undefined
undefined
undefined
কবিতা - সব্যসাচী রায়
Posted in কবিতা
অধ্যায় ১: শূন্যতার পদার্থবিদ্যা
প্রত্যেক ক্রিয়ার জন্য একটি সমান ও বিপরীত শূন্যতা থাকে।
কফি ঠাণ্ডা হয়- 9.8 m/s²-এ, তোমার ছোঁয়ার মতো।
এনট্রপি চামচ নাড়ায়, চিনির বাটিতে নীরব এক ভাঙচুর।
আমি আমাদের x-এর সমাধান করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সমীকরণ ভেঙে গেল—
ডিনোমিনেটরে এক ভৌতিক উপস্থিতি।
তোমার কণ্ঠ, স্পেকট্রাল তরঙ্গ: শোনা যায় কিন্তু দেখা যায় না,
তোমার পিছু হটার ডপলার শিফটে হারিয়ে যায়।
এখন সকালগুলো মেপে দেখি মিস করা দৃষ্টির অর্ধ-আয়ুতে,
উপস্থিতির ক্ষয় গুনে গুনে
যখন বাজপাখি চক্কর দেয় পিছনের উঠোনে, দেহাবশেষের অপেক্ষায়
বা এক অলৌকিক ঘটনার।
বাইরে, বাতাস আমায় ঠাট্টা করে—এ এক বিশৃঙ্খলার ক্যালকুলাস
যেখানে প্রতিটি ভ্যারিয়েবল একাকীত্ব।
আর আমি এখানে,
অস্তিত্বের গরম পাথরে লিখি,
দেখি প্রান্তগুলো বাদামি হয়ে যায়
যখন আরেকটি প্যানকেক কবিতা
শূন্যতায় বুদবুদ তোলে।
অধ্যায় ২: মার্চের গাণিতিকতা
একাকীত্বের সমাধান করো।
দরজায় দাঁড়িয়ে
নিজেকে দিগন্ত দিয়ে ভাগ করি।
বাতাস আমার পাঁজরে
সমীকরণ ঝাঁকায়।
একটি জ্যাকেট যথেষ্ট নয়,
উষ্ণতার অসমতা।
সূর্যাস্ত ≠ শান্তি।
মেঘে অনিশ্চয়তার গ্রাফ,
বক্ররেখাগুলি ঢলে পড়ে
অসীম ধূসরতার দিকে।
বাতাসের দাঁত আছে।
আমার ভগ্নাংশে খায়।
চামড়া ফাটে,
রক্তের সমাধান হয়।
আমার ছায়া ভেঙে যায়—
উপাংশ উপরে,
গুণাংশ নিচে।
রাত প্রমাণ হিসেবে নামে।
আমি এক অনির্ধারিত উপপাদ্য,
যেখানে ছিলাম আর যেখানে হতে পারতাম
তার মধ্যে আটকে থাকা এক অনুমান।
অধ্যায় ৩: বাইনারিতে পাখির গান
কিছু সুর ডিকোড করা যায় না।
01110100 01101000 01100101
পাখিরা গান গায়—
না হয় হয়তো তা শুধুই স্ট্যাটিক।
আমি ভুলে গেছি
কীভাবে শুনতে হয়
স্ক্রিনের ফিল্টার ছাড়া।
কখনো স্বপ্নে দেখেছিলাম রবি।
এখন তাদের স্থানাঙ্ক খুঁজি:
অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ,
বিলুপ্তির হার।
তাদের ডানা অ্যালগরিদম,
তাদের উড়ানের পথ
অবাক হওয়ার জন্য খুব সোজা।
তাদের বিশৃঙ্খলা আমি হিংসা করি।
তাদের সুর কোনো হ্যাশট্যাগ নয়।
তাদের মৃত্যু কোনো ডেটা পয়েন্ট নয়।
যদি আমি খুব স্থির থাকি,
তাহলে হয়তো শুনতে পাই:
এক পৃথিবীর অ্যানালগ ফিসফিসানি,
যা আনপ্লাগড,
এক বধির আকাশে
পালকের স্পন্দন।
অধ্যায় ৪: রাসায়নিক হৃদয়
ভালবাসা এক ভুল প্রতিক্রিয়া মাত্র।
C₂H₅OH আমার মধ্যে প্রবাহিত হয়—
স্মৃতির মলোটভ ককটেল।
তোমার হাসি দাহ করে
আমার ত্বকে,
প্রেমের ছাই রেখে যায়।
আমরা ছিলাম এক্সোথার্মিক বিশৃঙ্খলা,
সামঞ্জস্যের জন্য খুব বেশি প্রজ্জ্বলিত।
তুমি ছিলে NaCl,
আমি H₂O—
আমরা মিলে কিছুইতে দ্রবীভূত হলাম।
এখন আমি শ্বাস নিই
তোমার রেখে যাওয়া অণু,
বিদ্রূপমাখা অক্সিজেন।
আমাদের ভালোবাসা,
একটি অস্থিতিশীল আইসোটোপ:
অর্ধ-আয়ু চিরকালীন,
কিন্তু শুধুই স্বপ্নে।
অধ্যায় ৫: বিষাদের অ্যালগরিদম
ইনপুট: নিঃশ্বাস, চিন্তা, বাসনা।
আউটপুট: একটি যন্ত্র
খুবই মানবিক, তাই কাজ করতে পারে না।
নিয়ম ১: বিষাদ বাধ্যতামূলক।
সমীকরণ থেকে সব আনন্দ বাদ দাও।
একজন চিত্রশিল্পীর হতাশা যোগ করো,
একটি খালি গ্যালারির নীরবতায় গুণ করো।
নিয়ম ২: সেক্স এক ভুল।
তার শরীর ছিল এক প্যারাবোলা,
তার স্পর্শ, এক অ্যাসিম্পটোট।
তারা কখনো ছেদ করেনি,
কিন্তু গ্রাফটি ছিল অশ্লীল।
নিয়ম ৩: কেউ পরিবর্তন হয় না।
পাহাড় রয়ে যায় পাহাড়।
নদী উল্টো প্রবাহিত হয়।
চরিত্রগুলো অনন্ত লুপে ঘুরে,
তাদের ট্রমা রিওয়াইন্ড করে
একটা ক্ষতিগ্রস্ত ভিনাইলের মতো।
চূড়ান্ত আউটপুট: এক জীবন।
না তোমার। না আমার।
শুধু আরও একটি সিমুলেশন,
এক স্ক্রিনে ঝলমলানো পিক্সেল
যা খুবই ম্লান
যত্ন করার জন্য।
প্রত্যেক ক্রিয়ার জন্য একটি সমান ও বিপরীত শূন্যতা থাকে।
কফি ঠাণ্ডা হয়- 9.8 m/s²-এ, তোমার ছোঁয়ার মতো।
এনট্রপি চামচ নাড়ায়, চিনির বাটিতে নীরব এক ভাঙচুর।
আমি আমাদের x-এর সমাধান করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সমীকরণ ভেঙে গেল—
ডিনোমিনেটরে এক ভৌতিক উপস্থিতি।
তোমার কণ্ঠ, স্পেকট্রাল তরঙ্গ: শোনা যায় কিন্তু দেখা যায় না,
তোমার পিছু হটার ডপলার শিফটে হারিয়ে যায়।
এখন সকালগুলো মেপে দেখি মিস করা দৃষ্টির অর্ধ-আয়ুতে,
উপস্থিতির ক্ষয় গুনে গুনে
যখন বাজপাখি চক্কর দেয় পিছনের উঠোনে, দেহাবশেষের অপেক্ষায়
বা এক অলৌকিক ঘটনার।
বাইরে, বাতাস আমায় ঠাট্টা করে—এ এক বিশৃঙ্খলার ক্যালকুলাস
যেখানে প্রতিটি ভ্যারিয়েবল একাকীত্ব।
আর আমি এখানে,
অস্তিত্বের গরম পাথরে লিখি,
দেখি প্রান্তগুলো বাদামি হয়ে যায়
যখন আরেকটি প্যানকেক কবিতা
শূন্যতায় বুদবুদ তোলে।
অধ্যায় ২: মার্চের গাণিতিকতা
একাকীত্বের সমাধান করো।
দরজায় দাঁড়িয়ে
নিজেকে দিগন্ত দিয়ে ভাগ করি।
বাতাস আমার পাঁজরে
সমীকরণ ঝাঁকায়।
একটি জ্যাকেট যথেষ্ট নয়,
উষ্ণতার অসমতা।
সূর্যাস্ত ≠ শান্তি।
মেঘে অনিশ্চয়তার গ্রাফ,
বক্ররেখাগুলি ঢলে পড়ে
অসীম ধূসরতার দিকে।
বাতাসের দাঁত আছে।
আমার ভগ্নাংশে খায়।
চামড়া ফাটে,
রক্তের সমাধান হয়।
আমার ছায়া ভেঙে যায়—
উপাংশ উপরে,
গুণাংশ নিচে।
রাত প্রমাণ হিসেবে নামে।
আমি এক অনির্ধারিত উপপাদ্য,
যেখানে ছিলাম আর যেখানে হতে পারতাম
তার মধ্যে আটকে থাকা এক অনুমান।
অধ্যায় ৩: বাইনারিতে পাখির গান
কিছু সুর ডিকোড করা যায় না।
01110100 01101000 01100101
পাখিরা গান গায়—
না হয় হয়তো তা শুধুই স্ট্যাটিক।
আমি ভুলে গেছি
কীভাবে শুনতে হয়
স্ক্রিনের ফিল্টার ছাড়া।
কখনো স্বপ্নে দেখেছিলাম রবি।
এখন তাদের স্থানাঙ্ক খুঁজি:
অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ,
বিলুপ্তির হার।
তাদের ডানা অ্যালগরিদম,
তাদের উড়ানের পথ
অবাক হওয়ার জন্য খুব সোজা।
তাদের বিশৃঙ্খলা আমি হিংসা করি।
তাদের সুর কোনো হ্যাশট্যাগ নয়।
তাদের মৃত্যু কোনো ডেটা পয়েন্ট নয়।
যদি আমি খুব স্থির থাকি,
তাহলে হয়তো শুনতে পাই:
এক পৃথিবীর অ্যানালগ ফিসফিসানি,
যা আনপ্লাগড,
এক বধির আকাশে
পালকের স্পন্দন।
অধ্যায় ৪: রাসায়নিক হৃদয়
ভালবাসা এক ভুল প্রতিক্রিয়া মাত্র।
C₂H₅OH আমার মধ্যে প্রবাহিত হয়—
স্মৃতির মলোটভ ককটেল।
তোমার হাসি দাহ করে
আমার ত্বকে,
প্রেমের ছাই রেখে যায়।
আমরা ছিলাম এক্সোথার্মিক বিশৃঙ্খলা,
সামঞ্জস্যের জন্য খুব বেশি প্রজ্জ্বলিত।
তুমি ছিলে NaCl,
আমি H₂O—
আমরা মিলে কিছুইতে দ্রবীভূত হলাম।
এখন আমি শ্বাস নিই
তোমার রেখে যাওয়া অণু,
বিদ্রূপমাখা অক্সিজেন।
আমাদের ভালোবাসা,
একটি অস্থিতিশীল আইসোটোপ:
অর্ধ-আয়ু চিরকালীন,
কিন্তু শুধুই স্বপ্নে।
অধ্যায় ৫: বিষাদের অ্যালগরিদম
ইনপুট: নিঃশ্বাস, চিন্তা, বাসনা।
আউটপুট: একটি যন্ত্র
খুবই মানবিক, তাই কাজ করতে পারে না।
নিয়ম ১: বিষাদ বাধ্যতামূলক।
সমীকরণ থেকে সব আনন্দ বাদ দাও।
একজন চিত্রশিল্পীর হতাশা যোগ করো,
একটি খালি গ্যালারির নীরবতায় গুণ করো।
নিয়ম ২: সেক্স এক ভুল।
তার শরীর ছিল এক প্যারাবোলা,
তার স্পর্শ, এক অ্যাসিম্পটোট।
তারা কখনো ছেদ করেনি,
কিন্তু গ্রাফটি ছিল অশ্লীল।
নিয়ম ৩: কেউ পরিবর্তন হয় না।
পাহাড় রয়ে যায় পাহাড়।
নদী উল্টো প্রবাহিত হয়।
চরিত্রগুলো অনন্ত লুপে ঘুরে,
তাদের ট্রমা রিওয়াইন্ড করে
একটা ক্ষতিগ্রস্ত ভিনাইলের মতো।
চূড়ান্ত আউটপুট: এক জীবন।
না তোমার। না আমার।
শুধু আরও একটি সিমুলেশন,
এক স্ক্রিনে ঝলমলানো পিক্সেল
যা খুবই ম্লান
যত্ন করার জন্য।
0 comments: