সম্পাদকীয়
Posted in সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয়
বার বার নষ্ট হয়ে যাই
একবার আমাকে পবিত্র
করো প্রভু, যদি বাঁচাটাই
মুখ্য...
-শক্তি চট্টোপাধ্যায়
প্রকাশিত হলো ঋতবাক চতুর্থ বর্ষ, দ্বাদশতম সংখ্যা। অর্থাৎ পায়ে পায়ে পাঁচে পড়লো ঋতবাক। আনন্দে আপ্লুত হয়ে খুশীতে আত্মহারা হওয়ার কথা। কিন্তু, বিশ্বাস করুন, পারছি না। বিস্বাদ লাগছে! সব কিছু! বিবর্ণ পৃথিবী!
কি অবলীলায় বিশ্বকাপে মেতে উঠি, সেলফি-ঝড়ের বন্যা বইয়ে দিই। ওদিকে ছেলেগুলো মরছে! দশদিন আগে যখন ওরা প্রতিবাদ শুরু করেছিলো, একবার হিসেব করে দেখুন তো - কি করছিলাম আমরা। না, না - তখন সময় ছিলোনা!
ডিগ্রী কলেজে ভর্তির থার্ড লিস্ট বেরলো না। গাল ভরা অ্যানাউন্সমেন্ট - ব্যাকডোর অ্যাডমিশন বন্ধ! ওয়ারেন্ট বেরলো কয়েকটা ছোটো ছোটো বিশ-বাইশ বছর বয়সী ছেলের নামে, যারা দালালি করছিলো। ক্যয়া বাত!
সত্যি বলুন তো, ওরাই কি আসল অপরাধী?
অবশ্য অনলাইন অ্যাডমিশন আবার খুলেছে... আসলে এখন, মানে বিশেষ করে আজকের দিনটার জন্য অ্যাডমিশন রি-ওপন করা খুব জরুরি ছিলো...
শুধু, মেডিক্যল কলেজের ঘাড়-ট্যারা ছেলেগুলোকে যদি কিছু করে বাগে আনা যেত, অন্তত এই সময়ে...! একটাই যা রক্ষে, মেডিক্যল-পড়া ছেলেগুলো ডিগ্রী কলেজে পড়া ছেলেগুলোর মতো সংখ্যায় অত বেশী নয়! তবে, শহিদও তো চাই! না হলে 'দিবস' পালন হবে কি করে?
-
-
-
-
কতবার তো নষ্ট হলাম, একবার পবিত্র হতে পারছি না কেন!