0

প্রচ্ছদ নিবন্ধ - অলকরঞ্জন বসুচোধুরী

Posted in

প্রচ্ছদ নিবন্ধ


ভাষা-সাহিত্য-স্বাধীনতাঃ প্রেক্ষিত বাংলা ও বাঙ্গালি 
অলকরঞ্জন বসুচোধুরী 



প্রথম পর্ব

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এই গালভরা নামে যে দিনটি বর্তমানে চিহ্নিত অর্থাৎ কিনা একুশে ফেব্রুয়ারি, সেটি যে আদতে ছিল অতীতের পূর্ববঙ্গের (ওপার স্বাধীন বাংলাদেশ) ভাষা-শহীদ দিবস, তা অন্যেরা জানুক বা না জানুক, ভারতের বাঙালিরা ভালোভাবেই জানে। তারা এই ইতিহাস সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল যে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন সঞ্জাত ঐ আবেগ ও চেতনাই কালক্রমে জন্ম দিয়েছিল সে দেশের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামের নিজের মাতৃভাষার সম্মান ও অধিকারের দাবিতে রক্ত ও জীবনদানের উজ্জ্বল ঐতিহ্য অসমের বঙ্গভাষীদের থাকলেও ভাষার সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রাম যুক্ত হয়ে যাওয়াতে একুশে ফেব্রুয়ারি র‍্যাডক্লিফ রেখার দুপারের বাঙালিকেই একটি আলাদা আবেগে যেন উদ্বেল করে তলে। ঐতিহ্য-উদ্বেল সেই দিনটিকে সামনে রেখে আজ ভেবে দেখা যায় যে, পূর্ববঙ্গের ঐতিহাসিক অনুষঙ্গটি ছাড়াও বাঙলা ও বাঙালির ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিশে আছে স্বাধীনতা চেতনার এক আবহমান উত্তরাধিকার। 

স্বাধীনতা শব্দটা বহু প্রচলিত, শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রই নিজের মতো করে স্বাধীনতা সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করে নেন। আমরা যদি বিশেষভাবে বলি সাহিত্যের স্বাধীনতা বা শিল্পীর স্বাধীনতা, তাহলে আমরা কি বুঝব? অল্প কথায় এর উত্তর দিতে গেলে বলতে হয় সভ্য মানুষের সার্বিক স্বাধীনতা স্পৃহারই একটি বিশেষ পরিপ্রকাশ এই শিল্পীর স্বাধীনতা। এই শিল্পী মূলত একজন স্রষ্ট্রা এবং শিল্পীর স্বাধীনতা বলতে সৃজন শীল মানুষের অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকেই বোঝায় সাহিত্যের স্বাধীনতা তারই অন্তর্গত। আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকেই সৃজনশীলতার চর্চায় কবি বা সাহিত্যশিল্পীকে নিরুঙ্কুশ কর্তৃতের অধিকারী বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। -'নিরুঙ্কুশঃ কবয়ঃ'। সৃষ্টির বিশাল সাম্রাজ্যে কবিকে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার মর্যাদা দিয়ে বলা হয়েছে-"অপারে কাব্য সংসারে কবিরে কো প্রজাপতি!" 

যুগাগত এই সব প্রবাদ প্রবচনগুলির পরেও প্রশ্ন থেকে যায়, সতিই কোন কবি, সাহিত্যিক বা শিল্পীর স্বাধীনতা বাস্তবে নিরুঙ্কুশ হতে পারে! আমরা জানি যে, শিল্পী-সাহিত্যিক কেন, কোনো মানুষের স্বাধীনতাই সভ্যসমাজে প্রশ্নহীন বা শর্তহীন হতে পারে না। যদি তা হতো, তা হলে স্বাধীনতা হয়ে উঠতো স্বেচ্ছারের নামান্তর। স্বাধীনতা যেমন মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি বা মনুষ্যতের অন্যতম উপাদান, তেমনই সমাজ ও মানুষের স্বাধীন মনেরই সৃষ্টি। ব্যক্তি-মানুষের স্বাধীনতা যাতে ক্ষমতা প্রতিপত্তিশালীর পেষণে ক্ষুণ্ণ বা খর্ব না হয়, সেজন্য সমাজ তৈরি করেছে কিছু অনুশাসন, যা সভ্য মানুষ সাধারণভাবে মান্য করবে, এটাই প্রত্যাশিত, কারণ সর্বসাধারণের কল্যাণেই এই নিয়মকানুন বা অনুশাসনের প্রর্বতন করা হয়ে থাকে। এই কথাগুলো আমরা সবাই জানি ও বাল্যকাল থেকেই সমাজবিদ্যার এই পাঠ আমাদের শেখানো হয়। কিন্তু এর পরেও কিছু প্পশ্ন ওঠে। সমাজের এই অনুশাসনগুলো কি দেশকাল নির্বিশেষে অভিন্ন বা অপরিবর্তনীয়? বিভিন্ন সামাজিক বা ধর্মীয় বিধিবিধান মানুষ স্বেচ্ছায় মেনে নেয় ও দৈনন্দিন জীবনে পালনও করে থাকে, এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু একটু খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাব যে এই সব অনুশাসন সব দেশে বা সব সমাজেই একরকম নয় ও সময়ের সঙ্গে সমাজে নানা পরিবর্তনের ফলে এই সব বিধিবিধানের পরিবর্তন বা সংস্কার প্রয়োজন অনির্বার্য হয়ে ওঠে। জ্ঞান ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও মানুষের নব নব অভিজ্ঞতার নিরিখে সমাজের বিধিব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বদল না হলে সমাজ হয়ে ওঠে স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের কাছে অন্ধ্রকূপ, তার বিধিবিধান হয়ে ওঠে মানব প্রগতির বন্ধনশৃঙ্খল। 

কাজে কাজেই মানুষের সংস্কৃতির ইতিহাস চেখে রাখলে আমরা বুঝতে পারি যে, সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে আজকের অনুশাসন আগামীকাল পরিণত হয় কুসংকার, তা তখন অগ্রসরমান মানুষের সৃজনশীল অভিব্যক্তির খর্ব করে, তখন তা হয়ে ওঠে স্বাধীনতার বাধক। আপাতদৃষ্টিতে এ-কথা কিছুটা স্ব-বিরোধী মনে হতে পারে। যে ব্যক্তি-স্বাধীনতার রক্ষার জন্য একদিন অনুশাসনের জন্ম হয়েছিল, তা কালক্রমে কিভাবে স্বাধীনতা হন্তারক হতে পারে! এই ধাঁধার সোজা উত্তর এই যে, সমাজের কোন স্থির আদর্শ থাকতে পারে না, কারন মানব প্রগতির কোনো বিরাম নেই। সমাজের লক্ষ্য বা আদর্শ সবসময় আপেক্ষিক, তার ভাঙাগড়ার, পুনর্নিমাণের অধিকারটাও তাই মানুষের স্বাধীনতারই শর্ত। আরও পরিস্কার করে বলতে গেলে মানুষের মনীষার সজীবতার ও সচলতার শর্ত। এই গতিশীলতা পরিবর্তনের অঙ্গীকার যে সব দেশে সব সমাজের সময় একইরকমভাবে স্বীকার করা হয়, তা অবশ্যই নয়। তাই বুদ্ধদেব বসু মনে করেছেন যে সব সমাজ ভালো নয়, "সেই সমাজই ভালো, যার বিধানের মধ্যেই পরিবর্তনের অঙ্গীকার থাকে।" (স্বাধীনতার মুল্য) 

এখন দেখতে হবে কে বা কারা সমাজের অনুশাসনে এই পরিবর্তন বা সংস্কারের ভার নেবে? সাধারণ মানুষ তো আর দিনানু দৈনিক জীবনে পুরোনো নিয়মের বাধাপথে চলবেই স্বেচ্ছায় বা ক্ষমতাশালী সমাজপতিদের প্রভাব পড়ে- যাকে বলা হয় গড্ডালিকাবৃত্তি। কিন্তু সব দেশে সব কালে সব সমাজে তা সে ধর্ম হোক, রাজনীতি বা সাহিত্যের ক্ষেত্রে হোক কিছু ক্ষণজন্মা মানুষের আবির্ভাব হয়, যারা শুধু পরিবর্তনের প্রয়োজন বুঝতেই পারেন না, অতীত অনুশাসনের নিগড় ভাঙার ডাক দেন এবং তা ভেঙে দিয়ে নূতন বিধান প্রবর্তনের চেষ্টা করেন। কখনও তাঁরা এই প্রয়াসে ব্যর্থ হন, কখনও সফল, কিন্তু মনে রাখতে হবে এঁরাই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার সৈনিক এবং গতানুগতিকতার বিরুদ্ধে তাঁদের অসন্তোষ, প্রশ্ন আর বিদ্রোহই হচ্ছে মানব স্বাধীনতার অভ্রান্ত চরিত্র লক্ষণ। এ-প্রসঙ্গে বুদ্ধদেব বসুর লেখা থেকে একটু উদ্ধৃত করিঃ "... মাঝে মাঝে বিশেষ কোন মানুষ দেখা দেন যাঁদের মধ্যে স্বাধীনতার সতেজ প্রকাশ ঘটে থাকে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় এঁরাই হলেন ব্যক্তি - অর্থাৎ এঁরা সম্পূর্ণরূপে ব্যক্ত হতে পারেন, সমাজের পক্ষে সম্মত হবার জন্য নিজেকে সংকুচিত করেন না। ...এঁদের মনে লুকানো সত্য উঁকি দেয়, নতুন চিন্তার আন্দোলন ওঠে। এঁরা সৃষ্টিশীল বলেই সকলের সঙ্গে একমত হন না, আবিষ্কারে সচেষ্ট বলেই শাস্ত্রে ও লোকাচারে বিশ্বাস হারান। জীবৎকালে এঁরা অনেকেই ছিলেন নিগ্রহভোগী, ধর্মদ্রোহী ও সমাজদ্রোহী বলে নিন্দিত; কিন্তু বিপদের মুখেও এঁরা বিরত হননি সত্যানুসরণ থেকে, নির্জিত হয়েও বিরত হননি, ব্যর্থ হয়েও বিরত হননি, ব্যর্থ হয়েও মেনে নিতে পারেননি অসংখ্যের ধ্যানধারণা..." (ঐ, পৃঃ৩০৬) 

এখানে প্রশ্ন হতে পারে এই যে সব বিদ্রোহী সংগ্রামীদের আমরা স্বাধীনতার সৈনিক বলে পরিচায়িত করেছি,সমাজে তাঁদের নিগ্রহের জন্য দায়ী কে বা কারা? স্বল্প কথায় দায়ী এই অচলায়তন সমাজের নানা গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠান, যেগুলি একদা মানুষের অধিকারের রক্ষা বা অনুশীলনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও কালক্রমে হয়ে ওঠে নবযুগের স্বাধীনতার দাবির বিরুদ্ধে রক্ষণশীলতার দুর্গ। এগুলি হতে পারে ধর্মীয় রাজনৈতিক বা সাহিত্যিক সংগঠন এমন কি হতে পারে সরকার স্বয়ং। আমরা সাহিত্যের ক্ষেত্রেও দেখেছি, আজ যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী, কাল সেই প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে, নিজস্ব নিয়ম নীতির প্রবর্তন করে অনায়াসে ছড়ি ঘোরাতে চায় অন্যের সৃজনশীলতা ও অভিব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, আধিপত্য কায়েম করে খর্ব করতে চায় সৃষ্টির স্বাধীনতাকে। এ-ব্যাপারটিতে একটু বিশদে যাবার আগে আমরা একটু দেকে নেবো আমাদের বাঙলা সাহিত্যের দুনিয়ায় এই স্বাধীনতার ধ্যান ধারণাটির ভূমিকা কেমন ও কতটুকু। 



বাঙলা সাহিত্য, বাঙালি ও স্বাধীনতার আর্দশ 



আমরা জানি সুপ্রাচীনকাল থেকেই বঙ্গভূমি ও এখানকার অধিবাসীরা নির্বিচারে ব্রাহ্মণ্য বাদী সংস্কৃতির আধিপত্য মেনে নেয়নি। যাগযজ্ঞ ইত্যাদি ধর্মীয় আচার ও বিধিবিধানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তি সাজিয়েছে বঙ্গ-মগধ ও সন্নিহিত অঞ্চলের মানুষ, এমন কি ঈশ্বরের অস্তিত্বে আস্থাহীন সাংখ্য দর্শনের উদ্ভবও এই অঞ্চলে। এ কারণেই উত্তর ভারতের বাদ বাকি মানুষের কাছে বঙ্গদেশ নিন্দিত, তার কপালে জুটেছে পাণ্ডব বর্জিত দেশ ইত্যাদি নানা ঘৃণাসূচক অভিধা! বাঙলাদেশ তথা বাঙালীদের এই যুক্তিবাদ, মুক্তবুদ্ধি আর শাস্ত্রবিরোধীতার ঐতিহ্য আদিকাল থেকেই প্রতিফলিত হয়েছে বাংলা সাহিত্যের ধারাতেও। চর্যাপদের মধ্যে আমরা লক্ষ্য করি ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি ও সমাজবিধির বিরুদ্ধে সহজিয়া বৌদ্ধতান্ত্রিক সাধকদের বিদ্রোহ। তারপর মঙ্গলকাব্যের যুগে দেখি এক আর্যেতর লৌকিক জীবনের স্পন্দন- শিব যেন সেখানে ব্রাহ্মণ্য শক্তিরই প্রতিভূ, আর শক্তি বহুজনের প্রাণর্ধমী বিদ্রোহের প্রতীক। মঙ্গলকাব্যগুলোতে এই ভাবেই চিত্রিত হয়েছে ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতিতে লৌকিক আর্দশের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাহিনী। আর চৈতন্যের জীবন ও ভাবান্দোলনভিত্তিক গ্রন্থগুলোর কথা তো বলা-বাহুল্য, কারণ ব্রাহ্মণ্য কৌলীন্যের বিরুদ্ধে সর্বজনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় চৈতন্যের বৈষ্ণব ভাবধারা কিভাবে হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল, তা আমরা সবাই জানি। 

আধুনিক যুগেও বাংলা সাহিত্যে আমরা কিন্তু সেই চিন্তা ও সৃজনের মুক্তি ও শাস্ত্রবিরোধী বিদ্রোহের বাণীই দেখতে পাই। যে বঙ্কিমচন্দ্র অনেকের চোখে সনাতনপন্থী ও রক্ষণশীল বলে প্রতিভাত হয়েছেন, তিনিও কিন্তু মূলত যুক্তিবাদী মননে অভ্যস্ত ছিলেন। তাঁর শ্রীমদ্ভাগবদগীতায় তিনি খণ্ডন করেছেন প্রচলিত শাস্ত্রীয় ব্যখ্যাকে, এমন কি মনুসংহিতার বিধানের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন। তিনি এমন মন্তব্যও করেছেন, "মনুতে যাহা কিছু আছে, তাহাই ধর্ম নহে।" তাঁর 'ধর্তত্ত্ব' গ্রন্থে দান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হবে, হিন্দু শাস্ত্রের এই বিধানের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, "স্বর্গ লাভার্য ধনদান করার অর্থ মূল্য দিয়া স্বর্গে একটু জমি খরিদ করা, ...ইহা ধর্ম নহে, বিনিময় বা বাণিজ্য। এরূপ দানকে ধর্ম বলা ধর্মের অবমাননা।" এই যুক্তিবাদ, শাস্ত্রবিরোধীতার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার অনুশীলন ও বিদ্রোহ বাংলা সাহিত্যের একটি যুগচরিত বৈশিষ্ট্য। 

বঙ্কিম ছাড়াও যারা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য নানাসময়ে কলম ধরেছেন, রামমোহন-বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে কালীপ্রসন্ন বা প্যারীচাঁদ তাঁদের অনেকেই ছিলেন ব্যক্তি জীবনে সমাজ সংস্কারের পথচারী, যুক্তি প্রেমী ও বিদ্রোহী। সমাজের নানা ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাঁরা নানা যুগে বিদ্রোহের ধ্বজা তুলে ধরেছেন; এর ফনে কখনও শরৎচন্দ্র বা বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়ের গ্রন্থ রাজরোষে নিষিদ্ধ হয়েছে, সাহিত্য রচনার জন্যই কারাদন্ড ভোগ করতে হয়েছে কাজি নজরুলকে, সাম্রাজ্যবাদী শাসকের বর্বরতার প্রতিবার করে রবীন্দ্রনাথ বর্জন করেছেন তাঁর সাহিত্য কৃতির অভিজ্ঞানসূচক সম্মানচিহ্ন। বাংলা সাহিত্যে সেই সৃষ্টির স্বাধীনতার অনুশীলনের যুগাগত পরম্পরাকে বহন করে চলেছেন আধুনিক কালের তসলিমা নসরিনের মতো সাহিত্যিকেরা, যারা তাঁদের স্বাধীন শাস্ত্রবিরোধী চিন্তার জন্য সেই ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠানের রোষানলে পড়েছেন ও স্বদেশ সমাজ ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসন বরণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে হয় তো সেই প্রতিষ্ঠান মূলত রাজনৈতিক নয় ধর্মীয়, তবু আমরা জানি ভারতীয় উপমহাদেশে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ দল বা সরকারের ওপর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির প্রভাব নিতান্ত কম নয়। 

[পরবর্তী পর্বে সমাপ্ত]

0 comments: