0

ঝরনাতলার নির্জনে - শিবাংশু দে

Posted in


ঝরনাতলার নির্জনে


জোড়াসাঁকো জংশন ও জেনএক্স রকেটপ্যাড - ১৩
শিবাংশু দে 

ওগো কাঙাল আমারে…


এঁর গাওয়া গানের মহিমা বুঝতে বোধ হয় নিজেকে কিছুটা প্রস্তুত করতে হয়। তার মানে এর মধ্যে কোনও এলিটিস্ট দাগ কাটার কিছু নেই। রবীন্দ্রসঙ্গীতনামক শিল্পটি কীভাবে পরিবেশন করা যায়, সে বিষয়ে তাঁর নিজস্ব কিছু ধারণা ছিলো। তাঁর গায়নভঙ্গির সঙ্গে হিমালয়প্রমাণ পূর্বসূরিদের পরিবেশিতলোকপ্রিয় ধারাগুলির ফারাকটি প্রথম থেকেই বেশ স্পষ্ট। প্রথমত তাঁর কণ্ঠসম্পদ। দার্ঢ্য ও সুরের কারুকাজ একসঙ্গে এভাবে শ্রোতারা শোনেননি আগে।আমাদের বাল্যকালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ওনার রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনকে মন্দিরের কারুকার্যের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন সনাতন পাঠক নামেরআড়ালে। উপমাটি নিয়ে একটু ভাবা যেতে পারে। কাশ্মিরি শালের কারুকাজ বা স্বর্ণালংকারের কারুনৈপুণ্য দুইই সূক্ষ্মতার পরিমাপ হিসেবে গ্রহণ করা যায়।যদিও বস্তুগত ও চরিত্রগতভাবে উভয়ের মধ্যে অনেক ফারাক আছে। কিন্তু পাথর কেটে, খোদন করে যে কারুকাজ, তার মহিমা আলাদা। আপন সৃষ্টিরমধ্যে পাথরের ভাস্কর্যের অভিঘাত নিয়ে আসতে পারা নিপুণতম স্বর্ণকারের পক্ষেও অসম্ভব। কারু ও চারুনৈপুণ্যে অবারিত দক্ষতা থাকলেও ঋতু গুহেরগায়নভঙ্গির অভিঘাত তাঁর সমসময়ে বা পূর্বজ নারীকণ্ঠে অন্য সিদ্ধ শিল্পীরা এনে দিতে পারেননি। বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে তাঁর কণ্ঠস্বরের প্রধান অবলম্বন ছিলো গভীর জোয়ারির প্লবতা। কখনও কখনও দেখা যায় শিল্পীরা জোয়ারিকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে পরিবেশনার সময় সুরের পর্দার সূক্ষ্মতাব্যাহত হয়। বিশ্রুত ও প্রিয় শিল্পী অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবেশনায় এই চ্যুতিটি দেখা যেতো কখনও। কিন্তু ঋতু সুর লাগানোর সময় অত্যন্ত সতর্কথাকতেন। তাঁর সহজাত 'ভরাট' কণ্ঠের 'চাপ' সুরস্থানকে যেন প্রভাবিত না করে সে বিষয়ে সজাগ থাকতেন। সুরপ্রয়োগ ও উচ্চারণের ক্ষেত্রে তাঁর 'শুদ্ধ' থাকতে চাওয়ার আকুলতা রবীন্দ্রসঙ্গীতের গায়নশৈলিতে একটি নতুন মাত্রা যোজনা করে। 

সাক্ষাতে ওঁর গান প্রথম শুনি জামশেদপুরে, একাত্তর সালে। তখনও ঠিক গান শোনার তালিম হয়নি আমার। প্রথম শোনা যে গানগুলি এখনও আমার মনেআছে, ' তুমি খুশি থাকো', 'খেলার সাথি' ও 'তোমার সোনার থালায়'। তখন রবীন্দ্রসংগীত বলতে যে ছাঁচটি মাথায় ছিলো, সেখানে শেষ কথা ছিলেন, সুচিত্রা,দেবব্রত এবং হেমন্ত। ঋতু ছিলেন সেই বৃত্তের বাইরের মানুষ। সত্যিকথা বলতে আমার তো বটেই, আমার মতো অনেক সাধারণ শ্রোতার কাছেও ঐ শৈলীহয়তো একটু অধিক মাত্রায় নির্জল শুদ্ধ, অতি নিবিষ্ট বোধ হতে পারে। কিন্তু তিনি যখন 'তোমার সোনার থালায়' গানে নিজেকে প্রকাশ করেন, সেইব্যাকুলতাতাঁর কণ্ঠে জারিত হয়ে শ্রোতার সংবেদনশীলতাকে অজান্তেই যেভাবে নাড়া দিয়ে যায়, তার সমান্তরাল, অন্য উদাহরণ এখনও বিরল।


কলকাতাকেন্দ্রিক রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষার সত্রগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান নাম 'দক্ষিণী'। তাঁদের ছাত্রছাত্রীদের গান গাওয়ার ধরন ছিলো একটু অন্যরকম।অনেক শ্রোতাই ঐ লক্ষণগুলি নিয়ে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। কোনও কোনও দক্ষিণীর গায়ককে দেখা যেতো যতোক্ষণ কথাবার্তা বলছেন ততোক্ষণ বেশ সহজ,স্বাভাবিক। কিন্তু যেই গান গাইতে শুরু করলেন, তখন যাকে বলে গালে মার্বেলগুলি নিয়ে গাওয়া, সেরকম একটা কৃত্রিমতা প্রকট হয়ে উঠতো। আমরাতখন ইতরযানী শ্রোতা। সর্বসমক্ষে মনের কথা বলার মতো আত্মবিশ্বাস অর্জন করে উঠতে পারিনি। নিজেদের মধ্যেই বলাবলি করতাম। দক্ষিণীর ট্রেনিংকেনিরেস বলার হিম্মত ছিলোনা। সম্ভবত তার প্রধান কারণ, একা ঋতু গুহ। ঋতু যখন মঞ্চে বসে কোনরকম ভূমিকা ছাড়াই সূত্রপাত করতেন, 'তুমি যেএসেছো মোর ভবনে....'। সেই আঁচলটি গায়ে জড়িয়ে, একটু উন্নত গ্রীবায়, শান্ত মুখশ্রী নিয়ে। স্পষ্ট উচ্চারণ, স্পষ্টতর স্বরনিক্ষেপ, অভ্রান্ত সুরসংস্থান। প্রথমগানটি থেকেই তিনি কেন প্রবাদপ্রতিম ঋতু গুহ সেই সত্যটি প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন। আমরা ভাব্তুম কীভাবে, যে তথাকথিত মুদ্রাদোষগুলি দক্ষিণীর ট্রেডমার্ক, সেই 'দোষ'গুলি 'গুণ' হয়ে উঠছে ওনার পরিবেশনায়, সেটাই আমাদের মতো শ্রোতাদের কাছে শিক্ষনীয়। চূড়ান্তভাবে স্বরলিপিনিষ্ঠ হয়ে, কোনওরকম আপোস না করে, গানে অবলীলায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধি তিনি আয়ত্ব করেছিলেন। রবীন্দ্রসঙ্গীতে দক্ষিণীর শ্রেষ্ঠ অবদান তিনি। তাঁর অনেক গানএকটু অপ্রচলিত, কিন্তু তার অধিকাংশই তাঁর গায়নের গুণে আমাদের প্রিয় গান হয়ে উঠেছে। যখন 'গভীর রজনী নামিল হৃদয়ে' গাইছেন এবং তার পরেইচলে যাচ্ছেন 'আহা, আঁখি জুড়ালো হেরিয়ে' দুটি গানই একেবারে ভিন্ন ধরন ও চলনের উদাহরণ, কিন্তু পরিবেশনার মধ্যে একধরনের ক্ল্যাসিসিজম ফুটেউঠছে। কোনও রকম প্রগলভতার স্থান নেই। আজকের প্রজন্মে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যে অকারণ প্রগলভতার প্রাদুর্ভাব ও প্রিয়তা অনেক সময় ভুলসংকেত বহন করে আনে। অনুষ্ঠানের শেষে যখন তিনি শ্রোতাদের আগ্রহ আতিশয্যে যখন 'ওগো কাঙাল' গেয়ে ওঠেন, শ্রোতাদের যেন আর কিছু চাওয়ার বাকি নেই।


গত শতকের ষাট-সত্তর দশক থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চার যে নিবিষ্ট যুগটি আমরা লক্ষ্য করি তার সঙ্গে পরবর্তী যুগটির সেতুবন্ধ হিসেবে আমরা ঋতু গুহেরগায়ন'কে রাখতে পারি। পরবর্তী যুগ বলতে আমি নাম করতে পারি সে সময়ের তিনজন মুখ্য প্রতিনিধির। শ্রীমতী পূর্বা দাম, প্রয়াতা রমা মন্ডল এবং শ্রীমতীপ্রমিতা মল্লিক। এঁরা সবাই সুচিত্রা মিত্রের ছাত্রী। পূর্ববর্তী প্রধান শিল্পীরা যেমন রাজেশ্বরী দত্ত, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, নীলিমা সেন, সুমিত্রা সেন,গীতা সেন, সঙ্ঘমিত্রা গুপ্ত, পূরবী মুখোপাধ্যায়, বনানী ঘোষ প্রমুখ, প্রত্যেকেই নিজস্ব স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। এঁরা সবাই মোটামুটি এক প্রজন্মের। কিন্তুযেভাবে প্রত্যেক ছোটোবড়ো নদী স্রোত, যারা স্বভাবে হয়তো একান্ত আলাদা, সৌন্দর্যে ভিন্ন মাত্রার, যখন গঙ্গার মূলস্রোতে এসে মেশে, তাদের আর আলাদাকোনও অস্তিত্ব থাকেনা। এঁদের সৃষ্টিধারাও সেভাবে শ্রোতাদের মজিয়ে এসেছে নিজস্ব শৈলীর গৌরবে, দীর্ঘকাল ধরে, কিন্তু দিনের শেষে যে গানের রেশটিমনে থেকে যায় সেটি নিছক রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি এঁদের সমর্পণ। তাঁদের মধ্যে ঋতু ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতে গভীরভাবে সমর্পিত একটি অনন্য গৌরবস্তম্ভ।


আমি হেথায় থাকি শুধু গাইতে তোমার গান

রবীন্দ্রসঙ্গীতে উত্তম পুরুষকণ্ঠের অধিকারী, সমর্থ শিল্পীর অভাব চিরকালই রয়েছে। নব্বই দশক থেকে যখন আকালটি তুঙ্গে উঠছিলো, একজন শিল্পীকে দেখেছি একা রবীন্দ্রসঙ্গীতের গ্রহণযোগ্যতা ও পরিবেশনের মান'কে ধরে রাখতে সক্রিয়ভাবে যত্নপর ছিলেন। তাঁর গান প্রথম শোনার পর থেকেই, শ্রোতা হিসেবে তাঁর গীত সমস্ত গান মুগ্ধ হয়ে শুনেছি। একজন বড়ো শিল্পীর মতো সীমাবদ্ধতাকে পাত্তা না দিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনের একটি সমন্বিত ধারা,যেখানে শান্তিদেবের স্ফূর্তি উৎসারিত হয় সুবিনয়ের ঋদ্ধ সুরবিন্যাসে। আমরা তাঁর থেকে শুনি এক নতুনধরণের একালের রবীন্দ্রসঙ্গীত, যেখানে হাত কেটে বা পা ছেঁটে নতুন হবার বহ্বাড়ম্বর নেই। হ্যাঁ, আমি বলছি মোহন সিং খঙ্গুরার কথা।


তিনি প্রায় আকৈশোর শান্তিনিকেতনবাসী। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যে নারীকণ্ঠের কিন্নরী শিল্পীর সংখ্যা পরুষদার্ঢ্যের কণ্ঠশিল্পীর থেকে বেশ অধিক। সত্যিকথা বলতে অশোকতরু ছাড়া এই মূহুর্তে আর কারো নাম মনে পড়ছে না। পরিশীলিত‚ সুরেলা কণ্ঠ‚ গভীর প্রস্তুতি ও ধীমান পরিবেশনা‚পুরুষশিল্পীদের মধ্যে এই সব লক্ষণ অবিরল না হলেও কয়েকজন শিল্পী নিশ্চয় ছিলেন যাঁরা এই শিল্পরীতিটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন। রসিকজনের আকাঙ্খা পূর্ণ করার ক্ষমতা তাঁদের ছিলো। কিন্তু পঙ্কজকুমারের ঘরানা পূর্ণতা পাবার পর‚ সাধারণ শ্রোতাদের কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়নের এক অন্যতর শৈলি লোকপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই লোকপ্রিয়তা রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বনিযুক্ত অভিভাবকদের নির্দেশিত শুদ্ধতার মাত্রাবোধকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানায়। রবীন্দ্রসঙ্গীত যে শুধু নিভৃত গৃহকোণে গুনগুনানো নিজের মুদ্রাদোষে একলা হয়ে থাকা এককের গান নয় বা ব্রাহ্মমন্দিরের যান্ত্রিক ভক্তসম্পূট‚ সেই অবস্থানটি শক্তি পেয়েছিলো পঙ্কজকুমারের আজীবন প্রয়াসে। তিনি এতো অধিকমাত্রায় রবিসঞ্জীবিত ছিলেন যে হয়তো সম্পূর্ণভাবে নিজেও বোঝেননি‚ ভবিষ্যতের দেওয়াল লিখন তাঁর সঙ্গীতভাবনাকেই স্বাগত জানাবে। কথাপ্রসঙ্গে একটি শব্দ দিয়ে মোহন সিং রবীন্দ্রসঙ্গীতকে বোঝাতে তৎপর হয়েছিলেন‚যার অমোঘত্ব প্রশ্নহীন। কিন্তু হয়তো আজকের দিনেও অনেকের মনে তা নিয়ে দ্বিধা থাকতে পারে। শব্দটি ছিলো 'ম্যাজেস্টিক'।


তাঁর প্রথাবদ্ধ সঙ্গীতশিক্ষা মূলতঃ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে। রবীন্দ্রসঙ্গীতে আগ্রহী হয়েছিলেন পরবর্তীকালে। তাঁর শাস্ত্রীয়সঙ্গীতে গভীরপাঠ তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতকে এক ভিন্ন গরিমা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ ব্যাপারে তিনি শুধু পথিকৃৎই ন'ন‚ এখনও একম অদ্বিতীয়ম। গত একশো বছর ধরে বিভিন্ন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকারেরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েছেন। এখনও কেউ কেউ গেয়ে থাকেন। কিন্তু তা একান্তভাবে তাঁদেরই গান হয়ে থেকে যায়‚ রবীন্দ্রনাথের গান হয়ে উঠতে পারেনা। এই ঘটনাটি আমার বিস্ময় উদ্রেক করে। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীতশিক্ষার ভিত্তি চারতুকের ধ্রুপদ ফরম্যাটে। সামান্য কিছু ব্যতিরেকে তাঁর প্রায় সব গানই চারতুকের রচনা। অর্থাৎ ধ্রুপদের পরিমার্জিত অনুশাসন কখনও রোদের মতো‚ কখনও ছায়ার মতো‚ তাঁর গানকে অনুসরন করে চলে। কিন্তু প্রথাগত ধ্রুপদ বা অন্য আঙ্গিকে শিক্ষিত শাস্ত্রীয় কণ্ঠশিল্পীরা যখন তাঁর গান গাওয়ার প্রয়াস করেন‚ সেখানে রবীন্দ্রসৃষ্টির পরিমার্জনা প্রকৃত প্রস্তাবে সঞ্চারিত হয়না । সে‚ শিল্পী রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় হো'ন বা অজয় চক্রবর্তী‚ ঘটনাটি একই থাকে।


মোহনদার কণ্ঠসঙ্গীতে তালিম পণ্ডিত ধ্রুবতারা যোশিজির কাছে। তার সঙ্গে পণ্ডিত অশেষ বন্দোপাধ্যায় আর পণ্ডিত ওয়াঝেলওয়ারের শিক্ষা। এটওয়া‚ আগ্রা‚ বিষ্ণুপুর‚ সমস্ত ঘরানার মণিমুক্তো সংগ্রহ করে তিনি তাঁর ভাণ্ডার পূর্ণ করেছিলেন। পেশাগতভাবেও তিনি দীর্ঘকাল যুক্ত উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের সঙ্গে। কিন্তু যখন তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের আঙিনায় যখন পা রাখেন তখনও আত্মবিশ্বাস সমানভাবে স্ফূরিত হয়। তিনি বলেছেন তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতের দীক্ষা দু'জনের কাছে, শান্তিদেব ও কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দু'জন শর্তহীনভাবে তাঁর পথপ্রদর্শন করে গেছেন। এই মূহুর্তে যাঁরা ক্রিয়াশীল শিল্পী রয়েছেন,তাঁদের মধ্যে মোহন সিং অনন্য।


মোহনদা'ই এখনও একজন ব্যতিক্রমী শিল্পী। তাঁর শাস্ত্রীয় শিক্ষার গভীরতা ও রবীন্দ্রনাথে একান্ত সমর্পণ এবং তার সঙ্গে কণ্ঠসম্পদ‚ তাঁর গীত রবীন্দ্রসঙ্গীতকে এক অন্যতর মাত্রা এনে দেয়। তিনি একাধারে শান্তিদেবের স্ফূর্তি‚ সুবিনয়ের নিষ্ঠা এবং পঙ্কজকুমারের ঔদাত্ত আত্মস্থ করেছেন। এই গরিমাটি আমরা অন্য কোনও শিল্পীর মধ্যে পাইনি।

রবীন্দ্রসঙ্গীতে'ম্যাজেস্টিক' শব্দটির প্রয়োগ কীভাবে হয়‚ তিনি নিজে তার মূর্ত উদাহরণ।

0 comments: