1

কবিতা - মাধুরী সেনগুপ্ত

Posted in



কবিতা


C/O কৈলাস
মাধুরী সেনগুপ্ত





দুর্গা সেদিন বল্লে ডেকে শুনছ ওহে পতি,
মোটেই আমার লাগছে না ঠিক তোমার মতিগতি।
কোন সকালে উঠেই তুমি হচ্ছ কোথায় গায়েব;
মর্ত্যে যাওয়ার টিকিটগুলো কাটবে তোমার নায়েব?
একটা বছর বড্ড বেশী, যাবই তাড়াতাড়ি -
তাই নিয়ে তো তোমার দেখি ভীষণ বাড়াবাড়ি।

কবে থেকে বলছি তোমায় লাগেজগুলো ভরো
মুখ ঘুরিয়ে, ফুঁ উড়িয়ে কেবল'ই দায় সারো।
এসব কিন্তু এবার আমার পোষাচ্ছে না মোটে-
তোমার মতো পাগলা ভোলা আমার কেবল জোটে।
তোমার আবার ত্রিশূল যাবে, সঙ্গে ডুগডুগি
মাঝ রাস্তায় ব্যাগ ছিঁড়লে আমিই কেবল ভুগি।

এমন সময় লক্ষ্মী এলেন, সাথে এল পেঁচাও
করুণ মুখে লক্ষ্মী বলেন, বাবা তুমি বাঁচাও।
মা বলেছে এবার নাকি মর্ত্যে যাবে আগে-
ভুলেই গেছে পুজোয় আমার পাঁচটা শাড়ি লাগে।
সেবার কেনা শিফন শাড়ি করেছে মা বাতিল;
মর্ত্যে গিয়ে তুমিই বলো কার কাছে হাত পাতি?

বল্লে সরো, দিদি আমি দুঃখ কোথায় রাখি?
বাবা আমায় সেদিন থেকে দিচ্ছে কেবল ফাঁকি।
জানিস তো তুই ল্যাপটপেতেই রাখি সকল ডেটা-
সেটাই নিয়ে নন্দীকাকু দিল সেদিন হাঁটা।
যতই বলি কী প্রয়োজন, আমায় একটু বলো-
কেবল বলে, বাবার আদেশ টিকিট বাতিল হলো।

এমন সময় গণশা এলেন, সাথে নিয়ে জুতো।
পুজোর আগে ট্রেডমিলেতে ওজন কমার ছুতো।
এসেই বলেন, উমা মাকে, কোথায় আরেক ছেলে?
যোগ শেখাবে বল্ল সেদিন, এখন গেছে ভুলে?

এমন সময় কেতোর প্রবেশ, কানে নিয়ে ফোন।
মামার আজকে ফোন এসেছে, তোরা একটু শোন।
মা বলেছে এবার একটু আগেই যাবে হোথায়-
বলছে মামা ছাতা নিয়েই যেতে হবে সেথায়!

তাইনা শুনে উমা বলেন বৃষ্টি হবে, সেকি!
শাড়ির সাথে এবার তবে ছাতাও নেব নাকি?
দেবাদিদেব মহাদেব এবার বলেন রোসো,
শান্ত হয়ে খানিক তুমি এদিক পানে বসো।
টিকিটগুলো এইবারে তাই করছি আমি বাতিল
শুনছি নাকি ডেঙ্গী মশা করছে মর্ত্যে মিছিল।
যতই তুমি পাঁচিল তোলো মণ্ডপে মণ্ডপে
পড়তে তোমায় হবেই যেন ডেঙ্গী মশার কোপে।

তিন চোখের'ই জলের ধারায় বন্যা বুঝি এল-
উমার নয়ন দেখেই ভোলা, বলেন তবে চলো।
একটা কথা সবাই তবে শুন দিয়া মন-
ওডোমস সঙ্গে রেখো নিয়ে সর্বক্ষণ।

শেষ বিকেলে কৈলাসেতে হাসি এল শেষে।
শিব দুগগা রওনা দিলেন মর্ত্যধামের দেশে।

1 comment:

  1. কি মজা কি মজা। বাচ্চাদের কথা জানিনা,আমারই পড়ে হাততালি দিতে ইচ্ছে হলো।

    ReplyDelete