0

ভৌতবাক - দীপারুণ ভট্টাচার্য

Posted in


ভৌতবাক


সাক্ষাৎকার
দীপারুণ ভট্টাচার্য



দেশ ভাগের সময় আমার পূর্বপুরুষ, পূর্ববঙ্গ থেকে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। তাই বর্তমান বাংলাদেশের সঙ্গে আমার সেভাবে যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। বছর কয়েক আগে অফিসের আন্তর্জাতিকব্যবসার দায়িত্ব পেতেই আমার ঘন ঘন বাংলাদেশ যাওয়া শুরু হয়। লতায় পাতায় কিছু সম্পর্ক যে এখনও রয়ে গেছে সেটা আমি অনুভব করেছি সম্প্রতি। একদিন এভাবেই পেলাম এক চাকরি প্রার্থীর ফোন। নিতাইয়ের বয়েস বছর পঁচিশ। বি এ পাস করে বেকার বসে ছিল। বাবার এক দূর সম্পর্কের ভাই রতন কাকার থেকে নিতাই আমার খবর পায়। পরে জানলাম সেও সম্পর্কে আমার ভাই হয়। তার সঙ্গে ফোন কথা বলতে বলতে বাবার মুখে শোনা আনেক গল্প মনে পড়ে গেল। আসলে দেশ ভাগের সময় বাবারা সেই যে কোলকাতায় চলে আসেন, তারপর আর যোগাযোগ নেই। বাবা কেন জানিনা সব ভুলে যেতে চেয়েছিলেন তাই আমাদের ও আর উৎসাহ দেন নি। অথচ ছোটবেলায় গল্প শুনেছি বাবা, রতন কাকা, তপু কাকা সব এক সঙ্গে নিশিনাথ তলার মাঠে ফুটবল খেলেছেন। কেউ কেউ ভাবে দেশ ভাগ বুঝি শুধুমাত্রই রাজনৈতিক। অথচ তার সামাজিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক, এমন কি ব্যক্তিগত প্রভাব কাটিয়েও আমরা উঠতে পারলাম না, এত বছর বাদেও।

যাই হোক, নিতাইয়ের জন্য একটা সামান্য কাজের ব্যাবস্থা হয়ে গেল। আর তাতেই বেশ খুশি সে। নিতাই এখন ল্যান্ডফিলিং সুপারভাইসর। চট্টগ্রামের কাছে মীরসরাই অঞ্চলে সমুদ্রের বালি ভরাট করে এক বিশাল শিল্প তালুক তৈরি হচ্ছে। জায়গাটা আগে ছিল একটা নোনা জলের বিল। জোয়ারের সময় সমুদ্রের জল ঢুকে আসতো আর ভাটায় সময় চররের মতো উঁচু হয়ে যেতো। এখন সমুদ্র থেকে ড্রেজিংকরে বালি এনে জায়গাটা উঁচু করা হচ্ছে। বাংলদেশ সরকারের পরিকল্পনা আছে ওখানে কেমিক্যাল হাব হবে, পাওয়ার প্ল্যান্ট হবে, আরও কত কি। তারই মধ্যে একশো একর জমিতে আমাদের কোম্পানির কাজ চলছে। নিতাই সেখানে থেকে বালি ভরাটের কাজটা দেখা শোনা করছে। 

স্থানীয় কর্মী খালেদ কে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের এক ইস্পাত কারখানায় এসেছিলাম একটা কাজের ব্যাপারে। হঠাৎ নিতাইয়ের ফোন পেলাম। সে বলল, "দাদা, আপনি তো কাছেই আসছেন, একবার আমারএখান থেকে ঘুরে যান। কিছুদিন হলো এক আত্মার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে।

আপনার বিষয়ে তার সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে। সে সব শুনে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেও আগ্রহী।" নিতাইয়ের কথার কোনো উত্তর দিলাম না। শুধু বললাম, "দেখছি, যদি সময় হয়।" তবেমনের ভিতরে এক তীব্র টান অনুভব করলাম। ভূত বা আত্মার সঙ্গে সাক্ষাৎকার, যে সে বিষয় নয়। আমি যে চট্টগ্রামে এসেছি সেটা নিতাইয়ের জানার কথা নয়। তবু জেনেছে। তাই মনে হচ্ছে, বিষয়টা সত্যি হলেও হতে পারে। এই সব ভাবতে লাগলাম।

নিতাইয়ের সঙ্গে আমার আলাপ ফোনে ফোনে। সামনে থেকে তাকে কখনও দেখিনি। খালেদ অবশ্য তাকে ভালো ভাবেই চেনে। তবে কথাটা আমি খালেদার কাছে ভাঙলাম না। বললাম, "কাজ শেষ করেএকবার মীরসরাই ঘুরে তবে হোটেলে যাবো।" খালেদ রাজি হয়ে গেল। আমরা

ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিশ্বরোড ছেড়ে মীরসরাই মোড় থেকে ডানদিকে ঢুকলাম গ্রামের মধ্যে। কিলো মিটার দুয়েক যেতে না যেতেই গ্রামটা শেষ হয়ে গেল। এরপর যতদূর চোখ যায় ধান জমি।বিকেলের রোদে প্রায় পেকে যাওয়া সোনালী ধানের মাঠ দেখে মন ভরে উঠল। এরপর দুই বিলের মধ্যে দিয়ে চলল সরু রাস্তাটা। অপূর্ব শাপলা ও পদ্মের শোভা। এবারে ডানদিকে একটা মোড় ঘুরতেই শুরুহল শিল্প তালুক অঞ্চল। নিশ্চিৎ ভাবে বলতে পারি শিল্প তালুক তৈরির আগে এপথে মানুষের পা পড়েনি একেবারেই।

খালেদ পথ দেখিয়ে নিয়ে এল আমাদের কাজের জায়গাতে। অনেক বড় বড় জমি দেওয়া হয়েছে এক একটা কোম্পানিকে। তারা বালি ভরাট করে এখন জমি প্রস্তুত করছেন। তারপর কারখানা হবে। বছরকয়েক বাদে এ জায়গার পরিবেশ পাল্টে যাবে সম্পূর্ণ। আমাদের জমিতে বিকট শব্দ করে চলছে বিরাট বিরাট যন্ত্রপাতি। গভীর সমুদ্র থেকে বালি এনে স্তরে স্তরে ভরাট হচ্ছে আমাদের ১০০ একর জমি।সময় লাগবে আরও মাস ছয়েক। আশেপাশে নিতাইকে দেখা গেল না। খালেদ একজন বুড়ো মতো লোককে নিতাইয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করলো। জায়গাটায় যন্ত্রের শব্দে কান পাতা দায়। বুড়ো লোকটা কি বললকে জানে, তবে আঙ্গুল দিয়ে দূরের পোর্টা কেবিনের দিকে দেখালো। জাহাজে মালপত্র নেওয়ার জন্য বিশাল বিশাল লোহার কন্টেইনার থাকে। সেই কন্টেইনার পুরনো হলে তাকে কেটে দরজা জানালাবানিয়ে দিব্যি একটা বাস যোগ্য ঘর তৈরি হয়। একেই বলে পোর্টা কেবিন। ছয়টা উঁচু কংক্রিটের থামের উপর সেই পোর্টা কেবিন বসিয়ে তৈরি হয়েছে আমাদের অস্থায়ী অফিস। অফিসের পিছনের দিকেএকটা বিশাল জঙ্গল। অন্য কারখানার কাজ চলছে বহু দূরে দূরে।

প্রায় সন্ধে হয়ে এসেছে। কেবিনের দারজাটা খোলা। ভিতরে গভীর অন্ধকার। খালেদ কেবিনের দরজা কাছে কিছু একটা জিনিসে হোঁচট খায়। নিজেকে বাঁচাতে প্রায় হুমড়ি খেয়ে কেবিনের ভিতরে এসেপড়তে পড়তে সামলে নেয় খালেদ। আমি তাড়াতাড়ি তার হাত ধরলে সে বলে দরজার উপর একটা বেড়াল শুয়ে ছিল। অসতর্ক অবস্থায় বেড়ালের গায়ে পা দিয়ে ফেলেছে সে। অথচ বেড়ালটা চিৎকার করেনি। বিষয়টা আমার খুব সাধারন মনে হলেও খালেদ বেশ অবাক হয়। অন্ধকার ঘরের মধ্যে সে আমাকে ফিস ফিস করে বলে, “নিশ্চয়ই বেড়ালটাকে কেউ বশ করছে”। আমি আমল না দিয়ে এদিক ওদিক দেখতে থাকি। অন্ধকারে বেশি দূর চোখ যায় না।



হঠাৎ কি যেন একটা দেখে খালেদ, "হ্যায় আল্লা” বলে চিৎকার করে ওঠে। তার চিৎকারে আমিও চমকে উঠি। অন্ধকারে যে নিতাই দাঁড়িয়ে আছে সেটা সে বুঝতে পেরে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, “তুমিএই অন্ধকারে দাঁড়ায় আছো ক্যান? আমি তো ভয় পাইয়া গেছিলাম।" এরপর আমার দিকে ফিরে বলল, "অরুনদা, এই হল নিতাই।" নিতাই আমাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চেয়ার এগিয়ে দিয়ে বলল, "বসেন দাদা, চা দিচ্ছি।" চল্লিশ ফুট কেবিনের একদিকে চেয়ার টেবিল দেওয়া অফিস অন্যদিকে খাট লাগিয়ে শোয়ার ব্যবস্থা। নিতাই বলল, "জেনারেটর টা খারাপ হইসে তো তাই অন্ধকার। মেকানিকআসতেছে।" বুঝলাম জেনারেটর ছাড়া এখানে বিদ্যুৎ নেই। নিতাই একটা ছোট্ট এল ই ডি লাইট জ্বালাল। তার মৃদু আলোয় কেবিনের ভিতরে অস্পষ্ট একটা আলো আলো ভাব হয়েছে। নিতাই ফ্লাস্ক থেকেচা ঢেলে বিস্কুট সহযোগে দিলো আমাদের।

