কবিতা - কস্তুরী সেন
Posted in কবিতাগুচ্ছ কবিতা
কস্তুরী সেন
লাখ উদয় করুঁ চন্দা
সায় দিইনি। নিজেই নিজের কানে
ফিসফিস বলে গেছি
অবিশ্বাস,অবিশ্বাস প্লিজ!
আর যা হয়,বরাবরই
আমার চোখ ভাঙে আমার বিশ্বাস,
কান নতজানু হয় শত্রুপক্ষে-
হাত নির্বিকার,
নির্দেশ না মানতে বদ্ধপরিকর,
কি স্ট্রং এই বেকুব দিমাগ....
আর এই ডিসেম্বরে,হাত তুলে দিতে দিতে দেখি
রোদ ও কমলালেবু সমেত
প্রায় যথাযথ শীতছাদে,
অসম্ভব অবিশ্বাস আমাকেই এসে বলে ;
'চাদর সরাবে?...দয়া?...
দু মিনিট একসঙ্গে বসি?"!
রজনি উতলা হলে
সামান্য ভিজেছ বঁধু, আঙিনায়
অথচ পরান দ্যাখো, ফেটে চৌচির ;
এবং পরান দ্যাখো গোঁয়ার্তুমি
সেই এক, চিরকাল যা বুঝেছে স্থির।
কিন্তু সে স্থিরতা ধুয়ে আমি জানি
স্রুত জল পাব কি নেব না --
রজনি উতলা হলে, 'ধীরে' বলো অকস্মাৎ
প্রাণ তা শোনেনি, তার বোঝা সম্ভবও না...
আমি বুঝি।পড়ে থাকা রাতশেষে
আমি বুঝি,উচ্ছেদ হব হব প্রীতি!
যে বাজি নিজের সঙ্গে,
সে বাজিতে বরাবরই ক্ষমাহীন জিতি।
মৃত্যুটি তৃতীয় যাম
কে জ্বালে সমস্ত আলো আর সেই সমস্তেরও পর,
ঋষভ দুর্বল হয়,
কে সমস্ত নিখাদ জানে,
আর সে-ই সব জেনেশুনে
চন্দ্রাহত হতে হতে সামান্য সামলে নিল,
আর বলল এসো প্রেম, ব্যর্থ হও
তবু ফুৎকারে মৃত্যুটি জ্বালো,
মৃত্যুটি তৃতীয় যাম হোক!
অপারগ
আমরা সীমান্ত তুলি--
আমরা সীমান্ত ভেঙে
অহোরাত্র পার হলাম সব প্রয়োজন ;
পার হলাম হাতে হাত,
পার হলাম হাত ছিটকে গেল হাত থেকে...
আমাদের হাত খুঁজল
হাত বুঝল যা বোঝার মুগ্ধ পরস্পর।
অহোরাত্র পার করে আমাদের প্রয়োজন
সামনে আবার এসে দাঁড়াতেই
এই মহাবিশ্ব নস্যাৎ করে হাত বলল 'অপেক্ষা'!
হাত কাতরতর বলল 'পারছি না, পারছি না আর!'
আমাদের হাত ছাড়াও, চোখ ছিল,
মুখ ছিল, কথা...
'পারছি না' সামান্য কথা, মানুষ পারে না কী!
0 comments: