গল্প - চন্দ্রভানু
Posted in গল্প
গল্প
সুরজিৎ
চন্দ্রভানু
সুরজিৎ গায়েন রাজ্যসরকারের আবগারি দপ্তরের হেড কেরানি। পঞ্চান্ন পার করেছেন সবে কয়েক মাস আগে, বছর দুয়েক আগে মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল, হয়তো সেজন্য আজকাল একটু বেশিই ভাবুক হয়ে পড়েছেন। জীবনের হাজারো সমস্যার মাঝে ওঁর অন্যতম সমস্যাটি হলো ওঁর নামের অর্থ নিয়ে। সেই উচ্চমাধ্যমিকের সময় থেকে ওঁর মনে খটকা লেগে আছে সুরজিৎ -এর ব্যাসবাক্য "সুরদের জয় করেছেন যিনি" হলে সেটা কি উপপদ তৎপুরুষ সমাস হবে, নাকি বহুব্রীহি হবে! আরও ঝামেলা হলো সুর নিয়ে, এ সুর দেবতাও হতে পারে, আবার ধ্বনিজাত সুর হতেও বাধা নেই। এ নিয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও এককালে বহু তর্কবিতর্ক করেছেন। এখন সময় পেলে মনেমনে নিজের সঙ্গে নিজেই এই নিয়ে একটু তর্কবিতর্ক করে মিনিট পাঁচেক পরে হাল ছেড়ে দেন এবং এভাবেই এতগুলো বছর কাটিয়ে এসেছেন। এখনও অকৃতদার, তবে সেটা নামসমস্যার সমাধান করে উঠতে পারেননি বলে কিনা তা আন্দাজ করা মুশকিল, যদিও নিন্দুকেরা এমনটাই বলে থাকে। ওঁর চরিত্রের একটা অদ্ভুত দিক হলো, কোনও কিছু মনোমত হলে উনি মানসিকভাবে এতটাই গদগদ হয়ে যান যে, তা ভাষায় প্রকাশ করাটা তাঁর কাছে খুব মেকি বলে মনে হয়। আবার কোনওকিছু খারাপ লাগলে, আগুপিছু না ভেবেই সেটা সরাসরি জানিয়ে দিতে কুন্ঠাবোধ করেন না। বোধহয় এহেন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্যই প্রচলিত অর্থে উনি জনপ্রিয় নন। এই তো কয়েকদিন আগের কথা, অফিসের জুনিয়র কলিগ সুধাকর টকটকে লাল রঙের মাইসোর সিল্কের জামা পরে অফিসে হাজির। সুরজিৎ বাবু মন দিয়ে একটা ফাইল দেখছিলেন, হঠাৎ চোখ তুলে তাকাতেই নজরে এল সুধাকরের লাল শার্ট। অফিসের রঙচটা দেওয়াল এবং মলিন পরিবেশের সঙ্গে এই শার্টের রঙ এতটাই বেমানান মনে হলো সুরজিতের, সেদিন অফিসের ক্যান্টিনে লাঞ্চের টেবিলে সুধাকরকে বলে বসলেন,
'একটা বাংলা প্রবাদ আছে, জানো তো সুধাকর?'
জিজ্ঞাসু চোখে সুধাকর সুরজিৎবাবুর দিকে চাইতেই সুরজিৎবাবুর কথাটা মিসাইলের মতো ধেয়ে এল -
'খাবে নিজের ইচ্ছেয় আর পরবে পরের ইচ্ছেয়, এটা বোধহয় তোমার জানা নেই'।
এমন খোঁচা খাওয়ার পর সুধাকর বেশ কিছুকাল সুরজিৎবাবুর সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ রেখেছিল। অবশ্য এতে সুরজিৎবাবুর কোনও মনোবিকারের ঘটেনি। কারণ, কাজের কথা ছাড়া এমনিতেও সুরজিৎ বাবু খুব একটা কারও সঙ্গে গায়ে পড়ে কথা বলেন না।
সেদিন অফিসের বরদাবাবু রিটায়ার করছেন, অফিসের কাজকর্মের পর ছোট একটা সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। একটা টেবিলে সাদা টেবলক্লথের ওপর ছোট একটা ফুলদানীতে ফুল রাখা, পাশে মাইক। বরদাবাবুর কয়েকজন কলিগ এসে একে একে স্মৃতিচারণ করে গেলেন, সুরজিৎবাবুকে অবশ্য কেউ কোনও বক্তব্য রাখতে অনুরোধ করেনি। শেষে বিদায়ী সঙ্গীত গাইতে উঠল অফিসের একজন জুনিয়র ক্লার্ক, এজাতীয় অনুষ্ঠানের বাঁধাধরা গায়ক। ছোকরার গানের গলাখানা বেশ, দরদ দিয়ে গাইছে রবি ঠাকুরের 'পুরানো সেই দিনের কথা'। গান শুনতে শুনতে বোধহয় একটু উদাস হয়ে গেছিলেন সুরজিৎবাবু, মনে পড়ছিল তার নিজের অবসরগ্রহণের দিনও ঘনিয়ে আসছে, ঠিক সেইসময় মনে ভীড় করে এল তাঁর নামসমস্যা। আজ হঠাৎ কেন যেন তাঁর মনে হলো তিনি তাঁর পিতৃদত্ত নামের প্রতি সুবিচার করেননি। অফিস ফেরতা পুরোটা সময় সুরজিৎবাবুর মনটা খচখচ করতে লাগল। দেবতা নাকি গানের সুর, কাদের জয় করার কথা তাঁর নামের মধ্যে রয়েছে? তাঁর বাপ নিশ্চয়ই কিছু একটা ভেবেচিন্তে নামটা রেখেছিলেন, অথচ ধমকের ভয়ে কোনওদিন নিজের প্রবলপ্রতাপ পিতৃদেবকে শুধিয়ে উঠতে পারেননি, আর মা তো সেই ছেলেবেলাতেই গত হয়েছেন। দেব-দেবতায় সুরজিতবাবুর পিতৃদেবের বড় একটা বিশ্বাস কোনওদিনই ছিল না, সুতরাং দেবতাদের জয় করার মানসে ছেলের নামকরণ করবেন, এটা মেনে নেওয়া মুশকিল। আবার অন্যদিকে তাঁর চোদ্দগুষ্টির কেউ কখনও গানের লাইনে ছিল বলে সুরজিৎ বাবুর জানা নেই, অতএব সেই চিন্তা কাটল না সুরজিৎবাবুর, দেবতা না গান। বাড়ি ফিরে ছটফটানিটা যেন আরও বেড়ে গেল, শেষে থাকতে না পেরে ঠিক করলেন তাঁর জ্যাঠতুতো দাদাকে ফোন করবেন। সমীরদা চন্দননগরে থাকেন, মাসে অন্ততঃ একবার টেলিফোনে কথাবার্তা হয়। সুরজিতের নিকট আত্মীয় বলতে এই একজনই বর্তমান, বয়েসে দু-এক বছর বড় হওয়ায় এঁদের মধ্যে তুইতোকারির সম্পর্ক। এ মাসে এখনও তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয়নি, সুতরাং ফোন করা যেতেই পারে, এইসব সাতপাঁচ ভেবে ফোনটা করেই ফেললেন। কয়েকবার রিং হবার পর অন্যদিক থেকে সাড়া পাওয়া গেল। টুকিটাকি কিছু মামুলি কথা সেরে সোজা আসল কথা পাড়েন,
'হ্যাঁ রে সমু, আমাদের বংশে কেউ কখনও গানটান গাইত? মানে, কেউ কখনও গানের লাইনে গেছিল?'
এমন প্রশ্ন বোধহয় সমীরবাবু আশা করেননি। প্রশ্নটা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে কয়েক সেকেন্ড সময় গেল,
'হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন করছিস?'
'না, মানে, ইয়ে মনে হলো', কোনওমতে সামলান সুরজিৎবাবু। আবার কিছুক্ষণ নীরবতার পর ওপাশ থেকে সমীরের গলা ভেসে আসে
'বাবাকে একবার যেন বলতে শুনেছিলাম, তাঁর ছোটমামা কীর্তন টির্তন জাতীয় কিছু গানটান গেয়ে বোধহয় একসময় নাম করেছিলেন, তবে এখন তাঁকে কেউ মনে রেখেছে কিনা সন্দেহ'।
'আশ্চর্য তো, বাবাকে কখনও এ নিয়ে কিছু বলতে শুনিনি'।
'হয়ত উনি সে রকম বিগ টাইমার কেউ ছিলেন না'।
'হুঁ, হতে পারে, হতে পারে'। আরও কিছু মামুলি কথাবার্তার পর ফোন রেখে দিলেন সুরজিৎবাবু। স্বর, সুর, গান, এই গানকেই জয় করতে হবে - কেমন যেন মাথার মধ্যে গেঁথে গেল কথাটা।
পাড়ার ভুপেশবাবু গান শেখান, পরের দিন অফিস ফেরতা সোজা তাঁর কাছে গিয়েই ধর্ণা দিলেন সুরজিৎবাবু -
'গান শিখতে চাই'।
বিস্ময়ে ভুপেশবাবুর চোয়াল প্রায় ঝুলে পড়তে যাচ্ছিল, কোনওক্রমে সামলে নিয়ে প্রায় ধরা গলায় কোনওক্রমে সায়টুকু দিতে পারলেন।
সুরজিৎবাবু অবিশ্যি এসব কোনও ধর্তব্যের মধ্যেই আনলেন না।
'একটা অনুরোধ আছে, আমার বাড়িতে এসে শেখাতে হবে। তার জন্য অবশ্য এক্সট্রা কিছু…'
ভুপেশ বাবু কথার মাঝেই থামিয়ে দেন -
'আরে, ওসব নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হতে হবে না। তবে কিনা একটা হারমোনিয়াম চাই'।
'হারমোনিয়ামের ব্যবস্থা হয়ে যাবে'
ঠিক হলো সপ্তাহে দুদিন সন্ধ্যেবেলা ভুপেশবাবু এসে গান শিখিয়ে যাবেন। সুরজিৎবাবুর মনে বেশ একটা উৎসাহের ছোঁয়া এল।
পরেরদিন অফিস থেকে ফেরার পথে লালবাজারে বলাকার দোকান থেকে বেশ দামি একখানা স্কেল চেঞ্জিং হারমোনিয়াম কিনে ফেললেন সুরজিৎবাবু, তারপর ট্যাক্সি ধরে সোজা বাড়ি। নতুন কিছু করার আগ্রহে তর সইছিল না যেন। কোনওমতে হাত পা ধুয়ে, ঘরের মেঝেতে শতরঞ্জি বিছিয়ে হারমোনিয়ামটাকে আলতো করে তার ওপর রাখলেন সুরজিৎ বাবু। সাইড লকটা খুলে সন্তর্পণে বেলো করে আঙুল দিয়ে রিডে চাপ দিতেই প্যাঁ পোঁ করে বেজে উঠল হারমোনিয়ামটা। বেশ কিছুক্ষণ এক্সপেরিমেন্ট করতেই কাজ চালানো গোছের ষড়জ থেকে নিষাদ অবধি বাজানোটা আয়ত্ত করে ফেললেন, তবে কোন স্কেলে সেটা বুঝে উঠতে পারলেন না। সে যাই হোক, ভেতরে ভেতরে কিন্তু একটা অদ্ভুত তৃপ্তি অনুভব করছিলেন সুরজিৎবাবু।
ইতিমধ্যে দেড়মাস পার হয়ে গেছে, ভুপেশবাবু তাঁর বয়োঃজ্যেষ্ঠ ছাত্রের উন্নতি দেখে যত না অবাক, সুরজিৎবাবু নিজে তার থেকে কম অবাক নন। কিছু সরগম এর মধ্যেই অবলীলাক্রমে গাইতে পারছেন, সুর তাল ঠিক রেখে এবং তৎসঙ্গে হারমোনিয়াম বাজিয়ে। সকালে অফিস যাবার আগে এবং সন্ধ্যে থেকে রাত্তির অবধি রেওয়াজ চলে, এমনকি অফিসেও আজকাল ফাইলপত্তর দেখার মাঝে গুনগুনিয়ে উঠছেন।
অফিসের কলিগরাও একটু অবাক, বলতে গেলে আজকাল সবার সঙ্গে যেন প্রায় গায়ে পড়েই কথা বলছেন সুরজিৎবাবু। সুরজিৎবাবুর বসও কম অবাক নন, যে লোকটাকে দিয়ে ফাইল অডিট করানোর জন্য ঘেঁতিয়ে মরতে হতো সে কিনা নিজেই যেচে এসে ফাইলপত্র চেয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেদিন আবার অফিসের পিওনের মেয়ের বিয়ের জন্য ঝট্ করে পাঁচ হাজার টাকার চেক লিখে দিলেন, পিওন যত না অবাক তার চেয়ে বেশি অবাক সুরজিৎবাবুর কলিগরা। পাশের টবিলে বসা সুধাংশুবাবু তো সরাসরি জানতে চাইলেন যে এ বয়সে প্রেম ট্রেম করছেন কিনা। তবে এসবে সুরজিৎবাবুর কোনও তাপ উত্তাপ নেই, মনে তার শুধুই সুরের খেলা।
ইতিমধ্যে ভুপেশবাবুর তালিমে দু'একটি রাগের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে, আর সুরজিৎবাবু নিজেও ইন্টারনেট ঘেঁটেঘুঁটে নিজের বিদ্যে বাড়িয়ে চলেছেন। সুরজিৎবাবুর নিস্তরঙ্গ জীবনে এতদিন যেন এই সঙ্গীতেরই অভাব ছিল। ছুটির দিনে কোনওমতে নাওয়া-খাওয়া সেরে প্রায় সারাদিন হারমোনিয়াম নিয়ে পড়ে থাকেন সুরজিৎবাবু। ঘড়ির কাঁটায় আর ক্যালেন্ডারের পাতায় সময় বাড়ে। বারান্দায় টবে রাখা জ্যাট্রোপা, সে ও যেন একটু করে বড় হয়।
ডিসেম্বরের শেষ রবিবারে একটা ছোট্ট ঘটনা ঘটল, নিতান্তই কাকতলীয় বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় অবিশ্যি। সেদিন সকাল থেকেই সুরজিৎবাবু রেওয়াজ করছেন, বিকেলের দিকে গৌড় মল্লারে একটা খেয়াল শুরু করলেন বিলম্বিত ত্রিতালে, 'গর্জে রে ঘটা ঘন'। বেশ লাগছিল গড়িমসি করে গাইতে, নিজের মধ্যেই বুঁদ হয়ে গেছেন গাইতে গাইতে, হঠাৎ কান ফাটানো শব্দে চমক ভাঙল এবং খেয়ালও। বাইরে কখন যেন বৃষ্টি শুরু হয়েছে আর তার সঙ্গত দিচ্ছে বজ্রপাতের গমক। মল্লার রাগ নাকি বৃষ্টি আনে? গৌড় মল্লারও কি তাই? নিজের মনেই প্রশ্নটা বার দুয়েক লোফালুফি করেন সুরজিৎবাবু, অথচ গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে আকাশ যে একেবারে খটখটে শুকনো ছিল। সেদিন আর গান জমল না।
গৌড় মল্লার আর বৃষ্টি হওয়ার ব্যাপারটা যে নেহাতই কাকতালীয়, সেটা সুরজিৎবাবু নিজেও এখন বিশ্বাস করেন। সেই আপাত তুচ্ছ ঘটনার পর পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে, তবু মাঝেমধ্যে সেইদিনটার কথা মনে পড়ে বৈকি। এরমধ্যে কিন্তু সুরজিৎবাবুর সঙ্গীতচর্চার প্রতি কোনও গাফিলতি দেখা যায়নি এবং সেই নামসমস্যার চিন্তাও মন থেকে ধুয়েমুছে নিশ্চিহ্ন হয়েছে। এই পাঁচ বছরে নিজেকে যেন নতুন করে আবিষ্কার করেন সুরজিৎবাবু। আপশোষ হয়, কেন তিনি আরও আগে থেকে গান শিখতে শুরু করেননি।
শরৎকালের ভোর, দুদিন আগেই মহালয়া হয়ে গেছে, বাতাসে শিউলির সুবাস আর মন ভালো করা এক আমেজ। ঠিকে কাজের লোক মালতীর জন্য ফ্ল্যাটের সদর দরজা খুলে রেখে যথারীতি ভেতরের ঘরে রেওয়াজ করছেন সুরজিৎবাবু। আজকে ইংরেজি মাসের শেষদিন এবং সুরজিৎ বাবুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনও বটে, আজ সুরজিৎবাবু অফিস থেকে অবসরগ্রহণ করছেন। গত কয়েকদিন ধরে অফিসের কলিগরা অনেকেই এসে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে গেছে। যদিও অবসরযাপনের কনসেপ্টটা যে সুরজিৎবাবু মানতে নারাজ, সেটা তিনি প্রত্যেককে ধরে ধরে বুঝিয়েছেন। শরতের ভোরে রাগ ভৈরোর সুর ও তান এক অপূর্ব মূর্ছনা সৃষ্টি করেছে, প্রকৃতি আর সুর যেন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করতে ব্যগ্র। প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ মালতী ঘরে ঢোকে, দরজার পাশ থেকে ঝাড়ুটা তুলে নিয়ে থমকে দাঁড়ায়। এ কেমন সুর ভেসে আসছে? সুরজিৎবাবুর রেওয়াজের সাথে মালতী তো অপরিচিত নয়। কিন্তু আজকের সুরমূর্ছনা যেন এই খেটেখাওয়া অশিক্ষিত মাঝবয়েসি মহিলাকেও বিচলিত করে। ধীর পায়ে গিয়ে ভেতরের ঘরে উঁকি মারতেই বিস্ময়ের বিহ্বলতায় মালতী দাঁড়িয়ে পড়ে, হাত থেকে ঝাড়ুটা পড়ে যায়। জানলা দিয়ে এক চিলতে রোদ্দুরের টুকরো মেঝে থেকে হারমোনিয়ামের ওপর অবধি ছড়িয়ে পড়েছে, সারা ঘরে ভেসে বেড়াচ্ছে এক অপূর্ব সুরলহরী আর শিউলির স্নিগ্ধ মৃদু গন্ধ। সুরজিৎবাবুকে আর কখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আহা!
ReplyDeleteখুবই ভালো লাগলো। গল্পের flow টা খুব impressive; আমার মতো অধৈর্যের লোককেও শেষ লাইন অবধি পড়তে বাধ্য করেছে।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteচমৎকার, আহা! সুর নিয়ে surrealistic গল্প, যেন কল্পজগতের কাহিনী। অবশ্য়ই অপর্ণার ছবি ১৫, পার্ক লেনের সঙ্গে কিছুটা সাদৃশ্য় আছে, কিন্তু লেখার ভঙ্গীটি বেশ সাবলীল, পড়তে পড়তে কোথাঅও গতি ব্য়াহত হয় না।
ReplyDelete