0

ধারাবাহিক - সোমঙ্কর লাহিড়ী

Posted in

ধারাবাহিক


পায়ের শব্দ 
সোমঙ্কর লাহিড়ী



১৪ 

লোহার বাসর ঘর হলেও তাতে ছ্যাঁদা একখানা থাকবেই। না হলে লক্ষীন্দর মরবে কি করে আর মা মনসাই বা পুজো পাবে কি করে? 

খুব কাছাকাছি সময়ে একটা মোটামুটি কম বয়েসের ছেলে এসে দুটো কাজ করিয়ে নিয়ে গেল পয়সা একেবারে যাকে বলে হাতোহাত। কিন্তু খোঁজ দুটো বেশ অদ্ভুত। একটা বছর পঁয়তাল্লিশের লোক, আর দ্বিতীয় কেসে একটা বিবাহিতা মহিলা আর একই সাথে একটা ড্রাইভার। 

দ্বিতীয়ক্ষত্রে তো খোঁজার ইন্সট্রাকশান খুব স্পেসিফিক, যেন আগে থেকে জানে যে কোথায় পাওয়া যাবে শুধু কনফর্ম করিয়ে নিচ্ছে এজেন্সিকে দিয়ে। এজেন্সির মালিক পরেশ সামন্ত ভাবল ব্যাপারটা নিজে একবার ঘুরে দেখবে যে লোক গুলোর খোঁজখবরকরা হয়েছে তারা এখন কেমন আছে। কি করছে। 

যদিও এজেন্সির এই সব দ্যায়লা করলে চলে না। পার্টি এসেছে, কাজ দিয়েছে, খারা ক্যাশ গুনে দিয়েছে অ্যাডভানস, রিপোর্ট নিয়েছে বাকী টাকা দিয়েছে চলে গেছে, ঝামেলা শেষ। কিন্তু সামন্তর নিজের কেমন যেন লাগছে। হাজার হোক আগে তো পুলিশে চাকরি করেছে। তাই খটকাটা নিজেই একদিন সময় করে দেখে নেবে ভাবল। তারপরে সাত কাজে ভুলেও গেল। 

তারপরে বেশ কিছুদিন বাদে এক সন্ধ্যায় নিজের ঘরে টীভিতে খবরের চ্যানেলে একটা ইন্টারভিউ দেখতে দেখতে একটা ইনফরমেশান শুনে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগল। একজনগায়ক, বয়েস বেশী নয়, সামন্ত মনে মনে ভাবল আমার দৌড় তো হেমন্ত মুখার্জী আর মান্না দে অবধি, এ আবার কোন গায়ক, যাই হোক তাকে তার গানের প্রোগ্রামের মাঝে কোন এক অজানা লোক বাথরুমে নাকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে তারপরে নাকে মুখে কোকেন ছিটিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়েছে। অন্য কিছু নয়, শুধু ক্লোরোফর্ম কথাটাই সামন্তকে ফ্যাসিনেট করল। 

ইন্টারভিউটা আরো একজন দেখছিল, ফলতা থানার মেজবাবু। ঐ ক্লোরোফর্মের ব্যাপারটা তাকেও একবার ভাবাল। কিছু দিন আগে একটা রিসর্টে একটা মার্ডারের ব্যাপারে যে মহিলাটিকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেছিল তাকেও তো ক্লোরোফর্ম দেওয়া হয়েছিল না? 

দুজনে আলাদা আলাদা ভাবে ব্যাপারটা মাথায় নিলো বটে কিন্তু পরের দিন নানা কাজে দুজনেই সেটা আবার ভুলেও গেল। 

ফলতা থানার মেজবাবুকে তার ঠিক তিনদিন বাদে আলিপুর কোর্টে সেই রিসর্টের কেসের ব্যাপারে গিয়ে হাজিরা দিতে হল। ওনার দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী কেউ একজন ডাকাতির উদ্দেশ্যে রিসর্টের ভেতরে ঢুকে ঐ ঘরে হামলা চালায়, বাধা দিতে গিয়ে ঐ ঘরের আবাসিক মাথার সামনের দিকে আঘাত পান ও প্রবল রক্তক্ষরণের ফলে মারা যান। তার সঙ্গিনীকে ডাকাতরা ক্লোররোফর্মের সাহায্যে অজ্ঞান করে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। 

সাধারণভাবে এই সব ব্যাপারে সরকারপক্ষের উকীলবাবু খুব বেশী ঘাঁটায় না। কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয়। জজ সাহেব নিজেই এমন ত্যাড়া ব্যাঁকা প্রশ্ন শুরু করে দিলেন যে মেজবাবুর ঢোক গেলা ছাড়া উপায় রইল না। জজ সাহেব আবার সেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়া মহিলাকে কি কি জেরা করা হয়েছে সে সব ও জানতে চাইলেন, তাঁকে দেখতে চাইলেন। 

মেজবাবু মনে মনে খিস্তি করতে করতে ভাবলেন এবারে ঐ প্রোমোটারের হোঁৎকা বৌকে তো হাজির করতেই হবে। যদিও তার বরকে আস্বস্ত করেছিল যে তার বৌয়ের ব্যাপারটা কোর্টে উঠবে না। তার জন্যে সেই ভদ্রলোক দিয়ে থুয়েছিল খারাপ না। এখন যদি আবার কোর্টে তাকে উঠতে হয় তাহলে তো আর এক কেচ্ছা। আর এমন টেঁটিয়া জজসাহেব কেউ দেখেছে, মাত্র তিনদিন সময় দেয়? 

বড়বাবুকে রাতে ভালো একটা পেগ বানিয়ে দিয়ে ব্যাপারটা বলতে হল, তার শরণাপন্ন হতে হল। বড়বাবু সব শুনে জুল জুল করে তারদিকে খানেক তাকিয়ে থেকে বললেন, দেশে কি রেন্ডী ফেন্ডীর অভাব পড়েছে নাকি? একটাকে গিয়ে বল, ঠিক কি কি বলতে হবে কোর্টে, ব্যাস হয়ে গেল। 

পরদিন একটা মোটা গতরের মাসি কে তুলে এনে তাকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ব্যাপারটা গেলানো গেল। কিন্তু ঐ যে বড়বাবু বলেছিলেন, ব্যাস হয়ে গেল, সেটাই সত্যি। 

কোর্ট থেকে বেরতে বেরতে মেজবাবু মনে মনে জজসাহেবের যা যা করা যায় সব করছিলেন। এমন কেউ দেখেছে? জজসাহেব নিজে সেই মেয়েছেলেটার দিকে খানেক তাকিয়ে একটু মিচকে হেসে জিজ্ঞাস করলেন, 

আপনার সাথে যিনি ছিলেন ডাকাতরা তার বুকে গুলি করেছিল না মাথায়? 

আর ঐ হারামজাদিও তেমনি, ছাতি ফুলিয়ে জবাব দিল, 
মাথায়। 

তারপরে আপনার মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মেরেছিল ডাকাতরা? 

সে বলল, 
হ্যাঁ, হুজুর। 

কোনোপক্ষকে আর কিছু বলতে না দিয়ে, কেসটা ভবানী ভবনের কাছে পাঠিয়ে দিতে বললেন। আর মেজবাবুর বাপের ছাদ্দ করে দিলেন, কিছুটা বাংলায়, অনেকটা ইংরাজিতে। 

রাতে বড়বাবু তাকে মালের গ্লাস দিয়ে বলল, 
চাকরি করবে পুলিসের আর ঝাড় খাবে শুধু বৌয়ের তা কি হয়? শোনো জজ সাহেবের ঝাড় হল আশির্বাদের মতো। তাতে ইহকাল প্রকালের পাপস্খলন হয়ে যায়। আর ভবানী ভবন কে খামোকা এত ভয় পাচ্ছ কেন? তারাও তো তোমার আমার মতো পুলিস না কি? ওরা যখন এন কোয়্যারি করতে আসবে একেবারে বাধ্য ছেলের মতো সব সত্যিটা ওদের বলে দেবে, ওরা বাকীটা বুঝে নেবে, বুঝলে? 

মেজবাবু গোঁজ মুখে সায় দিল, বড়বাবু বাদামের প্লেটটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, 

বাদাম দিয়ে খাও, জজসাহেব বকেছে বলে কেউ শুধু হুইস্কি খায়? 

সামন্ত নিজের অফিসে একটু দেরি করে ঢোকে, সেদিন ও ঢুকতে গিয়ে দেখল রিসেপশানের মিমি একজনকে অপেক্ষা করতে বলছে। দেখে বেশ বয়স্ক মনে হচ্ছে। তাকে দেখে মিমি আস্বস্ত হয় আর সেই ভদ্রলোককে বলে, 

ঐ তো স্যার এসে গেছেন। আপনি যান ভেতরে। 

লোকটা ভেতরে এলো একটু হাতড়াতে হাতড়াতে, যেন ঠিক দেখতে পাচ্ছে না। সামন্ত তাকে বসতে বলায় আবার একটু হাত বাড়িয়ে দেখে টেখে নিয়ে তারপরে চেয়ারে বসল। চোখের সামনে ঘরের ভেতর কোন লোক যদি কালো চশমা পরে বসে থাকে সামন্তর একটু অস্বাস্তি হয়। সেটাকে কাটাতে আর কথাবার্তা শুরু করার জন্যেও সামন্ত ভদ্রলোককে প্রশ্ন করল, 

আপনার কি কোনো চোখের সমস্যা আছে? মানে ভিসান প্রবলেম? 

হ্যাঁ, আমি আলো বেশী হলে দেখতে অসুবিধা ফিল করি। 

তারপরে একটু ম্লান হেসে বলল, 

পেঁচা বলতে পারেন। 

বলুন আপনার জন্য কি করতে পারি? 

আমার জামাই, লোকটা একটু অস্বাস্তি বোধ করে বলতে। 

সামন্ত বুঝতে পারে কি ব্যাপারে লোকটা অস্বাস্তি বোধ করছে বলে, 

কোনো এক্সট্রা মেরিটাল কেস? 

লোকটা মাথা নাড়ে। 

আমাকে কি করতে বলেন? 

যদি একটু খোঁজ করে দিতে পারেন কোথায় যায়, কার সাথে থাকেটাকে, আমার মেয়ের সংসারে তো টাকা ফাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। খুব অসুবিধায় আছে আমার মেয়ে। 

কোন ছবি টবি? 

লোকটা ছবি দেয়। 

সেটা দেখে সামন্ত বেশ ভড়কে যায়, এতো কলকাতার এক কুখ্যাত লোক। আর তারচেয়েও বড় কথা লোকটা বিয়েই করেনি। সামন্তর পুলিস জীবনে এর সাথে যথেষ্ট ইঁদুর বেড়াল খেলা হয়েছে এর সাথে। তাই নাড়িনক্ষত্র সামন্তের জানা। মুখে কিছু ভাব প্রকাশ না করে জিজ্ঞাসা করল, 

আপনার মেয়ের এনার সাথে কতদিন বিয়ে হয়েছে? 

তা বছর পনের হবে। 

সামন্ত এবারে বুঝল লোকটা ওকে মিথ্যে বলছে। এবারে নিজেই ওকে জরীপ করতে শুরু করল। মুখে বলল, 

ছবিটা আমি রাখছি। আর আমাদের ফীয়ের ব্যাপারে 

সামন্তর কথা শেষ হোয়ার আগেই লোকটা বলল, 

জানি। 

বলে ব্যাগ থেকে টাকাটা বার করে সামন্তর টেবিলে রাখল। সামন্ত টাকাটা ড্রয়ারে রেখে বলল, আমি রেসেপশানে বলে দিচ্ছি আপনি রিসিট তা নিয়ে নিন, আর দিন পাঁচেক বাদে একবার আসুন। আর আপনার কন্ট্যাক্ট ডিটেলসটা রিশেপশানে দিয়ে দেবেন একটু। মাঝে যদি দরকার পরে। 

লোকটা চলে গেল। সামন্তর ভুরুটা কুঁচকেই থাকল। বেশ কিছুক্ষণ বাদে রিশেপশান থেকে মিমিকে ডাকল সামন্ত। 

বলুন স্যার? 

তুমি কি ওনাকে আমাদের ফী অ্যাডভানস এই সব ব্যাপারে কিছু ব্রীফ করেছিলে? 

না তো। 

আমাদের অফিসের খোঁজ কোথা থেকে পেয়েছে টেয়েছে কিছু বলেছিল না কি? 

না। 

তুমি জিজ্ঞাসা করনি? 

না স্যার। 

এরপর থেকে না একটু কায়দা করে জিজ্ঞাসা করে নিও লোকেদের, যে তারা কি ভাবে আমাদের এজেন্সি সম্পর্কে জানতে পারল। বুঝলে? 

আচ্ছা স্যার। এনি প্রবলেম স্যার? 

হ্যাঁ লোকটা নিজেই গোলমেলে। 

কেন? 

যখন ঢুকল বলল চোখে দেখে না বেশী আলোয়, তাই চোখে কালো চশমা, মাথার চুল হাঁটা দেখে মনে হয় বেশ বয়েস। কিন্তু হাতের চামড়া টান টান, আর কাজ হয়ে যাওয়ার সময় একেবারে গটগট করে বেরিয়ে গেল। আর এমন একজনকে জামাই বলে খুঁজে দিতে বলল, যাকে আমি চিনি, আর সে বিয়েই করেনি। আমাদের ফীর ব্যাপারে জানে। একেবারে ঠিকঠাক টাকা দিল, গুনে দেখলনা অবধি। তারমানে আগে এসেছে। আর আমাদের ফীয়ের ব্যাপারে তো তুমি জানো যে বিভিন্ন রকমের কেসে আমরা বিভিন্ন রকমের অ্যাডভানস নিয়ে থাকি। তা একটা লোককে খুঁজে বার করতে আমরা কত টাকা অ্যাডভানস নিই সেটা যে জানে সে আমাদের থেকে আগেও কাজ করিয়েছে। বা কারো থেকে জেনেছে আমাদের ব্যাপারে। তুমি একটা  বাবুকে পাঠিয়ে দাও। আর ফোন নম্বরটা আমিই ভেরিফাই করে নিচ্ছি। আর সিসি ক্যামেরা থেকে ছবি নিয়ে তার থেকে চশমা টশমা বাদ দিয়ে, চুলের রং ইত্যাদি বদলে যত রকম পারো ছবি তৈরী করে আমায় দেখিও তো। সময় নিয়ে কোরো কেমন? এখন যাও আর পূর্ণবাবুকে সাবধানে কাজটা করতে বোলো। 

ডিটেকটিভ এজেন্সিতে তো আর রেশন দোকানের মতো লাইন পরে না। তাই বাকি কাজ টুকটাক সেরেনিয়ে মিমি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে দেখে বেছে সেই লোকটার প্রায় গোটা দেশেক ছবি বার করল, তারপরে তাদের নিয়ে ফটোশপ করতে শুরু করল, মিমির বড় প্রিয় কাজ। 

দিনের বাকিভাগটা এজেন্সির অন্যান্য কাজ শেষ করতে করতে কেটে গেল। বাড়ি ফেরার সময় মিমিই তাকে মনে করিয়ে দিল সেই ফোটোশপ করা ছবি গুলোর কথা, সামন্ত জবাবে বলল, 

আমাকে মেল করে দিয়ে তুমি বাড়ি চলে যাও। আর পূর্ণবাবু ফিরেছেন? 

না স্যার যাওয়ার আগেই বলে গেলেন যে কাজটা শেষ করে বাড়ী ফিরে যাবেন। শরীরটা ঠিক লাগছে না। 

সামন্ত মনে মনে ভাবল শরীর খারাপ না হাতি, কাজ শেষ করে মালের ঠেকে যাবে। 

পূর্ণবাবু ঠিকানাটা দেখতে গিয়ে সেখানে দেখলেন একটা পগেয়া সাইজের খাটাল। চারপাশে বস্তি থাকার জন্য খাটালটা বোধহয় কেউ তুলে দিতে আসেনি। এবারে নিশ্চিন্ত, পকেটে একেবারে দুটো একশ আর একটা পঞ্চাশ টাকার নোট। চালাও পানসি বেলঘরিয়া। বলেই মনে পড়ে গেল, ও নিজেই এখন বেলঘরিয়ার কাছেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। 

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েটা দূরে দেখা যাচ্ছে, পাশে রেললাইন। পূর্ণবাবু মনে মনে ভাবলেন রেল লাইন রয়েছে আর চুল্লুর ঠেক নেই? হতে পারে? একটু হাঁটা দিতেই দেখা গেল কয়েক জন লাইনের দিক থেকে আসছে নাক মুখ বেশ ফোলা ফোলা, পূর্ণবাবু তাদের একজনের দিকে তাকিয়ে হাসি দিতেই লোকটা বুঝে গেল শুধু হাত তুলে দেখিয়ে দিল ঠেকের নিশানা। 

বেশ অনেক রাতে যখন আড়াইশ টাকাটা শেষ হব হব করছে এমন সময় পাশের ছেলেটা বলল, 

দাদা কেমন আছেন? 

ভালো ভাই। তুমি ভালো আছো তো? 

হ্যাঁ। 

তুমি আমায় চেনো? 

হ্যাঁ, আপনাদের অফিসে যাই তো কাজের ব্যাপারে? 

টিকটিকি অফিসে তুমি কাজ করো? 

না, না। বাড়ি ফিরতে পারবেন? রাত তো অনেক হল? 

আরে আহিরীটোলায় যাবো, কি এমন রাত হয়েছে? 

আরে আপনি আহিরীটোলা, আমি হাতিবাগানে ফিরবো, কোনো চিন্তা নেই। আমি পৌছে দেবো। 

ঠিক আছে, তবে ওয়ান ফর দ্যা রোড। 

সঞ্জয় বলল, 

লাস্ট। 

অনেক রাতে সামন্তবাবুর ফোনে একটা ফোন এলো, 

মিঃ সামন্ত? 

বলছি। 

আই সি বেলঘরিয়া থানা। 

সামন্ত বাবুর ঘুমের রেশটা কেটে গেল, 

বলুন? 

পূর্ণচন্দ্র দত্ত নামের কাউকে চেনেন? 

হ্যাঁ, আমার এজেন্সিতে কাজ করেন। 

একটু থানায় আসতে হবে আপনাকে, উনি মারা গেছেন, ইনফ্যাক্ট খুন হয়েছেন।

0 comments: