1

ধারাবাহিক - নন্দিনী সেনগুপ্ত

Posted in

ধারাবাহিক


সোয়ানার রহস্যময় মানুষ 
নন্দিনী সেনগুপ্ত 

৪ 

পাহাড়িয়া মেষপালকের কাহিনী 

লুগানো হ্রদের তীর থেকে এক ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায়। একটা খাড়াই সর্পিল পথ আছে। এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগেনা পাহাড়ের কোলে ছবির মত সুন্দর ঐ ইতালিয়ান গ্রামে পৌঁছে যেতে। গ্রামের একটা বাড়ি আর পাঁচটা বাড়ি থেকে একদম আলাদা দেখতে। না, সুন্দর চৌকো কটেজ নয়, বরং কিছুটা ধূসর ধ্বংসস্তুপের মত দেখতে লাগে ঐ পাথর দিয়ে তৈরি বাড়িটা। উপত্যকার সবুজ প্রান্তর থেকে মুখ ফিরিয়ে, খাড়াই গিরিখাতের দিকে মুখ করে ঐ বাড়িটা দাঁড়িয়ে আছে জেনারাসো পর্বতের উত্তুঙ্গ শিখরে পৌঁছাবার রাস্তার উপরে। 

ঐ রাস্তাতেই একটা সঙ্কীর্ণ গিরিখাতের কাছে প্রায় ১০০ ফুট উঁচু ঢাল থেকে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে নেমে এসেছে একটা জলপ্রপাত। দিন বা ঋতুর বিভিন্ন সময়ে সেই প্রপাতে জলের পরিমাণ বাড়ে কমে; হাওয়ার গতির উপরে নির্ভর করে ছড়িয়ে পড়ে জলের আওয়াজ। একেক সময় একেক রকম নির্ঝরিণীর কলগীতি শোনা যায়। কখনো শান্ত, কুলুকুলু ধ্বনি – আবার কখনো ক্রুদ্ধ গর্জনে মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক। 

অনেককাল আগের ঘটনা; ছোকরা বয়েসের এক পাদ্রী, এসেছিল এখানে। রাফায়েল ফ্রান্সেস্কো তার নাম, বয়েস বছর পঁচিশ। বদলি হয়ে এসেছিল। ওর জন্ম হয়েছিল লিগর্নেত্তোয়, মানে সমন্বিত ইতালি রাষ্ট্রের টিসিনো প্রদেশে। লিগর্নেত্তোর বেশ নামডাক আছে যে কারণে সেটা হল ভাস্কর্য। সেখানকার বিশেষ কিছু গোষ্ঠী ভাস্কর্যের পেশার সঙ্গে জড়িত; এরা অবশ্য কেউ লিগর্নেত্তোর বাইরে বিশেষ যেতোনা। এই পাদ্রীও সেইরকম এক গোষ্ঠীর পরিবারের সন্তান। 

ফ্রান্সেস্কোর শিশু ও কিশোরবয়স কেটেছিল মিলানে তার পরিবারের সঙ্গে। ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন পঠনপাঠনের কার্যক্রমে সম্পন্ন হয়েছিল তার পড়াশুনা এবং ধর্মশিক্ষা। তার মা ছিলেন অভিজাত পরিবারের কন্যা ও বধূ এবং অত্যন্ত সাত্বিক প্রকৃতির মহিলা। কাজেই ধর্মীয় আচার-আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া বিশেষ আশ্চর্যের ব্যাপার ছিলনা তার ক্ষেত্রে; স্বাভাবিক কারণেই সে ধর্মীয় পেশাকে বেছে নিয়েছিল। চোখে চশমা ফ্রানসেস্কোকে সহজেই আর পাঁচজনের থেকে আলাদা করা যেতো। সহপাঠীদের তুলনায় অনেকগুণ বেশি পরিশ্রমী, ধার্মিক এবং ভক্ত ছিল সে; কঠিন কঠোর ধর্মীয় আচার-আচরণ মেনে চলতো। এমনকি তার মা অবধি তাকে বলেছিলেন যে ভবিষ্যতে পাদ্রী হতে চাইলেও এত কঠোর হবার প্রয়োজন নেই।
কিন্তু যে মুহূর্তে ঈশ্বরসেবার আদেশ পেয়েছিলো সে, দূরের কোনো গির্জায় যেতে চেয়েছিলো। তার মনে হয়েছিল যে পরিবারের কাছ থেকে দূরে গিয়ে, ঈশ্বরের কাজে নিজেকে একেবারে ডুবিয়ে রাখবে। নিজের মায়ের কথা নয়, ঈশ্বরের পুত্র এবং তার মা, যার চারদিকে জ্যোতির্বলয় আছে, তাদেরি চিন্তায় সে একান্তে অতিবাহিত করবে তার সময়। 
যখন সে সোয়ানার মত ছোট গ্রামে গির্জায় ধর্মযাজকের বাসস্থানে এসে পৌঁছেছিল, তখন গোটা গ্রামের লোক অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছিল যে ফ্রান্সেস্কো তার পূর্বসুরীর তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা একজন মানুষ। আগের লোকটা বাইরে থেকে দেখতেও বেশ গোঁয়ার চাষাড়ে ধরণের ছিল; তার উপরে নাকি ধর্মের উপদেশ দেওয়ার নামে কিংবা ধর্মাচরণ শেখানো, জরিমানা আদায় ইত্যাদি নানা ব্যাপারে সুন্দরী মহিলা ও কিশোরীদের অসাধু উপায়ে ব্যবহার করতো। সে তুলনায় ফ্রান্সেস্কোকে দেখতে ক্ষীণজীবী, ফ্যাকাসে ধরণের ছিল। মাটির দিকে তাকিয়ে কথা বলতো সে। ভারি চশমার কাচ চেপে বসতো রক্তশূন্য গালের হাড়ের উপরে। চশমার চকচকে কাচের ভেতরে তার চোখের দিকে তাকিয়ে অতি সাধারণ মানুষও তার ভক্তিভাব আর কৃচ্ছ্রসাধনের খবর টের পেয়ে যেতো। সে সোয়ানায় পৌঁছাবার প্রথম চার থেকে ছয় সপ্তাহের ভেতরে সেখানকার সমস্ত বালিকা, এমনকি দুর্বিনীত, অভদ্র, উচ্ছৃঙ্খল সব মহিলারাও এসে ঈশ্বরের শরণ নিলো। এই ঘটনাটা নিঃশব্দে ঘটে গেলো তার শুভ প্রভাবে। 
ফ্রান্সেস্কো যখনি গির্জাঘরে প্রবেশ করতো সরু দরজাটা দিয়ে, এলাকার সব শিশু এবং মহিলারা তাকে ঘিরে ধরতো। পরম ভক্তিভরে তার হস্ত চুম্বন করতো সকলে। কতবার যে স্বীকারোক্তি শুনবার জন্য গির্জার ছোট কুঠুরিতে তার ডাক পড়ত, সে আর কহতব্য নয়। ছোট ঘণ্টাটা বেজে উঠত যখন, তখনই বোঝা যেতো এমন কেউ এসেছে, যে নিজের দোষ স্বীকার করতে চায়। এক সন্ধ্যায় এতবার ঘণ্টা বেজেছিল যে, ফ্রান্সেস্কোর দেখাশুনা করতো যে সত্তরোর্ধ পরিচারিকা, সে বিস্ময়ে আর্তনাদ করে উঠেছিল। সে ভেবেছিল গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ ধোয়া তুলসীপাতা, সাক্ষাৎ ঈশ্বরপ্রেরিত দূত; তার কোনো ধারণাই ছিলনা যে সোয়ানার মানুষ এতখানি দুর্নীতিপরায়ণ হতে পারে। সংক্ষেপে বলতে গেলে এই ছোকরাবয়সী ধর্মযাজকের খ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং এরকম কথাও শোনা যাচ্ছিল যে শীঘ্রই তাকে সন্ত হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। 
ধর্মযাজকের জীবনযাপনে ফ্রান্সেস্কোর কোনো ক্লান্তি ছিলনা কোথাও। নিজেকে নিয়ে একেবারেই ভাবতো না সে। নিজেকে ঈশ্বরের সেবায় সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেছিল। ধর্মীয় পূজা পাঠ, উপাসনা সবকিছুই অদম্য উৎসাহের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিল সে; এছাড়া গির্জার পাঠশালা, যেখানে অবশ্য ধর্মনিরপেক্ষ পাঠ দেওয়া হত, সেটাও চালিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহের ঘাটতি ছিল না তার। 
এক সন্ধ্যায়, মার্চ মাসের শুরুতে, গির্জার দরজায় কে যেন এসে খুব জোরে জোরে ঘণ্টা বাজাতে লাগলো। ভীষণ খারাপ আবহাওয়া ছিল; কোনোমতে অন্ধকারের মধ্যে লন্ঠন তুলে পরিচারিকা দেখে যে একটা ভয়ানক দেখতে লোক দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। সে যাজকের সঙ্গে কথা বলতে চায়। পরিচারিকা তার চেহারা দেখেই দরজা আবার বন্ধ করে দিয়ে সোজা পাদ্রীর কাছে গিয়ে ব্যাপারটা জানালো। তার কণ্ঠস্বরে উদ্বেগ চাপা রইলো না। কিন্তু ফ্রান্সেস্কো বিন্দুমাত্র বিচলিত হলনা। সে জানে, সে ঈশ্বরের সেবায় রত। সে কাউকে ফেরাতে পারেনা। সে ধর্মীয় উপদেশাবলী পাঠ করছিল। মুখ তুলে তাকিয়ে সংক্ষেপে নির্দেশ দিল, ‘যাও পেট্রোনিলা, ওকে ভেতরে নিয়ে এসো!’ 
শীগগিরই তার টেবিলের সামনে বছর চল্লিশের একটা লোক এসে দাঁড়ালো। চেহারা দেখেই বোঝা যায় যে এলাকার কোনো চাষাভুষো মানুষ; তবে তার বেশভূষার দশা ছিল সাধারণ চাষাদের থেকেও হতশ্রী। লোকটার পায়ে কোনো জুতো নেই। পুরানো ছেঁড়াখোঁড়া স্ট্র্যাপ দেওয়া প্যান্ট বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। শার্টের বোতাম নেই। বাদামী লোমশ বুক-গলা দৃশ্যমান। একমুখ ঘন দাড়ি-গোঁপের জঙ্গলের ভেতর থেকে চোখদুটো যেন ঠিক ভাঁটার মত জ্বলছে। জোড়াতালি দেওয়া ভেজা একটা জ্যাকেট ঝুলছিল বাঁদিকের কাঁধ থেকে। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে জ্যাকেটটা এতগুলো ঋতুর অত্যাচার সহ্য করেছে যে তার পশম একেবারে দলা পাকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। লোকটা কি ভয় পেয়েছে? নাকি উত্তেজিত? বাদামী হাতের মুঠো পাকাচ্ছে মাঝেমাঝে, আবার মুঠো খুলছে। ভেতরে ঢুকবার আগে দরজার সামনে একটা বেঁটে মোটা মুগুরের মত লাঠি রেখে এলো লোকটা। 
তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হল যে সে কি কারণে এখানে এসেছে, সে জড়ানো গলায় হাঁউমাউ করে ঝড়ের বেগে কীসব বলতে লাগলো; ফ্রান্সেস্কো একবর্ণ বুঝতে পারলোনা তার কথা, এমনকি পেট্রোনিলা স্থানীয় মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তার ভাষা বুঝতে পারলোনা। তারপর অনেক ধৈর্য ধরে একটু একটু করে উদ্ধার করা গেলো যে লোকটা সাত বাচ্চার বাপ এবং সাতটার মধ্যে কয়েকটাকে যাজকের পাঠশালায় ভর্তি করাতে চায়। 
ফ্রান্সেস্কো তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘তুমি কোত্থেকে এসেছ?’ উত্তর এলো, ‘সোয়ানা থেকে।’ ফ্রান্সেস্কো অবাক হয়ে বলেছিল, ‘তা কীভাবে সম্ভব? এখানকার সবকটা বাড়ি, সমস্ত পরিবার, সব্বাইকে চিনি আমি। কিন্তু তোমাকে চিনি না।’ সেকথা শুনে সেই চাষা, নাকি মেষপালক... ঈশ্বর জানেন সে আসলে ঠিক কী, সে নানারকম ভাষায় ভঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করতে লাগলো যে তার বাড়িটা ঠিক কোথায়। কিন্তু ফ্রান্সেস্কো কিচ্ছু উদ্ধার করে উঠতে পারলো না। অবশেষে তাকে একটা কথা বোঝাতে পারলো যে, ‘তুমি যদি সত্যিই সোয়ানার নাগরিক হয়ে থাকো, তোমার বাচ্চাদের যদি স্কুলে যাবার বয়স হয়ে থাকে, তাহলে এদ্দিনে তাদের আমার পাঠশালায় ভর্তি করানো উচিত ছিল তোমার। কিংবা তোমার স্ত্রী এবং বাচ্চাদেরও আমি গির্জার উপাসনায় কিংবা পূজাপাঠে কোথাও না কোথাও দেখতাম!’ 
পুরোটা শুনে এবং বুঝে লোকটা চুপ করে রইল। চোখদুটো বড় বড় হয়ে উঠলো তার। নিচের ঠোঁটটা চেপে ধরলো উপরের ঠোঁট দিয়ে। উত্তরের বদলে লোকটার বুক ঠেলে বারবার দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসছিল; চোখ থেকে ঝরে পড়ছিল হতাশা আর এক অদ্ভুত ঘৃণামিশ্রিত ক্রোধ। 
‘এখন আমি তোমার নাম লিখে রাখছি। খুব ভালো করেছ তুমি, যে নিজে থেকে এসেছ যাতে তোমার বাচ্চারা মূর্খ হয়ে না থাকে এবং ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি থেকে বঞ্চিত না হয়!’ যাজকের কথা শুনে লোকটার বাদামী লোমশ দানবসদৃশ শরীরটা থরথর করে জান্তবভাবে কেঁপে উঠলো। কেমন একটা গোঙানির মত আওয়াজ বেরিয়ে এলো লোকটার মুখ থেকে। ‘হ্যাঁ’ আবার বলে উঠলো ফ্রান্সেস্কো... ‘আমি তোমার নাম লিখে রাখছি; এখন সব খোঁজখবর নেবো আমি যাতে বাচ্চাদের পড়াশুনোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।’ খুব লক্ষ্য করে দেখলে বোঝা যেত যে লোকটার দাড়ি-গোঁপে ঢাকা গাল ভেসে যাচ্ছে চোখের জলে। লাল হয়ে যাওয়া দুটো চোখ উপচে যাচ্ছে অশ্রুতে। 
‘বাহ, বেশ, বেশ!’ বলে যাচ্ছিল ফ্রান্সেস্কো, কিন্তু লোকটার এতখানি আবেগের কারণ সে বুঝে উঠতে পারছিলনা। তাই সে তাড়াতাড়ি আবার বলে উঠলো, ‘ঠিক আছে, বেশ, আমি নিশ্চয়ই তোমার ব্যাপারটা দেখবো। তোমার নাম বলো এখন আর কাল সকালে অবশ্যই বাচ্চাদের পাঠিয়ে দেবে!’ লোকটা উত্তরে কিছুই বলছিলনা, চুপ করে ফ্রান্সেস্কোর মুখের দিকে চেয়েছিলো ফ্যালফেলে চোখে। কেমন যেন যন্ত্রণাকাতর সেই দৃষ্টি। যাজক আবার প্রশ্ন করল, ‘তোমার নাম কি? নাম বলো।’ 

লোকটার হাবভাব প্রথম থেকেই কেমন অদ্ভুত ঠেকছিল ফ্রান্সেস্কোর। যেন ভয় পেয়েছে, আবার কেমন উত্তেজিত। কিছু যেন বলতে যাচ্ছিল, কিন্তু বাইরে থেকে পেট্রোনিলার পায়ের আওয়াজ এদিকে আসছে শুনে চুপ করে গেলো। সত্যিই কি ভয় পেয়েছে লোকটা? নাকি খ্যাপাটে ধরণের? নাহ... মাথার গণ্ডগোল বলে মনে হচ্ছেনা। তাহলে কি লোকটা অপরাধী? পালিয়ে বেড়াচ্ছে আইনরক্ষকদের হাত থেকে? নানারকম প্রশ্ন জেগে উঠেছিল ফ্রান্সেস্কোর মনে। লোকটা একটা কাগজ তুলে নিলো টেবিল থেকে, পালকের কলমটাও নিলো। আলোর থেকে দূরে জানালার দিকে গেলো সে। জানালার নিচ দিয়েই কুলুকুলু শব্দে বয়ে চলেছে সোয়ানার জলপ্রপাত। অনেক চেষ্টা করে কী যেন আঁকিবুঁকি কাটলো লোকটা কাগজের উপরে। ফ্রান্সেস্কো দেখে মাথা নাড়লো, বলে উঠলো, ‘বেশ!’ তারপর ক্রুসচিহ্ন এঁকে বলে উঠলো ‘ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন!’ ... তারপর লোকটা চলে গেলো। চলে গেলেও লোকটা একটা অদ্ভুত গন্ধ রেখে গিয়েছে। গোয়ালের, ছাগলের গায়ের গন্ধ, পেঁয়াজ, কাঠকয়লা, সালামি... সবকিছু মিলেমিশে গেলে যেরকম গন্ধ হওয়া সম্ভব, ঠিক সেরকম। লোকটা যাবার পরে ফ্রান্সেস্কো জানালাটা খুলে দিলো। 


(চলবে) 
গেরহার্ট হাউপ্টমান রচিত ‘ড্যের কেৎজার ফন সোয়ানা’ অবলম্বনে লেখা 

1 comment: