0

ধারাবাহিক - সোমঙ্কর লাহিড়ী

Posted in

ধারাবাহিক


পায়ের শব্দ 
সোমঙ্কর লাহিড়ী


১৭ 

পঙ্কজ মুখার্জী সব কিছু শুনলেন খুব মন দিয়ে। তারপরে জিজ্ঞাসা করলেন, 

মিঃ সামন্ত এর পরে আপনি কি করতে চান? 

মিঃ মুখার্জী আমার এজেন্সির থেকে খোঁজ খবর নিয়ে একটা লোক এই রকমের একটা শয়তানি করেছে। আমার নিজের একটা গিল্টি ফীলীং হচ্ছে। তার উপরে আমার একজন খুব পুরানো আর ভালো সহকর্মী ও বন্ধুকে একেবারে নিরস্ত্র অবস্থায় মেরেছে আমার যে কি খারাপ লাগছে, রাগ হচ্ছে আপনাকে বলে বোঝাতে পারব না। 

মিঃ সামন্ত অ্যাক্ট লাইক আ প্রো। নিজের পার্সোনাল ফীলীং কিন্তু আপনার অ্যানালিটিকাল মাইন্ডকে ডিস্টার্ব করে দেবে। তখন আপনি ভুল করতে শুরু করবেন। ডোন্ট ফরগেট দ্যাট গাই ইস বিহেভিং মোর দ্যান আ প্রো, এন্ড ডেডলী টু। 

সে আর বলতে। এনিওয়ে আমি এখন ডায়মন্ড হারবার রোডের ঐ রিসর্টে গিয়ে একবার দেখব কিছু পাওয়া যায় কি না। 

পঙ্কজ মুখার্জী বললেন মহেশতলা থানায় আমার খুব পরিচিত একজন আছে দাঁড়ান ফোন করে দিই। 

বলে ফোন করলেন, 

হ্যালো, বীরেশ দা আমি পঙ্কজ বলছি। 

হ্যাঁ হ্যাঁ পঙ্কজ মুখার্জী বেলঘড়িয়া থানা, তুমি কটা পঙ্কজ মুখার্জী কে চেনো? 

শোনো দাদা একজনকে তোমার ওখানে পাঠাচ্ছি, নাম মিঃ সামন্ত। আগে ফোর্সেই ছিলেন এখন একটা এজেন্সি চালান, একটা ক্রিটিকাল কেসের ব্যাপারে ওনাকে একটু হেল্প করতে হবে। 

হ্যাঁ, হ্যাঁ গাড়ি করেই যাবে। কেন? 

কী!! ভালো চীনে বাদাম পেয়েছ তাই ওনার হাতে আমি হুইস্কির বোতল পাঠাবো? গুরু পায়ের ধুলো দাও মাইরী। কাক হয়ে কাকের মাংস খাচ্ছ? কি? এটা আমার গুরুদক্ষিণা? আচ্ছা ঠিক আছে যাও পাঠাচ্ছি, বৌদিকে প্রণাম দিও, তুমিও প্রণাম নিও গুরু। কাজ হবে তো? 

লাইনটা কেটে পঙ্কজমুখার্জী হাসি হাসি মুখে বললেন, 

আমার সার্ভিস লাইফের প্রথম গুরু। সত্য মুখার্জী। হাতে ধরে কাজ শেখান বলে না সত্যদা ঠিক সেই হাতে ধরে আমায় সব কাজ শিখিয়েছিলেন। এখন মহেশতলার আই.সি। হেব্বী লোক। আপনি যান যা যা সাহায্য লাগবে উনি সব দেবেন। আর যদি কিছু মনে না করেন শুনলেন তো ভালো বাদাম পেয়েছেন এখন ভায়ের উপর আদেশ হয়েছে গুরুদক্ষিণা পাঠানর। 

পরেশ সামন্ত জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিল যে সে কিনে নিয়ে যাবে কি না, তারমধ্যেই পঙ্কজমুখার্জী একজন সেন্ট্রিকে তাঁর কোয়ার্টারে পাঠালেন। বললেন, 

একটু অপেক্ষা করুন আমার গুরুদক্ষিণাটা আমি পাঠিয়েদিই আপনার হাত দিয়ে। 

মহেশতলা থানায় গিয়ে বীরেশ মুখার্জীর নাম করার সাথেসাথে সেন্ট্রি ঘরে নিয়ে গেল, বীরেশ মুখার্জী মধ্য পঞ্চাশের একজন যাঁকে পুলিস বলে মানতে একটু অসুবিধা হয় প্রথম দর্শনে, বেশ গোলগাল ফর্সা মাথার একদিকের চুল অন্যদিকে নিয়ে গিয়ে মাঝখানের টাককে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টায় ব্যার্থ একজন লোক যাঁর কালো ফ্রেমের চশমার পিছনে উজ্জ্বল একজোড়া চোখ বুঝিয়ে দেয় ইনি বোকা নন, কিন্তু সেজে থাকাটা উপভোগ করেন। পঙ্কজ মুখার্জী পাঠিয়েছে শুনেই একগাল হেসে জিজ্ঞাসা করলেন, 

কিছু পাঠিয়েছে নাকি? 

হ্যাঁ, দিয়ে দিই এখনই। 

শুভকাজে আবার দেরী কিসের, বাই দ্য ওয়ে কি ব্যাপারে আপনি ওনার কাছে থেকে থ্রু হয়ে আমার কাছে এসে পৌছলেন বলুন তো? চা খাবেন তো? কিছু মনে করবেন না, দিনের বেলা তো। 

বলে উত্তরের অপেক্ষা না করে দুটো চায়ের অর্ডার দিয়ে বললেন, 

সব বলবেন, আফটার দ্য কাপ অফ টি। 

চা আসার মধ্যে উনি এটা সেটা জানতে চেয়ে বুঝে বা বাজিয়ে নিতে চাইলেন যে সামন্ত যা বলছে ফোর্সে থাকার ব্যাপারে সেটা কতদূর সত্যি। 

চা এলো, শেষ হল, তারপরে উনি সিগারেটবার করে এগিয়ে দিয়ে বললেন, 

চলে? 

না। ছেড়ে দিয়েছি। 

খুব ভালো করেছেন, আমার আর হল না। বলে সিগারেটটা ধরিয়ে আরাম করে ধোঁয়া ছেড়ে বললেন, 

একেবারে প্রথম থেকে এমন ভাবে বলুন যে আমাকে আর প্রশ্ন করতে না হয়। 

পরেশ সামন্ত পুরো ব্যাপারটার ডিটেলস দিলেন, তারপরে জানালেন যে ডায়মন্ড হারবার রোডের উপরে একটা রিসর্টে এক পুরুষ ও মহিলার খোঁজ করেছিল তাঁর সেই ক্লায়েন্ট এখন সেখানে খোঁজ খবর করার ব্যাপারে যদি থানা কিছু সাহায্য করে, ইত্যাদি। 

বড়বাবু এবারে সিরিয়াস মুখে বললেন, 

দাঁড়ান মেজবাবুকে ডাকি। ব্যাপারটা বেশ সিরিয়াস। ও আবার কোর্ট থেকে হুড়ো খেয়েছে। দুজনে একসাথে কাজ করুন যাতে ব্যাপারটার একটা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। 

মেজবাবু এলেন, পঙ্কজ মুখার্জি আলাপ করিয়ে দিলেন, 

বিশ্বনাথ বিশ্বাস, এই থানার মেজবাবু। উনি এই কেসটার আই.ও। আর বিশ্বনাথ ইনি মিঃ পরেশ সামন্ত, এনার একটা ডিটেকটিভ এজেন্সি আছে, আগে ফোর্সে ছিলেন। তোমার ঐ রিসর্টের মার্ডারের ব্যাপারে আমি চাই তোমরা দুজনে একসাথে কাজ কর, তাতে তোমার ও সুবিধা আর ওনার ও। 

সামন্ত একটু থমকালো, 

মার্ডার? 

