনে গেলো। ইশারায় ইঙ্গিতে জানালো কিছু কথা। তারপর চেঁচিয়ে ডাকলো ডঃ স্মিৎজকে... ‘ডঃ স্মিৎজ, হাতে সময় থাকলে তাড়াতাড়ি একটিবার আসবেন এদিকে!’
মেয়েটার খাওয়া হয়ে গিয়েছে। আধখাওয়া রুটি, স্যালাডের শাকপাতা, সব যত্ন করে গুছিয়ে কাগজে মুড়ে রাখলো সে। পানীয়ের বোতলের মুখের ছিপিটা আটকে দিলো।
‘ঘোড়ার জন্য খাওয়ার জল লাগবে?’ শ্নাইডার জিজ্ঞেস করলো। মেয়েটা প্রশ্ন চোখে নিয়ে তাকালো ওর দিকে।
‘জল’ বলল শ্নাইডার... ‘ঘোড়ার জন্য’... নিচু হয়ে ঘোড়ার মত জল খাওয়ার ভঙ্গি করলো সে।
‘ওহ’ সে চেঁচিয়ে উঠলো, ‘ওহ, ইইয়ো!’ --- ইতিবাচক কিছু একটা বললো মেয়েটা। ওর দু চোখে বিস্ময়, কিছুটা কৌতূহল। এক অদ্ভুত কৌতূহলী মায়া মেয়েটার চোখে।
একটা ট্রাক চলতে শুরু করলো সামনে দিয়ে। চলমান ট্রাক, সামনে অপেক্ষারত পরবর্তী সেনাদলের সারি- এসবের মাঝখান দিয়ে ডঃ স্মিৎজ এলো এদিকে... ‘কী হয়েছে?’
‘মেয়েটা ওইদিকে এক জায়গায় একটা লড়াইয়ের ফ্রন্টের কথা বলছে। একটা শহর হয়তো, জায়গাটার নাম ‘নাগি’ দিয়ে শুরু।’ স্মিৎজ মাথা ঝাঁকালেন- ‘বড় খবর... আমি জানি।’
-‘আপনি জানতেন?’
-‘গত রাতে রেডিওতে শুনেছি।’
-‘এখান থেকে কি অনেকটা দূর?’
স্মিৎজ কী যেন ভাবতে থাকেন আঙিনায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলি এবং সেনাদলের দিকে তাকিয়ে। … ‘দূর’… একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন তিনি… ‘একটা যুদ্ধে দুরত্ব জিনিসটা সেরকম কোনও ব্যাপার নয়… একশ কিলোমিটার মত দূর হবে। আচ্ছা, এরকম কি হতে পারে যে আমরা মেয়েটাকে ওর পাওনা টাকার বদলে আমাদের সিগারেটের স্টক থেকে বেশ কিছু সিগারেট দিয়ে দিলাম... তাহলে ব্যাপারটা মিটে যাবে… এখনই।’
-‘না মানে, আসলে...’- হঠাৎ শ্নাইডারের মুখ লাল হয়ে উঠলো। ইতস্তত করতে করতে বলেই ফেললো সে- ‘এক মিনিট! আসলে আমি চাই যে মেয়েটা আরও কিছুক্ষণ এখানে থাকুক।’
‘বেশ। ঠিক আছে।’ --- বলে স্মিৎজ ধীরে ধীরে বিল্ডিঙের দক্ষিণ প্রান্তের দিকে চলে গেলেন।
ডঃ স্মিৎজ পেশেন্টদের ঘরে ঢুকে দেখলেন যে ক্যাপ্টেন এখনও নিচু এবং ধরা গলায় মাঝে মাঝেই ‘বেলজোগার্স’ শব্দটা উচ্চারণ করছেন। স্মিৎজ জানেন যে এখন ঘড়ি দেখবার কোনও অর্থ হয় না। ঘড়ির থেকেও অনেক বেশি সুসংবদ্ধ হয়ে এসেছে ছন্দটা এখন। রুগির বিছানার পাশে বসে তিনি ভাবছিলেন যে কী যন্ত্র থাকতে পারে মানুষের খুলির ভেতরে, যে একদম ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে মিলিয়ে বারে বারে একটা শব্দ মানুষ উচ্চারণ করে! বিস্মিত হয়ে ভাবছিলেন তিনি যে এই মাঝের পঞ্চাশ সেকেন্ড ক্যাপ্টেন কিছুই বলছেন না। অন্য কোনও শব্দ উচ্চারণ করছেন না তিনি। শুধু শ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
স্মিৎজ ক্যাপ্টেন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না। কাগজগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিতে থাকেন তিনি। জন্ম- ভুপারতাল, মার্চ ১৮৯৫, পদ- ক্যাপ্টেন, সামরিক বাহিনীর অংশ, সামরিক বাহিনীতে অংশ নেবার আগে ছিলেন একজন দোকানদার, ধর্ম- প্রটেস্টান্ট-লুথেরান, বাড়ির ঠিকানা, কত নাম্বার ইউনিটে ছিলেন, পুরনো অসুখ, এখনকার জখমের প্রকৃতি ইত্যাদি। নাহ, এমন কিচ্ছুটি লেখা নেই যাতে বোঝা সম্ভব যে এই মানুষটির জীবন বিশেষভাবে উল্লেখনীয়। এমনকি ছাত্র হিসেবেও ক্যাপ্টেনকে বলা হয়েছে মধ্যমেধার এবং কিছুটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। স্কুলে একবার বেশ ভালো ফল করতে দেখা গেছে তাকে; এমনকি স্কুলের শেষ পরীক্ষার মানপত্রে ভূগোল, ইংরেজি এবং শারীরিক কসরতের মত বিষয়গুলিতে ‘ভালো’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে তাকে। তিনি যুদ্ধ ভালোবাসতেন না। যুদ্ধকে না ভালোবেসেই ১৯১৫ সালে তিনি সামরিক লেফটেন্যান্ট হয়েছিলেন। তার কিঞ্চিৎ পানদোষ আছে; তবে অতিরিক্ত নয়, কিঞ্চিৎ। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর প্রতি সদা বিশ্বস্ত থেকেছেন তিনি, যদিও বিশ্বাসভঙ্গ করবার প্রচুর প্রলোভন এবং সুযোগ তার সামনে ছিল। কিন্তু তিনি সেসব থেকে দূরে ছিলেন সর্বদা।
ডঃ স্মিৎজ জানেন যে মেডিক্যাল হিস্ট্রির কাগজে যা লেখা আছে, সেগুলোর ভেতর থেকে বোঝা সম্ভব নয় যে ক্যাপ্টেন কেন অর্ধচেতন অবস্থায় বারে বারে ‘বেলজোগার্স’ শব্দটা উচ্চারণ করছেন। এই শব্দটার অর্থ তিনি জানেন না। তবে এই রহস্যভেদ করবার জন্য বসে বসে অপেক্ষা করতে কোনও আপত্তি নেই তার।
বাইরের পরিবেশটা কেমন যেন থমথমে হয়ে আছে। কান পাতলেন ডঃ স্মিৎজ। একটা অদ্ভুত নৈঃশব্দ। তার মাঝে হঠাৎ হঠাৎ ছিটকে উঠছে ক্যাপ্টেনের মুখ থেকে বেরিয়ে আসা এই শব্দটা। কিন্তু নীরবতাটা আজ বড় বেশি শক্তিশালী, এতটাই শক্তিশালী যে মনে হচ্ছে সব কিছু গিলে নেবে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও ডঃ স্মিৎজ উঠে পড়লেন রুগির বিছানার পাশ থেকে।
ডঃ স্মিৎজ চলে যাবার পরে মেয়েটা একটা অদ্ভুত অস্বস্তি নিয়ে তাকিয়ে রইলো শ্নাইডারের দিকে। তাড়াতাড়ি জল পান করবার ইশারা দেখালো জারকা। ‘ওহ, হ্যাঁ!’ বলে উঠলো শ্নাইডার... ‘জল।’ ওকে নিজের ঘরের দিকে যেতে হবে জল আনতে। দৌড়ে দৌড়ে যেতে লাগলো সে। পথে দেখতে পেলো যে একটা দারুণ দেখতে লাল রঙের গাড়ি এগিয়ে আসছে। যে গতিতে সেনাছাউনির ভেতরে এই পথে চলবার কথা, তার চেয়ে অনেক বেশি গতিবেগ নিয়েছে এই গাড়িটা। সাবধানে সরে গেলো সে। যেখানে এ্যাম্বুলেন্সগুলো পার্ক করা আছে, সেই জায়গাটা ছাড়িয়ে বড়সাহেবের বাংলোর দিকে এগিয়ে গেলো লাল গাড়িটা।
জলের বালতি নিয়ে ফিরে আসবার সময় শ্নাইডারকে আবার পথের ধার দিয়ে দিয়ে দৌড়ে ফিরতে হল। কারণ, সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো এখন চলতে শুরু করেছে। প্রথম গাড়িতে রয়েছে প্রধান সার্জেন্ট। সেই গাড়িটাকে পেছনের বাকি গাড়িগুলো ধীরে ধীরে অনুসরণ করছে। প্রধান সার্জেন্ট একবারও তাকিয়ে দেখলো না শ্নাইডারের দিকে। গাড়ির বিশাল সারিটা চলে যাওয়ার পরে সে আঙিনায় ফিরলো। আঙিনাটা এখন বিশাল বড় দেখাচ্ছে। কেমন ফাঁকা, খাঁ খাঁ করছে। ঘোড়ার সামনে জলের বালতিটা রেখে সে জারকার দিকে তাকালো। মেয়েটা আঙুল তুলে দেখালো যে ডঃ স্মিৎজ হেঁটে আসছেন। সেনাছাউনির দক্ষিণের ক্লিনিকের বাড়িটার দিক থেকে আসছেন তিনি।
স্মিৎজ ওদের ছাড়িয়ে পথ দিয়ে এগিয়ে গেলেন একটু। ওরা দুজন ডঃ স্মিৎজের পেছন পেছন যেতে লাগলো। বাহিনীর এগিয়ে চলা দেখতে লাগলো ওরা। রেল স্টেশনের দিকে এগিয়ে চলেছে বাহিনী।
--‘যে দুজন রুগি আছে ক্লিনিকে, ওরা ফ্রন্ট থেকে অস্ত্র নিয়েই এসেছিল... ওদের অস্ত্রগুলো ওখানেই রাখা আছে।’ হঠাৎ নিচু গলায় বলে উঠলেন ডঃ স্মিৎজ।
‘ওহ!’ চমকে উঠলো শ্নাইডার... ‘আমি ভুলে গিয়েছিলাম!’
ডঃ স্মিৎজ মাথা নাড়েন, ‘আরে না, ওগুলো আমাদের দরকার হবে না। আমরাও তো এখান থেকে কেটে পরবো।’ শ্নাইডার থমকে দাঁড়ায়। জারকাও দাঁড়িয়ে পড়ে।
-‘বরঞ্চ ওকে সিগারেট দিয়ে দেওয়া যাক এখন! কে জানে কী হবে!’
-‘কিন্তু আমরা... মানে... কীভাবে কেটে পড়বো?’---শ্নাইডার মাথা নাড়ে... ‘কোনও গাড়ি রেখে যায়নি এরা। কীভাবে বেরবো আমরা এখান থেকে?’
-‘একটা গাড়ি আসবে। ফেরত আসবে একটা গাড়ি। বড়সাহেব কথা দিয়েছেন আমাকে।’
দুজন পুরুষ তাকিয়ে থাকে দুজনের মুখের দিকে।
‘উদ্বাস্তুরা আসছে পেছন দিক থেকে’... ডঃ স্মিৎজ গ্রামের দিকে আঙুল তুলে দেখান। দেখা যায় একটা ঘোড়ায় টানা ধূলিধূসরিত ট্রেকার বোঝাই হয়ে মানুষ আসছে। ট্রাকটা চলে গেলো ওদের সামনে দিয়ে। মানুষগুলো ওদের দিকে ফিরেও তাকালো না। ওরা ক্লান্ত, বিষণ্ণ। সেনাবাহিনী কিম্বা সুন্দরী মহিলা, কোনও দিকেই তাকালো না ওরা।
‘অনেক দূর থেকে এসেছে এরা’... স্মিৎজ বলেন ... ‘দেখো, ঘোড়াগুলো কী ক্লান্ত হয়ে গেছে! এভাবে পালানো মুশকিল! কতখানি পালাতে পারবে এরা?’ ওদের পেছন থেকে খুব জোরে হর্নের শব্দ এলো। চমকে উঠে দুদিকে সরে গিয়ে গাড়িটা যাবার পথ করে দিল ওরা। শ্নাইডার আর জারকা একদিকে গেলো। আরেকদিকে ডঃ স্মিৎজ।
বড়সাহেবের গাড়িটা বেরোলো। কিন্তু তাড়াতাড়ি বেরোতে পারলো না গাড়িটা। সামনে উদ্বাস্তুদের ট্রেকার। আরেকটু হলেই ধাক্কা লাগতো। ফলে বড়সাহেবকে থামতে হলো। ওরা গাড়ির ভেতরে সবাইকে, সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পেলো। সিনেমাহলে সামনের সারিতে বসে যেভাবে ফিল্ম দেখে মানুষ, ঠিক সেভাবে দেখতে পেলো ওরা। চোখের বেশি কাছ থেকে ফিল্ম দেখতে যেমন অসুবিধে হয়, অস্বস্তি হয়, ওদেরও সেরকমই অস্বস্তি হচ্ছিল। বড়সাহেব গাড়ি চালাচ্ছেন। তার ধারালো, রোগাটে মুখচোখ একেবারেই নড়ছে না। তার পাশের সিটে স্যুটকেস, কম্বল এসব স্তুপ করে রেখে দড়ি দিয়ে সিটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে, যাতে গাড়ি চালাবার সময়ে মালপত্র চালকের গায়ে না পড়ে। পেছনের সিটে বসে আছেন বড়সাহেবের স্ত্রী। তারও সুন্দর চোখমুখ একদম অনড়। তিনিও স্বামীর মতই স্থির ভঙ্গিতে বসে আছেন। এরা দুজনেই ডাইনে বাঁয়ে কিচ্ছুটি না দেখবার পণ করে বসে আছেন। বড়সাহেবের স্ত্রীর কোলে একটি শিশু এবং পাশে ছয় বছরের বাচ্চা ছেলেটি বসে আছে। শুধুমাত্র এই বাচ্চাটি বাইরের দিকে চেয়ে দেখছে। সে তার মুখটা চেপে ধরেছে জানালার কাচে এবং সৈন্যদের দিকে চেয়ে হেসে উঠছে। ঝাড়া প্রায় দু মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হল বড়সাহেবের গাড়িটাকে। সম্ভবত সামনে লেভেল ক্রসিংএর রেলগেট বন্ধ ছিল এবং গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেকারের ঘোড়াগুলো খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। ওরা লক্ষ্য করলো যে চালকের আসনে বসে থাকা বড়সাহেবকে দেখে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি ভীষণ ঘাবড়ে গিয়েছেন। তিনি ঘামছেন এবং চোখ পিটপিট করছেন। পেছন থেকে তার স্ত্রী কিছু একটা বললেন। ঠোঁট নড়ে উঠলো তার। চারদিক অদ্ভুত রকমের চুপচাপ। শুধু সামনের ট্রেকারের থেকে ক্লান্ত মানুষের আবছা কিছু কথা শোনা যাচ্ছে। একটা বাচ্চা কেঁদে উঠলো। হঠাৎ আঙিনার পেছন দিক থেকে ভেসে আসা একটা বীভৎস চিৎকার শুনতে পেলো সবাই। একটা ঘোড়া ভয় পেয়ে চিঁহিহি করে উঠলো, সবাই পেছনে ফিরে তাকালো আর ঠিক তখনই পেছন দিক থেকে একটা ঢিল উড়ে এসে পড়লো বড়সাহেবের গাড়ির মাথায়।
(চলবে)
হাইনরিশ ব্যোল আমার প্রিয় লেখক। প্রথম থেকেই পড়ছি প্রতিটি কিস্তি। অনুবাদ স্বচ্ছন্দ, সাবলীল। মূল থেকে অনুবাদের গুরুত্ব আলাদা। ঋতবাককে ধন্যবাদ। নন্দিনীদিকে আলাদাভাবে আগেই বলেছি হাইনরিশ ব্যোল পড়ার সুযোগ পেয়ে উৎফুল্ল হবার কথা। তবে ধারাবাহিকভাবে এক মাস অন্তর ব্যোলের লেখা পড়া যায় না। ব্যোলের লেখায় একটা ঘোর থাকে, সেই ঘোরটা ধীরে ধীরে তৈরি হয়, সেইজন্য প্রতিবারই আবার প্রথম থেকে পড়ে নিই।
ReplyDelete