0

গল্প - মৈনাক ভট্টাচার্য্য

Posted in

গল্প


ডেঁয়ো
মৈনাক ভট্টাচার্য্য



ভঞ্জ বৈরাগী বৈরাগী বটে, তিলক কাটে, কণ্ঠী গলায় দেয়, আবার হেমি, সরলার সাথে রসেবসে কখনও ফুট্‌ও কাটে, আশপাশের খবরও দেয়। এই যেমন আজ দুই পুলিশ এই বাজারে ডেঁয়ো খুঁজছিল। ভঞ্জ ব্যাপারটা লক্ষ্য করে। সরলা আর হেমিকে দ্রুত খবরটা ভঞ্জই পৌঁছে দেয়। এরকম কিছু ঘটলে বা ঘটতে চললে ভঞ্জ যেন ওদের কাছে ইথার তরঙ্গের কাজ করে।

সরলা জানতে চেয়েছিল- ও বৈরাগী, ডেঁয়ো কি গো?

-জানো না বুঝি! কালো ধুমসো চিনি পিম্‌রে।

সরলা কিম্বা হেমি এখন আর অত বোকা নেই যে তার পর বৈরাগীর কাছে জানতে চাইবে ওই চিনি পিঁপড়ে দিয়ে পুলিশের কি কাজ। বাজারের কতটুকুই বা ওরা খবর রাখে! কে ডেঁয়ো সরলা বা হেমির কি যায় আসে? তবে সুযোগ বুঝে ভঞ্জর আজ মনটা অনেকক্ষণ ধরে উছ্‌পিছ্‌ করতে করতে সরলার জলে এক মুঠো বাড়তি চাল দিতে বলেই ফেলে। সরলা হাসে, সরলার সম্মতি বুঝে ভঞ্জও হাসে।

সব্জির গন্ধ নাকে লেগেছে, তাই না বৈরাগী? – সরলা বলে।

লোভ লুকানো অজুহাতে ভঞ্জও হাসে- না রে সরো’ আমার শরিলের আজ জুত নাই, গোবিন্দর দোহাই কাল তোমারে শোধ বোধ দিয়ে দেব। ওদের দলে হেমি, সরলা আর ভঞ্জ শাকাহারী তিনে এমনটা হয় কখনও সখনও। টুক্‌ টাক্‌ ফাই ফরমায়েসের খাতিরে, খবর দেবার খাতিরে এগুলো করতেও হয় সরলা কিম্বা হেমিকে। হিসেব তো এক দিনের নয়, ভঞ্জও কখনও দু এক পদ বানিয়ে খাওয়ায়। তা ছাড়া প্রতিদিন আলাদা আলাদা পাত পড়ে ওদের।

শরৎ বোস রোডের পেট কাটি এই বাজারে ওরা ডিমবুড়ি, পাশাপাশি ভঞ্জ আনাজ ফলের ব্যাপারী হয়েও বৈরাগী। রঙ বেরং যখন বাজার জুড়েই লাগাম ছাড়া, ঠিক তখন সরলা, হেমি সাদা থান কাপড়ে আর সাদা ডিমের ঝাঁকায় দুই জনা যেন সত্যিই সাদা কালো। আর সাদা কালোয়, সাদা ধুতি কুর্তা,সাদা চুল দাড়িতে এই ভঞ্জ বৈরাগী। পেছন বাজারে যেন তিন জনে থেকেও না থাকার মত। তাই বুঝি ওরা কাছাকাছি। আর যা সাদাকালোয়, তা বাজার ভরা বড় বড় বরফের চাঁই। বরফ কল থেকে বেরিয়ে এখানেই জমা হয়। সেটা দেখাশোনা হারুর। তবে হারুর দল আলাদা। তা বলে মনে যে ওদের কখনও রঙ ধরেনা, তা নয়। ওদের থাকা না থাকা নিয়ে কখনও কারও ফারাকও পড়ে। যেমন হারু, খুব মাসি মাসি করে যখন ভাগের বখ্‌রা লুকিয়ে যায়। সরলা আর হেমি তার ভাগও পায়। সেটা ভঞ্জ জানে না। হারুর বারণ। ভাগ বাড়িয়ে লাভ কী? তবে লাভ লোকসানের চেয়ে হারুটাকে হাতে রাখা দরকারী। রঙ বেরঙের খবর নেওয়া। বয়সের ছেলে ভার তোলা, ডাক্তার ডাকা, ওষুধ আনা সময়ে অসময়ে কাজে লাগে। ভঞ্জরও কাজে লাগে হারুকে কখনও মুরুব্বিগিরি করতে। দুধে ছানা কাটলে যেমন ছোট বড় ছাকড়া ছা্কড়া দল পাকায়, বাজারের সব ব্যাপারীই নিজেদের দলে সেই ভাবে মিলে থাকে।

এই সহজ হিসেবটা হেমি, সরলাকে ভঞ্জ বুঝিয়েছে। শোনো, তোমাদের একটা কথা বলে রাখি, এই বাজারে কিন্তু কেউ কারও নয়। হিসেবে চলবে কারও ভরসায় নয়। একদম ঠিক কথা। এই সে দিন সকালে যখন ময়নার চা বাজারে পড়লনা, সন্দেহ তখনই দানা বেঁধেছিল বৈরাগীর মনে, আগাম জানানও দিয়েছিল সরলা হেমিকে, কিছু একটা গোলমাল মনে হয় হতে যাচ্ছে। তারপর যখন বরফ কলের বরফ বের’লনা আর হারুর বউ বাচ্চা কাঁখে সর্বনাশের জানান দিতে এল, ভঞ্জর ভাবনার প্রশান্তি লাভটা বেশিক্ষণ আর স্থায়ী হয় না। হারু আর ময়না পালানোর দোষটা যেন ওই তিনজনারই। দায়ের মধ্যে ময়নার হিসেবের খাতাব্যাগ কোনও দিন সরলার বা কোনও দিন হেমির বাক্সে জমা থাকে। সে তো হারুরও থাকে। হঠাৎ ফটাৎ ভঞ্জরও। খাতাব্যাগ দিতে নিতে ময়নাও দু’টা মজা মস্করা করে যায় কখনও সখনও, মোফতের চা ও মেলে কখনও বা। ময়না কখনও এক ছিটা পান দোক্তাও চেয়ে খায়। সে তো বৈরাগীও খায়, হারুও। হারুর বউ বাজারে এসে সরাসরি দায় চাপায় - ওই দুই ডিম বুড়ি আর বৈরাগী, এই তিন মাথাই যত নাটের গুরু। বুঝতে পারেনা কেউ কাঠি দিয়েছে কিনা। এর জবাব ওদের তিন জনার কারও কাছে না থাকায় মৃদু মন্দ প্রতিবাদের পর দায় দায়ই থেকে যায়। বয়সের আর জোর নেই, দুঃখ হয় ওদের, এখন আর আপসোস হয় না। কিন্তু হারু-ময়নার গল্প নিয়ে বাজারের কোনাকাঞ্চি রঙ্গিন হয়ে থাকে কয়েক দিন, শুধু অপরাধের দায় নিয়ে পানসে মুখে ওরা তিন জনায় সেই সাদা কালোই। বাজারকে আরও রঙ্গিন করে চার দিনের মাথায় সকালে ময়নার চা পড়তেই সকলে মুখ চাওয়া চাওই করতে থাকে।

ময়না নিজেই কথা পাড়ে - খাতাব্যাগ দাও মাসি, কয় দিন একটু কুটুম বাড়ি ঘুড়ে এলাম। একটু পান দোক্তাও দিও। সরলা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ময়নার দিকে পান দোক্তা এগিয়ে দেয়। তবে আজকেও বরফ হারুকে দেখা যায় না। হারু আসে আরও দুই দিন পরে। ভঞ্জ মনটা শক্ত করে। দু’কথা শোনানোর আছিলায় সরলা আর হেমির সামনে হারুকে ডেকে নিয়ে আসে।

হারু নিরুত্তাপ – আমার বউ একটা পাগল, ওর কথায় কিছু মনে নিয়োনা তোমরা, আমি তো তোমাদের ছেলেরই বয়সী, চুপ করে বলে রাখি ভাত কাপড়েও মারবনা, দরকারে সতীনের ঘরও করাব। ব্যাটা ছেলের রাগ তো জানেনা। এতে যে ভঞ্জদের অপমানের কি প্রতিকার হয় তা কিন্তু তিনজনার মাথায় না ঢুকলেও হারুর ভাব গতিক দেখে আর আগ বাড়িয়ে জানার সাহস দেখায় না কয় দিন হারু কোথায় ছিল কার সাথে ছিল, তবে বাজার জুড়ে এই আলোচনার রঙ উড়তেই থাকে। সরলা কিম্বা হেমির কাছে হারু ভাগের বখরাও আবার লুকিয়ে যায় খাতাব্যাগও রেখে যায়।

# # # 

সরলার তখন যৌবনকাল, হালখাতার পুজোয় বিয়ের পর নিতাইয়ের ব্যাবসা দেখাতে নিয়ে এসেছিল এই বাজারে। বড় বড় রুই চিতল পাতা ওর চাতালে, কি তার বাহার! সরলা মাছ খায়, সে তো পেটি গাদা বানিয়ে নিয়ে আসে নিতাই, ছোট মাছ নিতাই নিয়ে এলে ছাই চাপা দিয়ে আঁশ ছাড়ায়, ভুনি পরিস্কার করে। তা বলে এ কেমন দোকানদারি! ধারালো বঁটি দা বাগিয়ে ঘস ঘস করে ধড় মুণ্ডু আলাদা করে গড়ানো রক্ত মাছের গায়ে লাগিয়ে খদ্দের ধরতে লেগেছে রতন, নিতাইয়ের সাগ্‌রেদ। রতন যেন কিছু একটা ভুল করতেই রতনকে ধমকায় নিতাই - কাজ করতে হলে, মন দিয়ে কর।

এক ঝটকায় রতনকে সরিয়ে নিতাই বঁটিদা ধরে চপাচপ মাছ কাটতে লাগে, কাঠের মুগুর দিয়ে মাছবঁটিতে দুম দুম করে মুহুর্তের মধ্যে মুড়োটা দু ফালি করে ফেলে বেশ একটা বাগিশের মত, সরলার দিকে আড় চোখে তাকায়। এক মুখ পান, কপালে লাল টিপ, ঘড়ি, আংটি ভরা হাতে ভর্তি কাঁচা রক্ত,নতুন জামা কাপড়ে তার ভালবাসার মানুষটা এক অন্য নিতাই। সরলা মেনে নিতে পারেনা। স্বপ্নভাঙ্গা চাহনিতে নিতাইয়ের সাথে ট্যাক্সিতে উঠে বসে,কলকাতার বুক হাতরে পূর্বশর্ত অনুযায়ী কালীঘাট দেখতে যায়। কালীঘাট অব্দি পৌছানোর আগেই ওর শরীরের বাঁধ ভেঙ্গে নিতাইয়ের উপর লেতিয়ে পড়ে আর উঠতেই পারে না। ঘরে পৌছানোর পরে বুঝতে পারে শরীরে নতুন শরীর ঘর বাঁধতে চলেছে। ভ্রমর আসে। সরলা সমস্ত পূর্বরাগ ভুলে আবার বাঁচার তাগিদ খুঁজে পায় ভ্রমরকে নিয়ে। সরলা কিন্তু আর মাছ খেতে পারেনা, শাকাহারী হয়। নিতাইকে সরলা আব্দার করেছিল মাছের ব্যাবসাটা পাল্টানো যায় না? নিতাই বিশ্বাসঘাতকের মত সরলার দিকে এমনভাবে তাকায় যেন সরলা ওর মাছ চাতালের রুই বোয়াল – মা লক্ষ্মীর কৃপায় মোটা ভাত কাপড় যে মাছ চাতাল দিচ্ছে, তার সাথে বেইমানি করতে পারবনা।

বেইমানি নিতাই করেনি - মা লক্ষ্মীই করে, ভ্রমর কোলে থাকতে থাকতে বুকের রোগ বাঁধে নিতাইয়ের, এক বার পড়ে উঠে দাঁড়ায়। কিন্তু পরের বার যমে মানুষে টানাটানির মধ্যেই ডাক্তার জবাব দিয়ে দেয়। ভরা লক্ষ্মীর নিতাইয়ের মাছ চাতাল রতনের দেখভালে চলে যায়। টাকা পয়সা দেয়া নেয়া কয়েক মাস ঠিকমত চললেও মালক্ষ্মী ধীরে ধীরে রতনের দিকে মুখ বাড়াতে শুরু করতেই, সরলার সাথে হিসেবের যোগাযোগ কমতে কমতে প্রায় বন্ধ হয়ে যায় রতনের। এরপর যখন জমানো পয়সা কড়িতেও টান ধরে, তখন অনন্যোপায় হয়ে আত্মীয় পরিজন বাজার কমিটির কাছে বিহিতের বিধান চায়। বাজার কমিটি কিছুটা রতনের পক্ষে কিছুটা বিপক্ষে গিয়ে পেছন বাজারে সরলাকে একটা চাতাল এবং কিছু টাকা দিয়ে বিহিত করে। সব দিন সমান যায় না। সরলা তাইতেই খুশি। ভ্রমরটাও ছোট, পেটের দায় বড় দায়। অনেক আলাপ আলোচনার পর ডিমের কারবার শুরু করে। একা মেয়েমানুষ, রাতের মাঝ প্রহরে বাড়ি থেকে কলকাতা বাজারে পৌঁছাতে, শ্বাপদ আপদের ভয় বাঁচাতে হেমিকে সঙ্গে নেয়। হেমিরও তখন একটা রোজগার দরকার, অবলম্বন দরকার। সরলার ছায়াতেই চলতে থাকে। ধীরে ধীরে বয়সের ভারে মাঝ প্রহরে উঠে আসা কাটাতে এই বাজারেই পাত পাততে শুরু করে। প্রথম প্রথম ভ্রমরই বস্তির ডিম দিয়ে যেত দুই জনাকে। এখন ভ্রমর ভীষণ ব্যস্ত, সময় হয় না। কলকাতার পাইকাররাই দেয়। ভ্রমর এখন সাবালক, বিয়ে করে ঘোর সংসারী নিজের রোজগারে চলে। সময়ে অসময়ে আসে মায়ের ভাগে ভাগ বসাতে। সরলাও যায় ক্বচিৎ কখনও মনের টানে।

# # # 

ভঞ্জর আজ শরীরের সত্যিই যুত ছিলনা। এই বাজারে ন’টা দশটার আগে ঘুমানোও মুশকিলের ব্যাপার, হৈ হল্লাকারের শেষ থাকেনা । রাম চোলাইয়ে লুকাচোরা ঠেক ম ম করে। ঝগড়া লাঠালাঠি নিত্য ব্যাপার, শাকের উপর বোঝার আটি এখন আবার বাজারের নতুন রস হারু ময়নার রঙ তামাশা। তবুও প্রতিদিনের মত ওর আনাজ চাতালে বিছানা পেড়ে শরীর এলিয়ে দেয়। ঠিক ঘুমটা আসার মুখে নটোকে নিয়ে মস্করায় হারু আর ভজার গলা পায়। হারু আর নটো বাংলার দোকানে গিয়েছিল মাল কিনতে। হারু বাইরে দাঁড়িয়েছিল। কাউন্টারে নাকি আধার কার্ড না দেখে নটোকে মাল দিতে চায়নি। ভেবেছে বয়স আঠারোর কম। হারু গিয়ে কাউন্টার থেকে বোতল নিয়ে এসেছে। হারু আর ভজা তাতিয়ে যাচ্ছে। দুই বাচ্চার বাপ নটো ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেছেনা। রাগে গজরাচ্ছে, ছাড়বে না সে! এ অপমানের শোধ নিতেই হবে। বৈরাগী বুঝতে পারে এই মজার রঙ আজ চড়বে খুব অনেকক্ষণ, তবু এক সময় ভঞ্জ ঘুমিয়েই পড়ে।

হঠাৎ রাতের দুই প্রহর বা তিন প্রহর কাল হবে, ভঞ্জ জেগে বসে। এ কি দেখল সে! চিরকুমার, অকৃতদার মানুষ ভঞ্জ স্বপ্নে সরলাকে বিয়ে করে এই বাজারে নিয়ে এসেছে। যৌবনের লাজবতী সরলা রাঙ্গা মুখে ওর সাথে বসে আছে। সাথে শ্যালিকার বেশে হেমি। পাশে রাখা জলের বোতল থেকে ঢক্‌ ঢক্‌ করে জল খায় তারপর প্রকৃতিস্থ হওয়ার জন্য নিজের মনকে বশ করার চেষ্টা করে। মনে পড়ে যায় সে কত কাল আগের কথা। সরলার তখন যৌবনকাল, নিতাই হালখাতার পুজোয় নিয়ে এসেছে সরলাকে। লজ্জার মাথা খেয়ে সেই সারলাকেই ভঞ্জ স্বপ্নে দেখে। একটা লজ্জা, ভালোলাগা, অপরাধবোধ মিশিয়ে তাকিয়ে দেখে দূরে ডিম চাতালে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হেমি আর সরলা। ভঞ্জ আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালে বাজারের দিকে নজর দিয়েই ভঞ্জর মনে যেন একটা কুডাক ডাকে। রাত থেকে মনে হচ্ছে পুলিশের লোক বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরলা, হেমিকে সাবধানও করে দেয় – দিনটা আমার কেমন যেন ভাল ঠেকছে না। সেই ডেঁয়ো খোঁজার দল কিন্তু বাজারে ঘুরছে বলে দিলাম। ভঞ্জর মনটায় বেশ একটা রঙ্গিন সন্তুষ্টির মুচকি হেসে ভাবে, কায়দা করে আজ স্বপ্নের কথাটা পাড়তে হবে, বেশ দারুণ একটা মজা হবে।

# # # 

সকালে ময়নার চা পড়ে, হেমি সরলার ডিমের ঝাঁকা বের’য়। হারুর বরফও বের’য়। হারু খাতাব্যাগ চাইতে আসে সরলার কাছে, সাথে জমা রাখা বখরার মাল। ডেঁয়ো খোঁজার দল ঘিরে ধরে হেমি সরলা আর হারুকে। এক ঝট্‌কায় হারু হাত ছাড়িয়ে পালায়। বখরার সাদা পাউডার প্যাকেট ছড়িয়ে পড়ে থাকে চক্রব্যুহের মধ্যে। এমন অকস্মাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য কেউই প্রস্তুত ছিল না। ভঞ্জ দৌড়ে আসে। তিন জনায় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে। চক্রব্যুহে আটকে হেমি আর সরলা। আর ভঞ্জর চোখ আটকে সদ্য রাতের দেখা স্বপ্নের সরলা হেমিতে...।

0 comments: