ধারাবাহিক - নন্দিনী সেনগুপ্ত
Posted in ধারাবাহিক৩২
-‘কী হল?’ সৈনিকেরা রাস্তা থেকে চিৎকার করে উঠল সমস্বরে।
-‘একটা গাড়ি’… জবাব দিল ফাইনহালস। দূরবীনের মধ্য দিয়ে গাড়িটা লক্ষ্য করতে লাগল সে। লক্ষ্য করতে করতে শুনতে পেল যে একতলা থেকে ঐ অল্পবয়সী মহিলা বেরিয়ে এসেছে বাড়ি থেকে। সৈনিকদের সঙ্গে কথা বলছে ঐ মহিলা। চেঁচিয়ে নিচ থেকে তাকেও যেন কিছু একটা বলল সে। কিন্তু ফাইনহালস তার কথা বুঝতে পারল না। কিন্তু সে চেঁচিয়ে নিচে তাকিয়ে বলে উঠল…
-‘গাড়ির ড্রাইভার সৈনিক নয়, সাধারণ নাগরিক। ড্রাইভারের পাশের সিটে যে বসে আছে, সে লোকটা নাৎসিবাহিনীর। গাড়ির পেছনে একটা সিমেন্ট, বালি, কংক্রিটের মশলা মেশাবার যন্ত্র।’
-‘কংক্রিটের মশলা মেশাবার যন্ত্র?’ সবাই নিচ থেকে আবার চেঁচিয়ে প্রশ্ন করে।
-‘হ্যাঁ’ – সে উত্তর দেয়।
ইতিমধ্যে নিচের সবাই খালি চোখেই দেখতে পেয়ে গেছে গাড়িটা। গাড়ির ড্রাইভার, ড্রাইভারের পাশের নাৎসিবাহিনীর লোক, কংক্রিটের মশলা মাখার যন্ত্র সব দেখা যাচ্ছে। পেছন পেছন আরও গাড়ি আসছে। পুরো একটা বাহিনী আসছে। ধুলোর ঝড় ছড়িয়ে গ্রামটা ছাড়িয়ে গাড়িগুলো ভাঙা ব্রিজের ধ্বংসাবশেষের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। প্রথম গাড়িটা থেমে যাবার পরে, দ্বিতীয় গাড়িতে রাখা তাঁবু বানানোর সরঞ্জাম সবাই দেখতে পায়। সবাই প্রথম গাড়িটার দিকে ছুটে যায়; এমনকি মারিয়াও ছোটে তাদের সঙ্গে। লেফটেন্যান্ট ছাড়া সবাই দৌড়ে যায়। গাড়িটার দরজা খুলে উর্দিধারী লোকটা নেমে আসে। লোকটার মাথায় কোনো টুপি নেই।
-‘হাইল হিটলার১, ছেলেরা’… লোকটা চিৎকার করে বলে, ‘এই জায়গাটার নাম কি বার্কজাবা?’
‘হ্যাঁ’… সৈনিকেরা জবাব দেয়। অনিচ্ছাসত্ত্বেও পকেট থেকে হাত বের করে নিয়ে আসে তারা। লোকটার জামার কাঁধে মেজর পদমর্যাদার লেবেল। সৈনিকেরা জানে না যে লোকটাকে কী বলে সম্বোধন করবে ওরা।
লোকটা ড্রাইভারের উদ্দেশ্যে বলে ওঠে… ‘আমরা এসে গেছি। ইঞ্জিন বন্ধ করে দাও।’ তারপর লোকটা সৈনিকদের এবং লেফটেন্যান্টের দিকে তাকায়, কয়েক পা এগিয়ে আসে। লেফটেন্যান্টও এগোয় কয়েক পা। এগিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। বাকি কয়েক পা তাড়াতাড়ি এগিয়ে লেফটেন্যান্ট মুক বাদামি ইউনিফর্ম পরা লোকটির সামনাসামনি দাঁড়ায়। টুপিতে হাত দেয়, জয়ধ্বনি উচ্চারণ করে নিজের নাম বলে। ইউনিফর্ম পরা লোকটিও নিজের হাত তোলে, তারপর মুকের সঙ্গে করমর্দন করে।
-‘ডয়সেন- কন্সট্রাকশন ম্যানেজার’ নিজের পরিচয় দেয় লোকটি… ‘আমরা এখানে ব্রিজটা বানাতে এসেছি।’
লেফটেন্যান্ট সৈনিকদের দিকে তাকায়। সৈনিকেরা মারিয়ার দিকে তাকায়। মারিয়া দৌড়ে বাড়িটার মধ্যে ঢুকে যায়। ডয়সেন খোশমেজাজে তৎপরতার সঙ্গে অন্যান্য গাড়িগুলোকে নির্দেশ দিতে থাকে।
সব কাজ বেশ দৃঢ়, তৎপর ভঙ্গিতে করলেও ডয়সেনের চেহারা দেখে মনে হয় যে তার প্রাণে বেশ দয়ামায়া আছে। সে মিসেস সুসানের কাছে রান্নাঘরটা একবার দেখতে চাইল হাসিমুখে। দেখে বেরিয়ে এসে অবশ্য কিছুই বলল না। পাশে টেমানদের পরিত্যক্ত বাড়িটাতে একবার ঢুকে গেল সে। সাবধানে খুঁটিয়ে দেখতে লাগল; বেরিয়ে এল হাসিমুখে। তার কিছুক্ষণ পরে তাঁবুর সরঞ্জাম নিয়ে যে গাড়িগুলো এসেছিল, সেগুলো ফিরে গেল টেসার্জির দিকে। লোকটা নিজে টেমানদের পরিত্যক্ত বাড়িটাতে আশ্রয় নিল। কিছুক্ষণ পরে ঐ বাড়ির জানালায় দাঁড়িয়ে ধূমপান করতে দেখা গেল তাঁকে। জানালায় দাঁড়িয়ে বাকি গাড়িগুলো থেকে মালপত্র নামানোর উপরে নজর রাখছিল সে। মালপত্র নামানোর জায়গায় তদারক করছিল অল্পবয়সি এক ছোকরা, যার খাকি বাদামি ইউনিফর্মের কাঁধের লেবেলে বোঝা যাচ্ছিল যে সে সার্জেন্ট। ডয়সেন মাঝে মাঝে চেঁচিয়ে সেই ছোকরাকে কিছু নির্দেশ দিচ্ছিল। এতক্ষণে সব গাড়ি চলে এসেছে। সব মিলিয়ে দশটা গাড়ি। জায়গাটা ভর্তি হয়ে গেছে লোহার গার্ডার, বিম, সিমেন্টের বস্তা আর শ্রমিকের ভিড়ে। এক ঘণ্টা পরে ঝার্নির দিক থেকে এল একটা ছোট মোটরচালিত নৌকা।
সকাল থেকে যে কয়জন এসেছে, তাদের মধ্যে তিন নম্বর যে লোকটার পরনে খাকি বাদামি ইউনিফর্ম, সে এলো নৌকা করে। সঙ্গে ছিল দু’জন স্লোভাক মহিলা, যাদের গায়ের রঙ রোদ্দুরে পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে। নৌকা থেকে নামা মাত্রই কলহাস্যে তাদের অভ্যর্থনা জানাল শ্রমিকেরা।
ফাইনহালস সবকিছুই খুব কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছিল। প্রথমে ভাঙ্গাচোরা পরিত্যক্ত বাড়িটার মধ্যে রান্না করবার জন্য বড় একটা চুল্লি নিয়ে যাওয়া হল। তারপর গাড়ি থেকে তৈরি করা রেলিংএর অংশ, জোড়, স্ক্রু, আলকাতরা মাখানো বিম, কারিগরি যন্ত্রপাতি, রান্নার নানা সরঞ্জাম, কাঁচা বাজার সব নামানো হতে লাগল। বেলা এগারোটার মধ্যে দেখা গেল স্লোভাক মহিলারা আলুর খোসা ছাড়িয়ে খাবারের প্রস্তুতিতে লেগে গিয়েছে। বারোটার মধ্যে সব মালপত্র নামানো হয়ে গেল। সিমেন্ট রাখবার একটা ছাউনি তৈরি হল। ব্রিজ যেখানে তৈরি হবে, সেখানে ঢালু রাস্তার মুখে তিনটে ট্রাক এসে নুড়িপাথর ফেলতে শুরু করল।
কিছুক্ষণ পরে গ্রেস এল তার জায়গায়; ফাইনহালস নিচে গেল। নিচে গিয়ে অবাক হয়ে লক্ষ্য করল যে সরাইখানার উপরে একটা কাঠের সাইনবোর্ড পেরেক দিয়ে এঁটে দেওয়া হয়েছে, যেখানে লেখা আছে ‘ক্যান্টিন’।
পরবর্তী দিনগুলোতে ফাইনহালস খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করছিল ব্রিজ তৈরির কাজ। সে অবাক হয়ে গিয়েছিল সমস্ত কাজের সুচারু এবং নিপুণ পরিকল্পনা দেখে। একটা কাজেও কোনও ভুল নেই, কোথাও কোনও খামতি নেই। নির্ভুল ভাবে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে প্রতিটি জিনিস, গুছিয়ে করা হচ্ছে প্রতিটি কাজ। যেটা যেখানে থাকবার কথা, সেখানেই রাখা হচ্ছে; একটু দূরেও নয়, কাছেও নয়। ফাইনহালস জীবনে এরকম অনেক কন্সট্রাকশন সাইট দেখেছে, কিন্তু এত নিপুণতা, এত