সম্পাদকীয়
Posted in সম্পাদকীয়কী লিখবো আমরা এই মাসিক পরিসরে? গত এগারো-বারো দিনের ঘটনাপ্রবাহে আচ্ছন্ন হয়ে আছে সমগ্র চেতনা। 'সংবেদনশীলতা' নামে যে শব্দটি আমাদের জানা আছে, তার প্রকৃত অর্থ আমরা ভুলতে বসেছি। আমরা যে সমাজবদ্ধ কোনও জীবপ্রজাতির অংশ তাও তো মনে হচ্ছে না আর।
একথা অনস্বীকার্য যে, সভ্যতার ইতিহাস চিরকালই বর্বরতাকীর্ণ। প্রতিবারই আমরা অবলীলায় অতিক্রম করে গিয়েছি কৃতকর্মের নব নব সোপান। এইভাবেই চলে আসছিল। এভাবেই চলে আসে কিন্তু হঠাৎ আসে একটি বাঁক - এক যুগসন্ধি। যখন 'এমন ঘটনা তো কতই ঘটে!' - জাতীয় মন্তব্য করে আর স্বতস্ফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশকে ঠেকিয়ে রাখা যায় না।
এবারও ঠিক তেমনই হল। একটি নৃশংস, ভয়াল অপরাধ সংঘটিত হল। এ প্রসঙ্গে কোনও পরিসংখ্যান টেনে আনা শুধু আরেক ধরনের অপরাধ নয়, তাতে যে হতে পারে অসন্তোষের আগুনে ঘৃতাহুতি, প্রশাসন তা হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবেই ভুলে যেতে চাইলেন। চেষ্টা করলেন, জনমানসে 'অন্য গল্পে'র রসদ গুঁজে দিতে। এখানেই চরম ভুলটা হল। সমাজের নানা স্তরে, নানান বিষয়ে পুঞ্জীভূত যে আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছিল, তা যেন ছিল এই স্ফুলিঙ্গটির অপেক্ষায়। ফলত হল কী, সেই ছাইচাপা আগুন এখন দাবানলের আকার ধারণ করেছে প্রায়।
আপাতত দেখার বিষয় এটাই যে নির্যাতিতার পরিবার ন্যায় বিচার পেলেন কিনা। সমগ্র আন্দোলনের সার্থকতা সেখানেই। সৃজনী সংস্কৃতিরই বা কী মূল্য নির্ধারণ করব আমরা…
সুস্থ থাকুন। দায়বদ্ধ থাকুন।
শুভেচ্ছা অফুরান!