Next
Previous
0

সম্পাদকীয়

Posted in




সম্প্রতি জানা গেল একটি সর্বজনগ্রাহ্য ক্ষুধা সংক্রান্ত ক্রমিক তালিকায় ১২১ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০৭। ছোট্ট একটি খবর কিন্তু তার প্রভাব বিধ্বংসী! ক্ষুধা। এ এমন এক প্রাকৃতিক সৃষ্টি, যা না থাকলে প্রয়োজন হতো না অনেক কিছুরই। একই নিঃশ্বাসে এ কথাও মনে রাখতে হবে ক্ষুন্নিবৃত্তি হলেই সম্ভব এমন অনেক কিছু, যা মানুষকে মানুষ হিসাবে দিয়েছে পরিচিতি। যেমন শিক্ষা। যে শিক্ষার সঙ্গে আবার বইয়ের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। তাই কোনও রাজনৈতিক কাজিয়ার কারিগর বা অংশগ্রহণকারী না হয়েও এই সত্যটুকু মাথা নত করে মেনে নিতেই হবে। কারণ মিথ্যাচারী শাসক ছাড়া প্রত্যেকেই নির্দ্বিধায় এটুকু অন্তত স্বীকার করবেন যে পেটের ক্ষুধা মেটায় দুবেলা দুমুঠো অন্ন আর মনের চাহিদা মেটায় প্রকৃত জ্ঞান। বইয়ের কাজ পিপাসু মনের কাছে আধারিত জ্ঞান পৌঁছে দেওয়া। কে বা কারা সেই দায়িত্ব নেবেন? অভুক্ত শিশুদের মিড ডে মিলের পুষ্টিকে যাঁরা অবৈধ মুনাফায় রূপান্তর করেন, তাঁরা? অথচ তাঁদেরই তো সেই ভূমিকা গ্রহণ করার কথা ছিল। তাঁরাই তো প্রতিশ্রুত হয়েছিলেন জাতির মেরুদণ্ড নির্মাণ করার। যদিও সংখ্যাহীন, ক্ষুধাতাড়িত যে জনগণ তাঁদের প্রতিশ্রুতিমঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন, তাঁরা জানতেন না শিরদাঁড়া আসলে চেতনার অপর নাম।

সুস্থ থাকুন। সৃজনে থাকুন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।