পরিষ্কার, এত দ্রুত কাজ সে কোথাও দেখেনি। তার বিস্ময়ের শেষ ছিল না। ঠিক তিন দিনের মাথায় ব্রিজের কংক্রিট পিলারগুলি সব স্থাপন করা হয়ে গেল। যখন শেষ পিলারে ঢালাই চলছে, তখন প্রথম পিলারের মাথায় লোহার বিমের কাঠামোগুলো আটকানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। চতুর্থ দিনের দিন ব্রিজের উপর দিয়ে পায়ে হাঁটার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেল। এক সপ্তাহ পরে সে লক্ষ্য করল যে নদীর ওপারে ব্রিজের আরও নানা তৈরি অংশ নিয়ে বেশ কিছু ট্রাক এসে দাঁড়িয়েছে। সেই ট্রাকগুলির সাহায্যে ঐ পারের ঢালু অংশ, যেটা ব্রিজের সঙ্গে লেগে থাকবে সেটা তৈরি হল, এবং শেষ মুহূর্তের নানা টুকরো কাজ ইত্যাদি চালানো হয়েছিল।
ব্রিজের উপরে চলাচলের পথ সম্পূর্ণ তৈরি হবার পরে, বাকি কাজ খুব দ্রুতগতিতে এগোতে লাগল। ফাইনহালস খুব কমই পাহাড় কিম্বা জঙ্গলের দিকে লক্ষ্য রাখত। সে সারাক্ষণ ব্রিজের কাজ দেখত। তার খুব ভালো লাগত। এমনকি যখন ড্রিল করতে হত তাকে, তখনও সে শ্রমিকদের কর্মকাণ্ডের দিকেই সর্বক্ষণ তাকিয়ে থাকত।
সন্ধেবেলায় কিম্বা বিকেলের দিকে যখন তার দূরবীনে বসবার কাজ থাকত না, সে নিচে বাগানে গিয়ে বসে থাকত। এক রাশিয়ান যুবক, নাম ছিল তার স্তালিন। স্তালিন গাদলেঙ্কো, সে ভারি সুন্দর বালালাইকা২ বাজাত। পানশালার ভিতরে খানাপিনা, গান বাজনা এমনকি নাচানাচিও হত সন্ধেবেলা। যদিও নাচ একেবারেই বারণ, কিন্তু ডয়সেন সেসব নিয়ে কখনো মাথা ঘামাত না। সে সব সময় খোশ মেজাজে থাকত। চোদ্দ দিনের মধ্যে সে ব্রিজ বানিয়ে ফেলেছিল। যদি এসব নাচাগানা, খানাপিনা একটু কম হত, তাহলে হয়ত সে বারো দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করে ফেলত। তাছাড়া ডয়সেন প্রচুর জ্বালানি বাঁচিয়েছিল, কারণ খাবারদাবার, বাজার এসব আনতে সে অন্য জায়গায় গাড়ি পাঠায়নি। টেমানদের রান্নাঘরে রান্না করিয়ে, স্থানীয় বাজার থেকে কাজ চালিয়ে এবং মিসেস সুজানের কাজ থেকে খাবারদাবার কিনেই সবার প্রয়োজন মিটে গিয়েছিল। শ্রমিকেরা যাতে সব খাবারদাবার ঠিক মত পায়, আরামে থাকে, এমনকি ধূমপান ইত্যাদিও করতে পারে, এসব দিকে তার দৃষ্টি ছিল। সে জানত যে ক্ষমতা প্রয়োগ করে, ভয় দেখিয়ে জোরজার করে কাজ করানোর চেয়ে একটু ছাড় দিয়ে খোশমেজাজে নিজে এবং বাকি সবাইকে থাকতে দিলে ভালো কাজকর্ম হয়। সে অনেক ব্রিজ বানিয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ব্রিজ অবশ্য যুদ্ধে উড়ে গেছে, তবুও সেগুলো যতদিন ছিল, ততদিন বেশ কাজে লেগেছে। কর্মদক্ষতার কারণে তার কখনই কাজের অভাব হয়নি।
মিসেস সুজানও খুব খোশমেজাজে ছিলেন। আবার ব্রিজটা তৈরি হচ্ছে। যদিও এদিকে যুদ্ধের আঁচ আর সেরকম নেই, তবুও কিছু সৈনিক থাকতে পারে এই সরাইখানায়; তাছাড়া গ্রামের লোকও নদী পেরিয়ে আসতে পারবে এদিকে। শ্রমিকরাও বেশ খোশমেজাজে আছে। তিন দিন অন্তর অন্তর টেসার্জির রাস্তা দিয়ে ছোট, বাদামি রঙের একটা গাড়ি আসে। সরাইখানার সামনে গাড়িটা দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে একটা বুড়োটে দেখতে ক্লান্ত লোক নেমে আসে খাকি বাদামি ইউনিফর্ম পরা; কাঁধে ক্যাপ্টেনের লেবেল আঁটা। সব শ্রমিকদের ডাক পড়ে। লোকটা সবার পাওনাগণ্ডা মিটিয়ে দেয়। অনেক টাকা পায় তারা। অনেক টাকা, সেসব দিয়ে তারা সৈনিকদের কাছ থেকে শার্ট, মোজা এগুলো কিনতে পারে ইচ্ছে হলেই। বিকেলে পানাহার করতে পারে ইচ্ছেমত। রান্নার কাজ করতে যে সুন্দরী স্লোভাক মেয়েরা এসেছে, ইচ্ছে হলে তাদের সঙ্গে নাচতেও পারে।
দশ দিনের দিন ফাইনহালস লক্ষ্য করল যে ব্রিজ প্রায় তৈরি। রেলিং লাগানো হয়ে গেছে। ব্রিজের উপরে এবং নদীর দুই পারের ব্রিজের মুখে ঢালু রাস্তার কাঠামো তৈরি। সিমেন্ট, লোহার গার্ডার এসবের কাজ শেষ। এমনকি সিমেন্ট রাখার যে ছাউনি তৈরি হয়েছিল, সেটাও নেই। তার উপর প্রায় অর্ধেক শ্রমিক এবং রান্নাঘরের একজন মহিলা ফিরে গেছে। বার্কজাবা আবার ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাচ্ছে। জনা পনেরো শ্রমিক এখনও আছে, ডয়সেন আর খাকি বাদামি ইউনিফর্ম পরা অল্পবয়সি সার্জেন্ট ছোকরা আছে আর রান্নাঘরে কাজ করবার একজন স্লোভাক মহিলা আছে। ফাইনহালস প্রায়ই এই মহিলার দিকে তাকিয়ে থাকে। মহিলা সারা সকাল জানালায় বসে বসে গুনগুন গান গাইতে গাইতে আলুর খোসা ছাড়ায়; মাংসের টুকরো কাটাকুটি, দুরমুশ করা, সব্জি কাটা, পরিষ্কার করা এসব করতে থাকে; মহিলা বেশ সুন্দরী।
মহিলা হেসে উঠলে তার বুকে একটা চিনচিনে ব্যথা হত। রাস্তার দিকে দূরবীনটা রাখলে টেমানদের পরিত্যক্ত বাড়ির জানালায় বসে থাকা ঐ মহিলাকে সে পরিষ্কার দেখতে পেত; মহিলার চোখমুখ, সূক্ষ্ম গাঢ় ভ্রুযুগল এবং তার সাদা দাঁত এসব দেখতে পেত। মহিলা সব সময় আপনমনে গুনগুন করে গান গেয়ে যেত। সেদিন সন্ধেবেলায় সে পানশালায় গিয়েছিল। নেচেছিল ঐ মহিলার সঙ্গে। প্রায়ই সে তার সঙ্গে নাচে। তার ঘন কালো চোখ সে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছে। নিজের হাতের মধ্যে নিয়েছে তার সবল, সাদা বাহুযুগল। তার একটু আশাভঙ্গ হয়েছিল, কারণ মহিলার শরীরে রান্নাঘরের গন্ধ। পানশালার ভেতরে বেশ আর্দ্র, ধোঁয়াটে পরিবেশ। মারিয়া ছাড়া এই মহিলাই এখানে একমাত্র অল্পবয়সি মহিলা। মারিয়া কাউনটারে বসে থাকে। কারো সঙ্গে নাচে না সে। সেদিন রাতে সে এই স্লোভাক মহিলাকে স্বপ্নে দেখল, যার নাম সে এখনও জানে না। পরিষ্কার দেখতে পেল সে এই মহিলাকে স্বপ্নে, যদিও বহুদিন ধরে সে ইলোনা ছাড়া কারো কথা ভাবেনি, এমনকি সেদিন রাতেও ঘুমোতে যাবার আগে সে গভীরভাবে ইলোনার কথাই চিন্তা করছিল।
(চলবে)
১. ‘হাইল হিটলার’ হিটলারের সময়ে তার উদ্দেশ্যে এই শব্দবন্ধের সাহায্যে জয়ধ্বনি দেওয়া হত, যার আক্ষরিক অর্থ হল হিটলার সুরক্ষিত থাকুন।
২. বালালাইকা একধরণের ত্রিভুজাকৃতি রাশিয়ান তারযন্ত্র। কিছুটা গিটারের মত।
0 comments: