0

ধারাবাহিক - সোমঙ্কর লাহিড়ী

Posted in



















২১ 

ঠিকানা খুঁজে পরেশ সামন্ত অ্যান্ডির বর্তমান ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির হল, নিজের কার্ড দেওয়ার কিছুক্ষণ বাদে কিরণ ঘোষদস্তিদার বেরিয়ে এলেন, 

ভেরী সরি আমাদের অ্যাকচুয়ালি অ্যান্ডির সিকিয়রিটির ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে। পরেশ সামন্ত জানতেন এই ধরণের কিছু কথা উনি শুনবেন, তাই শান্ত ভাবে বললেন, 

আমি কয়েকটা বিষয় নিয়ে একটু অ্যান্ডি ও ওর সেক্রেটারির কাজ যিনি করেন তার সাথে কথা বলতে চাই, এন্ড ইটস ইমপর্টেন্ট। 

সামন্তর বলার মধ্যে এমন কিছু ছিল যে সেটা কিরণ বাবু ঠিক উড়িয়ে দিতে পারলেন না। বললেন, 

দেখুন সেক্রেটারি বা ঐ জাতীয় কিছু না। রিসেন্ট কিছুদিন আমি ওর ব্যবসায়ীক ব্যাপার স্যাপারগুলো খেয়াল রাখি। আর জানেনই তো ওর কাছে গান বা প্রোগ্রামের অফার এমনিই আসে আজকাল, পি.আর করতে লাগে না। 

সামন্ত বলল, 

আমি অ্যান্ডির উপরে হওয়া সবকটা অ্যাটাকের ডিটেলস জানতে চাই মিঃ .... 

ঘোষ দস্তিদার। কিরণ ঘোষ দস্তিদার। অ্যায়াম এক্স সি.এ। 

বলেন কি? উকিল, ডাক্তার সি.এ তো এক্স হয়না। 

না আমার বয়েস হয়ে গেছে, তাই ছেলে দেখাশোনা করে আমার ফার্ম। আমি অ্যান্ডিকে নিয়েই এখন দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাই। ওর ব্যবসায়িক দিকটা দেখি আরকি। 

একচুয়ালি আমি বা আমরা অ্যান্ডির সাথে ওর খুব খারাপ সময় থেকেই যুক্ত আছি। আমার বৌমা অলি আর অ্যান্ডি এর আগে একই আপার্ট্মেন্ট কমপ্লেক্সেরদুটো ভিন্ন ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ছিল। 

আচ্ছা, এর আগে অ্যান্ডি কোথায় থাকত? 

কিরণ বাবু বলে দিলেন। 

সব লিখে মিলিয়ে নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে সামন্ত বললেন, 

আপনার মনে হতেই পারে আমি কেন এখন অ্যান্ডির ব্যাপার নিয়ে এত প্রশ্ন করছি? 

এজ্যাক্টলি। 

আসলে আমরা, মানে ক্যালকাটা পুলিস ও স্টেট পুলিসের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের একটা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশান টিম একটা মাল্টিপল মার্ডার কেসের ব্যাপারে ইনভেস্টিগেট করছেন, ওনারা কিছু ব্যাপারে আমাকেও এই কাজে আসিস্ট করেতে ইন্সট্রাক্ট করেছেন। আমরা এখন মনে করছি রিসেন্ট এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে যার ফলে অ্যান্ডির লাইফের উপর এখন একটা আঘাত আসতে পারে। আর আমি সেই ব্যাপারেই কিছু কথা বলতে এসেছি, যদি আপনি আমাকে সাহায্য করেন। 

সাহায্য তো অবশ্যই করব। কি বলছেন আপনি? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। 

কিরণ ঘোষদস্তিদারআর পরেশ সামন্ত এর পরে প্রায় ঘণ্টা চারেক নিজেদের মধ্য সমস্ত ডিটেলস নিয়ে আলোচনা করলেন। 

পাতার পর পাতা ভরা ইনফরমেশান নিয়ে সামন্ত যখন ফিরল তখন তার ভুরু বেশ কুঁচকে গেছে। 

লাল বাজারে ফিরে এসে সুব্রত সেনগুপ্তের চেম্বারে যখন ঢুকল তখন রাত হয়ে গেছে বেশ। সেনগুপ্ত বাড়ি ফেরার জন্যে, সামন্তকে দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন। বললেন, 

এখন কিছু বলবেন নাকি কাল? 

গাড়িতে যেতে যেতে? 

চলুন তবে। 

গোটা রাস্তাটায় পরেশ সামন্ত একা কথা বলে গেলেন। সুব্রত সেনগুপ্ত হুঁ হাঁ ছাড়া আর কিছু বললেন না। শেষ হওয়ার পরে বললেন, 

ডিপার্টমেন্টটা ছাড়লেন কেন শুধু শুধু? চিন্তা করবেন না। আপনার কখন রিপোর্টগুলো চাই? 

যত তাড়াতাড়ি হয়। কারণ দিনকয়েকের মধ্যে অ্যান্ডির কিছু একটা ফিল্মে অভিনয়ের ব্যাপারে একটা আনাউন্সমেন্ট আছে আর ঐ একই প্রোডিউসারের একটা নতুন ফিল্মের গানের ডিভিডি লঞ্চের অনুষ্ঠান আছে। আমি এই রিপোর্টগুলো যত তাড়াতাড়ি পাবো তত তাড়াতাড়ি সিচ্যুয়েশানটা অ্যানালিসিস করতে পারব। 

ঠিক দেড় দিনের মাথায় সেনগুপ্ত যখন পরেশ সামন্তকে তার প্রয়োজনীয় কললিস্ট গুলো দিলেন, 

তখন হাসতে হাসতে বললেন, 

মশাই কম্পিউটার না থাকলে আপনার দু দিন তো দু বছর লেগে যেত। আমার সবচেয়ে অবাক লাগছে আপনি এত দ্রুত পিন পয়েন্ট করলেন কি করে? 

স্নেহ, স্যার স্নেহ। যে কারণে আমি হাত ধুয়ে কেসটার পিছনে পরে গেলাম ঠিক সেই কারণে কেউ একজন অ্যান্ডির পিছনে পরে যেতেই পারে। এখন দেখলেন তো। গোটা ঝামেলাটার সুচনা ঐ ফাংশান না ওপেনিং পার্টির পর থেকে। তারমানে ঐ টেপটা দেখানো হয়েছিল ব্রেকীং নিউজ হিসাবে সেটাই অশান্তির সুত্রপাত। 

তাহলে কি ঐ নম্বরটা যার তাকে তুলে এনে ইন্টারোগেট করি কি বলেন? 

সেটা তো করতেই পারেন। তার আগে ফোন কোম্পানী থেকে রেকর্ডেড ভয়েসগুলো আনিয়ে নিন। না হলে কি করে ক্রস ভেরিফিকেশান করবেন? 

আর কোলকাতার যে নম্বরে ফোন করেছিল তাকে তুলে নেবো? 

না স্যার তাকে শ্যাডো কভার করার ইন্সট্রাকশান দিয়ে একটা টিম দিয়ে রাখুন। ওকে তুলে নিলে আমরা মেন কালপ্রীটকে পাবো না। 

সেটাকে বার করবেন কি করে? 

ঐ অ্যান্ডিকেই আমাদের টোপ করতে হবে। আকে সামনে আনার জন্যে। 

টোপটা কি করে করবেন অ্যান্ডিকে? 

স্যার ঐ সিনেমার লোক গুলোকে ডাকুন, জরুরূ ভিত্তিতে। তারপরে বলুন সিকিয়োরিটি রিজিনে ওনাদের ভেনু গুলো একেবারে শেষ মুহুর্তে বদলাতে। মানে আমি বলতে চাইছি ওনারা কোলকাতার বড়ো শপিং মল গুলোতে অনুষ্টান করবে, ধরুন দুপুর তিনটের সময় ওদের বাইপাশের ধারে প্রোগ্রাম, ওরা তিনটে বাজতে পাঁচে সেখানে অ্যানাউন্স করবে যে পাঁচটায় হবে, তাতে যারা এসেছে তারা চলে যাবে বা নাও যেতে পারে কিন্তু যে অ্যান্ডিকে টার্গেট করেছে সে যাবে না, কারণ তার কাছে অন্য ভেনুতে গিয়ে সেট আপ করা সম্ভব হবে না। সেট আপ বলছি কারণ এই লোকটা ব্রুটাল অ্যাটাক করে, লং ডিস্ট্যান্স স্নাইপার রাইফেল টাইফেল নিয়ে অ্যাটাকের কোন হিস্ট্রি নেই। আর ঐ রকম ব্রুটালি মারতে গেলে যদি কোথাও গ্রীনরুম টুম থাকে তার কাছেপিঠেই অ্যাটাকটা করবে। কারণ স্টেজে উঠে ছুরি টুরি মারলে তো নিজেও মরবে। তাই না? 

সেনগুপ্ত থুৎনি চুলকাতে চুলকাতে বললেন, 

লজিক্যাল। 

আরো একটা রাস্তা আছে সেটা আরো ডেডলী কিন্তু সেটাতে প্রোবাবল সাকসেস রেটটা আমার মনে হচ্ছে হাই। 

কি সেটা? 

ফ্যামেলী রিইউনিয়ান। 

সেটা কি? 

সামন্ত হাসতে হাসতে বলল, 

সব এখন শুনে নেবেন? পরে প্রেস কনফারেন্সের সময় ভুলে গেলে? 



দিনদুয়েক বাদে পরেশ সামন্ত সুব্রত সেনগুপ্তকে জানিয়ে দিল কোন কোন ফোন নম্বরকে ট্যাপ করতে হবে। আর প্রভিয়াস ভয়েস রেকর্ডিং নিয়ে রাখতে হবে ফোন কোম্পানীদের থেকে। 

ফিল্ম কোম্পানী প্রথমে একটু গাঁইগুঁই করলেও মেনে নিল। 

সঞ্জয় তার টাকাটা বুঝে নিয়ে তার গোপণ আস্তানা থেকে বেরিয়ে গেল। সেই লোকটা ফোন করে জানিয়ে দিল যে কীলার অন দ্য মুভ। 

পরের ঘটনা গুলোতে একদম নাতকীয়তা ছিলনা। 

যেদিন ফিল্মের মিউজিক লঞ্চিং এর অনুষ্টান সে দিন প্রথম ভেনু ছিল সল্ট লেকের একটা মলে। 

পুলিসের কথা মেনে সেটা শেষ মুহুর্তে পিছিয়ে দিল সিনেমা কোম্পানীর লোকেরা। সেই মলে অ্যান্ডিকে আসার জন্য ও প্রোগ্রামের আগে অবধি থাকার জন্য একটা ভ্যানেটি ভ্যান দেওয়া হয়েছিল মেকাপের জন্য, পুলিশের নির্দেশ। 

তার আশে পাশে সাদা পোষাকের বেশ কিছু পুলিস মোতায়েন রাখা ছিল। তাদের কাছে সঞ্জয়ের ছবি দেওয়াও ছিল। কিন্তু কোনো রকমের আনইউজুয়াল মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছিল না। 

এমন সময় এক জনপ্রিয় সংবাদ চ্যানেল ব্রেকীং নিউজ দিল, অ্যান্ডির বাবা মৃত্যু শয্যায়। তিনি কাতর ভাবে তাঁর ছেলেকে শেষ দেখা পাওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। টিভিতে সেই দৃশ্য অনেকের চোখে জল এনে দেওয়ার উপক্রম করল। ফিল্ম কোম্পানীর নির্দেশে অ্যান্ডি সেই ভ্যানেটি ভ্যান সমেত দৌড়ালো তার অনেককাল আগে ছেড়ে আসা বাড়ির দিকে। 

তাকে নিজের বাবার কাছে শেষ দেখা দেখতে যাওয়ার জন্য সিনিয়ার ঘোষদস্তিদারও অনুরোধ করেছিলেন, খবরটা পাওয়ার পরেই। 

সঞ্জয় এরপরেই ফোন পায় অ্যান্ডি প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করে তার মরণাপন্ন বাবাকে দেখতে যাচ্ছে। 

ঠিকানাটার সাথে সেই লোকটা জানিয়ে দিল আরো একটা ছোট্টো ইনফরমেশান। অ্যান্ডির বাবাই তার জীবনের যত দুঃখের মুল। তার নিজের বাবা। যাকে আজ অবধি তার মা তার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। বহু চাপেও যাঁর নাম তিনি কোনদিন সঞ্জয়কে বলেননি। 

তার পুরানো বাড়ির পথে যাওয়ার সময় মাঝ রাস্তায় তাকে ভ্যানেটি ভ্যান থেকে নেমে একটা সাধারণ ভাড়া গাড়িতে উঠতে নির্দেশ দিল পুলিসের লোকেরা। সেই ভাড়া গাড়ি তাকে আর মিঃ ঘোষ দস্তিদারকে নিয়ে অ্যান্ডিদের পুরানো ফ্ল্যাটে নিয়ে গেল। 

বিনা ভীড়ে বিনা ঝঞ্ঝাটে অ্যান্ডি ঢুকে গেল তার পুরানো বাড়িতে তার বাবার শেষ ইচ্ছা পুরন করতে। যদিও ততক্ষণে অন্যান্য মিডিয়া সেখানে জড়ো হতে শুরু করেছে। কিন্তু টুপি আর কালো চশমার আর সাধারণ পোষাকের জন্য তারা অ্যান্ডিকে চিনতে পারেনি। 

দু একটা স্ন্যাপ ব্যাক টুপি পরা মিডিয়ার লোককে কিছু সাদা পোষাকের পুলিস কিছুক্ষনের জন্যে থামিয়ে কি যেন কারণে টুপি খুলিয়ে দেখেটেখে ছেড়ে দিয়েছিল। মিডিয়ার লোক হওয়া স্বত্তেও তাদের কোন উত্তর দেয়নি সেই সাদা পোষাকের পুলিসরা। 

শুধু একটা ডাইরেক্ট টু হোম যে টিভি সার্ভিস আছে তার একটা লোককে সাদা পোষাকের পুলিসরা কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কারণ তার মাথায় টুপি ছিল না। আর তার সে তার পরিচয় পত্র দেখিয়েই ঢুকেছিল। 

গেট পেরিয়ে গিয়ে সেই লোকটা একটা একটা ফোন পায়, তাতে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল সে এখন কোথায়? 

আননোন নম্বর দেখে সে অবাকই হয়েছিল কিন্তু বলেও দিয়েছিল যে সে ঐ হাউসিং কমপ্লেক্সে এ কাজে এসেছে। 

অ্যান্ডি কিরণ ঘোষ যখন তাদের পুরানো ফ্ল্যাটে পৌছেছিল তখন সেখানে পরেশ সামন্তকে দেখে বেশ অবাক হয়েছিল অ্যান্ডি। আর তার সাথে নিজের বাবাকে সুস্থ দেখে বিরক্ত। 

মিনিট খানেকের মধ্যে ডোর বেল বাজতে ওদের কাউকে যেতে না দিয়ে সামন্ত নিজের পিস্তলটা বার করে রেডী হয়ে দরজার নব ঘুরিয়েছিল। সামনের ছেলেটার মাথায় কোন টুপি ছিলনা দেখে এক মুহুর্ত থমকেছিল, সেটাই কাল হল। 

সেই ডি.টি.এইচ কোম্পানীর ছেলেটা দরজাটা খোলার সাথে সাথে সামনের লোকটার চোখে পেপার স্প্রে চালালো। তার পরের মুহুর্তে দেখতে পেল ঘরে দুটো বয়স্ক লোক লুংগী পরে থাকার কারণে তার বুঝতে অসুবিধা হল না তার টার্গেট কোন লোকটা। অ্যান্ডিকে তো সে চিনত আগে থেকেই। 

ঘরের সবায়ের চোখ লক্ষ করে পেপার স্প্রের একটা ক্যান প্রায় অর্ধেক খালি করে দেওয়ার পরে সেও ছটফটানো লোক গুলোকে দেখে এক মুহুর্ত ভেবে ছিল কাকে আগে আঘাতটা করবে। 

অনেক মুহুর্ত দিয়ে তৈরী জীবন শেষ হয়ে গেল একটা স্বীধাগ্রস্থ মুহুর্তের জন্য। সামন্ত কোনক্রমে একটা ফায়ার করতে পেরেছিলেন, সেই লোকটি সামান্য একটু ঝোঁকার জন্যে সেই বুলেটটা গিয়ে অ্যান্ডির বাবার কাঁধে লাগে তিনি পড়ে যান। 

পরেরটা করার মধ্যে লোকটা তার হাতুড়িটা সপাটে সামন্তর মাথাকে লক্ষ করে চালায়, মাথাটা সরাতে সক্ষম হলেও নাকে লাগে হাতুড়িটা সামন্ত জ্ঞান হারায়। 

সেই লোকটি লুঙ্গী পরা লোকটার স্থির হয়ে পড়ে থাকা আর পা ছটফটানো দখে বুঝল একে পরেও মেরে দেওয়া যাবে। আর তার প্রাইম টার্গেটকে ছটফটেতে দেখে ভাবল এটাকেই তবে আগে। এই ভেবে হাতুড়িটা অ্যান্ডির মাথা লক্ষ করে চালাল। 

কিরণ ঘোষ সারা জীবনে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি, কোন রকমে চোখ খুলে ঝাপসা অবস্থায় দেখতে পেলেন সামনের লোকটা একটা হাতুড়ি তুলেছে অ্যান্ডিকে মারবে বলে। মরিয়া হয়ে তিনি সেই লোকটার জামা ধরে টানলেন পিছনের দিকে। হাতুড়ির আঘাত লক্ষভ্রষ্ট হল বটে কিন্তু কিরণবাবু পেটে সেই হাতুড়ির ঘা খেলেন, তিনিও ছিটকে পড়ে গেলেন। 

এবারে সামান্য একটু হাঁফ ছাড়তে সময় পেলো সে আগন্তুক। দুটো বুড়ো আউট। একটা মাঝ বয়েসই লোক মরে গেছে কিনা কে জানে তবে নড়ছে না। এবারে চোখের জ্বালায় ছটফট করতে থাকা অ্যান্ডিকে বেশ তারিয়ে তারিয়ে মারা যাবে। 

না জ্ঞানটা ফেরার আর না ফেরার মাঝেই সামন্ত বুঝতে পেরেছিল সময় একদম কম। ফায়ার করেছিল আবার। তারপরে আবার জ্ঞান হারিয়ে ছিল।

0 comments: