Next
Previous
Showing posts with label সম্পাদকীয়. Show all posts
0

সম্পাদকীয়

Posted in



একেকটা ক্ষণ আসে, যাকে নিয়ন্ত্রক মুহূর্ত বলা হয় বা defining moment.। এর ব্যাখ্যা ব্যক্তিগত পরিসর থেকে ছড়িয়ে যেতে পারে বহুদূর। আবার অনেক ক্ষেত্রে বৃহত্তর ক্ষেত্রে যা নিয়ন্ত্রক, আপন গণ্ডির মধ্যে তাকে অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে। এবছর আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি। সরকারিভাবে যাকে 'অমৃত মহোৎসব' বলা হচ্ছে। অনেক রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এসেছিল, সেই স্বাধীনতাই কাম্য ছিল কি আমাদের সকলের? দেশবাসীকে কোন অমৃতভান্ড উপহার দিয়েছিল সে স্বাধীনতা? এই ৭৫ বছর ধরে পর্যায়ক্রমে প্রাত্যহিক জীবন ধারণ সাধারণ মানুষকে যে তুমুল চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে এই উদযাপন কি বীভৎস মজা নয়? 

৭৫ বছর আগের প্রথম স্বাধীনতা দিবসে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে চরম শাস্তি ঘোষণায় প্রতিশ্রুত হয়েছিলাম। আর আজ? ন'হাজার কোটি টাকা প্রতারণার সাজা হয় অকিঞ্চিৎকর অর্থমূল্যে! একে হাস্যকরও বলা যায় না। এটি খবর হিসেবে ততটা গুরুত্ব পায় না, যতটা পায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কোনও এক রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিকে সামাল দিতে না পেরে তার রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়ানো। এইভাবেই কি জরুরি বিষয়গুলি থেকে আমাদের মনোযোগের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়ে আসেনি ৭৫ বছর ধরে?

এরই মধ্যে পেরিয়ে গেল অনেকগুলো বছর। আজ প্রকাশিত হলো ঋতবাক অষ্টম বর্ষ দ্বাদশতম সংখ্যা। বিরতিহীন আট বছর একসঙ্গে পথচলা। আপনাদের শুভেচ্ছা হোক আমাদের পাথেয়।

সচেতন থাকুন, সৃজনে থাকুন

শুভেচ্ছা অফুরান
0

সম্পাদকীয়

Posted in


অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;
   জীবনানন্দ দাশ


আশৈশব লালিত সমস্ত নৈতিকতার নিরন্তর ভরাডুবি দেখতে দেখতে মনে হয় পংক্তিগুলি বুঝিবা এই মুহূর্তেই কলম নিঃসৃত। একসময় আমাদের বোঝানো হয়েছিল মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধসম। নিঃসন্দেহে। কিন্তু সেই মগজ ধোলাইয়ের ফল কী হয়েছিল, তা আমরা সবাই জানি। একাধিক প্রজন্মকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল অন্ধকার, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। তার জের এখনও বহমান। শিক্ষাক্ষেত্রে অভাবনীয় দুর্নীতির ফলে আমাদের অস্তিত্ব যখন বিপন্ন, আরেক তুঘলকি সিদ্ধান্ত স্তম্ভিত করে দিল আমাদের। দাবদাহের কারণে এক সরকারি নির্দেশিকার বলে এক পক্ষকাল বেড়ে গেল বিদ্যালয়গুলির গ্রীষ্মকালীন অবকাশ। এ ও হয়?

কোনও এক সময়ে তিনি বলেছিলেন, তিনি বেতন দেন, তাই বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে তিনিই শেষ কথা। তাই? নিশ্চয়ই! না হলে একতরফা সিদ্ধান্তে এমন একটি হিতাহিতবোধরহিত কাজ করা যায়? অনেকে এর পিছনে নানান অভিসন্ধি খুঁজছেন। সে অনুসন্ধানের দায় আমাদের নেই। কিন্তু আমাদের অন্যতর একটা দায়িত্ব থেকে যায়। প্রশ্ন তোলার দায় তথা দায়িত্ব। আমাদের মধ্যে যাদের বয়স অন্তত পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কি মনে করতে পারি গরমের এমন তীব্রতা আগে কখনও দেখা যায়নি? পরিসংখ্যান ও একই কথা বলবে। তাহলে? উত্তরগর্ভ সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা অথবা অগ্নিপথ বা সৃজিতের ফেলুদার বিশ্লেষণ করা একই রকম নিষ্প্রয়োজন। 

মা বলতেন, কোনও পরিস্থিতিতেই স্নিগ্ধতা হারিয়ে ফেলো না! হায়! সেই স্নিগ্ধতাই আজ হারিয়ে গেছে... জীবনের সর্বক্ষেত্র থেকেই...

তবুও অলীক আশায় বুক বাঁধি...
যে শৈশবের হাতে সমর্পিত আমাদের ভবিষ্যৎ, সেই শিশুদের মঙ্গল হোক!

সতর্ক থাকুন, সৃজনে থাকুন
শুভেচ্ছা অফুরান
0

সম্পাদকীয়

Posted in





একে একে নিভিছে দেউটি। শিক্ষা - মেধা ও মননের যে পীঠস্থান ছিল এই বঙ্গভূমি, তার মান আজ স্পর্শ করেছে গভীর খাদের তলদেশ। এর পূর্বাভাস অবশ্য ছিল। যেকোনও ক্ষেত্রে উৎকর্ষের মেরুদন্ড হলো মূল্যবোধ। যেভাবে কিছুটা সামাজিক পরিস্থিতির চাপে আর বাকিটা রাজনৈতিক সমীকরণের ভারসাম্য বজায় রাখার দায়বদ্ধতায় মূল্যবোধগুলিকে শ্বাসরোধ করা হয়ে চলেছে দিনের পর দিন, তাতে হয়তো এমনই হওয়ার ছিল। বিষয়টি নিয়ে যাঁদের লজ্জিত হওয়ার কথা ছিল, সামান্য হলেও দায় স্বীকার করার কথা ছিল তাঁরা 'পাসিং দ্য বাক' নামক একটি জনপ্রিয় খেলায় মজে আছেন। চমৎকার! আইনের জন্ম হয়েছিল সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে। কিন্তু মূল্যবোধ? সেক্ষেত্রে আইনের ভূমিকা নিয়েও কি বিতর্ক উঠতে পারে না? থাক এসব প্রসঙ্গ। জটিলতাই বাড়ে কেবল... আমরা আসলে চোখ বুজে তাকতে শিখে গেছি।

আপাতত আমরা বরং এবছর গত বছরের তুলনায় গরম বেশি পড়েছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করি! বা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান উষ্ণায়নে কার কতটা দায়, তা নির্ধারণের চেষ্টা করি!

ওদিকে গতকাল ছিল ১৯ মে। আমাদের মাতৃভাষার সম্ভ্রম রক্ষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন গুটিকয়েক মানুষ। সুখের কথা, স্বঘোষিত ভাষা ও কৃষ্টির ধ্বজাধারী রক্ষকেরা তাঁদের কথা বিস্মৃত হয়ে রেহাই দিয়েছেন তাঁদের।

তবে আশার কথা এই যে, অন্ধকার যত গভীর হয়, আলোর উৎস তত দ্রুত নিকটে আসে...

সুস্থ থাকুন, সৃজনে থাকুন
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
0

সম্পাদকীয়

Posted in



এক বইমেলা থেকে আরেক। এক বছর বিরতির পর হওয়া কলকাতা বইমেলা শেষ হতে না হতেই ডাক এল ত্রিপুরা থেকে। আবেদন করা হয়েছিল আগেই। ভাবা যায়নি ডাক আসবে অত দেরিতে! তবু কী আর করা! সবরকম পুঁজিকে একজায়গায় করে রওনা হওয়া গেল উত্তর পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যটির দিকে, যেখানে ঋতবাকের পদার্পণ এই প্রথম। 

২৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল এই বারোটা দিন বদলে দিল আমাদের অনেকটাই। বাণিজ্যের মাপকাঠিতে না হলেও ঝুলি ভর্তি করে ফিরলাম আমরা। অসংখ্য মানুষজনের সঙ্গে পরিচিত হলাম। বন্ধু হলেন অনেকে। আমরা তাকিয়ে থাকব প্রতিশ্রুতিময় ভবিষ্যতের দিকে। 

এরই মধ্যে আবার আশঙ্কার মেঘ - করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা!

সর্বান্তকরণে কামনা করি, পৃথিবী মারী-মুক্ত হোক! আর নয়, অনেক হয়েছে! 

সুস্থ থাকুন। সৃজনে থাকুন। 
শুভেচ্ছা নিরন্তর
0

সম্পাদকীয়

Posted in

একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ইতিহাসের কথা বলার প্রয়োজন নেই। মাতামাতি অনেক হবে, জানি। আজ কিছু অন্য কথা হোক। অবশ্যই আমাদের মাতৃভাষা - বাংলা-কে নিয়েই...

প্রতিবার যখনই কিছু লিখি, শেষকালে লিখি - সচেতন থাকুন, সৃজনে থাকুন। এই শব্দবন্ধগুলি যখন আওড়াই, মনে মনে মাতৃভাষার কথাই ভাবি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অর্থাৎ কিনা, সৃজনশীলতায় যেন সচেতনতার অভাব না থাকে, সেই কামনাই করি। এমনিতেই বাংলা ভাষার মতো এত প্রাঞ্জল এবং সুমধুর একটি ভাষা প্রতিদিন সমৃদ্ধ হচ্ছে বিজাতীয় অজস্র শব্দের আত্মীকরণে, যা কিনা প্রমাণ করে ভাষাটির বহমানতাকেই। আশ্চর্যজনকভাবে, বহুজনকথিত এই ভাষাটির নিজস্ব পূর্ণাঙ্গ ব্যকরণ তৈরি হয়ে ওঠেনি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এখনও সংস্কৃত ব্যকরণের উপরেই তার নির্ভরশীলতা। এহেন পরিস্থিতিতে এ ভাষার ব্যবহার ও বিস্তারে বিশেষ সচেতনতার প্রয়োজন আছেই, একথা অনস্বীকার্য। নয়তো নবীনা ভাষা-সুন্দরী নির্দয় প্রয়োগকারীর যথেচ্ছ ব্যবহারে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়তে পারেন! অতএব, সুধী, সময় থাকতে সজাগ হোন!

আজ থেকে ঠিক এক সপ্তাহ পরেই শুরু কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। যদিও ইন্টারন্যাশানাল ক্যালেন্ডার মেনে এবারের বইমেলার আয়োজন করা যায়নি, তবুও উৎসাহ উদ্দীপনায় টানটান পুস্তকপ্রেমী মানুষজন এখন আর দিন নয়, ক্ষণ গুণছেন! চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সকলেই। ঋতবাকের প্রস্তুতিও প্রায় শেষের পর্যায়েই। দেখা হবে মেলার মাঠে, স্টল নম্বর ৩৭৭এ।

মাতৃভাষার সচেতন চর্চায় ডুবে থাকুন

শুভেচ্ছা নিরন্তর...
0

সম্পাদকীয়

Posted in



সম্পাদকীয়

শেষ পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত সেই ঘোষণাটি হল। বইমেলা পিছিয়ে যাচ্ছে একমাস প্রায়। ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। এমন যে হতে পারে, এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ প্রায় ছিল না বললেই হয়। সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা যদিও এই মুহূর্তে একটু থমকে রয়েছে, তবুও এর মধ্যেই এই আয়োজন করা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছিল একাধিক। সেসবের মধ্যে না ঢুকে একথা হয়ত নিঃসংশয়েই বলা যায়, এই ভালো হল।

আমরা যখন বইমেলার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকব, অনেকগুলি রাজ্যে ঘনিয়ে আসবে নির্বাচন। আগামী দিনে ভারতবর্ষের চেহারা কেমন হতে যাচ্ছে, তার রূপরেখা অনেকটাই নির্দিষ্ট করে দেবে আসন্ন এই গণতন্ত্রের উৎসব। এই বছরটি আবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির মহাক্ষণ। আমাদের স্বাধীনতা পরিণত হয়েছে, এমন কথা বলার সময় কি এখনও এসেছে? বলতে পারি কি, অনেক রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এল, তা আমাদের প্রকৃত স্বাধীন করেছে? আমরা হয়ে উঠেছি এক প্রাচীন সভ্যতার উত্তরাধিকারী? আসুন উত্তর খুঁজি আমরা!

শুভেচ্ছা অফুরান!
0

সম্পাদকীয়

Posted in


আরও একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা হয়ে গেল প্রবীনা ধরিত্রির। আরও একটি বছর কালের অতলে তলিয়ে যাওয়া এখন শুধু আর কয়েকটি দিনের অপেক্ষা মাত্র। ঘটনাবহুল একটি বছর! আসলে প্রতিটি বছরই ঘটনার ঘাত প্রতিঘাত, একেকটি মাস, দিন, ক্ষণ নিয়েই তৈরি। চক্রাবর্তহারে দিনাতিপাত। কখনও পথ মসৃণ, তো কখনও কিছুটা উপলবন্ধুর।

এদিকে গত মাসে ঘোষিত হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২২ এর দিনপঞ্জি। প্রকাশকরাও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী একরাশ আশায় ভর করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই পক্ষকালটির জন্য। অনিশ্চয়তার মেঘ যেন তবুও কাটতেই চাইছে না কিছুতেই। এইসময় মুদ্রণজগতে যে ব্যস্ততা প্রত্যাশিত, তা কিন্তু এখনও অনুপস্থিত। তবু তো মানুষ স্বপ্ন দেখে। তবু তো ছুঁতে চায় আকাশ!

প্রতি বৎসরান্তের মতোই প্রত্যাশা করি, নতুন বছর নতুন কিছু নিয়ে আসুক; নতুন কোনও উপলক্ষ্য, নতুন উদযাপন, নতুন পরিণতি, নতুন ফলাফল...

আনন্দে থাকুন সকলে। সুস্থ থাকুন। সৃজনে থাকুন।

শুভেচ্ছা অফুরান
0

সম্পাদকীয়

Posted in




প্রকাশিত হলো ঋতবাক অষ্টম বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা।

শীত এলো বলে। হেমন্তের রং, গন্ধ অবশ্য এখনও প্রকৃতিতে। শোনা যাচ্ছে এবারের এই শীত নাকি হতে চলেছে সাম্প্রতিককালের তীব্রতম, যা সামগ্রিক উষ্ণায়নেরই বিপ্রতীপ ফসল। এমনিতেই এই নভেম্বর মাসটার সঙ্গে বিষণ্ণতার যোগ নিবিড়। এই আধো অন্ধকার সময় হঠাৎ বয়ে আনলো বিতর্কিত কৃষি বিল প্রত্যাহারের খবর। একটু যেন আলোকিত হলো চারপাশ। আরেকটি আনন্দ ঘোষণা হয়েছে দিনকয়েক আগে। অতিমারির আবহে একবছর বিরতির পর কলকাতা বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জানুয়ারির শেষদিন থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অবধি। প্রকাশনা, পড়ুয়া সম্প্রদায়ের কাছে এ এক বড়ো প্রত্যাশার প্রাপ্তি। বইপাগল মানুষের মেলামেশার চেনা ছবিটি আবার দেখতে পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে শুরু হলো ''উলটি গিনতি''। 

সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন, সৃজনে থাকুন

শুভেচ্ছা নিরন্তর
0

সম্পাদকীয়

Posted in




কোজাগরী... কে জাগে? আসলে জাগে সকলেই। নিজের মনের কাছে সকলেই জাগ্রত, অতন্দ্র। সকলেই মনে মনে জানে সন্ত্রাস, বিদ্বেষ, ভিন্নতা, সবই নিরর্থক, অবিমৃষ্যকারিতা। তবুও ইন্দ্রিয়ের কাছে, রিপুর কাছেই আমাদের পরাজয়। দীর্ণবিদীর্ণ হই মনে মনে, তবুও সংযম অভ্যাস হয় না। 

উৎসবের আলো নিবে আসে একদিন। যে আলোর বিস্তারে অন্তর আলোকিত হওয়ার কথা ছিলো, সে আলোর বিপ্রতীপ গতিতে ভেলা ভেসে যায় দূরান্তের যুদ্ধক্ষেত্রে। অচেনা এই পৃথিবীর গভীরতম অসুখ সেরে যাবে কবে! সীমান্তের প্রান্তে অতন্দ্র বসে সেই সাধনায় নিমগ্ন হয়ে খানিক অবসর যাচনা করি, যে সাধনা আমাদের শুদ্ধ করে, নির্মল করে, যে সাধনায় অন্তরের জ্ঞান ও তার অর্জনের বিস্তার এক অপ্রতিরোধ্য গতি লাভ করে। 



প্রকাশিত হলো ঋতবাক অষ্টম বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা। নিয়মিত বিভাগগুলির সঙ্গে শুরু হলো নতুন বিভাগ 'নোলা পরিক্রমা - দুই পেটুকের স্বাদ সন্ধান' - বেসিক্যালি ফুড রিভিউ, লেখায় ময়ূখ, ছবি তোলায় ইরাবান - মতামত দুজনেরই। আশা করি, উপভোগ্যই হয়ে উঠবে ধীরে ধীরে। 
 
শুভ বুদ্ধির জয় হোক

শুভেচ্ছা নিরন্তর 
0

সম্পাদকীয়

Posted in



শরৎ এসেছে। কাশফুলও। সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ছবিও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এর সঙ্গে প্রতিবছর এইসময় বঙ্গবাসীর হৃদয়কে যা উদ্বেল করে, সেই আগমনীর সুর কি বেজেছে? এসেছে পুজোর গন্ধ? অতিমারীর তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এখনও কেটে যায়নি। এ অবস্থায় বার্ষিক এই মহোৎসবের আয়োজন অনেকটাই সাবধানী আর তা সঙ্গত কারণেই। তবু তো আসন্ন শারদোৎসব। এই চারটে দিনের অপেক্ষায় কাটে প্রায় বারোটা মাস! অঞ্জলী ভরে দেবীর পায়ে অর্ঘ্য দেবার সময় আগামী এক বছর ভালো থাকার বর চেয়ে নেবো আমরা আবারও। কিন্তু গত দুবছরে বদলে যাওয়া সামাজিক রীতিনীতির মধ্যে ভালো থাকা এবং ভালো রাখা সমার্থক হয়ে উঠেছে। দরকার হয়ে পড়েছে আরও বেঁধে বেঁধে থাকার। একে অপরের হাত ধরে রাখার।

শারদ শুভেচ্ছা সকলকে।

ভালো থাকুন।
0

সম্পাদকীয়

Posted in





আরও একটি বছর শেষ হয়ে গেলো কিছু বোঝার আগেই! এ মাসের ৩০ তারিখ সাত পূর্ণ করে আটে পা দেবে ঋতবাক। নানান ঝড় ঝাপটার মধ্যেও লক্ষ্য স্থির রাখা গেছে, তার মূল কারণ কেবলই দৃঢ় সংকল্প আর বন্ধুদের সাহচর্য। শুধু অপরিসীম কৃতজ্ঞতাই নয়, অফুরান ভালোবাসাও ।

অতিমারীর দাপটে একবছর বইমেলা হলো না। চারদিকে বিবিধ অস্থিরতা সত্ত্বেও পরবর্তী মেলায় দেখা হোক আমাদের। শুধু বাণিজ্যিক কারণেই নয়, বাৎসরিক মিলনোৎসব বলেও!

এই ব্লগ প্রকাশিত হওয়ার একদিন পরই জন্মদিন আমাদের এক চিরকালীন অহংকার শম্ভু মিত্রর। এবারের ক্রোড়পত্রে তাঁর প্রতি আমাদের বিনম্র প্রণাম।

এমাসের পত্রিকার ক্ষুদ্র পরিসরে আরও স্মরণ করি বাঙলার নিজস্ব শিল্প সংস্কৃতির ধারার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। এবছর তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন বর্ষ।

সচেতন থাকুন, সৃজনে থাকুন

শুভেচ্ছা নিরন্তর।
0

সম্পাদকীয়

Posted in



































এমন দিনে তারে বলা যায়/ এমন ঘনঘোর বরিষায়...

সত্যি বর্ষা এলো এবার যথাসময়ে আমাদের রাজ্যে। কিন্তু এলো যখন, লকডাউনের কবলে আমরা। যদিও কিছুটা শিথিল তার নিয়ন্ত্রণ। এ ছাড়া উপায়ও তো কিছু ছিল না। একমাস এই সংযম পালনের পর সংক্রমণের হার অনেকটাই নিম্নমুখী। কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান, ব্যবসার গতিপ্রকৃতি? তার রেখাচিত্র? তাও কি অধোমুখী নয়? জনগণের স্বাস্থ্য আর উপার্জন এই দুটি বিষয়কে একই সঙ্গে সুনিশ্চিত রাখাই সরকারের কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

এই সময়ের মধ্যেই আমরা হারিয়েছি প্রিয় চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত এবং ভারতের একজন সর্বকালীন সেরা ক্রীড়াবিদ মিলখা সিং-কে। 

তাঁদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো।

সুস্থ থাকুন। সচেতন থাকুন। শুভেচ্ছা নিরন্তর। 

0

সম্পাদকীয়

Posted in

 




আবার আমরা গৃহবন্দী। এমন পরিস্থিতির আঁচ পাওয়া যাচ্ছিলো অনেকদিন ধরেই। আমাদের নজরটা শুধু ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল অন্য অভিমুখে। কখনও তা কুম্ভমেলা, কখনও বা গণতন্ত্রের সর্ব বৃহৎ উৎসবের দিকে। চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে করা হয়েছে তথ্যের বিকৃতি এবং ভুল তথ্য পরিবেশন। এসবের সঙ্গে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো যুক্ত হলো টিকা কেলেঙ্কারি! একই টিকার ক্ষেত্রে বারবার বদলে যেতে থাকলো সরকারী নীতি। সব মিলিয়ে সামনে অমানিশার আঁধার। বন্ধু - প্রিয়জনকে হারানো এখন এক নতুন প্রাত্যহিকতা। গত মাসে আমাদের ব্লগ জনসমক্ষে এলো যেদিন, সেদিনই আমরা হারিয়েছি এইসময়ের একজন শ্রেষ্ঠ চিন্তক, সৃজনী শিল্পী শঙ্খ ঘোষ। প্রকৃত অর্থেই আমরা অভিভাবকহীন হলাম। চিরতরে হারিয়ে গেলো একটি ঋজু, বিবেকী কণ্ঠস্বর।

এবারের সংখ্যায় তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য রইলো।

একের পর এক আমরা হারালাম শৌণক লাহিড়ী, অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে; আরও কত কত আত্মজন প্রিয়জন পরিচিতজনকে। প্রতিদিন এমন স্বজন-হারানোর বেদনায় দীর্ণ এ কোন অচেনা বসুন্ধরা!

এই ঘোর পরিস্থিতিতে শুধু একটিই সনির্বন্ধ অনুরোধ - সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন সকলে।

দেখা হোক আবার আমাদের চেনা পৃথিবীতে!

শুভেচ্ছা নিরন্তর!
0

সম্পাদকীয়

Posted in



একটা বিষয় আজকাল বেশ ভাবিয়ে তুলছে। একথা আমরা সবাই জানি, সমাজের সমসাময়িক বিষয় নিয়েই নির্মিত হয় সাহিত্য। আবার ভাষা হলো সভ্যতা ও সংস্কৃতির অন্যতম ধারক এবং বাহক। অর্থাৎ, বিষয়গুলি পরস্পর নির্ভরশীল। সংশয়টা ঠিক এইখানেই। সাহিত্য যদি সমসাময়িক সমাজের চিত্র হয় এবং তা প্রকাশের মাধ্যম যদি হয় ভাষা, তবে এই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভাষা প্রয়োগের স্বাধীনতা কতটা আছে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত সমাজচিত্র কতটা সাহিত্যে প্রতিফলিত হতে পারছে, তা সংশয়াতীত নয়। আজকের পরিস্থিতিটির কথাই ভাবুন। ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত, মে মাস থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক সকলকেই ভ্যাক্সিন নিতে হবে, এই মর্মে সরকার নির্দেশ জারি করেছেন। নিঃসন্দেহে সাধু উদ্যোগ। অর্থাৎ, ধরে নিতে পারি, ভ্যাক্সিন এখন বাজারজাত এবং সহজলভ্য। অতিমারিকে কাবু করা গেছে – এমনটা ভাবাই যেত; যদি না এই অতিমারিরই নতুন একটি প্রবাহ আবার আছড়ে পড়ত প্রবল বিক্রমে। আগেরটাকেও চিনতাম না, আন্দাজে ঢিল ছোঁড়াছুঁড়ি চলছিলো, আলটপকা সে ঢিল লেগেও যাচ্ছিল প্রায়ই, এখন এই দ্বিতীয় প্রবাহ আরও অচেনা। সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা। জীবন তো থেমে থাকতে পারে না! অথচ দেখুন, নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে প্রস্তাবিত কর্মসূচী এতটুকু সঙ্কুচিত না করেই। এদিকে কিন্তু ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ডকে উঠেছে। তারা চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছে ‘ওপেন বুক’ পরীক্ষা দেওয়া ব্যাচ হিসেবে, পরবর্তীকালে এদের চাকরি দেওয়ার দায় আর কারোর থাকছে না, স্বভাবতই! এই পরিস্থিতির কথা সাহিত্যের ‘প্রহসন’ধারায় লিপিবদ্ধ হচ্ছে কি? জাতীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা-অনৈতিকতা, শিক্ষা-কুশিক্ষা, সংস্কৃতি-অসংস্কৃতি, শালীনতা-অশালীনতা, ন্যায়-অন্যায়, সহযোগিতা-অসহযোগিতা, সেবা, আনুগত্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, সহানুভূতি, সহমর্মিতা, ভালোবাসা সব ঘেঁটে ঘ! তবুও হতাশ হবো না, ঠিক করেছি। আসুন, সমবেত হয়ে লড়াই করি, সচেতন হই। জিততে আমাদের হবেই!

সুস্থ থাকুন, সৃজনে থাকুন

শুভেচ্ছা নিরন্তর
0

সম্পাদকীয়

Posted in





মনে পড়ছে ঠিক এক বছর আগের কথা। গতবছর এইসময় দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল লক ডাউন। তখনও জানতাম না, অতিমারী নামক ভয়াবহ এক বিশ্ব রাজনীতি গ্রাস করে ফেলবে আমাদের। যদিও এক বছর পর প্রতিষেধক আমাদের মুঠোয়। আপাতত দেখার এটাই যে, এই বিপুল জনসংখ্যা কিভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় আসে। আশার কথা এই যে, উন্নত দেশগুলির তুলনায় ভারতের অতিমারী পরিস্থিতি সামান্য হলেও আশাব্যঞ্জক। সত্যিই কি? নাকি এখানেও চলছে রাজনীতির 'খেলা'?

১৯১৩ সালের ৮ মার্চ পালিত হয় প্রথম আন্তর্জাতিক নারীদিবস। বিগত শতাধিক বছরের মধ্যে এ বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে অনেক। কিন্তু তৃণমূল স্তরে? প্রকৃত আলো কি সেখানে পৌঁছেছে? সমানাধিকারের প্রশ্নে এলিটিস্ট মনোভঙ্গিও কি সঠিক বার্তা বহন করে? এসব নিয়ে অনেক তর্ক হতে পারে। এই আবহেই আমাদের এবারের ব্লগাজিনে রইলো আন্তর্জাতিক নারীদিবস সংক্রান্ত বিশেষ ক্রোড়পত্র। লিখেছেন বিশিষ্টজন। আপনাদের মতামত আমাদের সমৃদ্ধ করবে। 
ভালো থাকুন! সৃজনে থাকুন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর!!
0

সম্পাদকীয়

Posted in

























ফেব্রুয়ারি মাস বাংলাভাষীদের কাছে বিশেষ অর্থবহ। ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবির আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তানে অকালে ঝরে যায় কয়েকটি তাজা প্রাণ। সেই দিনটি ছিল ৮ ফাল্গুন বা ২১ ফেব্রুয়ারি। তারপর থেকে ঐদিনটি ভাষা দিবস হিসাবে উদযাপিত। পরে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রূপে স্বীকৃতি দেয়। এই উপলক্ষে এবারের সংখ্যায় থাকছে দুটি বিশেষ নিবন্ধ। একটি বাংলায়, অন্যটি ইংরেজিতে।  

এই একই মাসের ৫ তারিখ জন্ম বাংলা সাহিত্যের একজন অনন্যসাধারণ কাব্য প্রতিভার। আমাদের জাগ্রত বিবেক। শঙ্খ ঘোষ। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য আমাদের এবারের ক্রোড়পত্রে। 

গত এক বছরে মহামারীর বিষদাঁত আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। তার মধ্যে একটি সম্ভবত আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ। মুখোশের আড়ালে থাকাই এখন 'নতুন স্বাভাবিকতা'। এটা মেনে নেওয়া ছাড়া আর উপায় ছিল না।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর!
1

সম্পাদকীয়

Posted in



শুভ নববর্ষ!

অতি সন্তর্পণে, গুঁড়ি মেরে পেরিয়ে এলাম বিষাক্ত একটা বছর। সতর্কতা শেষ হয়নি এখনও। বিশ্বের নানা দেশে নতুন করে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি আবার এই মারণ রোগের প্রতিষেধকও এসে গেলো আমাদের হাতে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? প্রতিষেধক কি এলো? কি বলব একে? এই বৈজ্ঞানিক অবিমৃষ্যকারিতা ঠেকানোর কি কোনওই উপায় নেই? যে ঘটনা আমাদের পিছিয়ে দিল এতগুলো মাস, বদলে দিল জীবনযাত্রা, তার দায়িত্ব কেউ নিয়েছে এখনও পর্যন্ত? এই সম্পাদকীয় যখন লিখছি, আমেরিকায় তখন পট পরিবর্তনের তোড়জোড়। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার উদগ্র বাসনা যে মানুষের শুভ বোধ, যাবতীয় নীতি ও মূল্যবোধ কীভাবে কেড়ে নিতে পারে, বিদায়ী রাষ্ট্রপতির সমর্থকরা তা প্রমাণ করেছেন ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালিয়ে। আবার এর মধ্যেই, এই অন্ধকারে আলোর রোশনাই ছড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ব্রিসবেনে রুদ্ধশ্বাস জয় উপহার দিলেন আমাদের। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই একে সর্বকালীন অন্যতম শ্রেষ্ঠ জয় বলছেন। আর সন্দেহাতীতভাবে তাইই। এই প্রজন্মের একঝাঁক ঝকঝকে তরুণ আমাদের উপহার দিলেন অনেকখানি আশা আর উদ্দীপনা। ভবিষ্যতের জন্য।

আসলে এটাই মূল কথা। আশা অপরাজেয় নিরবধি। জীবন অপ্রতিরোধ্য সর্বব্যাপী। সূর্যমুখী ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলতায় প্রতিশ্রুতিময়।

আসুন, সেই ভবিষ্যতে বাঁচি আমরা।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সৃজনে থাকুন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর!
0

সম্পাদকীয়

Posted in





সম্পাদকীয় 

উৎসবের দিনগুলি আপাতত অতিক্রান্ত। এর মধ্যে ঘটে গিয়েছে দু'দুটি ইন্দ্রপতন। আলোর উৎসবের পরদিন চলে গেলেন বাঙালির চিরকালীন অপু সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। প্রায় চল্লিশ দিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। সবাই আশা করেছিলেন তিনি সুস্থ হয়ে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন। তা হলো না। 

আর এর দুদিন পর জার্মানির হির্শবার্গ-এ প্রয়াত হলেন এই সময়ের এক শ্রেষ্ঠ ভাষা শিল্পী অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। এও এক আশ্চর্য সমাপতন! একই সময়কালের মধ্যে নিজ নিজ জগতে বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন এই দুই শিল্পী - কবিতা ছিল যাঁদের হৃদয়ের অন্তঃস্থলে। 

এদিকে অতিমারির আগ্রাসন কিছুটা হলেও মনে হয় স্তিমিত। কিন্তু যতদিন এর প্রতিষেধক আমাদের হাতে না আসছে, ততদিন সাবধানের মার নেই। চারপাশের নিরাশার মধ্যে তবুও খুঁজি আশার জোনাকি।

শুভেচ্ছা নিরন্তর
0

সম্পাদকীয়

Posted in

 



সম্পাদকীয় 


আরেকটা পুজো এসে গেলো। দুর্গাপুজো। বাঙালির একটা বিশেষ সময়। বাইরে রোদের দিকে তাকালে মনে হয় সেটাও আগের বছরের মতো। সেই একই রকম ঝকঝকে শরতের গন্ধ-মাখা। এসবই ঠিক।  কিন্তু সবই কি ঠিক? মহামারীর আবহে এবার যখন এই উৎসব পালিত হতে চলেছে, উৎসবের মেজাজের পাশাপাশি আমাদের ঘিরে রয়েছে অজানিত এক আশঙ্কা। আসলে আমাদের বিশেষ এই বার্ষিক উদযাপন কতটা ধর্মীয় আর কতটা সামাজিক মেলামেশার উৎসব, সে নিয়ে তর্ক হতেই পারে।

এরই মধ্যে এসে পড়লো আমাদের মাসিক ব্লগ প্রকাশের সময়ও। এবারে ঋতবাকের বিশেষ উৎসব সংখ্যা। নিয়মিত বিভাগগুলির সঙ্গে থাকছে একটি উপন্যাসিকা ও একটি দীর্ঘ কবিতা।

গত সংখ্যা থেকে শুরু হয়েছে 'বিশেষ ক্রোড়পত্র' বিভাগ। এই বিভাগে এই সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ, কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। ৬ অক্টোবর ছিল কবির জন্মদিন। প্রবাদপ্রতিম এই ব্যক্তিত্বের প্রতি  ঋতবাকের শ্রদ্ধার্ঘ্য। লিখেছেন দেশ-বিদেশের সমসময়ের প্রথিতযশা লিখিয়েরা। এছাড়াও থাকছে Friedrich Engels এর কাব্যনাট্য Cola di Rienzi এর অলোকরঞ্জনকৃত বাংলা ভাষান্তর 'স্তিমিত সিংহাসন'। ক্রোড়পত্রটির সংকলন ও গ্রন্থনা-সম্পাদনা রাজা মুখোপাধ্যায়। কৃতজ্ঞতা জানবেন, সুহৃদ... 

উৎসব হোক অন্তরে, আনন্দ সর্ব্বব্যাপী

শুভেচ্ছা নিরন্তর

0

সম্পাদকীয়

Posted in















সম্পাদকীয় 


সম্পাদকীয় লিখছি যখন, বাইরে বৃষ্টি অবিশ্রান্ত। লকডাউন পুরোপুরি উঠবে হয়তো কিছুদিনেই। শুনলাম, সরকারী স্বাস্থ্য দপ্তরেও নাকি স্যানেটাইজারে হাত ধুয়েই ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে এখন। থার্মাল গান টেস্টিং, স্যানেটাইজার টানেল দিয়ে ভেতরে ঢোকা, সব বন্ধ। 'কেন' জিজ্ঞেস করলেই আজকাল সবাই সুপ্রীম কোর্ট দেখাচ্ছে, বলছে, 'নির্দেশ'! দুর্গা পুজোও হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষেই। হওয়াই উচিৎ হয়তো! ষাট হাজার কোটি টাকার লেনদেনের একটা ব্যবসা হয় নাকি প্রতি বছর এই সময়, বাঙলা ও বৃহত্তর বাঙলা জুড়ে। পুরোটা না হলেও, কিছু তো হবেই! এমনিতেই অর্থনীতির যা অবস্থা! কিন্তু তাহলে অতিমারী, দূরত্ববিধি, দৈনিক সংক্রমণ, দুই শতাংশের কম মৃত্যু হার, কোমরবিডিটি - এসবের কি হবে? অনেক ধোঁয়াশা! সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে নেই! 

যাক গে, আমরা সাহিত্য চর্চা করি। এ মাসে কবি মঞ্জুষ দাশগুপ্ত ক্রোড়পত্র রইলো নিবিষ্ট পাঠকের জন্য - বিশেষ বিভাগ। বাকি নিয়মিত বিভাগগুলি তো রইলোই। 

সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন...

শুভেচ্ছা নিরন্তর