প্রবন্ধ - সিদ্ধার্থ মজুমদার
Posted in প্রবন্ধ“সকল লোকের মাঝে বসে/আমার নিজের মুদ্রা দোষে/আমি একা হতেছি আলাদা?”—
কবির এই বহু উচ্চারিত লাইনগুলি মনে পড়ে গেল। কত মানুষের কত রকমের মুদ্রাদোষ। তবে ‘মুদ্রাদোষ’ যে কতটা ‘দোষ’ তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। সাধারণভাবে যা আমরা ‘মুদ্রাদোষ’ হিসেবে বলে থাকি, তা হয়ত দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা এক বিচিত্র অভ্যেস অথবা ‘বদ-অভ্যেস’ হিসেবেও বলা যায়। এই গড়ে ওঠা বিচিত্র অভ্যাস বা মুদ্রাদোষ, যা ই বলি না কেন—এই বিকারগ্রস্থতার পেছনে হয়ত থাকতে পারে কোনো না কোনও প্রকৃত কারণ। কখনও সেসব কারণ জানতে পারা যায়। কখনও তা অজানাই থেকে যায়। কত অদ্ভুত ধরনের সব মুদ্রাদোষ। কেউ হাঁটতে হাঁটতে কথা বলে নিজের মনে। কেউ আবার হাঁটার সময় খানিক অন্তর অন্তর পা ছোঁড়ে। কেউ কিছুক্ষণ পরে পরেই বাঁ হাতের কোনো একটি আঙুলের নখ কামড়ায়। এইরকমই বিচিত্র স্বভাবের একজন মানুষের কথা বলব এই লেখায়।
নিজস্ব ক্ষেত্রে বিশিষ্ট হওয়া ছাড়াও পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের কাছে আরও একটি কারণে তিনি বিশেষ পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। সেই কারণটি হল, তাঁর দীর্ঘ নীরবতা। কেমন ছিল সেই নীরবতার ব্যাপারটি দেখা যাক। হয়ত কেউ কিছু জিজ্ঞেস করেছে, তিনি অনেকক্ষণ পরে একটি দুটি কথায় তার উত্তর দিলেন। সেই বিচিত্র স্বভাবের মানুষটির কাছ থেকে উত্তর পাওয়ার জন্যে প্রশ্নকর্তাকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হত। এমনও হয়েছে, কখনও আধঘণ্টা পরে উত্তর দিয়েছেন তিনি। তাঁর উত্তর দেওয়া কিংবা কথা বলার মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সীমিত থাকত ‘হ্যাঁ’, ‘না’ অথবা ‘আমি জানি না’। এরকমই অদ্ভুত মানুষ ছিলেন তিনি।
স্বনামধন্য এই মানুষটি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম একজন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী। নাম পল ডিরাক। পুরো নাম পল এড্রিয়ন মরিস ডিরাক (১৯০২- ১৯৮৪)। এই ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী কোয়ান্টাম মেকানিক্স ও কোয়ান্টাম ইলেকট্রো-ডাইনেমিক্স ক্ষেত্রের সূচনা ও উন্নয়নে তাঁর মৌলিক অবদানের জন্যে তিনি বিশ্ববন্দিত। ডিরাকের গাণিতিক সমীকরণ থেকে অ্যান্টি-ম্যাটারের অস্তিত্ব সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। এই কাজের জন্যে ১৯৩৩ সালে এরউইন শ্রোয়েডিংগারের সঙ্গে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান ডিরাক। মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে করা কাজের ওপর মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তখনও পর্যন্ত তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কমবয়সী নোবেলপ্রাপক। তিরিশ বছর বয়সে পৌঁছনোর আগেই ‘ফিজিক্যাল থিয়োরি’ সংক্রান্ত কাজে তাঁর অবদান একটি চূড়ান্ত সাফল্য গণ্য করা হয়ে থাকে। তাঁর অসাধারণ প্রতিভার জন্যে ডিরাক-কে ‘গড ফাদার অফ ফান্ডামেন্টাল ফিজিক্স’ বলা হয়ে থাকে। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আগেই তিনি কেমব্রিজে ‘লুকাসিয়ান চেয়ার অফ মেথামেটিক্স’-এর সন্মানীয় পদ অলঙ্কৃত করেন। যে সম্মান একদা পেয়েছিলেন কিংবদন্তী গণিতজ্ঞ ও পদার্থবিদ স্যার আইজাক নিউটন।
আবার ডিরাকের নীরবতার কথায় ফিরে আসি। তাঁর নির্বাক স্বভাব নিয়ে নানান মজার গল্প আছে। সেই সব কাহিনির দু একটি বলব এখানে। কেউ কেউ কৌতুক করে বলতেন ‘মাথার ছিট আছে’। তবে এটা ঠিক যে অনেক জিনিয়াস বা সহজাত সৃষ্টিশীল মানুষদের চারিত্রিক বৈশিষ্টের মধ্যে অদ্ভুত এক ধরনের পাগলামি লক্ষ্য করা গেছে। অসম্ভব মেধা ও সৃজনশীলতার সঙ্গে পাগলামির এই মেলবন্ধন বিষয়টি সাইকোলজি এবং কগনেটিভ সায়েন্সের গবেষণার বিষয়। এই ক্ষেত্রে অনেক বিজ্ঞানী গবেষণাও করছেন। কবি, চিত্রশিল্পী, বিজ্ঞানী সব ধরণের সৃজনশীল মানুষের আচরণেই এই অদ্ভুত আচরণের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। যেরকম পাগলপনার কথা জানতে পারা যায় ভিনসেন্ট ভ্যান গখ, ভার্জিনিয়া উলফ,এডগার অ্যালেন পো, মাইকেল অ্যাঞ্জেলো, মোজার্ট, বেঠোভেন, সিলভিয়া প্লাথ, আর্নেস্ট হেমিংওয়ের মধ্যে। সেরকমই আইজাক নিউটন, লুডভিগ বোলজমান, নিকোলা টেসলা কিংবা জন ন্যাশ প্রমুখ বিজ্ঞানীদের মধ্যেও দেখা গেছে এই অদ্ভুত বিকারগ্রস্থতা। এই ম্যাডনেস বা খ্যাপামি, অদ্ভুত আচরণ, ভারসাম্যহীনতা, অপ্রকৃতিস্থ অবস্থাকে পার্সোনালিটি ডিজর্ডার, সাইকো-প্যাথোলজি বা বাইপোলার ডিজঅর্ডার হিসবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
ডিরাকের সায়েন্টিফিক কেরিয়ারের সর্বোচ্চ সীমা লক্ষ্য করা যায় নভেম্বর ১৯৩৩ নাগাদ। সে বছরই তিনি জানতে পারেন তিনি সেই বছর ফিজিক্সে নোবেল পুরস্কারের জন্যে বিবেচিত হয়েছেন। নোবেল প্রাপ্তির খবরে যে কোনো প্রাপকই যে যারপরনাই উচ্ছসিত ও আনন্দিত হবেন এ কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু আশ্চর্যের হলেও ডিরাকের ক্ষেত্রে এরকমটি হল না। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দারুণ দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান। আর ওই মুহুর্তে তিনি ঠিক করে নিলেন যে এই পুরস্কার তিনি নেবেন না। প্রত্যাখ্যান করবেন। কিন্তু কেন? আসলে তাঁর এরকম উদ্ভট সিদ্ধান্তের কারণ হল অমূলক ভয়, উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা। কীসের দুশ্চিন্তা? নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবে প্রচারের যে বিপুল আলো নোবেল প্রাপক হিসেবে তাঁর গায়ে পড়বে, সে কথা অনুমান করে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন ডিরাক। তাই ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে তিনি দুঃশ্চিন্তা করছিলেন যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরের ওই সুতীব্র লাইমলাইটে চলে আসার বিষয়টি সামলানো তাঁর পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়!
যাইহোক, ডিরাকের আতঙ্কের কথা শুনে ব্রিটিশ ফিজিসিস্ট আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, ডিরাককে বোঝালেন—‘বরং নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলে আরও বহুগুন বেশি পাবলিসিটির ধাক্কা সামলাতে হবে ডিরাককে’। যাই হোক, রাদারফোর্ডের ওই কথা শুনে অনিচ্ছাভরে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করলেন ডিরাক। সেসময় লন্ডন নিউজ পেপার ‘সানডে ডিসপ্যাচ’-এ মজা করে লেখা হল—‘একত্রিশ বছর বয়সী কেমব্রিজ প্রোফেসার যিনি গজলা হরিণের মতন লাজুক এবং ভিক্টোরিয়ান পরিচারিকার মতন বিনয়ী ও নম্র’। আরও লেখা হল—‘তিনি সব মহিলাদের খুব ভয় পান’।
একদিকে যেমন অসম্ভব কম কথা বলতেন অন্যদিকে ডিরাক ছিলেন প্রচন্ড ইন্ট্রোভার্ট, লাজুক এবং ভীতু প্রকৃতির মানুষ। রাস্তা দিয়ে যখন হাঁটতেন একদম রাস্তার ধার ঘেঁষে বিল্ডিঙের পাশে চোরের মতন লুকিয়ে লুকিয়ে হাঁটতেন। যাতে কারোর সঙ্গে কথা বলতে না হয় তাই তিনি ওইভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে হাঁটতেন। এতটাই কম কথা বলতেন তিনি যে তাঁর কেমব্রিজের সহযোগী বন্ধুরা পরিহাস করে ‘এক ডিরাক’ নামের একটি এককের (ইউনিট) কথা চালু করেছিলেন। ‘এক ডিরাক’ মানে হল—‘এক ঘন্টায় একটি শব্দ বলা’।
ডিরাকের জীবনীকারদের লেখায় ডিরাকের বেড়ে ওঠা এবং তাঁর ব্যক্তিত্ব গঠনে পারিবারিক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। ডিরাকের মা ছিলেন ব্রিটিশ এবং বাবা ফ্রেঞ্চ স্পিকিং সুইশ। ডিরাক ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান। ডিরাকের ওপরে ছিল এক দাদা এবং পরে এক বোন। যে কথাটি উল্লেখ করা দরকার তা হল, ডিরাকের বেশ কয়েকজন আত্মীয় পরিজন গভীর ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলেন। জানা যায়, একশ বছরে তাঁদের পরিবারে ছ’জন আত্মহনন করেছিলেন। আর এই ছ’জনের মধ্যে ছিল ডিরাকের বড় ভাইও। মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে আত্মহনন করেন ডিরাকের দাদা। পরিবারের বাকি সদস্যদের মতন ডিরাকের ছেলেবেলাও সুখের ছিল না। যার একমাত্র কারণ ডিরাকের বাবা। অসম্ভব একগুঁয়ে, জেদী আর রাগী ছিলেন ডিরাকের বাবা। বাড়িতে সবার কাছে তিনি ছিলেন এক আতঙ্কের প্রতিমূর্তি। পরিবারে তিনি যা মনে করবেন সেটিই ছিল শেষ কথা।
ডিরাকের বাবা স্কুলে ফ্রেঞ্চ পড়াতেন। তাই স্কুলেও ডিরাককে মেনে চলতে হত কঠোর অনুশাসন, যা মাঝে মাঝে অত্যাচারের পর্যায়ে পৌঁছে যেত। পরবর্তী সময়ে ডিরাক ছোটবেলায় বাবার প্রভুত্ব ও নিদারুণ যন্ত্রণা দেওয়ার কথার উল্লেখ করেছেন একাধিক সময়ে। ডিরাকের মা, দাদা এবং বোন ডাইনিং টেবিলে বসে ডিনার করতে পারতেন না। রান্নাঘরে ডিনার করতে হত তাদের। ডাইনিং টেবিলে খেতে বসত শুধু ডিরাক আর তাঁর বাবা। ডিরাকও যে বাবার সঙ্গে খেতে বসতে চায়তো এমন নয়। কিন্তু তাকে খেতে বাধ্য করতেন বাবা। আর সে সময় ডিরাককে নির্ভুল ভাবে ফ্রেঞ্চ বলতে হত। উচ্চারণ বা ব্যাকারণের সামান্য ভুল হলেই ডিরাকের ওপর পীড়নের মাত্রা বাড়ত। ওইসময় অসুস্থতা বোধ করছে বলে ডিরাক ডাইনিং টেবিল থেকে উঠে যেতে চাইলেও যেতে দিতেন না বাবা। আর এইসব নানা কারণে ডিরাকের হজমশক্তি সংক্রান্ত বেশ সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়াও বাবার ওই অস্বাভাবিক নিপীড়নের জন্যে কথা বলা আর ভাষাশিক্ষার ব্যাপারের যে স্বাভাবিক প্রবণতা, তা নষ্ট হয়ে গেল ডিরাকের। ফ্রেঞ্চ তো বলতোই না। কথাবার্তাও খুব প্রয়োজন ছাড়া বলত না। ছোটোবেলার ওই যন্ত্রণা আর আতঙ্ক আজীবন ডিরাকের সঙ্গী হয়ে থাকল। পরবর্তী সময়ে ডিরাক যে কথা বলতে চাইতেন না তার পেছনে রয়েছে ওই অস্বাভাবিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিগুলি।
যাই হোক বাবার ইচ্ছেনুসারে ব্রিস্টল ইউনিভারসিটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেন (১৯১৮-২১) ডিরাক। গ্রাজুয়েশেনের পরে কোনও চাকরি পেলেন না। সেই জন্যে আরও দু বছর অ্যাপ্লায়েড ম্যাথামেটিক্স নিয়ে পড়লেন। তারপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেলোশিপ পেয়ে গবেষণা করেছেন ডিরাক।
ছোটোবেলা থেকেই যখন কেউ কিছু জিজ্ঞেস করত সেই উত্তরটুকু ছাড়া খুব একটা কথা বলত না ডিরাক। নিজের মধ্যে গুটিয়ে রাখত নিজেকে। এইভাবেই সামাজিক মেলামেশা করার ক্ষমতা বা কোনো বিষয়ে কিছু বলার পারদর্শিতা তৈরি হয়নি ডিরাকের। তবে ছোটবেলা থেকেই তার ছিল গাণিতিক সমাধানের অসাধারণ পারঙ্গমতা। কিন্তু সাহিত্য বা শিল্প নিয়ে ডিরাকের একদমই আগ্রহ ছিল না। যদিও পরবর্তীকালে ডিরাকের লেখা ফিজিক্সের গবেষণাপত্র বা বইগুলিতে শব্দের ব্যবহার ও বাক্য গঠন ওইসব রচনাগুলিকে সাহিত্যগুণ ও গাণিতিক উপস্থাপনার দিক থেকে এক একটি চূড়ান্ত মাস্টারপিস হিসেবে মনে করা হয়।
অনেকেই মনে করেন বিংশ শতাব্দীর আধুনিক বিজ্ঞানকে উচ্চতার তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পল ডিরাকের অবদান আইনস্টাইনের থেকে কোনও অংশে কম নয়। অথচ আইনস্টাইন বা নীলস বোর, ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ, শ্রোয়েডিনজার কিংবা রিচার্ড ফেইনম্যানের নাম মানুষ যেরকম জানে, সেই তুলনায় পল ডিরাকের নাম আজও কম মানুষই জানেন। বস্তুত ফিজিক্স জগতের বাইরে অসাধারণ প্রতিভাধর পদার্থবিদ পল ডিরাকের নাম আজও অজানার অন্ধকারে রয়ে গেছে।
বিজ্ঞানী পল ডিরাকের মেধা ও গগনচুম্বী কৃতিত্ব ও অবদান যেন তাঁর অস্বাভাবিক এবং জটিল চরিত্রের অন্ধকার আড়ালে লুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে উদাস ভঙ্গীতে। ড্যানিশ পদার্থবিদ নীলস বোর যাকে ‘দ্য স্ট্রেঞ্জেস্ট ম্যান’ বলেছেন; আইনস্টাইন যার সম্পর্কে লিখেছেন ‘…an awful balance between genius and madness.’ সেই জিনিয়াস, মৌনী, স্ট্রেঞ্জেস্ট কিংবদন্তী মানুষটির সমাধিস্থলে শ্রদ্ধার কয়েকটি ফুল রেখে গেলাম।
একটি অনন্য উপস্থাপনা। সত্যিই ... আইনস্টাইন, নীলস বোর, রাদারফোর্ড, হাইজেনবার্গ, শ্রয়ডিনজার ... বিশ্ববন্দিত এইসব বহু উচ্চারিত পদার্থবিদ্'দের নামের পাশে 'পল ডিরাক' .. এই নামটি যেন প্রায় অনুচ্চারিত ই থেকে গেছে।
ReplyDeleteঅসামান্য মেধা আর অনন্য প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটির অস্বাভাবিক দীর্ঘ নীরবতা, অন্তর্মুখীতা, লাজুক ও ভীতু স্বভাবের কথা .. . সত্যিই বিস্ময় জাগায়। আর এই অস্বাভাবিক চারিত্রিক জটিলতার কথা বলতে গিয়েই লেখক জানিয়েছেন ডিরাকের ছেলেবেলার কথা, যে যন্ত্রণাময় অস্বাভাবিক পারিবারিক পরিস্থিতির আবহে ডিরাকের বেড়ে ওঠা, সে সঙ্গেই ব্যক্তি জীবনের আরও নানা অজানা তথ্য..এসব লেখক তাঁর সাবলীল কলমের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন পাঠকের কাছে। প্রচারের আলোর প্রায় আড়ালে থাকা বিংশ শতাব্দীর এক অন্যতম প্রতিভাবান এই পদার্থবিদের ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের নানান অজানা তথ্যের ওপর লেখকের এই আলোকপাতের প্রচেষ্টা'কে সাধুবাদ জানাই।
একটি অনন্য উপস্থাপনা। সত্যিই ... আইনস্টাইন, নীলস বোর, রাদারফোর্ড, হাইজেনবার্গ, শ্রয়ডিনজার ... বিশ্ববন্দিত এইসব বহু উচ্চারিত পদার্থবিদ্'দের নামের পাশে 'পল ডিরাক' .. এই নামটি যেন প্রায় অনুচ্চারিত ই থেকে গেছে।
অসামান্য মেধা আর অনন্য প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটির অস্বাভাবিক দীর্ঘ নীরবতা, অন্তর্মুখীতা, লাজুক ও ভীতু স্বভাবের কথা .. . সত্যিই বিস্ময় জাগায়। আর এই অস্বাভাবিক চারিত্রিক জটিলতার কথা বলতে গিয়েই লেখক জানিয়েছেন ডিরাকের ছেলেবেলার কথা, যে যন্ত্রণাময় অস্বাভাবিক পারিবারিক পরিস্থিতির আবহে ডিরাকের বেড়ে ওঠা, সে সঙ্গেই ব্যক্তি জীবনের আরও নানা অজানা তথ্য..এসব লেখক তাঁর সাবলীল কলমের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন পাঠকের কাছে। প্রচারের আলোর প্রায় আড়ালে থাকা বিংশ শতাব্দীর এক অন্যতম প্রতিভাবান এই পদার্থবিদের ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের নানান অজানা তথ্যের ওপর লেখকের এই আলোকপাতের প্রচেষ্টা'কে সাধুবাদ জানাই।
একটি অনন্য উপস্থাপনা। সত্যিই ... আইনস্টাইন, নীলস বোর, রাদারফোর্ড, হাইজেনবার্গ, শ্রয়ডিনজার ... বিশ্ববন্দিত এইসব বহু উচ্চারিত পদার্থবিদ্'দের নামের পাশে 'পল ডিরাক' .. এই নামটি যেন প্রায় অনুচ্চারিত ই থেকে গেছে।
অসামান্য মেধা আর অনন্য প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটির অস্বাভাবিক দীর্ঘ নীরবতা, অন্তর্মুখীতা, লাজুক ও ভীতু স্বভাবের কথা .. . সত্যিই বিস্ময় জাগায়। আর এই অস্বাভাবিক চারিত্রিক জটিলতার কথা বলতে গিয়েই লেখক জানিয়েছেন ডিরাকের ছেলেবেলার কথা, যে যন্ত্রণাময় অস্বাভাবিক পারিবারিক পরিস্থিতির আবহে ডিরাকের বেড়ে ওঠা, সে সঙ্গেই ব্যক্তি জীবনের আরও নানা অজানা তথ্য..এসব লেখক তাঁর সাবলীল কলমের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন পাঠকের কাছে। প্রচারের আলোর প্রায় আড়ালে থাকা বিংশ শতাব্দীর এক অন্যতম প্রতিভাবান এই পদার্থবিদের ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের নানান অজানা তথ্যের ওপর লেখকের এই আলোকপাতের প্রচেষ্টা'কে সাধুবাদ জানাই।
একটি অনন্য উপস্থাপনা। সত্যিই .. আইনস্টাইন, নীলস বোর, রাদারফোর্ড,শ্রয়ডিনজার.. বহু উচ্চারিত এই নামগুলির পাশে "পল ডিরাক" এই নামটি প্রায় অনুচ্চারিত ই থেকে যায়। অসামান্য মেধা আর অনন্য প্রতিভার অধিকারী বিংশ শতাব্দীর অন্যতম উল্লেখযোগ্য এই পদার্থবিদের অস্বাভাবিক দীর্ঘ নীরবতা, প্রচারের আলোয় আসার অনীহা, অন্তর্মুখীতা, ভীতু ও লাজুক স্বভাবের কথা জেনে... সত্যিই বিস্ময় জাগে। আর এই অস্বাভাবিক চারিত্রিক জটিলতার কথা বলতে গিয়েই লেখক জানিয়েছেন পল ডিরাকের ছেলেবেলার কথা .. যে যন্ত্রণাময় অস্বাভাবিক পারিবারিক পরিস্থিতির আবহে ডিরাকের বেড়ে ওঠা আর সেই সঙ্গেই ব্যক্তিজীবনের আরও নানা কথা লেখক তাঁর সাবলীল কলমের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন পাঠকের কাছে। প্রচারের আলোর প্রায় আড়ালে থাকা বিংশ শতাব্দীর এক অন্যতম প্রতিভাবান এই পদার্থবিদের
@Anjana Ghosh
DeleteThank you so much for your remarks. খুব ভালো লাগল পড়ে জানানোর জন্যে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
Valo laglo tomar ei pratibedan. Valo thakbe. Pravuto valobasa.
ReplyDeleteধন্যবাদ অশোকদা,লেখাটি পড়ে জানালেন বলে।🙏শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়
Deleteসিদ্ধার্থ
লেখাটি পড়ে ভাল লাগল। বিজ্ঞানী ডিরাকের শৈশবের যে পারিবারিক পরিস্থিতির কথা আপনি লিখেছেন সেই পরিস্থিতিতে শিশু মনের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হয় খুব সঙ্গতভাবেই তার পরিণতি হল উদবেগজনিত আচরণ। পরবর্তীকালে যা ওনার মধ্যে তৈরি হয়েছিল।
ReplyDeleteধন্যবাদ জানাই আপনার মন্তব্যের জন্যে।
Delete