0

ধারাবাহিক - নন্দিনী সেনগুপ্ত

Posted in



২৫ 

ফ্রান্সেস্কো নিজেকে এক কুৎসিত পঙ্কিল অন্ধকারে তলিয়ে যেতে দেখতে পাচ্ছিল; চূড়ান্ত দুরবস্থার অশ্লীল চোরাবালি যেন তাকে টেনে নিচ্ছে। সে যাজক হিসেবে আইনবিধি লঙ্ঘন করেছে, সাধারণ ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান হিসেবে, তার মায়ের সন্তান হিসেবে এবং অবশ্যই একজন সুভদ্র সামাজিক মানুষ হিসেবেও সে তার সঠিক দায়িত্ব পালন করেনি। সে যা করেছে, তা ভুল নয়, অপরাধ। নরপশু, পশ্বেতর, নরাধম, দানবিক প্রাণী- এভাবেই সে নিন্দিত হবে নিজের মায়ের কাছে, কিম্বা সাধারণ মানুষের কাছেও, যদি তারা জানতে পারে এই অপরাধের কথা। 

নিজের ঘরে টেবিলে গুম হয়ে বসে ছিল ফ্রান্সেস্কো। হঠাৎ সে চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে উঠল। তার মনে হল তার ঘরের দিকে কারা যেন বড় বড় ঢিল, পাথরের টুকরো ছুঁড়ে মারছে। আগের দিন যেমন হয়েছিল আগাথার দিকে, তার চেয়ে শতগুণ, হাজারগুণ বেশি তীব্রতায় তার ঘরের দিকে পাথরের বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তার এই ধ্যানের ঘর এখনই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মনে হল তার। ধ্বংসস্তুপের নিচে বিষাক্ত উভচর ভেক যেভাবে চাপা পড়ে ধীরে ধীরে ধুলোবালির মধ্যে লীন হয়ে যায়, তারও সেই দশা হতে চলেছে। ক্রুদ্ধ আওয়াজ, প্রচণ্ড চিৎকার, নিন্দেমন্দ, গালাগালির শব্দ ভেসে আসছে চারদিক থেকে, এরকমই মনে হল তার। উন্মত্ত জনতা প্রবল আক্রোশে ধেয়ে আসছে তার দিকে। পাথর ছুঁড়তে ছুঁড়তে যে ভিড়টা তার দিকে এগিয়ে আসছে, তাদের মধ্যে কেবলমাত্র সোয়ানার গ্রামবাসীরা রয়েছে এমন নয়, রয়েছে নগরপাল এবং তার স্ত্রী, রয়েছে স্কারাবোটা পরিবারের সদস্যরা, সর্বোপরি সেই জনতার মধ্যে রয়েছেন তার নিজের মা। সবাই জানতে পারলে কেমন পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়া সম্ভব, আতঙ্কের ভাবনা থেকে এই সবকিছুই যেন সে মনে মনে চাক্ষুষ দেখতে পেলো। 

কয়েকঘণ্টা পরেই আবার সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী ভাবনার ঢেউ এবং কল্পনার জগত এসে তার মনে ঠাঁই করে নিলো। নিজের কৃতকর্মের বিষয়ে যে অনুতাপ এবং আতঙ্ক তার মনে জেগেছিল, এখন আর তার চিহ্নমাত্র অবশিষ্ট নেই। এক জ্বলন্ত তৃষ্ণা, অভূতপূর্ব এক আকর্ষণ তাকে বিদ্ধ করতে লাগলো। তার অন্তরাত্মা নিদাঘ মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে তৃষ্ণার জলের জন্য আর্তচিৎকার করতে লাগলো। তার মনে হতে লাগলো যে চারপাশের পরিবেশের বাতাসে যেন সে শ্বাস নিতে পারছে না। নিজের শয়নকক্ষ, নিজস্ব ধ্যানকুটির যেন একটা বদ্ধ খাঁচা বলে বোধ হতে লাগলো, যার দেয়ালে মাথা কুটতে কুটতে ক্ষতবিক্ষত শরীর মনে যেন একটা জন্তু বন্দি হয়ে আছে; সুযোগ পেলেই যে শৃঙ্খল ছিঁড়ে মুক্তি খুঁজে নেবে। অর্ধমৃত হয়ে কীভাবে সে এখানে বেঁচে থাকবে? জানালা থেকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া গ্রামবাসীদের দেখে সে অস্থির হয়ে পড়ছিল। চারপাশের পরিবেশ অসহনীয় মনে হচ্ছিল তার। সাধারণ মানুষের দিনগত পাপক্ষয়ের জীবনের হাহাকার সে কম দেখেনি। ধর্মীয় পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষরা, পোপ, যাজক, বিশপ, বিভিন্ন পুরোহিতবর্গ, অথবা রাজারাজড়া এদের জীবনযাপনও এমন কিছু উচ্চস্তরের বলে মনে হচ্ছিল না তখন তার কাছে। মানুষের প্রতিদিনের জীবন, জীবিকা সবই তার কাছে অমেরুদণ্ডী ইতর প্রাণী কিম্বা পিপীলিকার জীবনের মত মনে হতে লাগলো। নিজের দুরবস্থা, তৃষ্ণার্ত দশা সত্ত্বেও তার চারপাশের দৈনন্দিন জীবনের সবকিছু অসহ্য লাগতে শুরু করলো তার। আসলে তার মন, তার যাপন, কোনোকিছুই এখন নিয়ন্ত্রণে নেই। এক অলৌকিক শক্তির প্রাবল্যে তার বুদ্ধিবৃত্তি একেবারে কাজ করছিল না; আগাথার বিরহে সে এখন ইরোসের* বাণে বিদ্ধ এক শিকার; জিউস এবং অন্যান্য দেবতাদের চেয়েও ইরোস শক্তিমান। অতীতে সে এইসব দেবতাদের অলৌকিক শক্তি এবং মায়াবিদ্যা সম্পর্কে পড়াশুনা করেনি এমন নয়; পড়ে, জেনে এসব কিছুই সে তখন বিশ্বাস করেনি। হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। এখন বুঝতে পারছে যে ইরোসের বাণে বিদ্ধ হওয়া এবং সেই ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়ানোর অর্থ কী হতে পারে। মনে হচ্ছে হৃদয়ের ক্ষতচিহ্ন পুড়িয়ে, খুঁচিয়ে, আবার পুড়িয়ে যেন কুরে কুরে কামড়ে খাচ্ছে কেউ। অন্তরে অন্তরে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে লাগলো সে। দিনের আলো মরে গেলে তার অন্তর প্রবল খুশিতে চিৎকার করে উঠলো। সে রওনা দিলো নদীর উপত্যকায় সেই একান্ত দ্বীপের দিকে। সেখানে গোপন অভিসারের কথা আগে থেকেই স্থির হয়ে আছে। যেখানে আগের দিন তারা মিলিত হয়েছিল, সেখানেই তার প্রেমিকা তার জন্য অপেক্ষা করবে। 



*********-************* 



পাহাড়ের মেষপালক লুডোভিকো, যাকে এলাকা এবং আশেপাশের সবাই ‘সোয়ানার রহস্যময় প্রতিবাদী মানুষ’ এই নামে অভিহিত করেছিল, সে পাণ্ডুলিপির এই জায়গায় এসে চুপ করলো। আমার আরও শুনবার ইচ্ছে ছিল। শেষে কী হল, সে বিষয়ে একটা কৌতূহল হওয়া স্বাভাবিক। তবে পাণ্ডুলিপিতেও এর পরে আর কিছু লেখা নেই। লুডোভিকো বললো যে সে আর কিছু লিখে উঠতে পারেনি এবং গল্পটা এখানেই শেষ হওয়া ভালো। যদিও আমি এই ব্যাপারে একেবারেই একমত ছিলাম না। 

আগাথা এবং ফ্রান্সেস্কোর শেষ পর্যন্ত কী হল? তাদের সম্পর্কের কথা কি গোপন ছিল? নাকি সবাই জানতে পেরে গিয়েছিল? তাদের সম্পর্ক কি পরিণতি পেয়েছিল? নাকি ক্ষণিক মিলনের পরে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সেই সম্পর্ক? ফ্রান্সেস্কোর মা কি জানতে পেরেছিলেন এই ঘটনা? মোটকথা হল যে আমি এটা জানবার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম যে ঘটনাটা সত্যি নাকি নিছক কল্পনা! 

‘আমি তো আগেই বলেছি’... লুডোভিকোর চোখমুখ লালচে হয়ে উঠলো... ‘যে একটা সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই পাণ্ডুলিপি রচনা করেছি।’ বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পরে সে আবার মুখ খুললো ... ‘প্রায় ছ’ বছর আগে গ্রামের লোকজন এক যাজককে পাথর ছুঁড়ে, বেত্রাঘাত করে গির্জার উপাসনাঘর থেকে বিতাড়িত করেছিল। আমি যখন বহুদিন পরে আর্জেন্টিনা থেকে ইউরোপে ফিরে এসেছিলাম এই অঞ্চলে, অনেকেই আমাকে এই ঘটনাটা জানিয়েছিল। অভিশপ্ত স্কারাবোটা পরিবার সত্যি সত্যিই এই জেনারাসো পর্বতে থাকতো। তবে ‘স্কারাবোটা’ নামটা আমারই বানানো। ‘আগাথা’ নামটাও। সেন্ট আগাথার গির্জা দেখেই এই নামটা মাথায় এসেছিল আমার। তবে ঐ পরিবারে পাপাচারের মধ্য থেকে জন্মানো সন্তানদের মধ্যে সত্যি সত্যিই এক সদ্যযুবতী কন্যা ছিল এবং তার সঙ্গেই ঐ যাজক অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। শোনা যায় যে, যাজক বিষয়টি অস্বীকার করেনি এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল যে তার মধ্যে অনুতাপের লেশমাত্র ছিল না। আরও শোনা যায় যে পোপ স্বয়ং তাকে শাস্তি দিয়েছিলেন। স্কারাবোটা পরিবারকেও এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল এবং তারা ইয়েলো ফিভারে মারা যায় রিও অঞ্চলে যাবার পরে। তবে বাচ্চারা সবাই বেঁচে যায়।’ 



ওয়াইনের স্বাদ, লুদোভিকোর আতিথ্য, সান্নিধ্য- বিশেষত যে কাহিনীটি সে পাঠ করলো, তার নানা বিচিত্র গতি এক রহস্যময় পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল এবং আমায় অতিরিক্ত কৌতূহলী করে তুলেছিল। আমি বার বার ফ্রান্সেস্কো এবং আগাথার কী পরিণতি হল, সে কথা জানতে চাইছিলাম। --‘এই এলাকায় তাদের পরিত্যক্ত কুটীর ইত্যাদি খুঁজে বেড়াতে দেখা গেছে বহুদিন অবধি, নিজেদের শারীরিক কামনা চরিতার্থ করবার জন্য’ – কৌতুকের ভঙ্গিতে বলতে বলতে হাসিতে ফেটে পড়লো লুডোভিকো। 



নানা ভাবনায় জারিত হতে হতে বাড়ির পথ ধরলাম আমি। পাহাড় থেকে নেমে আসতে আসতে দেখতে পেলাম যে সূর্য ডুবে যাচ্ছে। সোয়ানা জলপ্রপাতের শব্দ শোনা যাচ্ছে। ফ্রান্সেস্কো এবং আগাথাও শুনতে পেতো জলের এই কলধ্বনি। শুনতে পেতো, নাকি এখন এই মুহূর্তেও শুনছে তারা? এই স্তূপীকৃত পাথর দিয়ে নির্মিত ঘর কি প্রকৃতপক্ষে স্কারাবোটাদের ডেরা ছিল? ছাগলভেড়াদের ডাকের মাঝে মাঝে কি শিশুদের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছেনা? আমি ভাবছিলাম যে ঘটনার চরিত্রগুলি কি তাহলে আমার চোখের সামনেই ছিল? আমিই চিনতে পারিনি! ছোট জেনটিয়ান ফুল, যা ফুটেছে এই পাহাড়ের তৃণভূমিতে, এই ঘটনাও সেভাবেই প্রাণ পেয়েছিল সুন্দর প্রকৃতিতে, এই পার্বত্য অঞ্চলের পটভূমিকায়। হয়তো এই উপত্যকাগুলি, পর্বতের শৃঙ্গ সবাই সাক্ষী আছে এই ঘটনার। আমি ভাবছিলাম। হঠাৎ এক অদ্ভুত সুরেলা নারীকণ্ঠের শব্দে ছিন্ন হয়ে গেলো আমার ভাবনার সুত্র। 

শুনেছিলাম যে লুডোভিকো বিবাহিত, কিন্তু তার স্ত্রীকে আমি কোনওদিন দেখিনি। এই কণ্ঠ কি তবে তারই? কণ্ঠটি গান ধরলো। এমন গান শুনবার জন্য হয়তো শহরের বিশাল অপেরার প্রেক্ষাগৃহে দম বন্ধ করে শ্রোতারা অপেক্ষা করে। এখন এখানে মনে হচ্ছে যে প্রকৃতিও দম বন্ধ করে অপেক্ষা করছে। চারিপাশের নিস্তব্ধতার মধ্যে হঠাৎ সুরের ঝর্ণাধারা গিয়ে আছড়ে পড়লো পাহাড়ের দেওয়ালে। মিষ্টি সুরের ছোঁয়ায় মনে হচ্ছিল যেন মধু গলে গলে পড়ছে, কণ্ঠে এক সম্ভ্রম জাগানো আভিজাত্য। দূর থেকে গোধূলির আবছা আলোয় দেখা গেলো গায়িকাকে। পাকদণ্ডী পথে সে উঠে আসছে। হয়তো যাচ্ছে সে লুডোভিকোর বাসস্থানের দিকেই। তার মাথায় একটি মাটির পাত্র। বামহাত উঁচু করে সে বজায় রেখেছে পাত্রটির ভারসাম্য এবং ডানহাতে ধরে রেখেছে তার শিশুকন্যাকে। এক অপূর্ব শান্ত, স্নিগ্ধ মাতৃ অবয়ব। মনে হচ্ছে যেন বাস্তব জগতের কেউ নয় তারা। এক অদ্ভুত মায়া দিয়ে গড়া তাদের শরীর। যে দেখবে, তারই অন্তরে অপূর্ব এক ভাবের উর্দ্রেক হবে। 

হয়তো সে আমাকে দেখতে পেয়েছে, তাই বন্ধ হয়ে গেলো তার গান। পশ্চিমাকাশের আলোর আভা এসে পড়ছে তার অবয়বে। শিশুটি কথা বলে উঠলো। মা জবাব দিলো শান্ত, গভীর স্বরে। তারপরে শোনা গেলো তার পদক্ষেপের শব্দ। খালি পায়ে এবড়োখেবড়ো পাথুরে পথে হেঁটে আসছে সে। সঙ্গে বোঝা আছে, তাই সামলে নিয়ে ধীরে ধীরে চলছে সে। পোশাকের প্রান্ত উঠে গিয়ে হাঁটু অবধি উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে তার পদযুগল। পরিপুষ্ট বাহুযুগল, স্কন্ধ যেন পাথরে গড়া। পূর্ণযৌবনা নারীর গোল, সুন্দর মুখ ঘিরে লালচে বাদামী চুলের রাশি নেমে এসেছে। প্রাচীন ভাস্কর্যের মূর্তির মস্তকে মৃত্তিকার রঙে রাঙানো কেশরাজির কথা মনে পড়বে। তার অবয়ব যেন সেই সিরিয়ান দেবীর মত দেখতে, যিনি ঈশ্বরের সান্নিধ্য পরিহার করে মানুষের জন্য, শুধুই মানুষের জন্য স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে এসেছিলেন। 

আমি একটু সরে দাঁড়িয়ে তাকে পথ করে দিলাম অপ্রশস্ত পথে উঠে আসবার জন্য। মনে হচ্ছিল আমার পাশ দিয়ে একটি সুসজ্জিত ক্যানেফর১ উঠে গেলো পার্বত্য পথে। তার মাথায় বোঝা থাকার দরুন অতি সূক্ষ্মভঙ্গিতে সে আমার কুশল-সম্ভাষণের প্রত্যুত্তর দিলো। তার মস্তক এতটুকুও নড়ে গেলোনা, শুধু তার দৃষ্টি একটু ঘুরলো আমার দিকে। এক গর্বিত, আত্মবিশ্বাসী হাসি খেলে গেলো তার মুখে। আমার দিকে যখন সে উঁচু ঢাল থেকে একঝলক চেয়ে দেখলো, আমি এক অনির্বচনীয় অলৌকিক আলো দেখলাম তার চোখের পাতায়, চোখের চাহনিতে। সুন্দর উষ্ণ আবহাওয়া এবং মদিরার প্রভাব আমার উপরে একেবারেই ছিল না, তা নয়, তবে ওই নারী যে সাধারণ কোনো মানবী নয়, এই বোধ পরিষ্কার জেগে উঠলো আমার মনে। নিজেকে অতি ক্ষুদ্র, অতি সামান্য মনে হল এই নারীর সামনে। মুখমণ্ডলের সুপুষ্ট দুটি ঠোঁট বেঁকে উঠছে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে, অথচ তাদের মধ্যে কোথাও কোনও দ্বন্দ্বের স্থান নেই। তার খোলা কাঁধ, গলা, পোশাকের আড়াল থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠা ভরাট গুরুস্তন- এসব রক্ষা করবার জন্য কোনও অস্ত্র তার হাতে নেই এটা ঠিক। কিন্তু সে যেন এক অদ্ভুত প্রাণশক্তির প্রতিমা। পৃথিবীর প্রাণের রহস্য যেন তারই নিঃশ্বাস- প্রশ্বাসে মূর্ত হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের গভীরতা থেকে এই শক্তি উঠে এসেছে রহস্যের আড়ালের মধ্য থেকে; এই শক্তি আমাকে ছাড়িয়ে উঠে যাচ্ছে পাহাড়ের পাকদণ্ডী পথে। কোথায় যাচ্ছে? আরও উঁচুতে কোথাও... হয়তো অসীমের সঙ্গে মিলিত হতে চলেছে এই শক্তি। এই শক্তির ঠাঁই শুধু তাঁরি নির্মম দুই হাতে, যেখানে স্বর্গ নরক একই সঙ্গে সমর্পিত হয়। 





---------------------- (শেষ) ------------------------------- 

*ইরোস- গ্রীকদের প্রেমের দেবতা 

১ক্যানেফর- প্রাচীন আলঙ্কারিক গ্রেকো-রোমান ভাস্কর্য এবং স্থাপত্যের থাম অথবা পিলার, যেখানে কোনও নারীমূর্তি মস্তকে ভার বহন করে দাঁড়িয়ে থাকে।

0 comments: