Next
Previous
0

ঋতু ম্যাডামের রান্নাঘর থেকে - মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী

Posted in



















Guar। ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, ফাইবার সমৃদ্ধ এই সব্জিটি পশ্চিম ও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেশ জনপ্রিয়। ইন্টারনেট ঘেঁটে এর একটা বাংলা নামও পেলাম বৈকি, ‘ঝাড় সিম’। যদিও, এ নাম আমার অপরিচিত। দোকানে দেখে থাকলেও আগে যেহেতু রান্না করিনি তাই কীভাবে বানাতে হয় তার জন্য ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হতেই হলো। গুজরাতি, মহারাষ্ট্রিয়ান, সিন্ধ্রি, কেরালাইট ওরে বাবা সে একেবারে রেসিপির ছড়াছড়ি। আমি আমার নিজের মতো করে বানালাম।

guarগুলির দুই মুখ কেটে, দু’পাশের সুতোর মতো আঁশ ছাড়িয়ে নিয়ে বেশ ছোটো ছোটো করে টুকরো করে ধুয়ে রাখলাম। আলুও সামঞ্জস্য রেখে কেটে নিলাম। অল্প করে তেঁতুল জলে ভিজিয়ে রাখলাম। সর্ষে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে সামান্য পেঁয়াজ কুচি সাঁতলে নিলাম। তারপরেই কেটে রাখা guarগুলি ও কারিপাতা দিলাম। ইন্টারনেটের রেসিপি দেখে আমার কেমন মনে হয়েছিলো, এগুলি সেদ্ধ হতে বেশ সময় নেবে। অনেকেই দেখলাম প্রেসার কুকারে দিয়ে রান্না করতে বলছেন। নুন, হলুদ, সামান্য করে জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে নাড়িয়ে সব মিশিয়ে ঢাকা চাপা দিয়ে আঁচ একটু কমিয়ে রাখলাম। মিনিট দশেক পর ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করে আলু দিয়ে মিশিয়ে আবার ওই কম আঁচেই রান্না করতে থাকলাম ঢাকা চাপা দিয়ে। Guar, আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে তেঁতুল জলটা মিশিয়ে দিয়ে এবারে ঢাকা খুলে রান্না করলাম। ব্যস্, এই হলো Guarএর তরকারি/ভাজি।

ফোড়নে সামন্য হিং দিতে পারেন। রান্নার শেষে নারকোল কোরা ছড়িয়ে পরিবেশন করতে পারেন। তেঁতুলের বদলে, টমেটো, আমসি, আমচুর পাউডার, বা লেবুর রস যেকোনওটাই ব্যবহার করতে পারেন। শুধু লেবুর রস দিলে একদম শেষে দেবেন। যথেষ্ট সহজ রান্না, খাদ্যগুণে ভরপুর এই সব্জিটি যতটা কম ভেজে/কষিয়ে রান্না করবেন ততই এর উপকার পাবেন।

কারিপাতা ফোড়নে না দিয়ে পরে দেবার কারণ হলো, আমার মাসী শাশুড়ি শিখিয়ে ছিলেন তেজপাতা ফোড়নে না দিতে। যেহেতু সুন্দর গন্ধের জন্যই পাতাটা ব্যবহার হয়। সেই একই কারণে কারিপাতাও ফোড়নে দিইনি। আপনারা চাইলে ফোড়নে দিতে পারেন।