সম্পাদকীয়
Posted in সম্পাদকীয়আবার সেই উৎসবের দোরগোড়ায় আমরা। কিন্তু উৎসবের অর্থ কী? তার প্রয়োজনীয়তার গণ্ডি কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত? এইসব প্রশ্ন অনেকাংশে উত্তরগর্ভ। সেইসব উত্তর আবার জন্ম দিতে পারে বিবিধ জিজ্ঞাসার।
একথা অবশ্য অনস্বীকার্য এই বিষয়টির দুটি মূল ধারা - সামাজিক এবং ধর্মীয়। আবার এই দুই ধারার মধ্যে প্রধান সাযুজ্য স্বতস্ফূর্ততা। এই আপন অনুপ্রেরণায় উদ্দীপ্ত বহতা নদীর মতো সহজিয়া ভঙ্গীটিই এর প্রকৃত নিয়ন্ত্রক। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মানুষের সানন্দ যোগদান - যার অনুপস্থিতিতে একটি উৎসব কখনওই তার যথার্থ মর্যাদা পেতে পারে না। তাহলে এমন যদি ভাবা হয়, কোনও বিশেষ উপলক্ষ্যে দলবদ্ধভাবে মানুষের নিঃসঙ্কোচ একত্র হওয়াই একটি উৎসবের প্রাথমিক শর্ত, ভুল হবে কি? সেই যুক্তিতে যে কোনও উৎসবের একটি মানবিক মুখ থাকা নিতান্ত জরুরি।
আসন্ন বার্ষিক উৎসবের প্রেক্ষাপটে এই ভাবনাগুলি অত্যন্ত সঙ্গত মনে হওয়ার কারণ উৎসব পালনে ফতোয়ার ঘোষণা। আর একথা কি আমাদের জানা নেই যে ফতোয়া আর মৌলবাদ সর্বদা হাত ধরাধরি করে থাকে। সেক্ষেত্রে উদযাপনের মূল সুরটির যায় তাল কেটে। ফুটন্ত ভাতের গন্ধে মাতোয়ারা মানুষের চেয়ে উৎসবপ্রিয় আর কে আছে?
সুস্থ উৎসবে থাকুন। সৃজনে থাকুন।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।