0

ধারাবাহিক - সুদীপ ঘোষাল

Posted in




তারপর রাত পোহালেই চা, মুড়ি খেয়ে বেরিয়ে পরে সুমন। আজ যাত্রা আছে। মীরার বঁধুয়া। মুরারী বাঁশি মুখে ধরে থাকবে আর আড়াল থেকে বাজবে সুমনের বাঁশি। আজ কৃষ্ণ সাজবে মুরারী। মীরা মুগ্ধ হবে সুরে। রূপসী আজ মীরা সাজবে। কত লোকে হাততালি দেবে। পুরষ্কার পাবে মুরারী। রূপসী জানে, দলের সবাই জানে বাহাদুর বংশীবাদকের বাহাদু। তবু মুরারী নামের কাঙাল সেজে কপটতা করে। সুমনের তর উপর রাগ হয় না। কৃপা হয়। রূপসীর পিছন পিছন ঘুর ঘুর করে মুরারী। কিন্তু রূপসীর মন পায় না।

রূপসী আড়ালে সুমনকে বলে, ডিম, দুধ খাবে। আমার কাছে আসবে। আমি দেবো।

---আমার বেশি খেলে বদহজম হয়। হাল্কা মুড়ি আমার প্রিয়।

----না না। মুখ দিয়ে রক্ত উঠবে।

----বেশি খেলে আমার বাজাতে কষ্ট হয়।

----ঠিক আছে। আমার কাছে এসে তুমি যখন বাঁশি বাজাও আমার মনটা কেমন হারিয়ে যায়।

----জানি আমি। তোমার জন্য আমি বাঁশি বাজাই। তুমি আমার বাঁশি শুনলেই হবে। আর কাউকে চাই না।

সুমন বাঁশি বাজানোর সঙ্গে কোনো আপোষ করে না। তাতে না খেয়ে থাকতে হলেও থাকবে। কোনো আপত্তি নেই।

অপরদিকে রাবণ অপেরা এদের প্রতিদ্বন্ধি। তারা সুমন কে নিজেদের দলে আনার জন্য নানারকম রাজনীতি করে। কিন্তু সুমন দল ছাড়বে না।

মুরারী অপেরায় তার প্রিয়া রূপসী আছে। তাকে ছেড়ে কি করে সে বাঁশি বাজাবে।

রাবণ অপেরার ম্যানেজার বললো, তোমার খুব অহংকার। আচ্ছা তোমাকে আমরা দ্বিগুণ টাকা দেবো।আমাদের দলে এসো।

----না আমি পারবো না। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।

---আচ্ছা তোমাকে দেখে নেবো।

নিরহঙ্কার সুমনের লোভ নেই। সে সুরে সুরে মহাসুরের সঙ্গে মিলতে চায়।

0 comments: