Next
Previous
0

সম্পাদকীয়

Posted in


সম্পাদকীয়



ঋতবাক ৫ম বর্ষ, ১২তম সংখ্যা। সময়টা স্মৃতিমেদুর। পাঁচ বছর পূর্ণ করে ছয়ে পা দিতে চলেছে ঋতবাক। একটা পথ চলা। সব সময় সমান যায়নি। অনেক উত্থান পতন, তবু দিশা পরিবর্তন হয়নি। যাঁরা ছিলেন, যাঁরা আছেন, সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। 

বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমাদের আনন্দ ঘোষণা, এই সংখ্যা থেকে পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদকের পদ অলংকৃত করবেন বন্ধুবর শিশির রায়, সাহিত্য জগতে যাঁর পরিচয় দিতেই লাগে না। আমরা সম্মানিত বোধ করছি।

এদিকে আশেপাশে চলছে অনেক কিছুই। ডাক্তার পেটানো, বিশ্বকাপে ভারতের পারফরমেন্স, রাজনৈতিক গুলতানি, ইত্যাদি প্রভৃতি। কিন্তু জরুরী একটা বিষয় বহুল ঘটনা স্রোতের মধ্যেই ভুস করে কেমন ভেসে উঠেই তলিয়ে গেল। খানিকটা চাপান উতোর হলো অবশ্য, তবুও কিছু প্রশ্ন রয়েই গেল। 

বলি খোলসা করেই! হ্যাঁ, বিষয়টা - জল। পরিসংখ্যান বলছে, পৃথিবীর পুরো পেয় জলের মাত্র কমবেশি ৫% গার্হ্যস্থ কাজে ব্যবহার করা যায়। অনেক অপচয় করলেও, যদিও সেটা একেবারেই কাম্য নয়, তবুও ১০%এর বেশি খরচ হয় না। বাকি ৯০% জল খরচ হয় কৃষি এবং শিল্পে। 

প্রথমে ধরা যাক, কৃষির কথা। যে কোনও দেশের কৃষি ব্যবস্থা বেড়ে ওঠে সে দেশের জলবায়ু বা আবহাওয়ার আনুকূল্যে। কিন্তু এখন যে সব উচ্চ ফলনশীল শস্য সারা বছর ধরে চাষ করা হচ্ছে, তাতে যে বিপুল পরিমাণ জলের প্রয়োজন, তার যোগান আসছে কোথা থেকে? 

এর পরে যদি শিল্পের কথায় আসি, সেখানেও তো অবস্থা তথৈবচ। ওই যে, ১ লিটার সফট ড্রিঙ্ক বানাতে ৭ লিটার জল অপচয় হয়, একথা এখন সবাই জানে। সবচেয়ে ভয়ানক কথা হলো মাটির নীচ থেকে যথেচ্ছ জল তোলায় কোনও বাধা নেই। মাটি যার মাটির নিচের জলও তার। আশ্চর্য নিয়ম!

আরও আশ্চর্যের বিষয়, এখনও পুকুর বোজানো, পুকুরের পাড় বাঁধিয়ে ফেলা, যথেষ্ট পরিমাণে গাছ না লাগানো হয়েই চলেছে। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, পুরসভার অনুমতিপ্রাপ্ত বহুতলগুলিতে রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং মাস্ট নয়। যথেচ্ছভাবে মাটির উপরিতল কংক্রিটে মুড়ে ফেলাও বারণ নয়...

কি হচ্ছে এসব!

আকাটেও নিজের বাড়ির যত্ন নেয়! বাড়ি না থাকলে থাকবো কোথায়? কি জানি, বাবা

সচেতনতার উদয় হোক, একে আত্মসচেতনতাই বলা ভালো...

শুভেচ্ছা নিরন্তর