0

প্রবন্ধ - অঞ্চিতা ঘটক

Posted in




















২০২০ সালে কোভিড অতিমারির প্রকোপে আমাদের সকলের জীবনই আচমকা বদলে গেল। আমাদের দেশে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ‘লকডাউন’ জারি হল। শুধু ভারতে নয়, পৃথিবীর অনেক দেশেই লকডাউন হল। পৃথিবীটা যেন থমকে গেল।

এই সময় ভারতের বহু সম্পন্ন ও গরীব পরিবারে সংকট দেখা দিল। কী হল? লকডাউনের কারণে গৃহপরিচারিকারা কাজে যেতে পারছিলেন না। নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে আরম্ভ করে অতীব ধনী পরিবারগুলি সকলেই কমবেশি গৃহশ্রমিকদের উপর নির্ভরশীল । তাই লকডাউনের সময়ে বাড়ির দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া অনেকের পক্ষেই কষ্টকর হয়ে উঠল । আর গৃহশ্রমিকরা তো তাঁদের জীবিকা ও জীবন নিয়ে মহা সংকটে পড়লেন। তাঁরা ভাবতে লাগেন এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে আর কাজ না করলে খাবেন কী । তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না যে তাঁদের কাজগুলি আদৌ থাকবে কি না।

এছাড়া আর সকলের মত কোভিড ১৯ নিয়েও আর সকলের মত গৃহশ্রমিকদেরও অনেক প্রশ্ন আর ভয়ভীতি ছিল। এই প্রসঙ্গে মনে রাখা প্রয়োজন যে ভারতে অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষের পক্ষেই প্রতি ঘন্টায় হাত ধোয়া এবং পাড়া প্রতিবেশীর থেকে দু মিটার (ছ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখা দুষ্কর। শহরাঞ্চলে তাঁরা খুবই সঙ্কীর্ণ জায়গায় বহু লোক মিলে থাকেন এবং খুব হিসাব করে জল ব্যবহার করতে হয়। অনেক গ্রামে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য জল আনতে নারীদের বহু দূর যেতে হয়। আমরা জানি যে বহু সাংসারিক কাজের মত জল আনার কাজ মেয়েরাই করে থাকেন।

আমি আর আমার সহকর্মীরা কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু গৃহশ্রমিকদের সঙ্গে সাংগঠনিক কাজ করি যাতে তাঁরা তাঁদের অধিকারের লড়াইটা বলিষ্ঠ করতে পারেন। এঁরা সকলেই কলকাতায় কাজ করেন। এই অতিমারির সময় বিস্তারিতভাবে গৃহশ্রমিকদের অভিজ্ঞতা জানার জন্য আমরা ২০২০ তে জুন থেকে অগাস্ট মাসের মধ্যে ১৪ জন গৃহশ্রমিকদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। এই সাক্ষাৎকারগুলি এবং আমার কাজের ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার ভিতিত্তে এই প্রবন্ধটিতে আমি গৃহশ্রমিকদের অবস্থা এবং তাঁদের উপর কোভিড অতিমারির প্রকোপ সম্বন্ধে আলোচনা করব ।

আমাদের দেশে গৃহশ্রমিক

আই এল ওর কথানুসারে ভারতের উপার্জনকারী মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ৮০% মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। তাঁরা কর্মী হিসাবে প্রায় কোনও সুরক্ষা অথবা সুযোগ সুবিধা পান না । গৃহশ্রমিকদের কাজও এই অসংগঠিত ক্ষেত্রে। গৃহশ্রমিকদের প্রচলিতভাবে ‘কাজের লোক’ অথবা ‘কাজের মেয়ে’ বলা হয়। তাঁরা অধিকাংশই গরীব, নিরক্ষর অথবা স্বল্প সাক্ষর, দলিত বা আদিবাসি সম্প্রদায়ের এবং অপুষ্টি ও অন্যান্য বঞ্চনার ফলে বহু স্বাস্থ্য সমস্যায় জর্জরিত । কাজের জায়গায় এবং নিজেদের বাড়িতে এঁদের কঠিন পরিশ্রম করতে হয়।

ভারতে কতজন মানুষ গৃহশ্রমিক হিসাবে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন সে সম্বন্ধে সঠিক কোনও তথ্য নেই। এন এস এস ২০০৫ এ বলা হয়েছিল ৪.৭৫ মিলিয়ন মানুষ। আবার কিছু কিছু সমীক্ষায় বলা হয়েছে ৯০ মিলিয়ন মানুষ কিংবা তারও বেশি। খুব বেশি তর্কের মধ্যে না গিয়েও নিঃসন্দেহে বলা যায় যে ভারতে ৫০ মিলিয়ন গৃহশ্রমিক আছে এবং অধিকাংশই নারী অথবা মেয়ে ।

আমাদের দেশে গৃহশ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও আইন নেই। কয়েকটি আইনে, যেমন অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার আইন (২০০৮) এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ আইন (২০১৩), গৃহশ্রমিকদের কিছু কিছু আইনী অধিকার দেওয়া হয়েছে । তবে এই আইনগুলি গৃহশ্রমিকরা কতটা কাজে লাগাতে পেরেছেন তাই নিয়ে সমীক্ষা প্রয়োজন। নীতি ও আইনের ক্ষেত্রে গৃহশ্রমিকদের প্রায় অনুপস্থিতি প্রমাণ করছে যে সরকার এই বিশাল সংখ্যক নারী শ্রমিকদের উন্নতি ও কল্যাণ নিয়ে বিশেষ বিচলিত নয় ।

আইন ও নিয়ম নীতি না থাকার জন্য গৃহশ্রমিকরা নিয়োগকারীর সঙ্গে মৌখিক চুক্তি করে কাজে যোগ দেন । কলকাতায় এবং পশ্চিমবঙ্গ গৃহশ্রমিকরা সপ্তাহে একদিন করে ছুটিও পান না। এখনও বহু পরিবারে গৃহশ্রমিকদের খাওয়ার বাসনপত্র আলাদা থাকে এবং তাঁদের নিয়োগকারীদের শৌচালয় ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। তাঁদের মজুরিও খুবই সামান্য । কলকাতায় দেখা যায় যে পাঁচ – ছ’টা বাড়িতে কাজ করেও একজন গৃহশ্রমিকের মাসিক আয় ১০,০০০ টাকার কম। ভারতের বেশির ভাগ রাজ্যেই গৃহশ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরির নিয়মের আওতায় পড়েন না ।

লকডাউন এবং কর্মক্ষেত্রে ফেরত যাওয়া

ভারতের লকডাউন খুবই কঠোর ছিল। মার্চের শেষ সপ্তাহে হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণার পর বাড়ির বাইরে বেরোনো খুবই মুস্কিল ছিল। নিতান্ত দরকার ছাড়া কেউই বেরচ্ছিল না। পুলিশও তৎপর ছিল। কখনও বুঝিয়ে, অনেক সময়েই ভয় দেখিয়ে এবং মারধোর করে মানুষকে বাড়িতে ঢুকিয়ে রাখছিল। মে মাসের মাঝামাঝি অবধি এইরকম অবস্থাই ছিল। জনস্বাস্থ্যের জন্য এই লকডাউনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা করে তারপর পুলিশের ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো কি সমীচীন? সাবধানতার বার্তা প্রচার করে আর সমাজকল্যাণ এবং জনসংযোগ ও সংস্কৃতি বিভাগের কর্মীদের দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এই কাজটা করানো যেত না কী?

এপ্রিল মাসের শুরুতে জানা গেল যে অধিকাংশ গৃহশ্রমিকরা তাঁদের মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। কিন্তু মে মাসে একদম আলাদা চিত্র দেখলাম। কিছু শ্রমিকরা জানালেন যে তাঁদের কাজ চলে গেছে আর অনেকেই বললেন যে তাঁরা এপ্রিল মাসের বেতন পান নি এবং পাবেন কি না বুঝতে পারছেন না। কাজ চলে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা বেতন চাইতেও ইতস্ততঃ করছেন।

তবে মে মাসের মাঝামাঝি যখন ‘আনলক’ শুরু হল – অফিস খুলতে লাগল, যানবাহন চলাচল আরম্ভ হল – তখন কিছু নিয়োগকারীরা গৃহশ্রমিকদের কাজে ফিরে আসতে বললেন। অনেক শ্রমিকরা তখন নিয়োগকারীদের বললেন যে তাঁরা কাজে ফিরতে রাজি আছেন কিন্তু কাজে যোগ দেবার আগে তাঁদের বাকি বেতন চুকিয়ে দিতে হবে। এর ফলে অনেকেই বাকি বেতন পেলেন – কেউ পুরোটা কেউ খানিকটা । তবে অনেকের বেশ কাটখড় পোড়াতে হয়েছিল এই দাবী আদায় করতে । কিছু নিয়োগকারী তো অকপটে বলেছেন যে যেহেতু লকডাউনে গৃহশ্রমিকরা কাজ করেন নি তাই তাঁরা মজুরি দেবেন না।

অতিমারির কারণে দেখা গেল যে অনেক নিয়োগকারীরাই চাইছেন যে শুধু একজন গৃহশ্রমিকই তাঁদের বাড়িতে কাজ করুন এবং শুধুমাত্র তাঁদের বাড়িতেই কাজ করুন। বয়স্ক অথবা অসুস্থ ব্যক্তিরা কাউকেই নিজেদের বাড়িতে ঢুকতে দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছিলেন না। কিছু বাড়িতে বিশেষতঃ যেখানে ছোট বাচ্চা অথবা বয়স্ক ব্যক্তি আছেন নিয়োগকারীরা চাইছিলেন যে গৃহশ্রমিকরা দৈনন্দিন যাতায়াত না করে কাজের বাড়িতেই থেকে কাজ করুন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে নিয়োগকারীরাও কাজ হারিয়েছিলেন বা ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন বলে গৃহশ্রমিকদের কাজে বহাল করতে পারেন নি। অতএব দেখা গেল যে লকডাউনের পরে যদিও গৃহশ্রমিকরা কাজে ফেরত যেতে আরম্ভ করলেন তাঁরা কিন্তু তাঁদের সব কাজগুলি ফেরত পান নি। যেমন রানী মন্ডল লকডাউনের আগে ৬ টি বাড়িতে কাজ করতেন এবং তিনি ৩টি বাড়ির কাজ ফেরত পান। রুমা মাইতি ২টি কাজের ১টি ফেরত পান।

অতিমারি, লকডাউন ইত্যাদির অনিশ্চয়তার পর মে মাস থেকে যখন কিছু যানবাহন চলতে আরম্ভ করল আর সকলে কাজের জায়গায় ফেরার তোড়জোড় করতে লাগলেন তখনই এসে পড়ল সাইক্লোন আম্ফান। এর ফলে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার মানুষ আরও একটা দুর্যোগের সামনে পড়লেন এবং অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। রানী মন্ডলের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। দক্ষিণ পূর্ব কলকাতায় ওঁদের পাড়ায় ৩০০ টি বাড়ির খুবই ক্ষতি হয়। ওঁর কাজের বাড়ি থেকে ওঁরা বলেছিলেন যে পার্টি অফিসের থেকে ওঁরা তেরপল পাঠিয়ে দেবেন কিন্তু তা হয় নি। পরে রানীদের পাড়া থেকে দশ বারোজন মহিলারা মিলে সাইক্লোনের ক্ষয় – ক্ষতি নিয়ে পার্টি অফিসে আলোচনা করতে যান। পার্টি অফিস থেকে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন যে ওঁরা গিয়ে দেখে আসবেন এবং তারপরে ঠিক করবেন যে কি করা যাবে । তবে ওঁরা আসেন নি।

কাজের জায়গায় নতুন নিয়ম

নারী গৃহশ্রমিকরা সব সময়েই প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেন। তাই সুযোগ পেয়েই ওঁরা কাজে ফিরে গেলেন। এবারে অবশ্য কাজে গেলেন ব্যাগে স্যানিটাইজার নিয়ে আর মুখে মাস্ক পরে। কেউ আবার কাজের বাড়িতে গিয়ে বাইরের জামা কাপড় বদলে নেন। তাঁরা মনে করেন যে এই সাবধানতাগুলো নিজেদের ও নিজের পরিবারের এবং কাজের বাড়ির সকলের স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি। প্রতিমা গায়েন ৪ টি বাড়িতে কাজ করেন। প্রত্যেকটি বাড়িতে ঢুকে উনি জামাকাপড় ছেড়ে নেন এবং সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেন। যেই জামাকাপড় পরে বাইরে থেকে আসেন সেইগুলি কাজের বাড়িতে কেচে শুকোতে দেন যাতে পরের দিন পরার জন্য কাচা কাপড় থাকে। সারাদিনের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে স্নান করে নেন। কাজ করার সময় মাস্ক পরে থাকেন। অবশ্য গরমের দিনে সন্ধ্যাবেলায় স্নান করা যতটা সহজ, খুব বৃষ্টির দিনে বা শীতের সময় তা নয়। অনেকেই বাড়ি ফিরে হাতমুখ ধুয়ে জামাকাপড় বদলে নেন।

সব সময়েই নিয়োগকারীদের মধ্যে গৃহশ্রমিকদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে একটা সংশয় থাকে। এবং পরিচ্ছন্নতার দোহাই দিয়ে বেশ কিছু বর্ণ বিদ্বেষী প্রথা আমরা এখনও চালু রেখেছি। কয়েকটির কথা আমি এই লেখায় খানিক আগে উল্লেখ করেছি। পার্বতী মাঝি তিন বছর ধরে একটি বাড়িতে কাজ করতেন। লকডাউনের পরে যখন উনি কাজে ফেরত গেলেন তখন ওঁকে সেই বাড়ির ছোট বাচ্চাটিকে ছুঁতে মানা করে দেওয়া হল। এতে উনি খুবই আঘাত পেয়েছিলেন। আরও খারাপ লেগেছিল যখন উনি দেখলেন যে কাজ করতে করতে যেই জায়গাগুলি উনি ছুঁয়েছেন ওঁর নিয়োগকারীরা আবার সেই জায়গাগুলি মুছে নিচ্ছেন। যদিও সকলেই বুঝেছেন যে এই অতিমারির সময় দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন কিন্তু গৃহশ্রমিকদের বিশেষ করে মনে হয়েছে যে এই অতিমারির ফলে আমাদের মত জাতি, ধর্ম ও শ্রেণী বিভক্ত সমাজে মানুষে মানুষে বিভেদ আর ‘সামাজিক দূরত্ব’ আরও বেড়ে যাবে কি না।

সরকার ও সমাজের দায়বদ্ধতা

অতিমারির সময়ে দেখা গেল যে গরিবদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কিছু প্রকল্প চালু করলেন। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি তো আছেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সকলে এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পেলেন না। পাশাপাশি বহু ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী দল, সামাজিক সংস্থা, রাজনৈতিক দল মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। বিরল হলেও কিছু গৃহশ্রমিকদের নিয়োগকারীরা তাঁদের টাকা ধার দিয়ে অথবা অর্থ বা জিনিস দিয়ে সাহায্য করেছেন।

ভারতে গৃহশ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে অধিকার ও নিরাপত্তা অনিশ্চিত। কোভিড অতিমারির ফলে এই নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। খুবই তাড়াতাড়ি পশ্চিমবঙ্গে গৃহশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির নিয়মের আওতায় আনা প্রয়োজন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ব্যবস্থা প্রয়োজন যাতে গৃহশ্রমিক ও তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বাসস্থানের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

গৃহশ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতা দূর করার জন্য নিয়োগকারীরা অবশ্যয়ই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারেন যেমন প্রতি ঘন্টা পিছু কমপক্ষে ৪৫ টাকা মজুরি ধার্য করা এবং প্রতি সপ্তাহে একদিন সবেতন ছুটি দেওয়া । গৃহশ্রমিকদের সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া। অসুখ করলে সবেতন ছুটি দেওয়া। তাঁদের স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পে নথিভুক্ত করা।

সাম্য ও অধিকার আদায় করা সহজ নয়। নারী গৃহশ্রমিকের নিয়োগকারীরা চাইলে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ খানিকটা সহজ করে দিতে পারেন।


অঞ্চিতা ঘটক – সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক

0 comments: