সম্পাদকীয়
Posted in সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয়
মধ্যদিনে যবে গান বন্ধ করে পাখি,
হে রাখাল, বেণু তব বাজাও একাকী…
উদগ্র উত্তাপে শহর উদ্ভ্রান্ত… তবুও বাঙালীর সাহিত্য রসবোধে টান ধরানোর সাধ্য নেই স্বয়ং প্রকৃতিরও। এমাসেই গেল বাঙালীর অন্যতম প্রধান উৎসব, রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। একজন মানুষ (নাকি অতিমানুষ!) জন্মের ১৫৮ বছর পরেও কি অসম্ভব প্রাসঙ্গিক এবং আধুনিক, ভাবতেও আশ্চর্য লাগে।
কিন্তু একইসঙ্গে একথাও মনে হয়, রবীন্দ্রনাথের যথার্থ এবং সম্পূর্ণ মূল্যায়ন বুঝি আজও হয়নি। এখন আর শুধু আলোচনা ভালো লাগে না... এবার সময় হয়েছে তাঁকে যথার্থ উপলব্ধি করার। ‘তিনি আমার প্রাণের আরাম আত্মার শান্তি মনের আনন্দ’... এ কথা বার বার উচ্চারণ করলেই শুধু হবে না আর... এবার এই আরামকে, শান্তিকে, আনন্দকে সুগভীর ভাবে জীবনের স্বতঃস্ফূর্ততায় মিলিয়ে দিতে হবে। আর এই ভাবেই হয়তো তাঁর যথার্থ এবং সম্পূর্ণ মূল্যায়ন করে তাঁকে পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা যাবে।
এই শ্রদ্ধা নিবেদনের ধারায় ঋতবাকের এবারের প্রয়াস 'ঝরনাতলার নির্জনে'। রবীন্দ্র গানের বিবর্তন বিষয়ে লিখছেন শিবাংশু দে। ধারাবাহিক ভাবে, আগামী কয়েক মাস ধরে। 'জোড়াসাঁকো জংশন ও জেনএক্স রকেটপ্যাড'। লেখকের নিজের ভাষায় - ক্লান্তিহীন যাত্রাপথের গান, শুধু কি আনন্দে? নাহ, মানুষের যাবতীয় ভাবনার শ্রমসংহিতা, সবাইকে জায়গা করে দেওয়ার অলিখিত ঈশ্বরী দায় , একলা ইঞ্জিনের পিছনে অন্তহীন সারিবাঁধা কামরার ঝমঝম সিম্ফনি .... রবীন্দ্রসঙ্গীত
নিয়মিত বিভাগগুলির সঙ্গে সঙ্গে থাকছে রবীন্দ্র-বিষয়ে আরও বেশ কিছু লেখা। পাঠক বন্ধুদের অনেকদিনের অনুরোধে সাড়া দিয়ে এই সংখ্যা থেকে শুরু হলো নতুন বিভাগ 'ঋতু ম্যাডামের রান্নাঘর থেকে'। থাকছে দারুণ দারুণ সুস্বাদু সব রান্নার রেসিপি।
সময় খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। প্রত্যেক দ্বিতীয় বা তৃতীয় মানুষটির মুখ মুখোশে ঢাকা। মোকাবিলার হাতিয়ার সৎ সাহস, সচেতনতা আর কঠোর পরিশ্রম। সততা মানে সেন্স অফ কারেক্টনেস। সমস্ত প্রতিকুলতার মধ্যেও আমরা ভালো থাকবো। আমরা ভালো আছি।
শুভেচ্ছা নিরন্তর