Next
Previous
0

গল্প - মনোজ কর

Posted in




















ষষ্ঠ পর্ব

ওয়াটসন এবং ক্লাইভের কলকাতা পুনর্দখল।

মাদ্রাজ কাউন্সিল তখন অপেক্ষা করছিল ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধপরিস্থিতির সংবাদের জন্য। সে সংবাদ অবশ্য এসে পৌঁছেছিল অনেক পরে। এই অপেক্ষার অন্যতম কারণ ছিল যদি ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা খুব শীঘ্র হবার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ওয়াটসন এবং ক্লাইভকে দরকার পড়বে করমন্ডল উপকূলে। অবশেষে মাদ্রাজ কাউন্সিলের বৈঠকে ঠিক হল যে সমস্ত খরচের হিসাব রাখার দায়িত্ব থাকবে ক্লাইভের ওপর। মার্লবোরো এবং ওয়ালপোল এই দু’টি বড় জাহাজের জন্য আপাতত ২ লক্ষ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হল। ক্লাইভকে বলা হল অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হলে খরচের সঠিক হিসাব নিকাশ সমেত কলকাতা কাউন্সিল বা মাদ্রাজ কাউন্সিলের কাছে আবেদন জানাতে। টাকার অভাব হবে না। কলকাতা উদ্ধার করতেই হবে। ক্লাইভে সঙ্গে পাঠানো হল দু’টি চিঠি। একটি মাদ্রাজ কাউন্সিলের প্রধানের এবং অন্যটি হায়দ্রাবাদের নিজাম শালাবাত জঙ্গের। এই চিঠি দু’টি সঠিক সময়ে সিরাজের হাতে পৌঁছে দিতে হবে। সঠিক সময়টি কখন সেটির সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব ক্লাইভের উপর দেওয়া হল। এছাড়াও ক্লাইভকে দেওয়া হল তৎকালীন মোগল সম্রাট ফারুখশায়ারের স্বাক্ষর সম্বলিত ফরমানের স্বাক্ষরিত প্রতিলিপি। সঙ্গে দেওয়া হল মোগলরাজের দরবার থেকে বিভিন্ন সুবেদারকে দেওয়া চিঠির প্রতিলিপি যাতে লেখা আছে ব্রিটিশদের যেন দেশের সর্বত্র চুক্তিঅনুযায়ী প্রাপ্য সমস্ত সুযোগ সুবিধা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনওরকম বাধার সৃষ্টি করা না হয়। ক্লাইভের যাত্রা হল শুরু।

যাত্রা শুরু হতে না হতেই সেনাবাহিনীর ভিতর থেকে বাধার সম্মুখীন হতে হল ক্লাইভকে। ৩৯তম রেজিমেন্টের কর্নেল জন আল্ডারক্রন বেঁকে বসল যে সে ক্লাইভের নেতৃত্ব মেনে নেবে না। কারণ ক্লাইভ তার থেকে জুনিয়র এবং ক্লাইভ লেঃ কর্নেলের পদমর্যাদা পেয়েছে মাত্র কিছুদিন আগে। আল্ডারক্রন তার রেজিমেন্টের সেনাদের নিয়ন্ত্রন ক্লাইভের হাতে দিতে চাইল না। শুধু তাই নয় যে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র জাহাজে তোলা হয়েছে সে সমস্ত নামিয়ে নেওয়ার জন্য জেদ করতে লাগল। সরকারি সেনাবাহিনীর একটা অংশ অনেক আগেই কলকাতা চলে গিয়েছিল। কিন্তু তার কারণ ছিল কলকাতার নিরপত্তা জোরদার করা। তখনও সিরাজ কলকাতা দখল করেনি। কিন্তু এখন আল্ডারক্রন ক্লাইভের নিয়ন্ত্রনে সেনাদের ছাড়ার ব্যাপারে বেঁকে বসল। অ্যাডমিরাল ওয়াটসন অবস্থার সামাল দিলেন এই বলে যে তিনি সরাসরি তাঁর নিজের নেতৃত্বে জল ও স্থলবাহিনীর একটি যৌথ অভিযানের পরিকল্পনা করেছেন। আল্ডাররক্রনের সেনারা একটি অভিযানের অংশহিসাবে যোগ দেবে। সেক্ষেত্রে তাদের নিয়ন্ত্রন ক্লাইভের কাতে থাকবে না। অবশেষে ১৬ই অক্টোবর ,১৭৫৫ এক বিশাল যুদ্ধজাহজের বাহিনী মাদ্রাজ থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিল।

যে সমস্ত জাহাজ এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল সেগুলি হল,

কেন্ট – ৬৫ রাজসেনা, ৭৭ কোম্পানি সেনা এবং ৫৯জন সেপাই ও লস্কর।

কাম্বারল্যান্ড- ৯৭ রাজসেনা, ১৫০ কোম্পানি সেনা, ৬৭জন সেপাই ও লস্কর।

টাইগার- ৫৬ রাজসেনা, ১৪৬ কোম্পানি সেনা, ৭০জন সেপাই ও লস্কর।

সালিসবেরি- ৫৮ রাজসেনা, ১৪৭ কোম্পানি সেনা, ৫৭জন সেপাই ও লস্কর।

ব্রিজয়াটার- ৯৬ কোম্পানি সেনা

ওয়ালপোল- ৪১৩ সেপাই ও লস্কর

মার্লবোরো- ৩৬০ সেপাই ও লস্কর

প্রোটেক্টর – ১৩২ সেপাই ও লস্কর

ল্যাপউইং- ৯০ সেপাই ও লস্কর

বোনেটা- ৬০ সেপাই ও লস্কর

এছাড়াও কিছু ছোট দুইমাস্তুল বিশিষ্ট জাহাজ। সব মিলিয়ে ২৭৬ রাজসেনা, ৬১৬ কোম্পানি সেনা এবং ১৩০৮ জন সেপাই ও লস্কর।

যাত্রা শুরু হবার দু-তিনদিনের মধ্যেই খারাপ আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হল এই জাহাজবাহিনীকে। সুতরাং ঘুরপথে তানাসারি এবং আরাকান হয়ে উত্তরে ঝোড়ো হাওয়া এবং নাব্যতাজনিত নানা বাধাবিপত্তির মধ্যে দিয়ে জাহাজবাহিনী এগিয়ে চলল বালাসোরের দিকে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরি হওয়ার জন্য টান পড়ল খাবার এবং জলের ভাঁড়ারে। ১০ই নভেম্বর অ্যাডমিরাল ওয়াটসন খাবার এবং জলের ওপর নিয়ন্ত্রন শুরু করলেন। দু’দিন পরেই একটি আগুনের সরঞ্জামবাহী একটি জাহাজ ঝড়ের দাপট সহ্য করতে না পেরে শ্রীলঙ্কার পথে পাড়ি দিল। ১৬ই নভেম্বর অস্ত্রবাহী জাহজ মার্লবোরোতে দেখা গেল যান্ত্রিক ত্রুটি। দলছুট জাহাজ মার্লবোরো ত্রুটি সারানোর জন্য চলে গেল মুম্বাই বন্দরের উদ্দেশ্যে। বাকি জাহাজগুলি ১লা ডিসেম্বর এসে পৌঁছলো বালাসোরের কাছে হুগলি নদীর মুখে। হাওয়ার সঙ্গে যুঝতে না পেরে সালিসবেরি এবং কাম্বারল্যান্ড বালাসোরের বেশ কিছু আগে আটকে গেল বালিতে। অনেক চেষ্টায় আবার যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তীব্র হাওয়ায় কাম্বারল্যান্ড ভেসে গেল ভাইজ্যাগের দিকে। কেন্ট এবং টাইগার হাওয়ার গতিবিধি অনুকুলে আসার জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করে ব্রিটিশ পাইলটদের সহযোগিতায় ৯ই ডিসেম্বর রওনা দিয়ে ১৫ই ডিসেম্বর ফলতা পৌঁছল। কাম্বারল্যান্ড এবং মার্লবোরো ছাড়া সবক’টি জাহাজই ২০শে ডিসেম্বরের মধ্যে এসে গেল। এই দু’টি বড়জাহাজের অনুপস্থিতি অভিযানের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল। প্রায় ২৫০ রাজসেনা এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র আটকে রইল এই জাহাজ দু’টিতে।

অবশেষে নববর্ষের পরেই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আবার কলকাতা দখল করে নিল ব্রিটিশেরা। ভীতসন্ত্রস্ত মানিকচাঁদ প্রথমদিকে খানিকটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও অবশেষে প্রাণের দায়ে পালিয়ে বাঁচল। ফলতা পৌঁছোবার কয়েকদিনের মধ্যেই ক্লাইভ নিজের এবং ওয়াটসনের লেখা দুটি ভয় দেখানো চিঠি এবং তার সঙ্গে মাদ্রাজ থেকে আনা চিঠিগুলি মানিকচাঁদের হাতে দিয়ে সিরাজকে পৌঁছে দেবার কথা বলল। মানিকচাঁদ এই ধরণের দুর্বিনীত ভাষায় লেখা চিঠি নিতে শুধু অস্বীকারই করল না উপরন্তু প্রতিআক্রমণের প্রস্তুতি শুরু করে দিল। কাম্বারল্যান্ড না পৌঁছোনোর জন্য যে সৈন্যসংখ্যার ঘাটতি ছিল ফলতা থেকে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী এবং ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধপ্রস্তুতির জন্য পূর্বে পাঠানো কয়েকজন সৈন্যকে নিয়ে ২৭শে ডিসেম্বর হুগলী নদীতে রণতরী ভাসিয়ে দিল ক্লাইভ এবং ওয়াটসন । ২৮শে ডিসেম্বর বজবজ থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে মায়াপুরে এসে পৌঁছলো ব্রিটিশ রণতরী। ওয়াটসনের নেতৃত্বে নদীবক্ষ থেকে জলপথে এবং ক্লাইভের নেতৃত্বে স্থলপথে সাঁড়াশি আক্রমণের পরিকল্পনা ব্রিটিশদের।নদীতীর থেকে প্রায় ষোল ঘন্টা অভিযান চালিয়ে স্থলবাহিনী শহরের প্রান্তে এসে পৌঁছল। ক্লান্ত সেনাবাহিনী নিজেরা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে ভেবে কোনওরকম সাবধানতা অবলম্বন না করে আক্রমণ শুরু করার আগে একটু নিচু দেখে একটা জায়গায় সকলে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিল। কিন্তু একঘন্টার মধ্যেই অতর্কিত আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়ল ক্লাইভের সৈন্যরা। কলকাতার দক্ষিণদিক থেকে আসা মানিকচাঁদের সৈন্যবাহিনী ব্রিটিশ সেনাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। পালাবার পথ না পেয়ে পিছু হটতে লাগল ব্রিটিশ সেনারা। কয়েকজন মারা গেল, বেশ কিছু সৈন্য আহত হল। কিন্তু ক্লাইভও যুদ্ধ ছেড়ে পালাবার লোক নয়।কিছুক্ষণের মধ্যেই বেয়নেট হাতে প্রতিআক্রমণে এগিয়ে এল ব্রিটিশ সেনারা। আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণ করতে করতে এগিয়ে চলল ব্রিটিশ সৈন্যরা। মানিকচাঁদের নেতৃত্বে উল্টোদিক থেকে ছুটে আসা অশ্বারোহী সৈন্যরা গুলিবর্ষণ হচ্ছে দেখে একটু থমকে গেল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মানিকচাঁদের পাগড়ির পাশ দিয়ে প্রায় কান ঘেঁসে উড়ে গেল একটা গোলা। মুহূর্তের মধ্যে মানিকচাঁদের নির্দেশে পিছু হটল সেনাবাহিনী। মানিকচাঁদের ঘোড়া একদৌড়ে এসে থামল কলকাতায়। সেই রাত্রেই দুর্গ দখল করে নিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। এই দুর্গ দখলের পিছনে একটা গল্প আছে। ক্যাপটেন আয়ার কুটের কথা ছিল দুর্গ আক্রমণের। পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্যাপটেন কুট ক্লাইভের অনুমতির অপেক্ষা করছিল।কিন্তু ক্লাইভের অনুমতি নির্ধারিত সময়ে এসে পৌঁছলো না। প্রায় সন্ধ্যা সাতটার সময় দুর্গের গেট ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার জন্য ক্লাইভের অনুমতি এসে পৌঁছল। প্রস্তুতি নিশ্ছিদ্র এবং পাকাপাকি করার জন্য এই অতিরিক্ত সময় নিয়েছিল ক্লাইভ। সূর্যাস্তের পর অন্ধকার নেমে এলে নিঃশব্দে কেন্ট নামের যুদ্ধজাহাজ থেকে দুটি বড় কামান নামিয়ে আনা হল। কামান দুটি সঙ্গে নিয়ে ২০০ সেপাই এবং ১০০ নৌসেনা সঙ্গে নিয়ে দুটি বড় বাহিনী এগিয়ে চলল দুর্গের দিকে। এই আক্রমণের নেতৃত্বে ছিল ক্যাপটেন কুট। কিন্তু ইতিমধ্যে যুদ্ধজাহাজ থেকে কামান নামানোর সময় একজন নৌসেনা মত্ত অবস্থায় দলছুট হয়ে আগেভাগে দুর্গের দরজায় পৌঁছে কোমরের পিস্তল বের করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে জয়ধ্বনি দিতে শুরু করে। এইসব শুনে সৈন্যরা ক্যাপটেন কুটকে পিছনে ফেলে রেখে হৈ হৈ করে দুর্গের ভেতর ঢুকে পড়ে। আশ্চর্যজনকভাবে বিনা বাধায় দুর্গ দখল করে নেয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। ইতিহাসে কিন্তু এই দুর্গ জয়ের নায়ক হিসাবে ক্যাপটেন কুটের নামই লেখা রইল। এদিকে মানিকচাঁদ বজবজ থেকে পালিয়ে এসে মাত্র ৫০০ জন সৈন্যকে আত্মসমর্পণের উপদেশ দিয়ে দুর্গে রেখে হুগলিতে এসে সবাইকে নিজের দুর্গতির কথা জানিয়ে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। ছ’মাস আগে ব্রিটিশ সেনাদের সম্বন্ধে যে অবজ্ঞাজনক কথাবার্তা বলেছিল সেগুলো গিলে নেওয়া করা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কিছু করার ছিলনা মানিকচাঁদের। ৩০শে ডিসেম্বর ব্রিটিশ সেনাবাহিনী বজবজ থেকে তান্না ফোর্টের কাছকাছি একটা জায়গায় নোঙ্গর করে একটাও গুলি খরচ না করে বিনাবাধায় তান্না ফোর্ট দখল করে নিল। যদিও বেশ কয়েকটা কামান রাখা ছিল এদিক ওদিক কিন্তু সেগুলো চালানোর কোনও লোক ছিলনা। মানিকচাঁদের কাছ থেকে ব্রিটিশদের হাতে নাজেহাল হওয়ার খবর পেয়ে আগেভাগেই পাততাড়ি গুটিয়েছে তান্না ফোর্টের রক্ষীবাহিনী।

২রা জানুয়ারি ক্লাইভ হুগলির পূর্বতীরে আলিগড়ে নেমে বিশাল সেনাবাহিনী সঙ্গে করে কলকাতার দিকে রওনা হয়ে গেল। সকাল ন’টা নাগাদ যুদ্ধজাহাজ কেন্ট এবং টাইগার প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই করে ফোর্ট উইলিয়মের ঘাটে নোঙ্গর করল। হাওয়ার গতিবিধির সমস্যার জন্য সঠিক অবস্থানে নোঙ্গর করতে অসুবিধা হচ্ছিল নাবিকদের। এই সুযোগে হুগলি নদীতে টহলরত সিরাজের সৈন্যরা গোলা ছুঁড়ে কেন্ট-এর ৯জন এবং টাইগারের ৭ জন সৈন্যকে খতম করে দিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রিটিশ রণতরী থেকে ছুটে আসা ঝাঁকে ঝাঁকে গোলা ধ্বংস করে দিল সিরাজের রণতরীগুলো। ১১টার কিছু আগে নবাবের সেনাবাহিনীর একজনও রইল না দুর্গে তথা কলকাতায়। ব্যান্ড বিউগিল সহযোগে ব্রিটিশ পতাকা উড়িয়ে দুর্গ বিজয় ঘোষণা করল লর্ড ক্লাইভ। পরের দিন ড্রেক এবং কাউন্সিলের পুরনো সদস্যদের ডেকে তাদের হাতে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিল অ্যাডমিরাল ওয়াটসন। একসপ্তাহের মধ্যে হুগলি আক্রমণ করে সিরাজের অবশিষ্ট সেনাঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে ক্লাইভ। কলকাতা এবং কলকাতার পার্শ্ববর্তী সমস্ত এলাকা নবাবের সেনাদের হাত থেকে মুক্ত করে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করল ক্লাইভ এবং ওয়াটসন । পরের কাজের দায়িত্ব পুনর্গঠিত কলকাতা কাউন্সিলের।