Next
Previous
0

প্রবন্ধ - দীপকরঞ্জন ভট্টাচার্য

Posted in







সিকিম বা দার্জিলিং তুমি কতই তো গেছ -- ম্যাডক্স স্কোয়ার থেকে পুজোর রাত্তিরে সেই যে একবার হেঁটে ফিরেছিলে! কত সময়ের কত উৎসব আর কতই না সব ছবি --- কুয়াশার ঘন পথে বাইসন নেমে আসা পাহাড়ি নদীর খাত, পাহাড় চুড়োয় প্যাগোডা থেকে নানা বর্ণের পাখনা মেলা কত পতাকা, ঝুলন্ত সেতুর ওপর প্রেমিকের গান... কিন্তু কোনো অজ গ্রামে কি কখনো তুমি যেতে চেয়েছ ? ডাঙাজমির পট ঘিরে তালসারির রূপ দেখেছ সেখানে ? মানুষজনের সঙ্গে দুটো কথা বলতে প্রাণ চেয়েছে? -- বিশেষ জায়গা ছাড়া কোথাও খুব একটা যাই না আমরা, তাই না! আমরা নামি পটভূমি খুঁজি, বরফে ঢাকা পাহাড়ের সারি কিংবা সাগরমুখো ঘর চাই। অথচ ড্রয়িংরুমের দেওয়ালে গ্রামের সেই ছবি টাঙাতে ভারি ভালো লাগে আমাদের -- কী অপূর্ব খড় ছাওয়া ঘরগুলো, সামনে একটা দাওয়া, মাটির রাস্তার এক পাশে একটা হেঁটমুণ্ড গরুরগাড়ি! যা দেখায় চোখ জুড়োয়, তাকে নিকট করতে না পারার এক রহস্যময় দূরত্বেই আমাদের বাস।
.
আজকের দিনে খড় ছাওয়া এই ঘরগুলো, তাকে ঘিরে থাকা এই সামান্যের সাজ, আসলে এক অসহায়তারই ছবি। কবি দেখতে পান, 'অসহায় সেইসব ছবি থেকে নেমে আসে কিছু উদোম মানুষ। এক বোকা খাঁদানাক কালো ভগবানও নেমে আসে। সকলের হাতে তির-ধনুক কিংবা উদ্যত বর্শা'! প্রাকৃত স্বপ্নের এইসব মানুষের ঠাঁই হয় না শহুরে কোনো কবিতার উঠোনেই। এদের মুখের ভাষা কেমন হবে, খাঁদানাক কালো ভগবানকে ঘিরে তারা কোন বি-ভাষার বাঁধা শ্লোকে পুজোআচ্চা করবে, এই নিয়ে তখন আরেক ভাবনা! কবিতায় এইসব কথা বাঁধতে গেলে, কবিতার বাঁধনও যায় বদলে, কবির দৃষ্টি যায় বদলে। ... পুরোনো সংস্কৃত নাটকে দেখো না, রাজা আর পুরোহিত কেমন সংস্কৃতে কথা বলছেন, অথচ জেলে ও প্রহরীর কথা হচ্ছে মাগধীতে, অর্থাৎ কেজো রাস্তার ভাষায়! বেশ কয়েক বছর আগে ছোটো নাগপুরে রামগড় পাহাড়ের গায়ে সম্রাট অশোকের সময়ের দুটি প্রত্নলিপি পাওয়া গিয়েছিল। দুটিই কবিতা।একটি শিলালিপিতে সেই কবিতার ভাষা হল পালির কাছাকাছি, ছন্দ বৈদিক, অন্যটার ভাষা, ছন্দ, সমস্তই প্রাকৃত। সেই ছন্দের নাম 'গাথা'। মেয়েদের গানকে তখন 'গাথা' বলা হতো। এত আগে থেকেই যদি লিঙ্গভেদে, শ্রেণীভেদে ভাষা কিংবা ছন্দ বদলে বদলে নিয়ে থাকে তাদের চলন -- আজকের কোনো কবি কি আর ঘ্রাণ নেবেন না তবে সেই ঘাসমাটির, তাকাবেন না মানুষের ভাষার আদল-বদলের দিকে, তাদের চাঁচাছোলা ভণিতাহীন রুক্ষ উচ্চারণের দিকে -- নতুন ছন্দে, নতুন শৈলীতে বিকল্প এক ঈশ্বরের স্বর জাগিয়ে তুলবেন না কেউ! আজ তো পৃথিবী জুড়ে আড়-ভাবুকদেরই দিন! সময়ের তলে তলে আরও এক অতল সময়ের স্রোত!
.
তোমার মনে পড়তে পারে এক সাহিত্যসভার কথা, কল্পিত সেই সভায় 'শেষের কবিতা'র 'অমিত'-র সেই তির্যক অভিমত : 'চাই কড়া লাইনের, খাড়া লাইনের রচনা -- তিরের মতো, বর্শার ফলার মতো, কাঁটার মতো।... খোঁচাওয়ালা কোণওয়ালা গথিক গির্জার ছাঁদে, মন্দিরের মণ্ডপের ছাঁদে নয়। এমনকী যদি চটকল পাটকল অথবা সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ের আদলে হয়, ক্ষতি নেই।' এই কথাগুলো অমিতকে বলতে হচ্ছিল রবিঠাকুরের কোমল লেখালিখির প্রতিবাদে। এর মধ্যে কি সেই সময়ের নিরিখে মাত্রাহীন আধুনিকতায় মেতে ওঠা লেখালিখির বিরুদ্ধে এক ঘুরপথের প্রতিবাদও ছিল না! তাও ছিল। তা-ই বোধহয় ছিল বেশি করে। অমিতর এই প্রতিবাদ তো কোনো শৈলীকে নাকচ করতে বলা নয়, প্রকৃতপক্ষে তাকে শিরোধার্য করার তাগিদেই তার এই উচ্চারণ! একই সঙ্গে অমিতর এই কথাগুলোতে আরো ছিল, সাহিত্যের ভাষাভঙ্গির আদর্শ ছাঁচ নিয়ে তার স্রষ্টার নির্দিষ্ট এক ভাবনার পরিসর -- সৌষম্যই যেখানে পাখির চোখ।
.
সেই রুচি যে আজ একেবারে আকাশ-পাতাল বদলে গেছে, তা কি বলা যাবে? আজও আমাদের বেশিরভাগই মৃদু মেজাজের কবিতা, ছন্দে মিলে মিঠেস্বভাবের কবিতায় স্বচ্ছন্দ। মন্ত্রপাঠের মতো নিবিষ্ট হোক কবিতা, তাতেই আমাদের অনেকের আগ্রহ। কারোর কারোর ভাবনায় কবিতা যেন আমাদের বাড়ির ছোটো মেয়েটি। সে হাঁটলেই নূপুর বেজে ওঠে যেন, সেদিকে তাদের নিরন্তর লক্ষ। অথচ সত্যিই যদি কবিতা অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ায় -- সেই মেঠো ভগবানের বর্শার ফলার দিকে! তার বি-ভাষার স্বরের মতো! আয়না ঘুরিয়ে আজ মাঠ-জলা-জঙ্গল আর সেই কাদামাটির দেশে হেঁটে বেড়ানো মানুষগুলোর সহজ আলো আর গাঢ় অন্ধকারে কলম ডুবিয়ে যিনি লিখতে বসেন, তাঁর কবিতা নিয়েই আলাপ করব।
.
কোনো কবিকে নিয়ে কথা বলতে গেলে, তাঁর লেখালেখির ভাবনা নিয়েও তো কথা এসে যায়, নিজের মতো করেই তাঁর রচনার আকাশের কথা বলতে হয়, নিজের বোঝাবুঝি নিয়েই তাঁর কবিতাকে পাঠকের দিকে বাড়িয়ে দিতে হয়! কিংবা হয়তো নিজের থেকে কিছুই বলা হল না -- তাঁর বলাটাই রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে নিজের কথাকে বদলে দিয়ে গেল! যাঁর ভাবনার পরতগুলো নিয়ে আমাদের আলাপ ক্রমে তাঁর কবিতার বিস্তারে মিশে যাবে, তিনি, কবি নিত্য মালাকার। --- তিনিই সেই কবি, তাঁরই সেই কবিতা, 'শেষের কবিতা'-র অমিত বাংলা কবিতার যে ছাঁচভাঙা রূপ দেখতে চেয়েছিল! আজ তাঁর যে কবিতার বইটিকে ঘিরে আমাদের কথা হবে, সেটি 'অস্ট্রিক' থেকে প্রকাশিত তাঁর 'কবিতা সংগ্রহ'। কবি নিত্য মালাকারের বাসভূমি উত্তরবঙ্গের মাথাভাঙা অঞ্চলে -- তাঁর নিভৃত উচ্চারণ পাঠকের কাছে তুলে আনছে পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রকাশন -- কবিতায় সবই সম্ভব! গোপন প্যামফ্লেটের মতো এইসব লেখা, নাহলে তোমার আমার মতো পাঠকের কাছে পৌঁছোবে কীভাবে!
.
তাঁর কবিতা জুড়ে নুড়িপাথরের মতো ছড়িয়ে রয়েছে ভাষা ও ভঙ্গির অজস্র জিজ্ঞাসা। 'রোদ ও মাঠের শূন্যতা ভেঙে অচেনা অক্ষর সব ক্রোধে ঝিকিয়ে' উঠুক, এই তাঁর ইচ্ছা ! 'ক্ষুর বা অগ্নির চেয়ে তীব্রতর' হোক ভাষা -- ভাষাবিষয়ে এই তাঁর খাপখোলা প্রস্তাব। 'অলংকার মালা পরানোর দিন নেই আর' --- এই তাঁর বিশ্বাস। 'কাব্যে পুস্তকে ও করে-খাওয়াদের বাক্ রীতিতে আছে ভবিষ্যৎ, এরই ভেতরে পথ করে নিতে হবে; নিজেকেই। রাশি রাশি শূন্য ও সংখ্যার জোরে চলছে যে জগৎ, তাকে বস্তু ভাবো' --- এই তাঁর শ্লেষ জড়ানো আত্মপাঠ।
.
'...উত্তমর্ণদের প্রতি শেষ কর্তব্য চুকিয়ে/ ভেঙে ফেলি শব্দ ও রূপের খাঁচা চর্যাপদ হরিণীর --/ লিখে ফেলি পুনরায় / চণ্ডাল জেনেছে বার্তা, আমি যা জানিনি' --- তাঁর চূড়ান্ত এবং অকপট বিদ্রোহ তাঁকে ভাস্কর্যের মতো গেঁথে নিতে সাহায্য করে তাঁর কবিতার গড়ন। মৃত শব্দের কাঁধে হাত রেখে চলতে আর চান না তিনি। আর যে-মানুষ একা পথ হাঁটেন, জীবনে বা কবিতায় --- গড্ডালিকায় ভেসে থাকা সুধী পাঠক যে তাঁর প্রতি অমনোযোগী হবেন, তা একরকম জানা কথাই। তাঁর লেখা যে হা-মানুষের উপাখ্যান! তাঁর ঈশ্বর যে লৌকিক। তিনি কথা বলেন সহজ ছবি থেকে নেমে আসা হা-মানুষের হয়ে! হয়তো তার নিজের হয়েও, যাকে হা-মানুষেরা দলে নেয় না, নেয় না শহুরে রম্যভব্য লেখকেরাও :
.
'সদর্থক সব শব্দই তো রবীন্দ্রনাথ আর সংবিধানে লেখা আছে... আমি গড়াতে লাগলাম নীচে, মহা নীচে। দেখলাম, জলস্থল ভেদ করে এমন পতন আমি বানিয়েছি, উত্তরণের জন্য শেষ যাত্রা, সার্থক -- কিছুই রাখিনি।'
.
'জন্মে জন্মে শব্দ তার বাচ্যার্থ ভুলতে ভুলতে ব্যঞ্জনার জন্য আরও জটিল, সুন্দর হয়।' --- কবিতার জন্য সম্ভাবনাময় প্রতিটি শব্দ একজন কবির কাছে যতটা মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে, সম্ভবত তার কানাকড়িও নয় অন্য কারো কাছে! সেই শব্দ নয় তাঁর গল্পমালার ইঁট, সেই শব্দের ভিতরঘরের জ্বোরো বা শীতল ভাবটুকু, তার অনুভূতি আর অর্থ-পেরোনো আহ্বান নিয়েই কবির জগৎ :
.
'আমি একটি শব্দে বিশ্বাস করি -- শব্দ আমাকে
আমি একটি ব্যাঘ্রে বিশ্বাস করি -- ব্যাঘ্র আমাকে
অথবা একটি পেঁচায় বিশ্বাস করি, পেঁচক আমাকে
বিচরণশীল রাখে -- ভাসমান,আমার ভেতরে
ওই শব্দ ওই বাঘ অথবা সে পেঁচা
স্বপ্নে ঘরবাড়ি গড়ে অথবা তা ভাঙে
আসবাব তৈজসে ভরা বিকারের জাহান্নাম
অথবা সে অমরাপুরীতে
ক্রমশ ডেকেই যায় টিক-টক,
টিক-টক...'
(অংশ)
.
শব্দ এক ছদ্মবেশী বাঘ, সে তোমাকে মুহূর্তে ছিঁড়েখুঁড়ে দিতে পারে, যদি তুমি কবি হও। সেই বাঘের ডাকে তোমার মনে পড়ে যায় দ্রুতধাবমান সময়ের কথা, উন্মত্ত কালসমুদ্রের কথা --- সেই বাঘের ডাকে ঘড়ির কাঁটার 'টিক টক' উঠে আসে একদিন। 'ক্ষুধা ও তৃষ্ণার পদ্য' পিঠে নিয়ে সে ছুটতে থাকে বন-বাদাড় ডিঙিয়ে। জলহীন খাদ বালি আর মানুষের পদছাপে ঘেরা অন্ত্যজদের ত্বকের মতো খসখসে ভূমিতে দাঁড়িয়ে সে ছুঁড়ে ফেলে দেয় অবাস্তব 'খোলাম কুচির স্বপ্ন' --- পেতে চায় চণ্ডালের সহজিয়া সিদ্ধি :
.
'আমি কীভাবে কলম ধরব ভয় হয়, বিভিন্ন শব্দে শিল্প, অনুরাগ
নিয়ন্ত্রণ সহজসাধ্য কি হবে? তাই ভাবি, নাহ্ --
কিছুই বলব না;
বরং এসো ভাতের গল্প করি'।
.
পেঁচার কথায় চলে আসে রাতের কথাও --- তাঁর কবিতা যে রাত্রির ভাষায় কথা বলে! হয়তো কাকজোছনার নীচে নৈশভোজের আসর জমে ওঠে সেখানে। স্বপ্নে ও সংগমে লীন হতে হতে ধু ধু নিঃসঙ্গ জ্যোৎস্নায় হাত ধরে হেঁটে যায় মানুষ শূন্য নদীর বুকে। নারীশরীরের উনোনে জ্বলে রাখ হয়ে যায় পুরুষরূপী কাঠ, লেখার টেবিল থেকে উড়ে যায় নীল পদ্য, ছাতিম গাছের নীচে পুঁতে-রাখা যত কেচ্ছা, ধুয়া আর কালের ইন্ধন'।
.
'চোখের ভেতরে চোখ বুনো মহিষের মতো
নেমে যায় জলে
ধুয়ে নেয় শেষ রিপু তারার আলোয় চিনে চলে যায় দিকশূল' ---
.
'শেকড়, স্বপ্ন ও সাপ আর মহিলাকে ভালোবাসা অন্ধকারেই খুব ক্রিয়াশীল হয়।' এই অন্ধকার তাঁর কাছে এক স্বচ্ছতার পটভূমি: 'অন্ধকার কি এর চেয়ে ভালো নয়, স্বচ্ছ নয়, অর্থপূর্ণ নয়?' মধ্যরাতের হাওয়াবাতাসের মধ্যে হেঁটে বেড়ায় অমৃতকলস-কাঁখে এক জাদুবুড়ি : 'সন্ধ্যায় বাংলোর মুখে যে ঋতুহীন চাঁপাগাছ অভ্যর্থনা করেছিল, মধ্যরাত্রিতে সেই মধুমতী হল'। কখনো আবার আত্মবিষে নীল হতে হতে শ্লেষে, অসহায়তায়, ক্রোধে, বিপন্নতায় তাঁকে বলে উঠতে হয় :
.
'এই রাত্রির যে এক একান্ত ব্যক্তিগত রস আছে তা আমি এইভাবে পাণ্ডুলিপিতে রেখে যাচ্ছি কেন? এত নীচে তলিয়ে যাচ্ছি কেন? কোন অবদমন থেকে এসব আসে? ওই তো টিলার বস্তি থেকে কালো ধোঁয়ার আকারে পাকিয়ে পাকিয়ে উঠছে স্নেহ। কোন অনির্দেশ্যের দিকে তিন জোড়া শিশুকঙ্কালের হাত প্রার্থনা করে? আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি একটি নড়বড়ে কঙ্কালের ঘাড়ের ওপরে আরোপিত জীবন্ত মাথাটি বার বার নুয়ে পড়ছে সামনে। তারই চেতনার রঙে এ পৃথিবী কালো হচ্ছে, মহাশূন্য এদের কোথায় রাখবে?
আমাকে বাঁচার জন্য আরও দূরে সরে যেতে হবে। আমি বাঁচলেই দিব্যদৃষ্টি খুলে যাবে কাকতাড়ুয়ার।'
.
যত দিন গেছে টানা গদ্যের ওপর তাঁর ভর গেছে বেড়ে। তাঁর জোরালো উচ্চারণ, তাঁর বিকল্প ঈশ্বরের সন্ধান না হলে পথ হারাত। এই গদ্যলেখা কিন্তু অনন্য এক শৈলী! গল্প, জার্নাল, বা খবরকাগজের মতো সেটা একেবারেই নয়। তার প্রতিটি পঙ্ ক্তির আছে আগুনফড়িঙের অচেনা দুই বর্ণময় ডানা, ঘটনা পেরিয়ে যা এক কালসমুদ্রের ওপর ভেসে যেতে পারে, বিরহের অন্ধকার আরও গভীর ভাবে ছড়িয়ে দিতে পারে। ওই তো শব্দের সেই বাঘ সামনে ছোটে তাঁর, মাথায় যার আগুনভাণ্ড। -- ধূপ, না কি তার সুরভি, ধোঁয়া-ওঠা শরীরে গাছপালা ভেঙে লতাবিতানে সেজে ওঠে! আহ্ গ্রন্থাতীত! ওই যে শব্দের বাঘ সমানে ছুটে চলেছে। রাত্রির পেঁচা আজ ভয়াবহ ডাক দিয়ে ওঠে। ডেকে যায়, ডেকে নিয়ে যায় তার গর্ভগৃহ অন্ধকারে। কী যেন এক অমীমাংসিত হাওয়া খেলে বেড়াচ্ছে সেখানে...
.
ঋণ :
নিত্য মালাকারের কবিতা সংগ্রহ
অস্ট্রিক প্রকাশন