2

ধারাবাহিক - নন্দিনী সেনগুপ্ত

Posted in





















ঢিলটা গাড়ির চালে এসে পড়লেও, গাড়ির মাথায় বেঁধে রাখা মালপত্র, তাঁবু এসবের উপরে পড়লো। দ্বিতীয় ঢিলটা এসে গাড়ির মাথায় বাঁধা রান্নার কড়াইয়ের গায়ে একটা ঘষটানো দাগ করে দিল। রান্নার বাসন এভাবে বাঁধা হয়েছে গাড়ির মাথায়, দেখে মনে হচ্ছে যেন কেউ সপ্তাহান্তে পিকনিক পার্টি করতে যাচ্ছে। যে ঢিল ছুঁড়ছিল, সে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে গর্জন করতে করতে ধেয়ে আসছিল। লোকটা বড়সাহেবের বাংলোর কেয়ারটেকার। বাংলোর পেছনদিকের একটা ঘরে থাকে। লোকটা দৌড়ে গাড়িটার খুব কাছে চলে গেছে। কিন্তু গাড়িটা চলতে শুরু করেছে। লোকটার হাতে আর কোনো ঢিল নেই। লোকটা নিচু হয়ে ঝুঁকে শাপশাপান্ত করতে লাগলো। রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। সামনের যানজট কেটে গেছে। গাড়িটা হর্ন দিয়ে গতিবেগ বাড়াতে শুরু করেছে। একটা ফুলদানি উড়ে এসে পড়লো, এক সেকেন্ড আগে গাড়িটা যেখানে দাঁড়িয়েছিল, ঠিক তার পাশের নীলচে পাথর গাঁথা ঝকঝকে তকতকে ফুটপাথের উপরে। মাটির ফুলদানিটা ভেঙ্গে চুরচুর হয়ে গেলেও একটা অদ্ভুত মালার মত আকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে রইল মাটির উপরে। ভাঙা টুকরোগুলোর মাঝে ডাঁটিসমেত লাল জেরেনিয়াম ফুলগুলি অমলিন শুয়ে আছে।

লোকটা দাঁড়িয়ে আছে সৈন্যদলের মাঝে। লোকটা আর অভিশাপ দিচ্ছে না। লোকটা এখন কাঁদছে। লোকটার চোখের জলের ফোঁটাগুলো নেমে আসছে ওর অপরিচ্ছন্ন গালের উপর দিয়ে। লোকটাকে দেখে যে কারো খুব কষ্ট হবে, আবার একই সঙ্গে ভয়ও করবে। লোকটা ঝুঁকে পড়েছে। হাতদুটো বেঁকে যাচ্ছে, রোগাটে পাঁজরের উপরে নোংরা, পুরনো জ্যাকেটটা দুলে উঠছে। পেছনের উঠোন থেকে এক মহিলার কণ্ঠস্বর শোনা গেল। সঙ্গে সঙ্গে ক্রন্দনরত লোকটি নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে চলে গেল সেদিকে।



শ্নাইডার একটা হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল মেয়েটার দিকে। সেটা না দেখার ভান করে জারকা উঠে বসল তার গাড়িতে। হাতে তুলে নিল ঘোড়ার লাগাম আর চাবুক।

‘আমি সিগারেটের বাক্সগুলো নিয়ে আসছি’ চেঁচিয়ে উঠলেন স্মিৎজ, ‘এক মিনিট, একটু অপেক্ষা করুন!’

শ্নাইডার সামনে থেকে শক্ত করে আটকে ধরলো ঘোড়ার লাগাম। মেয়েটার চাবুকের একটা ঘা এসে পড়লো তার হাতে। সে যেন কিছুই হয়নি এমন ভাব করে দাঁড়িয়ে রইল। শ্নাইডার ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে পেলো যে স্মিৎজ প্রায় দৌড়ে যাচ্ছেন। স্মিৎজ কোনোদিন দৌড় লাগাবেন কোনো ব্যাপারে, এটা সে একেবারেই ভাবেনি। মেয়েটা চাবুকটা আবার তুললো, কিন্তু সেটা এবার আর সামনের দিকে নেমে এলনা। বরঞ্চ পাশে বসবার বাক্সটার উপরে রেখে দিল সেটা। শ্নাইডার অবাক হয়ে লক্ষ্য করল যে মেয়েটার মুখে হঠাৎ একচিলতে হাসি খেলে গেলো। এই হাসিটাই মেয়েটার মুখে দেখা যায় বেশির ভাগ সময়ে, মিষ্টি, স্নিগ্ধ একটা হাসি। লাগাম হাতে রেখেই শ্নাইডার এগিয়ে গেলো ঘোড়াটার পেছনে গাড়ির কাছে, সাবধানে মেয়েটাকে টেনে নামিয়ে আনলো গাড়ির উপর থেকে। মেয়েটা চেঁচিয়ে কী যেন বলে উঠল ঘোড়াটাকে! শ্নাইডার মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে বুঝতে পারলো যে ভয়ের ভাব না কাটলেও মেয়েটা বাধা দিচ্ছেনা একেবারেই; কেবল অস্থিরভাবে চারিদিকে চেয়ে দেখছে। রাস্তার এপাশটা বেশ অন্ধকার। শ্নাইডার আলতো করে মেয়েটার গালে, নাকে চুমু খেলো। কালো চুলের গুচ্ছ সরিয়ে গলা আর ঘাড়ের কাছে চুম্বন করতে গিয়ে চমকে উঠলো সে, কারণ স্মিৎজ ফিরে এসেছেন। স্মিৎজ সিগারেটের বাক্সগুলো ছুঁড়ে দিলেন গাড়িটার মধ্যে। মেয়েটা লাফিয়ে উঠে লাল বাক্সগুলোর দিকে চেয়ে দেখলো। স্মিৎজ শ্নাইডারের দিকে ফিরেও তাকালেন না, সঙ্গে সঙ্গে ফিরে গেলেন আঙ্গিনার দিকে। মেয়েটা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে, একবার তাকিয়ে দেখলো শ্নাইডারের দিকে, তারপর চোখ সরিয়ে নিল। কী যেন দুর্বোধ্য শব্দ করে ডাকলো মেয়েটা ঘোড়াটাকে, আবার উঠে পড়ল গাড়িটার উপরে। শ্নাইডার লাগাম ছেড়ে দিলো। গাড়িটা প্রায় পঞ্চাশ পা দূরে যাওয়ার পরে নৈঃশব্দের মাঝে চিৎকার করে সে ডাকলো মেয়েটাকে নাম ধরে। মেয়েটা থামলো এক মুহূর্ত, ফিরে এলনা। চাবুকটা নিজের মাথার উপরে একটু তুললে মেয়েটা, বিদায় জানাবার ভঙ্গি করলো, তারপর এগিয়ে গেলো। শ্নাইডার ধীরে ধীরে ফিরে গেল আঙিনায়।

আঙিনায় যেখানে ক্যান্টিন ছিল, সেখানে একটা টেবিল আর বেঞ্চ পেতে সাতজন মানুষ বসে আছে। ওরা খাওয়াদাওয়া সারছে। টেবিলে স্যুপ, রুটি আর মাংস রাখা আছে। আঙিনার পেছনের দিক থেকে ধুপধাপ নানা আওয়াজ আসছে। শব্দ শুনে শ্নাইডার বাকিদের দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকালো।

‘বড়সাহেবের বাংলোর কেয়ারটেকার! বাংলোর দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে!’ বলে উঠল ফাইনহালস। একমুহূর্ত পরে সে আবার বলে উঠল, ‘ওঁর অন্তত দরজাটা খুলে রেখে যাওয়া উচিত ছিল। এখন এইসব দরজা ভাঙচুর করে নষ্ট করাটা কোনো কাজের কথা নয়।’ স্মিৎজ চারজন সৈনিকের সঙ্গে চলে গেলেন ভেতরের দিকে। ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়ার জন্য দরকারি কাজগুলো করা দরকার। শ্নাইডার ওটেন আর ফাইনহালসের সঙ্গে বসে রইলো সেখানে।

‘আমার উপরে একটা দারুণ কাজের দায়িত্ব পড়েছে!’ বলে উঠল ওটেন।

ফাইনহালস একটা ফিল্ডকাপ থেকে লাল শ্নাপ খেতে লাগলো। শ্নাইডারের দিকে বাড়িয়ে ধরলো দু প্যাকেট সিগারেট।

‘ধন্যবাদ!’ বলে উঠল শ্নাইডার।

‘আমার উপরে অর্ডার আছে’... বলে উঠল ওটেন, ‘সব মেশিনগান আর সাবমেশিনগান, এগুলোকে বিভিন্ন জঞ্জালের সঙ্গে পেছনের ছোট পুকুরটায় চুবিয়ে দিতে হবে, যেখানে ওইসব আগের যুদ্ধের বোমার ভাঙা টুকরোটাকরা আছে। ফাইনহালস, আপনি আমায় একটু সাহায্য করবেন।’

‘বেশ’ বলে উঠল ফাইনহালস। সে স্যুপের চামচ দিয়ে টেবিলের উপরে আঁকিবুঁকি কাটছিল। স্যুপ গড়িয়ে গড়িয়ে মাঝখান থেকে কিনারা অবধি একটা বাদামি রঙের চওড়া দাগ হয়ে গেল টেবিলের উপরে।

‘চলুন যাওয়া যাক!’ বলে উঠল ওটেন।

শ্নাইডারের চোখটা লেগে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য। খাবারের পাত্রের উপরে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিল সে। তাঁর জ্বলন্ত সিগারেট পড়ে ছিল টেবিলের কিনারে। মোটা ছাইয়ের শরীর খেয়ে ফেলছিল ধীরে ধীরে ওটাকে। জ্বলন্ত আগুন ধীরে ধীরে জ্বলে টিকিয়ে রাখছিল নিজের অস্তিত্ব; জ্বলতে জ্বলতে টেবিলে একটা কালো সরু দাগ হয়ে গেলো। চার মিনিট পরে ধূসর ছাইয়ের একটা টুকরো লেগে থাকলো টেবিলে। সেই টুকরোটা প্রায় ঘণ্টাখানেক পড়ে ছিল সেখানে। তার পরে শ্নাইডারের তন্দ্রা কেটে গিয়েছিল এবং সেই ছাইটা একেবারেই খেয়াল না করে হাতের ধাক্কায় কখন ফেলে দিয়েছিল টেবিল থেকে, তা সে নিজেও জানে না। আঙিনায় ট্রাক ঢুকবার শব্দে তার ঘুম ভেঙেছিল, এবং দূর থেকে ভেসে আসা আরেকটা গুমগুম শব্দ, যেটা যুদ্ধরত ট্যাঙ্কের, সেটাও একইসঙ্গে শুনতে পেয়েছিল সে।

শ্নাইডার লাফ দিয়ে উঠেছিল। বাকিরা, যারা আশেপাশে দাঁড়িয়ে ছিল, তারা হাসবার চেষ্টা করেও চুপ করে গিয়েছিল। দূর থেকে ভেসে আসা মৌমাছির গুঞ্জনের মত শব্দটা খুব পরিষ্কার।

‘আচ্ছা!’ স্মিৎজ বলে ওঠেন, ‘গাড়ি এসেছে অবশেষে। কিন্তু এদিকে… ফাইনহালস, আপনি একটু ছাতে গিয়ে দেখবেন যে কিছু দেখা যায় কিনা!’

ফাইনহালস দক্ষিণের বিল্ডিংএর ছাতে উঠে গেল।

বড়সাহেবের বাংলোর জানালার সামনে কেয়ারটেকার লোকটা শুয়ে আছে। লোকটা দেখছে তাদের দিকে। লোকটার বউ ভেতরে কিছু একটা করছে। বোধহয় বাসনপত্র গুনছে। কাচের গ্লাসের শব্দ শোনা গেলো।

‘আমাদের মালপত্র আগে তুলে নিই!’ বলে উঠল স্মিৎজ।

ট্রাকের চালক হাত নাড়ল অধৈর্যভাবে। লোকটাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। ‘দুচ্ছাই!’ বলে উঠল সে, ‘তাড়াতাড়ি উঠে পড়ো সবাই। বেশি মালপত্র নিতে হবেনা। ফেলে দাও সব… জঞ্জাল!’ লোকটা টেবিল থেকে একটা সিগারেটের বাক্স তুলে নিল। প্যাকেট ছিঁড়ে ধরালো একটা সিগারেট।

‘একটু অপেক্ষা করুন। মালপত্র তোলা হোক।’ বলে ওঠেন স্মিৎজ… ‘তাছাড়া ফাইনহালস ফিরে না আসা অবধি আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

ট্রাকচালক কাঁধ ঝাকালো। তারপর বসে পড়ল টেবিলের একপাশে। শ্নাইডারের খাবারের পাত্রের মধ্যে সে ঢেলে নিলো একহাতা স্যুপ।

বাকিরা বাড়িটায় যা ছিল, সেসব নিয়ে ট্রাকে বোঝাই করতে শুরু করলো। একজোড়া বিছানা, একটা উনুন, একগাদা সেনাবাহিনীর ব্যাগপ্যাকেজ, ন্যাপস্যাক, একজোড়া রাইফেল, একটা ফিল্ডবাক্স, যেটার উপরে বাক্সের মালিকের নাম কালো কালি দিয়ে পরিষ্কার লেখা আছে- ওবারলেফটেন্যান্ট ডঃ গ্রেক। এছাড়া একগাদা কাচা কাপড়, বান্ডিল বাঁধা শার্ট, প্যান্ট, মোজা, ফারের লাইনিং দেওয়া গেঞ্জি।

ফাইনহালস চিলেকোঠার জানালা দিয়ে চেঁচিয়ে উঠল… ‘আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। গ্রামের এক সারি পপলার গাছে সব আড়াল হয়ে গেছে। তোমরা কি কিছু শুনতে পাচ্ছ? আমি ভালই শুনতে পাচ্ছি।’

-‘হ্যাঁ!’ চিৎকার করে উঠলেন স্মিৎজ, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি। আপনি নেমে আসুন।’

-‘হ্যাঁ’ বলে উঠল ফাইনহালস। তার মুণ্ডুটা অদৃশ্য হয়ে গেল জানালা থেকে।

-‘কেউ বাঁধের উপরে উঠলে হত,’… স্মিৎজ বলে উঠলেন… ‘নিশ্চয়ই দেখা যেত সেখান থেকে।’

-‘কোনো মানে হয়না,’—বলে উঠল ট্রাকচালক, ‘সেখান থেকেও দেখা যাবেনা।’

-‘কিন্তু কেন?’

-‘শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে যে আসছে, অনেক দূর থেকে আওয়াজ আসে, কিন্তু এখনই দেখা যাবেনা। তাছাড়া, দু দিক থেকে আসছে।’ লোকটা দক্ষিণপশ্চিম দিকে আঙুল দেখালো। লোকটা বলবার পরে সবাই বুঝতে পারলো যে আলাদা আরেকটা গুমগুম আওয়াজ আসছে। দুটো আওয়াজ মিশে যাচ্ছে বলে ওরা বুঝতে পারেনি।

‘যাচ্ছেতাই!’ স্মিৎজ বলে উঠলেন… ‘কিন্তু আমরা কী করব এখন?’

‘পালাতে হবে।’ বলে উঠল ট্রাকচালক। সে সরে দাঁড়ালো, কারণ যে টেবিলে বসে সে খাচ্ছিল, এখন সেই বেঞ্চ আর টেবিলটা ট্রাকে তোলা হচ্ছে।

ফাইনহালস দক্ষিণের বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে এসে বলল… ‘একজন পেশেন্‌ট চিৎকার করছে।’

‘আমি যাচ্ছি দেখতে’ বলে উঠলেন স্মিৎজ… ‘আপনারা এগিয়ে যান।’

সবাই দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে থেমে দাঁড়িয়ে রইল এক মুহূর্ত। তার পরে ট্রাকচালক বাদে সবাই স্মিৎজের পেছন পেছন যেতে লাগলো। স্মিৎজ ঘুরে দাঁড়িয়ে শান্তভাবে বলে উঠল, ‘আপনারা এগিয়ে যান। আমাকে এই অসুস্থ রুগিদের সঙ্গে থাকতেই হবে।’

সবাই থেমে রইলো, তারপর আধসেকেন্ড বাদে আবার স্মিৎজকে অনুসরণ করতে লাগলো।

-‘যাচ্ছেতাই!’ স্মিৎজ চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘আপনাদের যেতেই হবে। এখনই রওনা দিন এই অভিশপ্ত জায়গাটা ছেড়ে।’

এবার সবাই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রইল। স্মিৎজ দক্ষিণের বিল্ডিংএ ক্লিনিকে ঢুকে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে শুধু শ্নাইডার পেছনে গেল। বাকিরা গাড়িতে গিয়ে উঠলো। ফাইনহালস একটুখানি দাঁড়ালো, তারপর কী করবে ভাবতে ভাবতে ঢুকে পড়লো বিল্ডিংএ। …

-‘আপনাদের আর কিছু লাগবে কি?’ শ্নাইডারকে দেখে জিজ্ঞেস করলে সে… ‘আমরা সব মাল ট্রাকে তুলে ফেলেছি।’

-‘রেখে যান কিছু রুটি, মাখন কিম্বা ফ্যাট… আর সিগারেট’। হঠাৎ ক্লিনিকের দরজাটা দুম করে আপনা থেকে খুলে গেল।

-‘হে ভগবান!’ ভেতরে চোখ পড়ায় ফাইনহালস চেঁচিয়ে উঠল… ‘এ যে ক্যাপ্টেন!’

-‘আপনি ওকে চেনেন? প্রশ্ন করলেন স্মিৎজ।

-‘হ্যাঁ’ বলে ওঠে ফাইনহালস, ‘আমি আধা দিন ছিলাম ওর ব্যাটালিয়নে।’

-‘কোথায়?’

-‘আমি জানি না, সেই জায়গাটার নাম কী!’

-‘এখন দয়া করে এখান থেকে চলে যান।’ চিৎকার করে ওঠেন স্মিৎজ… ‘আর কোনো কথা নয়।’

-‘আবার দেখা হবে’ বলে ফাইনহালস আর দাঁড়ায় না।

(চলবে)

2 comments: