1

ধারাবাহিক - শ্যামাপ্রসাদ সরকার

Posted in



পর্ব ২

সামান্য নালিশাকভাজা, চুনোমাছের চচ্চড়ি, আর মানকচু বাটা সঙ্গে একটু তেল আর কাঁচা লঙ্কা, এই সামান্য আয়োজনটুকুই পরিপাটী করে রাধা ভাতের সঙ্গে সাজিয়ে স্বামীকে পরিবেশন করে। এতকটি ছোট ছোট পদের সমাহার হলেও তার মোট পরিমাণ অবশ্য বেশী নয়। ভারতের ভুক্তাবশেষ যেটুকু থাকে তাতেই রাধা হাসিমুখে চালিয়ে নেয়। ভারত তা আন্দাজ করে আগে থেকেই খানিকটা খাবার রোজই সরিয়ে রাখে কোন না কোন অছিলায়। পত্নীটির এই নির্ভেজাল সহনীয়তাটুকুই আজ দুর্দিনে ভারতের সম্বল। তার শরীরে বয়ে চলা রাজরক্তের বিলীয়মান অভিধা শুধু তার গ্রামের যদুনাথ ঘটকের মুখেই মানায়, বাস্তবে সে ও রাধা যে প্রায় অর্ধাহারীর জীবন কাটাচ্ছে তার খবর কেই বা রাখে? যদুনাথ অবশ্য ভারতকে আরো একটি বা দুটি বিবাহের জন্য নিয়তই মন্ত্রণা দেয়। কূলীন ব্রাহ্মণের বিবাহই শ্রেষ্ঠ জীবিকা যখন, তখন তাই করলে অর্থোপার্জনের সাথে সাথে নারীসঙ্গের প্রাচূর্য্যলাভের পথটিও অবারিত হয়ে যাবে।

কিন্তু রাধার নিশ্চুপ আত্মত্যাগটি মনে পড়লেই ভারত সেই পরিকল্পনাকে মন থেকে সঙ্গে সঙ্গে দূর করে দেয়। রাধাকে সে স্বাচ্ছন্দ্য না দিতে পারলেও সংসারে সে সতীন এনে তার সেই সহিষ্ণুতার অপমান করতে সে অক্ষম। সে খুব আশাবাদী হয়ে রোজই একবার করে ভাবে তাদের জীবনে সুদিনটি এবার সমাসন্ন।

কচি বাঁশের কঞ্চি কেটে এনে সে যত্ন করে তিন চারটি কলম কালকেই বানিয়ে রেখেছে। আর তার শিক্ষক রামচন্দ্র মুনশীর কাছ থেকে যোগাড় করেছে কিছু শুকনো তালপাতা আর কেয়া খয়ের। কলাপাতার সাথে কেয়াখয়ের পুড়িয়ে তাতে সামান্য তেল মিশিয়ে এবার তৈরী করতে হবে কালি। তারপরই সে নতুন কাব্যটি লিখতে বসার সুযোগ পাবে।

তার এই রচনাগুলোর আগামী ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই কাজ করছে না। তবু নিজের সৃষ্টির মধ্যে একটা অনাবিল আনন্দ আছে সেটা তো মানতেই হবে। তাই লেখালিখির কাজটা সে বেলা থাকতে থাকতেই সেরে রাখে। সন্ধের পর প্রদীপ জ্বালতে গেলে আজকাল বুঝেশুনে জ্বালতে হয়। দূর্ভাগ্যের বিষয় এই যে ভারতের নিশ্চুপ স্তব্ধ রাত্রিকালেই লিখতে মন চায়, কিন্তু তখনই তার গৃহটি সাধারণতঃ নিষ্প্রদীপ থাকে বেশীর ভাগ দিন। এবারে ভারত ঠিক করেছে সে শেষবারের মত কৃষ্ণনগর বা নবদ্বীপ কোথাও একবার গিয়ে কাব্যচর্চার অনুকূল জীবিকা ফলপ্রসু করতে চেষ্টা করবে ।তার ফল যদি বা নিতান্তই ব্যর্থ হয় তবে আর সময় অপচয় না করে তৎক্ষণাৎ নবাবের কোতোয়ালীতে আমিন বা লিপিকারের চাকরির জন্যে মূর্শিদাবাদে গিয়ে হত্যে দেবে। ওখানে অবশ্য নিজামতকে ঘুষ না দিলে তাও জোগাড় করা সম্ভব হবে না! সেটুকু প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা রাধার সামান্য যেকটি গহনা আছে তা আপাতত বিক্রি করেই যেভাবে হোক করতে হবে। অর্থহীন দারিদ্রে জীবনধারণ কঠিন শুধু নয় কাব্যপ্রীতিও অবান্তর।

রাজমহল পাহাড় বাংলা আর বিহারকে ভৌগলিকভাবে আলাদা করলেও তা যৌথভাবে মূলতঃ 'সুবাহ্ বাংলা'র ই অন্তর্গত হয়ে আছে সেই সম্রাট আকবরের যুগ থেকেই। নদীমাতৃক ও কৃষিভিত্তিক এই গাঙ্গেয় সমভূমিটি যেমন উর্বর তেমনই এখানকার মানুষজন প্রকৃতিগতভাবেই কোমলস্বভাবের। নৌবহরে এরা পারদর্শী হলেও স্বভাবগত কারণেই স্হলযুদ্ধে উদাসীন। এখানকার আকাশে বাতাসে বরং কান পাতলে মাঝিদের গলার সুশ্রাব্য ভাটিয়ালী আর বাউল -ফকির- বোষ্টমদের গলায় মোর্শেদী বা ভক্তিনামরসের লীলায়িত গানের আখরই বেশী ধ্বনিত হয়। সুজলাসুফলা এই বঙ্গের অনেকেই বেশ জনপ্রিয় পদকর্তাও বটে। মুকুন্দরাম, কৃত্তিবাস, কাশীরাম তো আছেনই আজকাল আবার দাশরথি রায় নামের এক পাঁচালিকারও বেশ জনপ্রিয়। বর্গীদের আক্রমণ কেটে যাওয়ার দু'দশক পড়ে পল্লীজীবন এখন আপাত নিরুপদ্রব বলে দাবা ও পাশা খেলা, বারোমাসের ব্রতকথা আর সম্বৎসরের চাষ আবাদ নিয়েই এখন লোকে মেতে থাকে।

শঙ্করী বলে এক পাটনীর সাথে ভারতের সম্প্রতি বেশ ভাব হয়েছে। নিচুজাতীয়া এই স্ত্রীলোকটির স্বামী একেবারে পুরাণবর্ণিত মহেশ্বরের প্রতিরূপ। গ্রামের শ্মশানঘাটের একদিকে তার চালাঘরটি প্রায় নিশ্চিহ্নমান। আগামী বর্ষা অবধি তা কোনোভাবেই টিকবে না। দিবারাত্রি সে ভাঙ আর গাঁজায় ভোঁ হয়ে থাকে। সংসারের কোন কাজেই সে লাগেনা অথচ তারই মধ্যে সে আবার দুটি শিশু কন্যা ও দুটি শিশুপুত্রের জনকও। সর্বদাই সে আরও দুটি গাঁজাখোর সাথী জুটিয়ে দিবারাত্র নেশা করে আর অর্ধনিমীলিত চোখে চেয়ে শঙ্করীকে সমানে গালি পাড়ে। শ্মশানসংলগ্ন সামনের ঘাটটিতে শঙ্করী ঠিক দশভূজার মত সংসার সামলে একটি ডিঙি নৌকায় যাত্রীপারাপার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে । ভারত এই পৃথিবীতে তার একমাত্র মনের মানুষ যেন। কি এক অজানিত কারণে সে তার সুখ দুঃখের কথার সব ঝাঁপি টুকু একমাত্র ভারতের কাছেই সময়সুযোগ পেলে খুলে বসে। এই ভাবুক তরুণ সুদর্শন ব্রাহ্মণটিকে সামনে দেখলে তার মনে সবসময় চিত্তচাঞ্চল্য ঘটে। কোন সামাজিক বাধা বা বর্ণবৈষম্য সেখানে ঠাঁই পায় না। ভারত ও সমানভাবে তার সঙ্গটি উপভোগ করে। পাটনীটি সুন্দরী ও রসিকা। দারিদ্র তার রূপচর্চায় মলিনতা আনলেও তার চোখদুটি বাঙ্ময় ও মুখের হাসিটিও ভারী মধুর। ভারতের সাথে আজকাল ছোট বড় নানা কারণে সে আবার বিচিত্র ভঙ্গীতে মান প্রদর্শন করে। ভারত তার মান ভাঙাতে হাসিমুখে সুমিষ্ট কন্ঠে তাকে কাছে ডেকে নেয় কখনো বা বুকে জড়িয়ে ধরে ছোট্ট একটি চুম্বন এঁকে দেয় সেই চপলার সরস ওষ্ঠে।

নীচু জাতের কারণে সাধারণতঃ ব্রাহ্মণরা তার ডিঙিতে বেশী চড়ে না। ভারত অবশ্য এসব জাতবিচার নিয়ে মাথা ঘামায় না। মাঝেমাঝেই সে আদি সপ্তগ্রাম বা গুপ্তিপাড়া অবধি শঙ্করীর ডিঙিতে চেপেই ঘুরে আসে। উদাসী হাওয়ায় তার উত্তরীয়টি হঠাৎ উড়ে গেলে উন্মুক্ত ঈষৎ তাম্রাভ সুতনুটি চোখের সামনে দেখতে পেয়ে সেদিকে অপলক মুগ্ধদৃষ্টিতে শঙ্করী চেয়ে থাকে। তার স্বামীটি বৃদ্ধ ও নেশাগ্রস্ত। চারটি সন্তানের জননী সে, তবুও পঞ্চশর কখনো কখনো তাকেও বিদ্ধ করে।

জোয়ারের জল বাড়লে নদীর জলে রোদ্দুর পড়ে কোথাও ঝিকমিক করে কোথাও বা জলের চিকমিক করা দেখতে দেখতে ভারতের মনেও শব্দতরঙ্গের ঝংকার ওঠে - " লটাপট জটাজুট সঙ্ঘট্ট গঙ্গা/ ছলচ্ছল কলক্কল টলট্টল্ কলক্কল্ তরঙ্গা.."

সাতটি দিনের পরিশ্রমে ভারত একখানি মধুর রসের আখ্যান 'রসমঞ্জরী' লিখেই ফেলল। সংস্কৃতে বাৎসায়ন ও কোকশাস্ত্র সে আগেই পাঠ করেছিল বলে সেই ধ্রুপদী শৃঙ্গারভাবটি অতি সহজেই বাংলায় নতুন আঙ্গিকে দ্বিপদী বা ত্রিপদীতে মিলিয়ে সে লিখে ফেলতে পারলো। ভারত এযাবৎ দুটি উদ্ভিন্নযৌবনা রমণীর সুখ সান্নিধ্য লাভ করেছে। একজন তার ভার্যা অন্যজন সেই খেয়া পারাপারকারিণী শঙ্করী। স্বকীয়া ও পরকীয়া এই দুইপ্রকার রসবিচারই তার পদগুলিতে যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। শঙ্করীর সাথে নৌযাত্রার নিভৃত অবকাশে খোলা প্রকৃতির বুকে উদ্দাম মিলনখেলার পরিণতি পেল এক আদিম জলছবিতে;

"ত্রিবলি ডোরেতে বান্ধি অনঙ্গ/কটিতটে থুয়্যা দেখরে রঙ্গ..."

আবার তপ্ত শীতলপাটিতে গার্হস্থ্য রতির মূর্ছনাও সিঞ্জিত হয়ে পেল স্বোপার্জিত অভিজ্ঞতায় জারিত পঙক্তিমালায়।

" নিদ্রার আবেশে/রজনীর শেষে/মনোহর বেশে/বঁধু আসিয়া/প্রেম পারাবার/করিল বিস্তার/নাহি পাই পার/যাই ভাসিয়া/

যে রস হইল /মনেতে রহিল/যেকথা কহিল/ মৃদু হাসিয়া! ধরম করম /সরম ভরম /নরম মরম/গেল নাশিয়া! "


লেবেদফ সারাটা দুপুর বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন। নেটিভ কবিটির লেখায় মজে গেছেন পুরোপুরি। সেন্ট পিটার্সবার্গের আর্চপ্রিস্ট বন্ধুবর সামবর্কস্কি কে উচ্ছ্বসিত হয়ে চিঠি লিখতে বসলেন -" I also translated from books extracts of heroic poetry written by Bharat Chandra Ray, the glorious light of Hinduism,who with an oderly division of the parts wrote so sweetly, pleasingly, clearly and truthfully that many people committed them to memory in order to be able to be just service in language tests."

কদিন আগেই নিমতলার দিকে বেড়াতে গিয়ে বছর ষোলো'র একটি ছেলেকে বটগাছের তলায় বসে গান গেয়ে ভিক্ষা করতে দেখেন। ছেলেটি ভিখারি হলেও তার চেহারাটি কিন্তু সুশ্রী আর গানের গলাটি অতি সুশ্রাব্য। সাহেব খুব উৎসাহের সাথে দু'দন্ড দাঁড়িয়ে তার গলায় কালীকীর্তনটি শুনে একেবারে মোহিত। চারটি পয়সা চাপকানের জেব থেকে ঝনাৎ করে তার থালায় ফেলতে দ্বিধা করেননি । আহা, এরকম একটা ছেলে জোগাড় হলে 'সুন্দরে'র ভূমিকায় অভিনেতা খুঁজতে আর বেগ পেতে হয়না। গান শুনে ফিরে যাচ্ছিলেন, হঠাৎই লেবেদফ তার কাছে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসেন। ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলেন - " হেই বয়! হামি ড্রুমটুলাটে ঠাকি! টুমি হামার প্লে টে গান গাইবে? এক্টিং করিবে? হামি খাবার দিবে ! পোষাক দিবে ! টাকাও দিবে ! টুমি যাইবে? "

একটা ঢিলেঢালা চাপকান পড়া সাহেব তার দিকে ফের এগিয়ে আসতে দেখে ছেলেটা প্রথমে ছুটে পালাতে যাচ্ছিল। কিন্তু 'খাবার দিবে' কথাটা শুনে পেটের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠল। শুধুমাত্র জল খেয়ে সে এই নিয়ে তিনদিন উপোস রয়েছে। তার বাপ মা কেউ নেই। মামার একটা তামাকের গুদামে সে কুলির কাজ করতো। সামান্য খাবারের বিনিময়ে বাড়তি যেটা জুটত তা হল মামীর গঞ্জনা আর মামার বেদম মার। থাকতে না পেরে সে পালিয়েছে বাধ্য হয়ে। গোবিন্দপুরে তাদের নিজেদের ছোট্ট একটা বাড়ি ছিল শীতলা মন্দিরের কাছে। তার লাগোয়া ছিল তার বাপের একটা ফুলের চালা দোকান। সে বাপের কাছেই মালা গাঁথতে শিখেছে কোন ছোটবেলায়। গানও তাই। তিনদিনের ভেদবমিতে বাপ, মা আর বোনটা চোখের সামনে ছটফট করে মরে গেল। মামা অবশ্য ঠিকসময়ে না এসে পৌঁছলে সেও হয়তো কদিন বাদে মরতোই।

সাহেব যে প্রায় মিনতির সুরে তাকে কোথাও একটা নিয়ে যেতে চাইছে সেটা সে বুঝতে পেরেছে। শুধু গান গাইলে টাকা আর খাবার দুটোই পাওয়া যাবে?এটা বড় আশ্চর্যের! কিন্তু সে তো দু একটা কালীকীর্তন ছাড়া অন্য কিছু গান জানেনা!

ছেলেটির নাম রতন। তাঁবুতে ফিরেই গোলকনাথকে ডেকে পাঠালেন লেবেদফ।

রতনের গলায় একটি গান তৎক্ষণাৎ শুনে সেও হতবাক। 'ছোঁড়ার এলেম আছে বলতে হয়!' তামাক খেতে খেতে সেও সাহেবের জহুরীর চোখকে বাহবা দেয়। আপাতত এই দিন পনের গোলকনাথই রতনকে 'বিদ্যাসুন্দর' পালার 'সুন্দর' হয়ে ওঠার তালিম দেবে। তারপর জন্মাষ্টমীর দিন হবে সেই নতুন পালার আসর। চিকের আড়াল থেকে আদুরী সব শোনে। তার কাজলকালো চোখদুটো চিকচিক করে ওঠে জলে। ছোকরাটি দেখতে শুনতে বেশ ভাল 'লবকাত্তিক' গোছের। আহা রে, বেচারার মা বাপ কেউ নেই শুনে তার মনটাও বেশ দ্রব হয়ে ওঠে। নিজের কথা মনে পড়ে যায়। তার তো সেই জন্ম থেকেই বাপ বেপাত্তা। ওলাউঠোয় মা-ও মরে গেলে দূরসম্পর্কের এক মাসি এসে আড়কাঠির কাছে কলকাতায় এনে ওকে বেচে দেয়। সাহেবরাও নাকি আজকাল মেম সাহেবের অভাবে দেশী রক্ষিতাই রাখছে।

'ডিহি কলিকাতায়' ঘরের কাজ করার চাকর নফর আর শয্যাসঙ্গী দুটোই খুব সস্তায় পাওয়া যায়। হিকি বলে এক ইংরেজ সাহেব তার বেঙ্গল গেজেটে লিখেছে যে বিলেত থেকে কোন নতুন সাহেব ইন্ডিয়াতে এলেই লোকাল এজেন্টরা তাদের জাহাজঘাটা থেকেই ছেঁকে ধরছে। সাহেবপাড়ায় বাসস্থান, আর্দালী আর খানসামার সাথে একটি বা দুটি দেশী করে সোমত্ত মেয়েমানুষও খুব সস্তায় দশ কি বারো সিক্কায় জুটিয়ে দিচ্ছে।

আদুরীর এই বয়সেই বাড়ন্ত গড়ন। তাই মাসি এই সুযোগে আদুরীকে আড়কাঠির কাছে বেচে দিয়ে একজোড়া গরু কিনে এনে ঘরে রেখেছে। ভরন্ত সোমত্থ মেয়ে ঘরে বসিয়ে খাওয়ানোর চেয়ে দুধেলা গাই ঘরে রাখাটাই ভালো। দুধ-ঘি বেচে যা হোক দুটো পয়সা তো আসে ঘরে। যাকগে! ওসব কথা ভাবতে এখন আর তার ভালো লাগছে না। লেবেদফ সাহেবের কাছে অবশ্য আদুরী আগের চেয়ে ঢের সুখেই আছে।

1 comment:

  1. ����অনবদ্য লেখা পড়তে পড়তে সেই সময়ের সাথে যেন একাত্ম হয়ে পড়েছিলাম ������ ধন্যবাদ

    ReplyDelete