কিভাবে ভূতের প্রসঙ্গে আসবো ভাবছি এমন সময় নামলো প্রবল বৃষ্টি। কেবিনের খোলা দরজার দিকে থেকে ছাঁট এসে আমাদের ভিজিয়ে দিতে লাগল। তখন নিতাই উঠে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিলো।জানালা দিয়ে সুন্দর হওয়া খেলা করছে কেবিনের মধ্যে। আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করলাম, "তা তোমার সেই আত্মা বন্ধুর কি খবর? তাকে দেখতেই কিন্তু এসেছি।" নিতাই একটু হাসলো। তারপর বলল, “ভালোই করেছেন। আমিও তো অপেক্ষাতেই ছিলাম” । আমার প্রশ্ন শুনে খালেদ হতবাক। তাকে তখন বিষয়টা বুঝিয়ে বললাম। আগে বললে সে যদি না আসে তাই তাকে বলিলি, এটাওজানালাম। কিন্তু দেখলাম উৎসাহ তার কিছু কম নয়। সে বলল, "কি বিষয় নিতাই, খুইলা কন তো।"

নিতাই দুই হাতদিয়ে নিজের চুলের মধ্যে বিলি কেটে বলল, "দিন রাত কাজ হয় তো, তাই এখানেই থাকবো বলে ঠিক করলাম। প্রথম দুই দিন কিছুই টের পাই নাই। তার পরদিন রাত্রে হঠাৎ মনে হলো কেযেন কেবিনের মধ্যে ঘোরা ফেরা করে। দুই দিকের জানালা খোলা থাকলি রাত্রে জেনারেটর লাগে না। তাই টর্চ জ্বালালাম। কিন্তু কেবিনে তো কিছুই নাই! শব্দটা আবার পালাম একটু পরেই। টর্চের আলোয়এবারও কিছু দেখা গেল না। এই রকম কয়েক বার হওয়ার পর আমি ভয়ে চিৎকার করলাম, 'ঘরে কে'? খুট করে একটা শব্দ হল। আর কে যেন গম্ভীর অথচ ফিসফিসে গলায় বলল, 'ভয় নেই। আমিআপনার ক্ষতি করবো না।' সেই গলা শুনে আমি ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলাম।"

আগ্রহ নিয়ে খালেদ বলল, "তারপর"। নিতাই আবার শুরু করলো, "পরদিন রাতে সে আবার এলো। একটু সাহস করে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি চান? এক গম্ভীর গলায় জবাব এলো, 'একটু পরিচয় করতেচাই।' আমি অবাক হয়ে বললাম, আপনি কে? উত্তর এল, 'ধরে নিন ভূত, বা আত্মা। তবে একদিন আমি আপনার মতোই মানুষ ছিলাম। তখন আমার নাম ছিল রবার্তো পেতরেচি।' আমি আতঙ্কিত গলায়বললাম, আপনি সাহেব? একটা হাসির শব্দ পালাম। সাহেব বলল, ‘রাগের মাথায় আমি একজনকে গুলি করেছিলাম। ইতালির পুলিশ তখন আমাকে শিকারী কুকুরের মত খুঁজছে। বহু কষ্টে পুলিশের চোখেধুলো দিয়ে আমি কুলি সেজে একটা জাহাজে উঠলাম। সেই জাহাজটা ভাসতে ভাসতে একদিন এই চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাল। কিছুদিন ভালোই ছিলাম। তারপর মারা গেলাম সাপের কামড়ে।প্রতিবেশীরা এই বিলে একটা ভেলাতে করে আমার লাশটা ভাসিয়ে দিলো। তখন এখানে একটা বিরাট নোনা জলের বিল। বিলের মধ্যে ভাসতে, ভাসতে ভেলাটা এই জঙ্গলের কাছে এসে থামলো। দেহটাপচে গেলে শেষ হয়ে গেল। তখন থেকে আমি এই জঙ্গলেই থাকি। কোথাও যেতে পারিনা, কারও সঙ্গে মিশতে পারিনা। বড় কষ্ট হয়। আপনি এখানে আছেন জেনে গল্প করতে ইচ্ছা করছিল। তাই এলাম।'আমি বললাম, ভালোই তো, আসবেন না হয় মাঝে মাঝে।" 

- "তারপর" আবার প্রশ্ন করল খালেদ।

-"তাই মাঝে মাঝে আসেন, গল্প হয়। একদিন আমাকে বললেন, 'আমাকে কি আপনার দেখতে ইচ্ছা করে না?' আমি বললাম, করে তো। 'তাহলে আলো টা জ্বালান, ভয় পাবেন না কিন্তু।' আলো জ্বেলে তারমুখ দেখে আতঙ্কে চিৎকার করে আমি সেদিনও অজ্ঞান হয়ে গেলাম।"

এবার আমিই প্রশ্ন করলাম, “আচ্ছা আমাদের সঙ্গে এই রবার্তো পেতরেচি'র কি দেখা হবে না?”

নিতাই একটু নড়ে বসল, “নিশ্চয়ই হবে। আপনার সঙ্গে দেখা করতেই তো তিনি আগ্রহী। আসলে চাইলেই তাঁরা আলাদা আলাদা রূপ নিতে পারে কি না! একটা কথা বলি, যদি কোন সময় বুঝতে পারেন সে এসেছে, ভয় পাবেন না। সে কিন্তু খারাপ নয়।“

এবার আমার আশ্চর্য হবার পালা। অবাক হয়ে প্রশ্ন করি, “আমার সঙ্গে দেখা করতে চায় কেন?” নিতাই একটু হাসে। তারপর একটা কাগজ এগিয়ে দেয় আমার দিকে। প্রায় অন্ধকারে ঠিক বুঝতে পারিনা তাতে কি লেখা আছে। আবার প্রশ্ন করতে সে বলে, “পেতরেচি'র ছেলে এখন দিল্লিতে। সে ইতালির হাইকমিশন অফিসে চাকরি করে। তার নাম, টেলিফোন নাম্বার সব এই কাগজে লেখা আছে। আপনিযদি তাকে সব ঘটনা খুলে বলেন; আর সে যদি গীর্জায় গিয়ে বাবার জন্য প্রার্থনা করে….”। 

নিতায়ের কথা শেষ হওয়ার আগেই দারজায় কে যেন বাইরে থেকে ধাক্কা দেয়। বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে অনেক্ষন। কেবেনের ভিতরটা গুমোট হয়ে গেছে। দারজা খুললে হাওয়া আসবে। খালেদ উঠে সে দিকে যেতেই নিতাই গম্ভীর হয়ে বলে, "এখনও দারজা খোলার সময় হয়নি। আপনাদের আর একটু অপেক্ষা করতে হবে।" নিতাইয়ের এই গম্ভীর গলা শুনে খালেদ ভয়ে চেয়ারে বসে পড়ে। কে অপেক্ষা করছে ওই দরজার বাইরে? নিতাই আরও কিছুটা সময় চাইছে কেন? আমার হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে গেছে বুঝতে পারলাম। খালেদের ও নিশ্চয়ই একই অবস্থা। এমন সময় নিতাই আমার দিকে হাত বাড়ায়, করমর্দনের জন্য। আমিও একটা ঘোরের মধ্যে তার হাত ধরি। ঠিক সময় কেবিনের দরজায় বাইরে থেকে আবার ধাক্কা পড়ে। আমরা চমকে উঠি। এবার খুলবো কি খুলবো না এমন যখন ভাবছি তখন মনে হল বহু দূর থেকে একটা কথা ভেসে আসছে, "জাস্ট ওপেন দা ডোর, এবার দারজাটা খুলে দাও।" 

আতঙ্কিত অবস্থায় দরজাটা খুলতেই একটা বেড়ালের চিৎকার কানে এল। আর তখনই আমাদের হতচকিত করে দিয়ে বাইরে থেকে কেবিনে ঢুকে আসে নিতাই নিজেই। আমি পাশের চেয়ারে তাকিয়ে দেখি যার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম সেই নিতাই নেই। আতঙ্কে চিৎকার করে উঠতে যাবো এমন সময় এই নিতাই বলল, “আমি তো জেনারেটরের মিস্তিরি আনতে গিয়ে…” একটু থেমে বলল,”আপনাদের তাহলে দেখা হয়েছে। আমি বিড়ালের চিৎকার থেকেই বুঝেছি। পেতরেচি আসলেই বেড়ালটা কেমন নির্জীব হয়ে যায়। আর সে চলে গেলেই চিৎকার করে”। 

এতক্ষণ তবে কার সঙ্গে কথা হল? কার হাত ধরলাম, আমি? এসব যখন ভাবছি তখন একটা চাপা গোঙানির শব্দ পেলাম। খালেদের বলে উঠল, "অরুণদা আর পারছি না, চলেন হোটেলে ফিরে যাই।"

0 comments: