সম্পাদকীয়
Posted in সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয়
'তখনও সেখানে
পেঁজা তুলোর আকাশ ছিলো,
সাদামেঘের ডাক ছিলো
শিউলি ফোটার সকাল ছিলো
শিশির ভেজা ঘাস ছিলো
কাশফুলের পালক ছিলো
ডাকের সাজের দুগগা ছিলো
বুকে ভালোবাসাও ছিলো
আর ছিলো সে...'
প্রকাশিত হলো ঋতবাক শরৎ সংখ্যা। এভাবে তো বলি না কখনও! সচরাচর বলি, 'প্রকাশিত হলো ঋতবাক ষষ্ঠ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা'। আসলে সেদিন কৃষ্ণপ্রিয়র লেখা একটা বইয়ের ভূমিকার পাণ্ডুলিপির নিচের স্বাক্ষরে দেখলাম কৃষ্ণপ্রিয় লিখেছেন, শরৎ, ১৪২৬; হঠাৎ খেয়াল হলো শরৎ এসে গেছে!
এখন তো আলাদা করে ঋতু বোঝার উপায় প্রায় নেইই। সারা বছরই আবহাওয়া মোটামুটি একই রকম। মিশ্র। অথবা হয় প্যাচ প্যাচে গরম, নয়তো ঘ্যান ঘ্যানে বৃষ্টি! অভিমানী প্রকৃতিও কেমন নির্বিকার, নিস্পৃহ; দিন দিন হারাচ্ছে তার বৈচিত্র্য।
এই যে এখনও যাঁরা বুঝতেই চাইছেন না আগামী কুড়ি বছরের মধ্যেই আসছে সেইসব ভয়ঙ্কর দিন, এখনও যাঁদের প্রাণের ভেতরটা হু হু করে উঠছে বিছানার গদির নিচে জমানো প্লাসটিক ব্যাগগুলোর কথা ভেবে, তাঁদের জন্য আমারও খুব মন খারাপ লাগছে, জানেন!
অবশ্য উল্টোদিকে সেই তাঁদের কথাও বলা উচিত, ওই যাঁরা সারাদিন-রাত চাকরী করছেন সব নামী নামী মাল্টিন্যাশানাল কম্পানীর হাই হাই পোস্টে; অথবা অন্য কোথাও, অন্য কোনোখানে... এঁরা কিন্তু তাও ভাবেন। এই পৃথিবীর কথাই ভাবেন, সত্যি বলছি। গ্লেন বা নিদেন পক্ষে অ্যাবসল্যুট হাতে নিলে এসব কথা ভাবাই দস্তুর। তাই ভাবেন।
আসলে, বিদেশ থেকে আনা সাড়ে উনিশ হাজার টাকা দামের বিয়ন্সে হিটের গন্ধে শিউলির মৃদু সুবাস চাপা পড়ে গেছে সেই কবে...
আজকাল আর 'রাই জাগো, রাই জাগো' গেয়ে ভোরেরবেলা গোঁসাই ঠাকুর ঘুম ভাঙান না যে! তাই আমাদের ঘুম ভাঙতে বেশ বেলা হয়, অনেক দেরিতে... তাই সবেতেই লেট... লাল 'কালি'র দাগ পড়ে!!
আসুন, বেশি বেলা হয়ে যাওয়ার আগে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করি...
শুভাচ্ছা নিরন্তর