0

প্রবন্ধ - সব্যসাচী রায়

Posted in




















২০ শতাব্দীর প্রথম দিক থেকে ২১শ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত ভারত ও বহুজাতিক কর্পোরেশন (এমএনসি)–এর সম্পর্ক মর্মান্তিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। প্রাথমিকত উপনিবেশিক প্রয়োজন দ্বারা পরিচালিত এবং পরবর্তীতে সার্বভৌম অর্থনৈতিক নীতির দ্বারা পরিচালিত, ভারতের বৈশ্বিক পুঁজির সঙ্গে সম্পৃক্ততা কখনো স্বাগত, কখনো সংরক্ষণবাদ, তারপর মুক্তিবাদ এবং সাম্প্রতিককালে সূক্ষ্ম সন্দেহের মধ্যে দোলাচ্ছল করেছে। এই প্রবন্ধে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলনা এবং বৈপরীত্যের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করব—কীভাবে ভারতের এমএনসির প্রতি নীতি গঠিত হয়েছে, সহযোগিতা বা দ্বন্দ্বের কারণগুলি কী ছিল, এবং এর জাতীয় উন্নয়ন ও কর্পোরেট কৌশলের উপর প্রভাব কী কী।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: সাম্রাজ্যবাদী শুরু ও স্বাধীনতার পর সতর্কতা

ব্রিটিশ রাজের সময়ে ভারতের অর্থনীতি বৈশ্বিক সাম্রাজ্যবাদের অংশ ছিল। প্রধানত ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় এমএনসিগুলো চাষ, রেল ও খনন শিল্প পরিচালনা করত। কর্পোরেট বিনিয়োগ ছিল বেশিরভাগই শোষণমূলক: লাভ বিদেশে স্থানান্তরিত হত, স্থানীয় অবকাঠামো বা দক্ষতা বিকাশে পুনরায় বিনিয়োগের তুলনায় অনেক বেশি লাভ উত্তোলন হত, যা এক অসম উন্নয়নের চিত্র রেখে গিয়েছিল।

১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার পর ভারত মিশ্র-অর্থনীতির মডেল গ্রহণ করে। দেশটি আমদানিপূরণ শিল্পায়নের মাধ্যমে স্বনির্ভরতার পথে হাঁটায়। ১৯৫৬ সালের শিল্পনীতি প্রস্তাবে “কোর”, “জরুরি” ও “বেসরকারি” খাত নির্ধারণ করা হয়। কোর ও ভারী শিল্প রাষ্ট্রের দায়িত্বে রাখা হয়, বেসরকারি (বহুজাতিকসহ) বিনিয়োগ কঠোর নিয়ন্ত্রণের আওতায় আসে। লাইসেন্স, কোটা ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এমএনসির প্রবেশ কঠিন করেছিল। ১৯৬০ এর দশকে ভারতের বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) মোট জিডিপির মাত্র ০.০৪% ছিল, যা বৈদেশিক পুঁজির উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশের আর্থিক সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার নীতি প্রতিফলিত করেছিল।

সংরক্ষণবাদ বনাম বাস্তববাদ

২০ শতাব্দীর সংরক্ষণবাদ:

লাইসেন্স রাজ: এমএনসিগুলোকে বহু দপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হত; দীর্ঘবিচারের কারণ সময়সীমা লংঘিত হতো এবং প্রতি খাতে সর্বোচ্চ ২০% বৈদেশিক মালিকানা সীমা বড় বিনিয়োগকে বিঘ্নিত করেছিল।

ঘরোয়া উদ্যোগের প্রাধান্য: সরকারি ক্রয়নীতি ও প্রকল্পে ঘরোয়া প্রতিষ্ঠানের অগ্রাধিকার প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বিশ্ব বাজারে সংযুক্তি বন্ধ করে দেয়।

ফলাফল: স্বনির্ভরতা হালকা ভারী শিল্প গড়ে তুললেও অদক্ষতা, কম উৎপাদনশীলতা ও প্রযুক্তিগত স্থবিরতা বাড়ায়।

উদারীকরণ (১৯৯১ থেকে) ও প্রারম্ভিক ২১শ শতাব্দীর বাস্তববাদ:

অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে ভারত লাইসেন্স রাজ ভেঙে ফেলে, এফডিআই সীমা শিথিল করে এবং টেলিকম, ব্যাংকিং, অটোমোবাইল খাত উন্মুক্ত করে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) ও কর-ছাড় প্রণোদনা দিয়ে রপ্তানিমুখী এমএনসিদের আকৃষ্ট করা হয়—স্যামসাং, হোন্ডা, কোকা-কোলা–এর মতো প্রতিষ্ঠান বড় কারখানা স্থাপন করে। ফলাফলস্বরূপ প্রযুক্তি বিস্তৃতি, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও পরিষেবা ও উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান দ্রুত বৃদ্ধি পায়; এফডিআই প্রবাহ ১৯৯০ সালে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০০৮ সালে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও ওপর গিয়ে পৌঁছায়।

তুলনামূলক বিশ্লেষণ: সহযোগিতা ও দ্বন্দ্বের চালক

সম্পৃক্ততার অনুপ্রেরণা:

২০ শতাব্দীতে ভারত রক্ষণশীল ছিল, ক্ষয়িষ্ণু দেশীয় শিল্পকে রক্ষায় এমএনসিদের প্রতিযোগিতা থেকে সংরক্ষণ করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল।

২১ শতাব্দীতে গুরুত্ব পড়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে; ভারতে বিনিয়োগের মাধ্যমে খেলার গ্যাপ পূরণ ও উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক কাঠামো:

১৯৯১ পূর্ববর্তী কঠোর নিয়ন্ত্রণ: জটিল লাইসেন্স ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা এমএনসিদের উচ্চ প্রবেশব্যয় চাপিয়ে দেয়।

ক্রমাগত উদারীকরণ: উদারীকরণে বৈদেশিক মালিকানা সীমা (অনেক ক্ষেত্রে ১০০% স্বয়ংক্রিয় অনুমোদন) বাড়ানো, ই-ফার্ম পদ্ধতিতে প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও পক্ষপাতহীন বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব:

২০ শতাব্দীতে: সীমিত এমএনসি উপস্থিতিতে প্রযুক্তি গ্রহণ ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ধীরগতি ছিল; তথাপি ঘরোয়া স্টিল, ঔষধ ও অটোমোবাইল শিল্প গড়ে ওঠে।

২১ শতাব্দীতে: এমএনসি–গুলি পুঁজি, ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও বৈশ্বিক সরবরাহশৃঙ্খল যোগান নিয়ে আসে; তবে জমি অধিগ্রহণ, শ্রমনীতি ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের স্থানচ্যুতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

রাজনৈতিক ও জনমত:

রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদ: স্বাধীনতার পর ভারত এমএনসিদেরকে সন্দেহের চোখে দেখে, তাঁদের উপনিবেশিক শোষণের সাথে যুক্ত করে।

আধুনিক দ্বৈতমনা: একদিকে যারা এমএনসিদের প্রসারকে সাধুবাদ জানায়, অন্যদিকে কিছুজন লভ্যাংশ প্রত্যাগত, পরিবেশগত ক্ষতি ও সামাজিক অসমতা নিয়ে সমালোচনা করে।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উভয় পক্ষের কথাবার্তা উসকে দেওয়া হচ্ছে। এনজিও ও কর্মী সংগঠনগুলি এমএনসি প্রকল্পের বৃহৎ জমি অধিগ্রহণে স্থানীয় সম্প্রদায়ের উৎখাত এবং পরিবেশের অবনতি তুলে ধরে ভাইরাল প্রচার করে। বিপণন মণ্ডলী এবং গবেষণা সংস্থাগুলি বলছেন—এই সমালোচনা লক্ষ লক্ষ সরাসরি ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান এবং অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা ও ডিজিটাল সংযোগে এমএনসিদের অবদানের কথা ভুলে যায়। এছাড়া নির্বাচনেও নানা রাজ্যের নীতি এই কর্পোরেট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা হয়ে উঠেছে—বৃদ্ধি ও ন্যায়ের মধ্যে সূক্ষ্ম সমন্বয়কারী নীতি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট।

একবিংশ শতকে সম্পর্কের পতন না পুনর্বিন্যাস?

সাম্প্রতিক মন্দা ও নীতিগত প্রতিক্রিয়া

নীতিগত অনিশ্চয়তা: ই-কমার্স, তথ্য সংরক্ষণ, ও ডিজিটাল ট্যাক্স সংক্রান্ত হঠাৎ পরিবর্তিত নীতিমালা বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলির (এমএনসি) আস্থা টলিয়ে দিয়েছে (যেমন: ফ্ল্যাশ সেল নিষেধাজ্ঞা বা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভোটাধিকার সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা)।

ভূ-রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস: আমেরিকা-চীন প্রযুক্তি দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে, ভারত এখন বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার মাঝে ভারসাম্য রাখতে বাধ্য, যার প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধকরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এই অনিশ্চিত পরিবেশে বহু বহুজাতিক সংস্থা আপাতত "ঘটনার-মোড়-ঘোরার-অপেক্ষায়-থাকা" মনোভাব নিয়েছে, নীতিগত অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বড় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সিইও মন্তব্য করেছেন, তথ্য সার্বভৌমত্ব ও ডিজিটাল কর সংক্রান্ত অনির্দিষ্টতা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের রিটার্ন হিসাবকে কঠিন করে তুলছে, ফলে কর্পোরেট স্তরে ঝুঁকিবিমুখতা বেড়েছে। পাশাপাশি, ভারতের কৌশলগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার অভিমুখ বিদেশি সরবরাহ শৃঙ্খল ও নিরাপত্তা নিরীক্ষা আরও কঠোর করেছে, অনুমোদন প্রক্রিয়া মন্থর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিছু সংস্থা তাদের অভ্যন্তরীণ পরিচালন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করছে, ভারত-কেন্দ্রিক নীতিমালা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করছে, এবং স্থানীয় অংশীদারিত্ব বাড়িয়ে ভারতের প্রতি প্রতিশ্রুতি দেখাতে চাইছে। এসব অভিযোজনের লক্ষ্য—কর্পোরেট স্বার্থ সংরক্ষণ এবং ভারতের পরিবর্তিত নীতিগত অগ্রাধিকারের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো।

কর্পোরেট প্রতিক্রিয়া

কিছু সংস্থা “চায়না-প্লাস-ওয়ান” কৌশল গ্রহণ করে ভারতে উৎপাদন ও ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। অনেকেই নতুন প্রকল্প স্থগিত রেখেছে অথবা আরও স্বচ্ছ নীতিগত পরিবেশের দাবি জানিয়েছে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অনিশ্চয়তা তুলে ধরে। অনেক সংস্থাই এখন তাদের ভারতে উপস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করছে—স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, ঝুঁকি ও লাভ ভাগ করে নেওয়ার যৌথ উদ্যোগে যাচ্ছে। তারা সম্মতি টিম গঠন করছে, নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে, এবং ভারতে কেন্দ্রিক পরামর্শদাতা বোর্ড তৈরি করছে যাতে নীতিগত পরিবর্তন আগাম আঁচ করা যায়। কেউ কেউ তাদের লক্ষ্য স্থানান্তর করছে টিয়ার-২ ও টিয়ার-৩ শহরের দিকে, যেখানে জমি, শ্রম ও লজিস্টিক তুলনায় স্থিতিশীল হলেও বাজার ছোট। শিল্প সংগঠনগুলিও এক্ষেত্রে সক্রিয়, তারা এক-জানালার অনুমোদন ব্যবস্থা চালুর দাবিতে রাউন্ডটেবিল আলোচনা ও শ্বেতপত্র তৈরি করছে। আশা—হঠাৎ আদেশ নয়, বরং ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে টেকসই ও মসৃণ বৃদ্ধির পথ সুগম হবে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

ডিজিটাল অর্থনীতি: সফটওয়্যার ও ফিনটেক ক্ষেত্রে ভারতীয় ইউনিকর্নগুলির উত্থান পশ্চিমা কর্পোরেশনদের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পারস্পরিক উদ্ভাবনী সহযোগিতার পথ তৈরি করছে।

নির্বাচিত অংশগ্রহণ: "আত্মনির্ভর ভারত" উদ্যোগ এক ধরনের স্বনির্ভরতার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, তবে তা সেমিকন্ডাক্টর, পরিকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য শক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে MNC-দের স্বাগত জানায়—শর্ত, তারা যেন ঘরোয়া সক্ষমতা গঠনে অবদান রাখে।

এই প্রেক্ষিতে বহু এমএনসি স্থানীয় গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে দক্ষতা উন্নয়ন চুক্তি করছে, এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশীয় সরবরাহকারীদের শক্তিশালী করছে। তারা “মেক ইন ইন্ডিয়া” গাইডলাইনের আওতায় কারখানা তৈরি করছে, যাতে ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ও সরবরাহ শৃঙ্খল স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পও শুরু হচ্ছে, যেখানে প্রকৌশলী ও কারিগরি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে। চুক্তিতে দেশীয় কনটেন্ট শর্ত জুড়ে দিয়ে এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে বিনিয়োগ করে, এই সংস্থাগুলি দেখাচ্ছে—ভারতের কৌশলগত খাতে অংশগ্রহণ শুধু লাভজনকই নয়, বরং রূপান্তরমূলক, কারণ তারা দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় লক্ষ্যে সহায়ক টেকসই ইকোসিস্টেম তৈরি করে।

উপসংহার

ভারত ও বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলির সম্পর্কের গতি এক শতকের মধ্যে সন্দেহপ্রসূত সংরক্ষণবাদ থেকে উদার মুক্তবাজার এবং বর্তমানে শর্তসাপেক্ষ জটিল সহযোগিতায় পৌঁছেছে। বিশ শতকের প্রথমার্ধে বিদেশি বিনিয়োগের প্রতি অবিশ্বাস ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ দেশীয় সংস্থাগুলিকে সুরক্ষা দিলেও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে রেখেছিল। ১৯৯১ পরবর্তী যুগে উন্মুক্ত নীতিমালা বিদেশি পুঁজির সদ্ব্যবহার ঘটিয়েছে, প্রবৃদ্ধি ঘটিয়েছে, এবং ভারতকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করেছে। তবে সাম্প্রতিক নীতিগত দোলাচল এবং দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে একটি পুনর্বিন্যাস জরুরি হয়ে উঠেছে—একটি ভারসাম্য যেখানে উন্মুক্ততা ও কৌশলগত স্বনির্ভরতা যুগপৎ চলবে। শেষপর্যন্ত, ভারতের অভিজ্ঞতা দেখায়—বহুজাতিকদের সঙ্গে সফল সহযোগিতা শুধু নীতিগত উদারতার উপর নির্ভর করে না, বরং সুসংহত ও পূর্বানুমেয় নীতিমালারও প্রয়োজন, যা বিদেশি বিনিয়োগকে জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করতে সক্ষম।


তথ্যসূত্র

Brandl, K., Moore, E., Meyer, C., & Doh, J. (2021). The impact of multinational enterprises on community informal institutions and rural poverty. Journal of International Business Studies. https://doi.org/10.1057/s41267-020-00400-3

Goswami, S. (2019). Land acquisition and involuntary displacement: A study of changing state-society relations. European Researcher. Series A, 10(3), 148–155. https://www.researchgate.net/publication/336382820_Land_Acquisition_and_Involuntary_Displacement_A_Study_of_Changing_State_Society_Relations

JLL India. (2025, February 13). India's warehousing boom: Tier II-III cities drive 100M sq. ft. Retrieved from https://www.jll.co.in/en/newsroom/indias-warehousing-boom-tier-ii-iii-cities-drive-100m-sq-ft

Lane, P. R., & Milesi-Ferretti, G. M. (2011). India's financial globalisation. IMF Working Paper No. 11/7, International Monetary Fund. Retrieved from https://www.elibrary.imf.org/view/journals/001/2011/007/article-A001-en.xml

Palit, A. (2008). India's foreign investment policy: Achievements and inadequacies. Institut Français des Relations Internationales (Ifri). https://www.ifri.org/sites/default/files/migrated_files/documents/atoms/files/av18palitfinal.pdf

Sahoo, P., Nataraj, G., & Dash, R. K. (2014). Foreign Direct Investment in South Asia: Policy, Impact, Determinants and Challenges (26th ed., p. 41). Springer.

0 comments: