0

কবিতা - উৎপল চক্রবর্তী

Posted in


কবিতা


আবর্তন
উৎপল চক্রবর্তী 


সংগত-পটু নটরাজ দেখিয়ে দেন কত কত সমস্থান হরিলুটের মতো। ছুটতে ছুটতে সেসব প্রতিদিন অজান্তে জলের মতো গড়িয়ে যায়। ভ্যানগঘের মতো কেউ কেউ ছুঁয়ে ফেলে কোনও এক ল্যাম্পপোস্ট, তুলির টানের পরতে পরতে খুলে রাখা তাজা গোলাপের অস্পষ্ট অপরূপ শরীর, লক্ষ স্থায়ী অসিক্ত চুম্বন। আমার আবর্তন যেন শেষই হয় না। ফিরে আসতে পারি না নিজস্ব রাগের 'সা'য়ে। সমুদ্রের গানে। কোনও এক বিসম বিন্দু থেকে ছিটকে পড়ি এস্রাজের ছড় জন্মপূর্ব পাথরের এবড়ো খেবড়ো ইতিহাসে। 


এপিফ্যানি
 

সমস্ত আকাশ শূন্য ভেবে থামিয়ে দিয়েছি লাইটের গতিবেগ। সময়ের ঝুঁটি ছেড়ে সেরেছি শেষ সাপার, মংপুর বারান্দায় দাঁড়িয়ে গেঁথেছি বৌঠানের অনন্ত মৃত্যু দৃশ্য। হাতে সায়ানাইড নিয়ে ভালোবাসা জানাবো বলে যেই মেলেছি আমার শেষ বোকামোপূর্ণ বিষাক্ত চুম্বন, দেখি রত্নাকরের মতো, তুমি বিজ্ঞানী বলে উঠলে, 'শূন্য বলে কিছু নেই। তোমাকে শূন্য করার ক্ষমতা স্বয়ং ঈশ্বরেরও নেই, কালাশনিকভ তো দূর অস্ত'। আমিও সেই এপিফেনি নিয়ে এক কিশোরীর হাতে পায়েস খেতে এসেছি আজ, সমস্ত শপিংমলের রাস্তা থেকে পালিয়ে আসার শব-সাধনা শুরু করবো বলে। হে পূর্ণ আমাকে শূন্যতার কাছে নতজানু ও ঋণী হতে দাও।

0 comments: