undefined
undefined
undefined
কবিতা - সমরেন্দ্র বিশ্বাস
Posted in কবিতাছন্দের উদাসীন ঝংকার। তাই দেখে টু্পটাপ গলে গলে পড়ে সূর্য।
উদভ্রান্ত মন সাঁতরে যেতে চায়। মায়াবী আলোর নদী।
বুকের মধ্যে উথাল পাথাল। সূর্য-গলা নদীর জল লাল।
নাকি তোমার শালোয়ার কামিজ প্রতিবিম্বিত? তারই রঙ নদীতে।
স্টীলের ব্রীজ হাওয়ায় দোলে, তরঙ্গে তরঙ্গে বিদ্রোহিনী উচ্ছ্বাস?
নাকি তুমি এসেছো, তাতেই হাওয়ারা পাগল পাগল? গ্যালন গ্যালন প্রজাপতি!
সবাই মাতাল। নরম পাখনায় উড়ছে সবাই - তোমাকেই দ্যাখে।
অথচ আমি গান গাইতে পারছি না। পঙ্গুগ্রস্ত একটা দোতারা।
না কি আমার মধ্যেই ভয়! তোমাকে না পাবার! তোমাকে হারাবার?
গলে যাওয়া সূর্যটার জন্যে নদীর জল ঘোলা ও হলুদ।
সূর্যকে গিলে নদী ভেসে যাচ্ছে দূর সমুদ্রে, তুমিও সরে যাচ্ছো অজানায়?
নদী পাড়ে আমি একলা, শরীরে শাপ ভ্রষ্ট প্রেম, আমার দূহাত শূণ্য!
সামনে স্মৃতিভ্রষ্ট ছায়াছবি। আকাশ লাল। তোমার সালোয়ার কামিজ উড়ছে।
ডেকে ডেকে দূরে চলে যাচ্ছে ব্যথার পাখি। বেবাক আমি স্থানু।
সূর্য-গলা নদী জল অপসৃয়মান। লাল দৃশ্যের ঝঙ্কারে আমিও উদাসীন।
ছুঁতে যাই, পিছলে যায় মহাকাব্য। পিপাসার্ত আমি, নদীর জলও অচ্ছুত।
চাতক-বারি মন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়, তবু দিনানুদিন স্বপ্নেরা আসে, জলে ভাসে।
অচ্ছুত নদী ধারে অস্পৃশ্য-আমি যুগ যুগ তোমার অপেক্ষায়!
সূর্য-গলা লাল নদী ছুঁতে পারি কই? শালোয়ার কামিজের প্রতিবিম্ব অধরাই!
ছুঁতে পারি না তোমাকেও। আমার রাস্তায় জবরদস্ত রোড-রোলার প্রতিদিন।
একটা স্বপ্নালু আত্মা তোমাকে চায়। অথচও রৌদ্র গলা পীচে তালাবন্দী দুটো পা।
দেখো কি?
অথচ কত অনায়াসেই প্রাত্যহিক লাল পোষাকে তুমি নির্বিকার হাঁটো!
ছন্দের উদাসীন ঝংকারে নিয়তই আহত আমি। টুপ করে গলে পড়ে সূর্য।
সূর্য-গলা নদী লাল? জলস্রোতে তোমার কামিজের রঙ, না কি আমার বুকের রক্ত?
উদভ্রান্ত মন সাঁতরে যেতে চায়। মায়াবী আলোর নদী।
বুকের মধ্যে উথাল পাথাল। সূর্য-গলা নদীর জল লাল।
নাকি তোমার শালোয়ার কামিজ প্রতিবিম্বিত? তারই রঙ নদীতে।
স্টীলের ব্রীজ হাওয়ায় দোলে, তরঙ্গে তরঙ্গে বিদ্রোহিনী উচ্ছ্বাস?
নাকি তুমি এসেছো, তাতেই হাওয়ারা পাগল পাগল? গ্যালন গ্যালন প্রজাপতি!
সবাই মাতাল। নরম পাখনায় উড়ছে সবাই - তোমাকেই দ্যাখে।
অথচ আমি গান গাইতে পারছি না। পঙ্গুগ্রস্ত একটা দোতারা।
না কি আমার মধ্যেই ভয়! তোমাকে না পাবার! তোমাকে হারাবার?
গলে যাওয়া সূর্যটার জন্যে নদীর জল ঘোলা ও হলুদ।
সূর্যকে গিলে নদী ভেসে যাচ্ছে দূর সমুদ্রে, তুমিও সরে যাচ্ছো অজানায়?
নদী পাড়ে আমি একলা, শরীরে শাপ ভ্রষ্ট প্রেম, আমার দূহাত শূণ্য!
সামনে স্মৃতিভ্রষ্ট ছায়াছবি। আকাশ লাল। তোমার সালোয়ার কামিজ উড়ছে।
ডেকে ডেকে দূরে চলে যাচ্ছে ব্যথার পাখি। বেবাক আমি স্থানু।
সূর্য-গলা নদী জল অপসৃয়মান। লাল দৃশ্যের ঝঙ্কারে আমিও উদাসীন।
ছুঁতে যাই, পিছলে যায় মহাকাব্য। পিপাসার্ত আমি, নদীর জলও অচ্ছুত।
চাতক-বারি মন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়, তবু দিনানুদিন স্বপ্নেরা আসে, জলে ভাসে।
অচ্ছুত নদী ধারে অস্পৃশ্য-আমি যুগ যুগ তোমার অপেক্ষায়!
সূর্য-গলা লাল নদী ছুঁতে পারি কই? শালোয়ার কামিজের প্রতিবিম্ব অধরাই!
ছুঁতে পারি না তোমাকেও। আমার রাস্তায় জবরদস্ত রোড-রোলার প্রতিদিন।
একটা স্বপ্নালু আত্মা তোমাকে চায়। অথচও রৌদ্র গলা পীচে তালাবন্দী দুটো পা।
দেখো কি?
অথচ কত অনায়াসেই প্রাত্যহিক লাল পোষাকে তুমি নির্বিকার হাঁটো!
ছন্দের উদাসীন ঝংকারে নিয়তই আহত আমি। টুপ করে গলে পড়ে সূর্য।
সূর্য-গলা নদী লাল? জলস্রোতে তোমার কামিজের রঙ, না কি আমার বুকের রক্ত?
0 comments: