Next
Previous
0

সম্পাদকীয়

Posted in





কালের নিয়মে আরেকটি বছর সমাগতপ্রায়। অতঃপর নববর্ষ উদযাপন, চড়ুইভাতি, পিঠেপুলি উৎসব এবং বইমেলা। অতিমারির কালো ছায়া এসবই গ্রাস করে নিয়েছিল। গতবছরও পিছিয়ে যায় বইমেলার নির্ঘণ্ট। এবং শেষ পর্যন্ত যখন তা বাস্তবায়িত হয়, একপ্রকার অভূতপূর্ব উৎসাহ আর উদ্দীপনার ঝোঁক লক্ষ্য করা গিয়েছিল প্রতিদিনের মানুষ সমাগমে। জানা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে শুরু হওয়া বার্ষিক এই আয়োজন ভেঙে দিয়েছে আগের বছরগুলির বাণিজ্যের যাবতীয় রেকর্ড। শ্লাঘার কথা নিঃসন্দেহে। আশার আলো এই শিল্পের জন্য, যার ওপর নির্ভরশীল শত-সহস্র পরিবার। এর পরও একটি দুর্বিনীত প্রশ্ন মনের আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করতে থাকে। একই হারে পাঠক তৈরি হচ্ছে তো? এই ছবিটি বিভ্রান্তিকর নয়তো? একজন লেখক কি জানেন, কীভাবে তাঁর পাঠক জন্মলাভ করে? তিনি নিজেই কি সেই প্রথম পাঠক নন? মুদ্রণ এবং প্রকাশনা শিল্পের ওপর অনেকাংশেই বৃহত্তর পাঠক কূল নির্মাণের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কাজটি জরুরিতর হয়ে উঠেছে বলে মনে হয়।

একজন শ্রেষ্ঠ বাঙালি কথাশিল্পীর ধারণা ছিল আজীবন তিনি পাঠক রয়ে গিয়েছিলেন। এ মাসের ২৮ তারিখ রমাপদ চৌধুরি শতবর্ষ পূর্ণ করবেন। তাঁকে আমাদের সশ্রদ্ধ প্রণাম।




সুস্থ থাকুন। সৃজনে থাকুন।

শুভেচ্ছা অফুরান।