প্রবন্ধ - শৌনক ঠাকুর
Posted in প্রবন্ধবর্তমান দেশে বিদেশে যখন কাদামাটির তৈরি স্থাপত্য ভাস্কর্যের উপর বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ চলছে তখন আজ থেকে একশো সাত বছর আগে কবিগুরু দেখিয়ে গেছেন কিভাবে মাটিকে কাজে লাগিয়ে শিল্পবোধ ও সৌন্দর্যচেতনার প্রকাশ ঘটানো যায় শান্তিনিকেতনের বাড়িগুলিতে মাটির র স্থাপত্য ভাস্কর্যের সঙ্গে ছিল আভিজাত্যের ছোঁয়া।
ভারতবর্ষের ঐতিহ্য, পল্লী-ভাবনা, পল্লী-সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তবতা, মৌলিকতা -- এসবের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছিল শান্তিনিকেতনের এক একটি গৃহ। প্রত্যেকটি গৃহ কিন্ত তার স্বীয় স্বীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল।
কোণার্ক
আশ্রমের উত্তর দিক দিয়ে শুরু করি। উত্তর দিকে যে বাড়িটি রয়েছে তার নাম কোণার্ক। ‘কোণার্ক’ শব্দটিকে ভাঙলে পাওয়া যায় ‘কোণ’ ও ‘অর্ক’। ‘কোণ’ শব্দের অর্থ কোণ বা কোণা বা প্রান্ত। আর ‘অর্ক’ হল সূর্য। অতএব, ‘কোণার্ক’ শব্দটির অর্থ হল ‘সূর্যকোণ’। ১৯১৮ সালে শান্তিনিকেতন আশ্রমের উত্তর প্রান্তে এই বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু হয়। প্রথমে দু’টি মাটির ঘর তৈরি করা হয়। এর বছর দু’য়েক পরে শুরু হয় এই মাটির বাড়ি পরিমার্জন ও পরিবর্ধন। সালটি ১৯২১-২২। বাড়িটির স্থাপত্য শিল্পের দিক থেকে বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বহন করে ; —-
বাড়ি যে সাধারণ বাড়ি নয় এ কথা বলা বাহুল্য মাত্র। শুধু বাইরে নয় ভিতরেও একটা অভিনবত্ব রয়েছে।
বাড়িটির তল উঁচু প্লিন্থের। এই পিন্থ (Plinth) হল স্থাপত্যের একটি মৌলিক উপাদান। এটি দেখতে প্ল্যাটফর্মের মত । এটি স্তম্ভ ,মূর্তি বা অন্য কোনো কাঠামোর নিচে থাকে।
ঘরগুলোর সামনে বারান্দা রয়েছে। বারান্দাগুলো ঘরের সঙ্গেই অ্যাটাচ।
ঘরের উচ্চতার সঙ্গে তারতম্যের রেখে তৈরি করা হয়েছিল বাড়ির মেঝে।
ঘরের মাঝে রয়েছে ভেন্টিলেশন। এই ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে দিনের আলোর প্রবেশের পথটি সহজ ও সুগম হয়েছে।
মূল ঘরের ভিতের উচ্চতা প্রায় দু’ফুটের বেশি।
ইস্পাতের থামের উপর পেটাই টালির ছাদ। বীম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল ইস্পাত।
বারান্দার মেঝের উচ্চতা প্রায় নয় সাড়ে নয় ইঞ্চি।
এই ঘরের সামনেটা কাঁকর মাটি দিয়ে সুবিন্যস্ত ।
বাড়িটির সামনের দিকে শিমূল গাছের আধিক্য ছিল। অবশ্য অন্যান্য গাছও ছিল। তবে তার পরিমাণ কম।
কোনার্ক গৃহস্থাপত্যের দিক থেকে সহজ-সরল এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তায় গঠিত। সার্থক বাসপোযোগী পরিকল্পনার সঙ্গে ছিল সহজ-সরল গৃহবিন্যাস, আলো-বাতাসের উন্মুক্ততা।
উদয়ন
এবার পূর্ব দিকে হাঁটা দিই। উদয়ন কেবলমাত্র একটি ঘর নয় এগুলিকে ঘরের সমষ্টি বলা যেতে পারে। ‘উদয়ন’ একটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ হল ভোর বা সূর্যোদয়। এই গৃহের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯১৯-২০ সালে। তবে সমাপ্ত হতে সময় লেগেছিল প্রায় ১৮ বছর অর্থাৎ ১৯৩৮ সাল। বাড়িটি বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বহন করে ; —-
এটি মূলত অনেকগুলো ঘরের সমষ্টি।
বাড়িটি বেশ মজার। এর বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন রকম উচ্চতা রয়েছে। যেমন বসার ঘরের এবং শোয়ার ঘরের যে উচ্চতা মাঝের ঘরগুলো উচ্চতা কিন্ত আলাদা। আবার কোন কোন অংশের উচ্চতা প্রায় তিন তলার কাছাকাছি। উচ্চতার তারতম্য হলেও কিন্তু ঘরগুলো কখনই বিশদৃশ্য বা বেমানান নয়।
দোতলায় রয়েছে লম্বা বারান্দা। বারান্দাগুলিতে জয়পুর ঘরানার কংক্রিটের জালির কাজ শোভা বর্ধন করেছে।
বারান্দাগুলোর বৈঠকে মেজাজকে মাথায় রেখে তৈরি।
বারান্দার কাজের সঙ্গে ঘরের কাজের বিস্তর ফারাক। ঘরের দেওয়াল শীতলপাটি ও কাঠের পাল্লা দিয়ে তৈরি।
দেয়াল ও মেঘের সংযোগস্থলটি মুড়ে দেওয়া ছিল।
সিলিংগুলিতে অবশ্য পাতলা কাঠের কারুকার্য ছিল।
কাঠের সিলিং এর ভাবনা গৃহপ্রবেশ নাটকে যতীনের ছিল।
ঘরের সামনে মোরামে ঢাকা উদ্যান।
অবশ্য ঘরের পিছন দিকেও ছিল উদ্যান , গুহাগৃহ , চিত্রভানু এবং জাপানি বাগিচার বিন্যাস ইত্যাদি। বিশিষ্ট লেখক অরুণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় --- ‘শান্তিনিকেতন আশ্রম স্থাপত্য ও রবীন্দ্রনাথ’ নামক প্রবন্ধে বলেছেন,“ সামনের elevation এবং গৃহের পিছনের উদ্যান, গুহাঘর, চিত্রভানু, জাপানি বাগিচার বিন্যাস —- সব মিলেমিশে প্রাচ্য আভিজাত্যের নিদর্শনই বহন করে।”
উদয়ন যেন এক ‘ত্রিমাত্রিক ভাস্কর্যের’ দৃষ্টান্ত। নানান বৈচিত্র্যে ঋদ্ধ, রূপ-রস-গন্ধের বিন্যাসে শোভিত এই উদয়ন রবীন্দ্রনাথের সৌন্দর্য ও আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ ছিল।
শ্যামলী
কবিগুরু তার ৭৫-তম জন্মদিনে (১৯৩৫ সালে) যে বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন সেই বাড়িটির নাম শ্যামলী। কবি অবশ্য নিজেই লিখেছেন ; —-
“শ্যামলী মাটির বাড়ি, এ আমার শ্যামলী, আমার শেষ আশ্রয়।”
এটি উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এ বাড়ির নকশা তৈরি করেছিলেন সুরেন কর। সুরেন কর ছিলেন কবির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং শান্তিনিকেতনের একজন বিখ্যাত স্থপতি। তিনি ১৯২৭ সালে জাভা সফরে গিয়ে বাটিক শিল্প বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন। এই বাড়িটির স্থাপত্যের দিক থেকে বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বহন করে। এটা মাটির বাড়ি , মাটির ছাদ , মাটির মেঝে।অভিনব পরিকল্পনা করলেন।
এই ঘরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই ঘরে চৌকাঠ বলে কিছু নেই। এমনকি সিড়িও নেই। ঘর এবং পথের তফাৎ বোঝা যাবে না। মানে কবি বলতে চেয়েছেন পথ যেন অবাধে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করবে। ঘরেই পথ আবার পথেই ঘর।
ঘরের চারিদিকে চুন বালির আস্তানা দিয়ে মাটির হাড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। যাতে বাইরের উত্তাপ ঘরে প্রবেশ করতে না পারে। সকালে ঘর যাতে ঠান্ডা থাকে। দেয়াল তৈরি হয়েছিল উলু-খড় ও মাটি দিয়ে মাটির সঙ্গে গোবর আলকাতরা আর বেনাগাছে টুকরা মিশিয়ে মসলা তৈরি করে দেওয়ালে আলকাতরা দেয়া হয়েছিল। এর ফলে উইপোকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পুরু লাল মাটির দেওয়াল। লালমাটির দেশের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে এ বাড়ির ছাদটাও মাটির। কবির আমন্ত্রণে এ বাড়িতেই সস্ত্রীক এসেছিলেন গান্ধীজি। কাটিয়েছিলেন গুরুদেবের সঙ্গে বেশকিছুটা সময়। বাড়িটির সামনের অংশ বৌদ্ধ চৈতের আদলে তৈরি হয়েছিল।
ঘরের এক পাশে ছিল জাম , বেল , মাদার , কুরচি। আর অন্যপাশে তেঁতুল , আতা , শিরীষ , ইউক্যালিপটাস। সামনের আঙিনা ছিল গোলঞ্চের বাহার। পিছনের দিকে ছিল কাঁঠাল, আমসহ বিভিন্ন গাছ।
কবি বেলফুল সহ বিভিন্ন ফুলের টব দিয়ে সাজিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল বাতাবি পাতিলেবুর গাছ। লেবু ফুলের গন্ধ কবিগুরুর খুব প্রিয় ছিল।
এই বাড়ির দেওয়ালে হাই রিলিফ কাজ। হাই রিলিফ (High Relief) হল এমন একটি ভাস্কর্য যেখানে খোদাই করা মূর্তি বা নকশার অংশগুলি পটভূমি থেকে প্রায় অর্ধেক বা তার বেশি পরিমাণ খোদাই করা হয়। এর ফলে মূর্তিগুলো প্রায় স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়িয়ে থাকার মতো দেখায়।
দরজা দু’পাশে সাঁওতাল ও সাঁওতালি দম্পতির ছবি। (ছবিটি রামকিঙ্কর বেজের আঁকা)
মাটির সার্থক ব্যবহার যে কিভাবে করতে হয় তার প্রমাণ এই শ্যামলী গৃহটি।
শ্যামলী বাড়িটি রবীন্দ্রনাথের খুব প্রিয় ছিল। তিনি কখনও আম গাছে নিচে, কখনও গোলঞ্চ গাছের পাশে, হাজার মৌমাছির গুঞ্জনে রচনা করে গেছেন সাহিত্যের অমর সৃষ্টি। রাণী চন্দ তাই সস্নেহ সুরে বলেন , শ্যামলীর চারদিক ঘিরে সে যেন এক ছোট ছেলের খেলা। ‘শেষ সপ্তক’-এ ‘চুয়াল্লিশ নম্বর’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন ---
“আমার শেষবেলাকার ঘরখানি
বানিয়ে রেখে যাব মাটিতে,
তার নাম দেব শ্যামলী।
পুনশ্চ
কবির স্বপ্নের শ্যামলী টানা বর্ষণ আর ঝড়ের দাপটে ভগ্ন প্রায় হয়ে পড়ে। দেওয়ালের কিছু অংশ এবং ছাদের কিছু অংশ ভেঙে যায়। আবার নতুন উদ্যমে শুরু হয় মেরামতির কাজ। নতুন গৃহ নাম রাখা হল পুনশ্চ। শ্যামলীর একটা সংস্করণ পুনশ্চ। শিল্প সংস্কৃতির দিক থেকে এই বাড়িটি বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বহন করে ; —-
এই ভিত ছিল বেশ খানিকটা উঁচু ।
ঘরের সামনে ছিল একটা স্টেপ বাগান।
পূর্ব দিকের বারান্দায় প্রথম সূর্যের কিরণ এসে পড়ত। কবি সেখানে লেখালেখির পাশাপাশি চিত্রকলাতেও মনোনিবেশ করেছিলেন।
আবার রৌদ্র যখন প্রখর হয়েছে তখন তাকে আড়াল করার জন্যেও এর বিপরীত কোণে দুটি জানলার লাগানো হয়েছিল।
ঘরের মধ্যেকার বায়ু চলাচলের সুগম ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বাড়িতে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল সৌন্দর্য ।
প্রয়োজনের সাথে সৌন্দর্য চেতনার হর-গৌরির মিলন ঘটেছিল।
আসবাবপত্রের দিকে খেয়াল রাখা হয়েছিল।
কাঠের বড় বড় বাক্সগুলিকে একদিকে যেমন স্টোর তেমনি বসার জায়গা সে ব্যবহার করা হয়েছিল
বাড়িটির গঠন শৈলীতে অভিনবত্ব আছে।
উদীচী
কবি রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষ বাড়ি ছিল উদীচী । ‘উদীচী’ শব্দের অর্থ হল বৃদ্ধি, সমৃদ্ধি এই বাড়িটির অবস্থান ছিল পূর্ব দিকে। দোতলা বাড়ি। ছোট ছোট ঘর। এটি তৈরি করা হয় ১৯৩৮ সালে।বাড়িটি বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বহন করে ; —-
পূর্ব দিকে অবস্থান হওয়ায় এর নাম ছিল উদীচী।
ছোট ছোট অনেকগুলো ঘর ।
প্রথমে একতলার দিকটা ফাঁকা ছিল শুধুমাত্র কয়েকটি থাম তার ওপরে দোতলার অংশ নিচটা খোলা।
এগুলো ডুপ্লেক্স (Duplex house) বাড়ি বাড়ি গুলি এমন ধরনের আবাসিক ভবন যেখানে একই কাঠামোর মধ্যে দুটি পৃথক বাসস্থানের ব্যবস্থা থাকে প্রতিটি ঘরে নিজস্ব প্রবেশপথ রাখার জায়গা এবং শয়নকক্ষ।
সুন্দর উদ্যান বিন্যাস এবং বাগানের পরিকল্পনা।
ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচারের সার্থক প্রয়োগ এটি।
তবে অন্যান্য বাড়িগুলো তুলনায় এ বাড়ির ব্যয় কম।
অজন্তা গুহার অনুকরণে করা হয়েছিল থামগুলি।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গাছের অবস্থান ছিল প্রাঙ্গণে।
এই বাড়ির চাতাল বারান্দা সিঁড়ি সবমিলিয়ে ভারতীয় স্থাপত্য শিল্পের উজ্জ্বলতম নিদর্শন।
সাধারণভাবে শিল্পী তার শিল্পসত্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটান কখনও শব্দে, কখনও সুরে, কখনও বা রঙে। কিন্ত রবীন্দ্রনাথ শুধু এসবের মধ্যে নিজেকে ধরে রাখলেন না। তিনি প্রমাণ করলেন বাস্তুশিল্প বা স্থাপত্যকলাতেও সৌন্দর্যবোধের প্রকাশ ঘটানো সম্ভব। শান্তিনিকেতনের এক একটি বাড়ি স্থাপত্যকার রবীন্দ্রনাথের সফলতম ফসল।পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থাপত্য নির্মাণে তিনি অভিনবত্ব দেখিয়েছেন।আশ্রমের রূপ পরিবেশ সামগ্রিক বাস্তুশিল্পের সাথে পরিবেশবান্ধব এক আদর্শ স্থাপন করেছিলেন। খেয়ালি-কবি বাড়ি বদল করতে ভালবাসতেন। বলেছিলেন মাটির বাড়ি ‘শ্যামলী’ তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। কিন্ত এগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য কবিগুরুকে নানান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে পড়তে হয়েছিল। কিন্ত ভালো কাজেই বাধা আসে। কিন্ত সে বাধা ভালো কাজকে রুদ্ধ করতে পারে না। তাই বাধা এসেছে, সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি করেছে আবার সমাধানের পথ বেরিয়ে এসেছে। এভাবেই মানবনির্মিত পরিবেশ এবং প্রকৃতিনির্মিত পরিবেশের সার্থক সমন্বয়ে তৈরি হয়েছিল এই গৃহগুলি। সৌন্দর্যবোধের সাথে সামগ্রিক জীবন বোধের মেলবন্ধন ঘটিয়েছিল যা এই আশ্রমটিকে এনে দিয়েছিল সজীবতা ও তপোবন-সুলভ মাধুর্যতা।
--------------------------
গ্রন্থঋণ
‘গুরুদেব’ - রানী চন্দ
‘রবীন্দ্রনাথ ও লোক সাহিত্য’ - ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য
‘শান্তিনিকেতন আশ্রম স্থাপত্য ও রবীন্দ্রনাথ’ - অরুনেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘শান্তিনিকেতন ও রবীন্দ্রনাথ’ - ডঃ অতসী সরকার
পশ্চিমবঙ্গ রবীন্দ্র সংখ্যা ১৪০৩
0 comments: