0

ঋতু ম্যাডামের রান্নাঘর থেকে - মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী

Posted in








কাঁঠাল পুর

এটি আমার মায়ের কাছে শেখা। জানি না, তাঁর নিজস্ব রেসিপি নাকি তিনিও কোথাও শিখেছিলেন।গোটা গোটা কাঁঠাল কোয়া দিয়ে করতে হবে। খাজা কাঁঠাল হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

প্রথমে পুরের জন্য ছানা কেটে খুব ভালো করে জল ঝরিয়ে নিয়ে, তারপর সেটা অনেকটা সময় ধরে ঠেসে ঠেসে মাখতে হবে। বেশ ময়দা মাখার মতো মসৃণ একটি মণ্ড তৈরী হবে। ছানাটা মাখার পাশাপাশি দুধ ফুটিয়ে ঘন করতে হবে। বেশ ঘন হয়ে এলে পরিমান মতো চিনি/গুড় এবং ওই ছানার মণ্ডটা মিশিয়ে ক্রমাগত নাড়িয়ে বেশ আঠালো করে কড়াই থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে ঠান্ডা করতে দিতে হবে। এটিতে বাদাম কুচি, এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে নিলেই কিন্তু কালাকাঁদ হয়ে যাবে। যেহেতু কাঁঠাল কোয়ায় ভরব, তাই ওসব কিছু দেইনি। এবার ওই কালাকাঁদ মুঠি মুঠি করে ভরে নিলেই এই কাঁঠাল পুর রেডি। গোটা গোটা পরিবেশন করা যেতে পারে বা চাক চাক করে কেটেও পরিবেশন করা যেতে পারে। পুরটা কিন্তু কড়া মিষ্টি না হওয়াই ভালো। ওপর থেকে কন্ডেসন্ড মিল্ক ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে; সৌন্দর্য এবং মিষ্টত্ব বাড়াতে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিয়েওপরিবেশন করা যায়।

আর এত হ্যাঙ্গাম না করতে চাইলে, পাড়ার দোকান থেকে কালাকাঁদ কিনে এনে কাঁঠাল কোয়ায় ভরে নিয়ে বানিয়ে ফেলা যায়। ক্ষোয়া ক্ষীর দুধ দিয়ে নরম করে বা ঘরে দুধ শুকিয়ে ক্ষীর বানিয়ে সেটা দিয়েও পুর বানানো যেতে পারে।

ছবিতে ব্যবহৃত কাঁঠালের রঙ কমলা, হলুদ নয়। কেন তা জানি না। গোটা কাঁঠাল ভাঙার পর এমনটাই পেয়েছিলাম।




0 comments: