Next
Previous
0

সম্পাদকীয়

Posted in


সম্পাদকীয়


অব্যক্ত প্রকৃতিরয়ং কলাশরীরঃ
সূক্ষ্মাত্মা ক্ষণত্রুটিশো নিমেষ রোমা।
সন্ধ্যাংশঃ সমবলশুক্লকৃষ্ণ নেত্রঃ
মাসাঙ্গো ভবতি বয়োহয়ো নরাণাম্‌।। (মহাভারত)


ঘন্টা-মিনিটে তৈরী দেহ, নিমেষ রোমে ঢাকা কলেবর, সাদা-কালো দুই চোখে অমাবস্যা আর পূর্ণিমা, বারোমাস তার মাংস, সন্ধ্যাকে কাঁধে নিয়ে ছুটছে যে দুর্জ্ঞেয় স্বভাবের জন্ত- তার নাম সময়। বাঁচা মানে, এই কালতুরঙ্গের পিঠ আঁকড়ে সওয়ারি করা। ঋতবাকও তাই করে। কতটা পথ পেরিয়ে আসা হলো। কতজন এল গেল। কতজন আসবে। ঋতবাক তার যাত্রাপথ বদলায়নি, বদলাবে না।

এই চলার পথে নানা উৎসব। বন্ধুমিলন। আগামী বারোই জানুয়ারী ২০১৮, শুক্রবার, বেলা আড়াইটে থেকে শোভাবাজার রাজবাড়ির ঠাকুরদালানে হবে তেমনই এক উৎসব। যৌথ উদ্যোক্তা শোভাবাজার রাজবাড়ি আর ঋতবাক। স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার একশ পঁচিশ বছর পূর্ণ হলো। শিকাগো বিজয়ের পর কলকাতা ফিরে এলে, তাঁকে প্রথম জনসম্বর্ধনা জানানো হয় শোভাবাজার রাজবাড়িতে। প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে সম্বর্ধনা সভার সভাপতিত্ব করেন রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব। এই দুটি ঘটনাকেই স্মরণ করা হবে ঐদিন। সকাল দশটায় বেরোবে পদযাত্রা- ঠাকুরদালান থেকে বিবেকানন্দের বাসভবন পর্যন্ত। তারপর, এক বর্ণাঢ্য বিচিত্রানুষ্ঠান। বরণ করে নেওয়া হবে বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি জগতের নানা নক্ষত্রকে। প্রকাশিত হবে এক বিবেকানন্দ স্মারক সংখ্যা: সব অর্থে যা সংরক্ষণযোগ্য। এছাড়াও, প্রকাশ পাবে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর লেখা আর ঋতবাকের নির্মাণ করা বই মন্দকথা; এবং আর একটি ঋতবাক- নির্মাণ – মহারাজকাহিনী: ইতিহাসের অন্য আলোয় শোভাবাজার রাজবাড়ি-র তৃতীয় সংস্করণ। তার, অল্প ক’দিন পরেই বেরোবে আরও অনেক'কটা নানা স্বাদের ঋতবাকের বই। শোভাবাজার রাজবাড়ির ঠাকুরদালানেই। ঋতবাকের এখন উৎসবের মরসুম। আমি জানি, ঋতবাকের সত্যিকারের বন্ধুদের নেমন্তন্ন করতে হয় না। তাঁরা নিজে থেকেই আসেন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সফল করতে তাঁদের নিজেদের অনুষ্ঠানগুলিকে। কারণ, তাঁরাই তো ঋতবাক।

উৎসবে থাকুন। আনন্দে থাকুন। 

শুভকামনা নিরন্তর।