আর বলেন কেন? হাতুড়ির একঘায়ে একেবারে খুলি ফুটিফাটা করে দিয়েছে লোকটার। বৌটাকে অজ্ঞান করে দিয়ে টাকা নিয়ে ভেগেছে। 

ক্লোরোফর্ম? সামন্তর প্রশ্ন? 

ও মালটা আগেও কোথাও এই কীর্তি করেছে? বড়বাবুর জিজ্ঞাসা। 

হ্যাঁ একটা নিজে জানি। অন্যটা জানলাম। মনে হচ্ছে আরো আছে। তাড়াতাড়ি দেখতে হবে, মানে খুঁজে বার করতে হবে লোকটাকে। ডেঞ্জারাস। 

বিশ্বাস তুমি ওনার সাথে বসে সব সাজিয়ে গুছিয়ে নাও, ভবানী ভবন থেকে কেউ আসার আগে যদি ব্যাপারটার অন্য একটা অ্যাঙ্গেল দিতে পারো তবে ঐ প্রোমোটারের পেয়ারি কে আর টানাটানি নাও করতে হতে পার। আর হ্যাঁ কে কে তোমায় ফুল তুলসি দিয়েছে সেটা দরকারে ওনাকে জানিও। বলা যায় না হয়ত কিছু আর ফেরত টেরত দিতে নাও হতে পারে, কি বল? বলে একটা মিচকে হাসি দিলেন। 

বিশ্বনাথ বিশ্বাস আর পরেশ সামন্ত নিজেদের মধ্যে অনেকক্ষণ মার্ডারটা নিয়ে আলোচনা করল। থানার হেপাজতে থাকা সিসি ক্যেমেরার ফুটেজ দেখল কিন্তু সেই এক ব্যাপার ক্যামেরার কাছে এলেই ইন্টারফিয়ারেন্স শুরু হয়ে যাচ্ছে। রিসর্টের রেজিস্ট্রেশানের সময় ভোটার আইডির ফোটো কপি এতো কালো যে সেখান থেকে কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। 

শেষে দুজনেই ঠিক করলেন আবার ইন্টারোগেট করবেন, রিসর্টের গেটের স্টাফদের। মেজবাবু জিজ্ঞাসা করলেন, 

যাবেন? না ডাকা করাবো? 

ডাকুন, থানায় একটা এডভান্টেজ পাওয়া যাবে। 

ফোন করে ঐদিনে নাইটে আর ডে ডিউটিতে যারা ছিল তাদের ডাকা হল থানায়। ওদের চারজন এমনিতেই ভয়ে মিইয়ে ছিল তবে তাদের আস্বস্ত করার পরে একজন বলল, 

স্যার একজনকে আগের দিন দেখেছিলাম রিসর্টে চেক ইন করলেন বেশ কম বয়েসই। পরেরদিন ভোরে যখন চলে গেলেন তখন দেখলাম যেন বয়েস কত বেড়ে গেছে। মানে একদম বুড়ো টাইপ। 

তারমানে? মেজবাবুর প্রশ্ন। 

হ্যাঁ স্যার, চুল কাঁচাপাকা, বেশ মোটা গোঁফ, সেটাও কাঁচাপাকা। কিন্তু সোজা সটান ভাবে হেঁটে বেরিয়ে গেলেন। গাড়ি পাবেন না বলাতে বললেন, দরকারে লরি ধরে কোলকাতায় ফিরে যাবেন। স্যার এখানে যারা থাকতে আসে তারা লরি চেপে কোনদিন ফেরে নি। আর লোকটার হাতে দুটো লাগেজ ছিল, একটা সুটকেস, আর অন্যটা একটা বড়ো ওভার নাইট ব্যাগ। বেশ বড়ো। 

মেজবাবু সব শুনে লোকটাকে মারতে উঠতে সামন্ত আর বড়বাবু থামাল। 

সামন্ত এবারে নিজের ল্যাপটপ থেকে বেশ কিছু ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করল, 

দেখ তো এই রকমের দেখতে কি না? 

স্যার কাছাকাছি, তবে চুল গোঁফ এই সব ছিল, এখানে তো.... 

এবারে সামন্ত আরো প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ঐ লোকটার সাথে ল্যাপটপ নিয়ে ছবি নিয়ে কারিকুরি করল, তারপরে একটা চেহারা পাওয়া গেল আততায়ীর। 

সব মেটার পরে মেজবাবু আর সামন্ত যখন সেই লোকটাকে চলে যাওয়ার জন্য বলল তখন রাত প্রায় আটটা। 

বড়বাবুকে পুরো ব্যাপারটা জানাতে যেতেই বললেন, 

আরে দাঁড়ান দাঁড়ান, সুর্য অস্তাচলে চলে গেছে প্রায় ঘণ্টা দুই তিন আগে, এখন তো আর আপনাকে চা অফার করে পাপ বাড়াতে পারি না, কি বল বিশ্বাস? আর খুব ভালো জাতের চীনে বাদাম পেয়েছি বুঝলেন তাই পঙ্কজ আবার জোর করে একটা হুইস্কির বোতল পাঠিয়ে দিল আপনারই হাত দিয়ে। 

সামন্ত বলল, 

না মানে এতটা রাস্তা গাড়ি চালিয়ে ফিরব। 

হ্যাঁ, ফিরবেন। আপনাকে কি আমি মাতাল হতে বলেছি? একটা নেবেন আরাম করে খাবেন। বাড়ি গিয়ে খেয়েদেয়ে এক ঘুমে সকাল। ব্যাস। 

মিঃ মুখার্জি ঘুমতেই তো পারছি না। আমার অফিসের একটা নিরীহ নিরস্ত একটা লোককে মাথায় রেল লাইনের পাথরের বাড়ি মেরে খুন করেছে লোকটা সেটা মেন পড়লেই তো রাগে ঘুম ছুটে যাচ্ছে। 

মশাই ফোর্সে ছিলেন আর মার্ডারের ব্যাপারে রাগে ঘুম উড়ে যাচ্ছে? আপনি কি থানার আপার ডিভিশান ক্লার্ক ছিলেন নাকি? 

রাগি পুলিস সিনেমাতেই ভালো। রেগে গুলি চালাতে গেলে ফস্কাবেন মনে নেই ট্রেনিঙের সময়ের কথা? ভয়, রাগ, ঘেন্না এসব সিনেমার পুলিসদের থাকে বাস্তবের পুলিস এই সবের ঊর্ধ্বে। সে হবে নিরাসক্ত, নির্ভিক, আর নির্মম। এই যে আমাদের বিশ্বাস ঐ প্রোমোটারটার কাছ থেকে কিছু ফুল তুলসি নিয়েছিল, আর বলে ছিল যে কোর্টে ওর বৌকে তুলতে যাতে না হয় সেটা দেখবে। আর জজসাহেব প্রথেমে এসেই বিশ্বাসের প্যান্ট দিয়েছে খুলে। ও তো ভাবছে যে সেই প্রোমোটারকে এবারে কি বলবে? আরে বাবা সোজা কথা। আগে ওটাকে থানায় তুলে নিয়ে আয় গুছিয়ে ক্যালা, তারপরে বল আরো ক্যালাবো যদি বাঁচতে চাস তো বৌকে বল কোর্টে উঠতে। দেখবেন সে শালা নিজেই বৌকে কাটগোড়ার দিকে ঠেলছে। তা নাকরে কাল দেখি মুখ কালো করে বসে হুইস্কি খাচ্ছে নীট, না চাট, না বাদাম কিচ্ছু না। দেখেন দেকি! 

সামন্ত বলল, 

এই যে মহিলা ওখান থেকে ধরা পড়েছিল তাঁর বরও প্রোমোটার তাই না? 

হ্যাঁ, তাইত। কেন বলুন তো? মেজবাবুর জিজ্ঞাসা। বড়বাবু দুজনকেই ইশারা করলেন হুইস্কির। 

পরেশ সামন্ত গ্লাসটা তুলে হালকা একটা চুমুক দিয়ে বললেন, 

এই নিয়ে আমি তিন জনকে পেলাম এই লোকটার ব্যাপারে যারা প্রোমোটারি করে। দুজন তো লোকটাকে ভাড়া করেছিল, তৃতীয়টার বৌ। মিঃ মুখার্জী একসাথে তিনটে কে তুলে আলাদা ভাবে ইন্টারোগেট করাতে পারলে আমরা কিন্তু অনেক কিছু জানতে পারব। 

বীরেশ মুখার্জীর মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল, 

দেখেছেন? যেই আপনার পেটে কিছু ভাল জিনিস গেল অমনি মাথাটা খুলে গেল। খান চাড্ডি বাদাম চেখে দেখুন। আরো ভালো লাগবে। আপনি চিন্তা করবেন না, ভবানীভবন থেকে লোক পাঠাবে, আমি তাঁর আগেই বড় সাহেবেরে সাথে কথা বলে সব ব্যবস্থা করে রাখছি। আপনার দুটো কোথাকার মাল? 

তিলজলা। 

নো প্রবলেম। তুলিয়ে নেব। আপনি থাকতে চান? 

ইন্টারোগেশানের সময়? 

হ্যাঁ। 

পারমিশান তো হয় না। 

আরে মশাই সেসবগুলো আমি ম্যানেজ করে নেবো। আর আপনি নিজেও এক্স পুলিস। অত ঘাবড়ালে চলে নাকি? আর কেসটা ঠিক ঠাক মেটাতে পারলে আমার এই মেজকর্তার একটা প্রোমোশন কেউ আটকাতে পারবে বলে মনে করেন? 

অফিসিয়ালি অনেককিছুই করা যায় না, কিন্তু থানায় পুলিস রাজা। প্রাক্তন পুলিস রাজা নাই বা হল, পার্ষদ হতে তো কোন বাধা নেই, তাই না? 

রাজ্য পুলিস, কোলকাতা পুলিস নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা সেরে নিয়ে একটা ছোট্ট দল করে নিল স্পেশাল ব্রাঞ্চে। কোর্টে রিপর্টের জন্য উপযুক্ত সময় চেয়ে নিল ভবানীভবন। শুরু হল একটা ম্যান হান্ট। 

পরেশ সামন্তকে প্রথমে দলে কেউই রাখতে চায়নি। পরে কিছুটা দয়াদাক্ষিণ্য করেই রাখা হয় যেহেতু তার নিজের উদ্যোগে ব্যাপারটা পুলিস ডিপার্টমেন্টের নজরে আসে প্লাস ওনার অফিসের একজন স্টাফ এই লোকটার হাতে নিহত হয়েছে। সব হয়ে যাওয়ার পরে মহেশতলা থানার বড়বাবু ভালো চিনে বাদাম সহযোগে হুইস্কি খেতে খেতে বললেন, 

কি একটা পদবী করে রেখেছেন মিঃ সামন্ত, এক্স পুলিস হওয়া সত্ত্বেও, এই কেসের মেজর লিঙ্ক আপনার হাত দিয়ে ডিপার্টমেন্টের হাতে আসা সত্ত্বেও, আপনার একজন স্টাফ লাস্ট ক্যাজুয়াল্টি হওয়া সত্ত্বেও পুলিস ডিপার্টমেন্ট আপনাকে দলে নিতে চাইছে না। 

রসিকতাটা ধরতে পেরে সামন্ত হেসে জিজ্ঞাসা করল, 

তা কি টাইটেল হলে ভালো হত মিঃ মুখার্জী? 

মিত্র বা বক্সী।

0 comments: